নার্সদের কর্মবিরতি স্থগিত
দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে সারাদেশে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) পর্যন্ত কর্মবিরতি স্থগিত করেছেন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদের আহ্বায়ক ড. মো. শরিফুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা নার্সিং কলেজের সভাকক্ষ এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এই কথা জানান তিনি।
এর আগে, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এক দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন শুরু করেন নার্সরা। দেশের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। দাবি দ্রুত সময়ে না মানলে আগামী দুই দিনও কর্মবিরতির ঘোষণা দেন তারা।
কর্মবিরতির বাইরে রয়েছে হাসপাতালগুলোর জরুরি বিভাগ এবং আইসিইউ ও সিসিইউর মতো গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ডগুলো।
আরটিভি/এমএ/এআর
মন্তব্য করুন
ডা. রোবেদ আমিনের অপসারণসহ ৭ দফা দাবি ড্যাবের
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বেশকিছু দিন ধরে চলা স্থবিরতা নিরসনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. রোবেদ আমিনের অপসারণসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে বিএনপিপন্থি চিকিত্সকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে 'স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে স্থবিরতা ও ছাত্র আন্দোলনে বিরোধিতাকারী পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের পুনর্বাসন এবং চিকিৎসক-কর্মকর্তাদের প্রতি বৈষম্য ও হয়রানির প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালাম। তিনি বলেন, চিকিৎসকরা এদেশের সচেতন নাগরিক। এদেশের ভাষা আন্দোলনে, '৭১এর মুক্তিযুদ্ধে চিকিৎসকদের আত্মত্যাগ, '৯০ এর গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের আত্মত্যাগ যেমন আন্দোলনকে গণঅভ্যুত্থানে রূপ দিয়েছিল। তেমনি এই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চিকিৎসক সমাজ ও মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে এবং ডা. সজীব সরকারসহ ৮ জন চিকিৎসক শহীদ হন।
ড্যাবের চিকিৎসকগণসহ ভিন্নমত পোষণকারী সব চিকিৎসক কর্মকর্তা স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের জুলুম, নির্যাতন, পদোন্নতি বঞ্চনা, বদলি হয়রানি ও মিথ্যা মামলায় গত ১৬ বছর অবর্ণনীয় বৈষম্যের শিকার হয়েছে। অনেকের চাকুরিচ্যুত হয়েছে, নির্যাতনের কারণে অনেকেই চাকুরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। তারপরও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে ড্যাবের চিকিৎসকবৃন্দ সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই ড্যাব এই আন্দোলনের প্রতি নৈতিক সমর্থন প্রদান করে এবং ড্যাব এর চিকিৎসকগণ বিভিন্ন পর্যায়ে ছাত্রদের সহিত যোগাযোগ করে সহযোগিতা করেছে। ড্যাব এর চিকিৎসকগণ পুলিশের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সারা বাংলাদেশে পুলিশ ও আওয়ামী গুন্ডাবাহিনী দ্বারা হাজার হাজার যে ছাত্রজনতা আহত হয়েছে তাদের চিকিৎসা, জরুরি অপারেশন ও পরবর্তীতে পুনর্বাসনে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে যা এখনো চলমান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বনামধন্য অর্থনীতিবিদ নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে যে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় ড্যাব সেই সরকারকে শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানায় এবং স্বাস্থ্য খাতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে। যেহেতু ফ্যাসিবাদের দোসর চিকিৎসকরা এখনো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিএসএমএমইউ সহ সকল স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালে স্বপদে বহাল রয়েছে। আমরা চিকিৎসকরা আশা করেছিলাম, গণঅভ্যুত্থানে পর অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনের সাথে আলাপ-আলোচনা করে আওয়ামী সরকারের ভঙ্গুর স্বাস্থ্য খাতকে পুনর্গঠন এবং দুর্নীতিবাজ চিকিৎসকদের অপসারণ এবং দুর্নীতি তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন এবং সৎ, যোগ্য, পরিশ্রমী ও বঞ্চিত চিকিৎসকদের মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল, হাসপাতালের পরিচালক এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ পূরণ করে একটি আস্থাশীল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলবেন। এবং বৈষম্যের শিকার চিকিৎসকদের যথাযথ মূল্যায়ন করে যোগ্য পদে পদোন্নতি দিয়ে পদায়ন করে তাদের মেধাকে কাজে লাগাবেন এবং ভঙ্গুর চিকিৎসা ব্যবস্থাকে সচল করবেন। কিন্তু আমরা গণ-অভ্যুত্থানের এক মাস হয়ে গেলেও তার কোনো প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি না। বরং শান্তি মিছিলে অংশগ্রহণকারী, দুর্নীতিবাজ চিকিৎসকদের পদায়ন করার মাধ্যমে তাদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে। গত ১৬ বছর বৈষম্যের শিকার চিকিৎসকদের যথাযথ বদলী ও পদোন্নতির ব্যবস্থা না করে তাদের বঞ্ছনাকে দীর্ঘায়িত করছে এবং নানাভাবে হয়রানি করছে।
৩ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের বিরোধীতা করে ফ্যাসিবাদের দোসর চিকিৎসকদের অংশগ্রহণে যে শান্তি সমাবেশ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার অন্যতম পরিকল্পনাকারী ও বাস্তবায়নকারী হিসাবে চিহ্নিত বর্তমানে নিয়োগপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক। ছাত্র জনতার আন্দোলন যে চেতনার বিরুদ্ধে, সেই ফ্যাসিবাদী চেতনার ব্যক্তি, উচ্চাভিলাষী, পদলোভী চিকিৎসককে বৈষম্য বিরোধী চিকিৎসক সমাজ কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না।
এসময় তিনি স্বাস্থ্যখাতে স্থবিরতা ও সংকট নিরসনে ৭ দাবি তুলে ধরেন-
১। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদের অযোগ্য দুর্নীতিবাজ ফ্যাসিবাদের দোসর ডা. রোবেদ আমীনসহ অন্যান্য সুবিধাপ্রাপ্ত ও ফ্যাসিবাদের দোসর যাদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ও অন্যান্য স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে তাদের নিয়োগ আদেশ বাতিল করতে হবে।
২। আহত ছাত্র জনতাকে যারা চিকিৎসা দিতে অস্বীকার করেছে (বিএসএমএমইউ থেকে শুরু করে সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান) তাদের তালিকা প্রণয়ন করে বিএমডিসি এর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে হবে। শান্তি সমাবেশে যোগদানকারী ও ফ্যাসিবাদের দোসর সকল চিকিৎসক ও কর্মকর্তা/কর্মচারীকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দিতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩। অতি দ্রুত বৈষম্যের শিকার সকল চিকিৎসক ও কর্মচারীগণকে ভূতাপেক্ষভাবে পদোন্নতি দিয়ে বৈষম্য দূর করতে হবে। বর্তমানে পদোন্নতিযোগ্য প্রত্যেককেই দ্রুততার সাথে পদোন্নতির ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলেই বঞ্চিত, দক্ষ, যোগ্য কর্মকর্তাদের পদায়ন করে স্বাস্থ্য প্রশাসন ঢেলে সাজানো সম্ভব হবে, যাহা অতি জরুরি।
৪। মেডিকেল কলেজসহ প্রতিটি হাসপাতাল দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এ সকল প্রতিষ্ঠান দুর্নীতিমুক্ত করতে যোগ্য ও বৈষম্যের শিকার শিক্ষক ও চিকিৎসকদের যথোপযুক্ত পদে পদায়িত করতে হবে। বিগত দীর্ঘ ১৬ বছর সময়ে স্বাস্থ্য খাতে যত দুর্নীতি হয়েছে তার শ্বেতপত্র প্রকাশ ও দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৫। মেডিকেল কলেজ, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ইনস্টিটিউট সমূহ, নার্সিং কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অতিদ্রুত স্বৈরাচারের দোসরদের সরিয়ে বৈষম্যের শিকার চিকিৎসকদের পদায়ন করতে হবে।
৬। প্রতিবাদকারী যেসব চিকিৎসকদের হয়রানিমূলক বদলি করা হয়েছে সেই বদলী আদেশ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। ভবিষ্যতে বৈষম্যের শিকার চিকিৎসকদের কোনভাবেই হয়রানিমূলক বদলি না করার দাবি জানাচ্ছি।
৭। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ও চিকিৎসাসেবার গুণগতমান উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামো শক্তিশালীকরণের জন্য গঠিত বিশেষজ্ঞ প্যানেল কমিটি অতি দ্রুত বাতিল করে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশকারী চিকিৎসক সমাজের প্রতিনিধিত্ব রেখে কমিটি পুনঃগঠনের জোর দাবি জানাচ্ছি।
ঢামেকের ৫ চিকিৎসককে বদলি
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) কর্মরত পাঁচ চিকিৎসককে দেশের বিভিন্ন জেলার মেডিকেল কলেজে বদলি করা হয়েছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপসচিব দূর-রে-শাহ্ওয়াজের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার ও স্বাস্থ্য সার্ভিসের নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাদের তাদের নামের পাশে বর্ণিত কর্মস্থলে বদলি ও পদায়ন করা হলো। পদায়ন করা কর্মকর্তারা আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বদলি করা কর্মস্থলে যোগদান করবেন। অন্যথায় পরবর্তী কর্ম দিবসে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিক অব্যাহতি মর্মে গণ্য হবেন।
এমনকি বদলি বা পদায়নকৃত কর্মস্থলে যোগদানের ব্যর্থতায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পাঁচ চিকিৎসকের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক মো. নুর হোসেন ভূঁইয়াকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগে, শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ইফফাত আরা সামসাদকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগে, সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক এ জেড এম মাহফুজুর রহমানকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগে বদলি করা হয়েছে।
এ ছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মোহাম্মদ খোরশেদ আলমকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক সার্জারি এবং মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মাদ মুরাদ হোসেনকে নীলফামারী মেডিকেল কলেজে বদলি করা হয়েছে।
আরটিভি/ফাআ-টি
ডেঙ্গুতে আরও ৬১৫ জন হাসপাতালে, মৃত্যু ১
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৬১৫ জন। এ সময় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, হাসপাতালে নতুন ভর্তি রোগীর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ৯৪ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০৪, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৭৫, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৩৭, খুলনা বিভাগে ৬০ ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৬ জন রয়েছেন। এ ছাড়াও বরিশাল বিভাগে ২৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৩ জন এবং রংপুর বিভাগে ২ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
সারাদেশে ৫৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৪ হাজার ৫৪৬ জন।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১৬ হাজার ২৮৫ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময় মৃত্যু হয়েছে ৯৭ জনের।
আরটিভি/এবি-টি
ঢাকার নতুন সিভিল সার্জন ডা. জিল্লুর
গোপালগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জনের দায়িত্বে থাকা ডা. মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান ঢাকার নতুন সিভিল সার্জন হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। সাবেক সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাসের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন তিনি।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবু রায়হান দোলন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানকে ঢাকার সিভিল সার্জন হিসেবে বদলি বা পদায়ন করা হয়েছে। জনস্বার্থে জারিকৃত এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ঢাকার সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাসকে ওএসডি করে মাদারীপুর শিবচর আইএইচটির অধ্যক্ষ হিসেবে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়াও গাজীপুরের শহীদ আহসানুল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. সৈয়দ আমিরুল হককে নরসিংদীর সিভিল সার্জন করা হয়েছে। এমনকি নরসিংদীর সিভিল সার্জনের দায়িত্বে থাকা ডা. ফারহানা আহমেদকে শহীদ আহসানুল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক করা হয়েছে। শিবচর আইএইচটির অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকা ডা. মো. মাসুদ রানাকে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জনের দায়িত্বে পদায়ন করা হয়েছে।
জানা গেছে, ডা. মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান বিসিএস ২৫তম ব্যাচের স্বাস্থ্য ক্যাডার কর্মকর্তা। তিনি এর আগে ২০২৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন হিসেবে যোগদান করেন।
আরটিভি/এমএ-টি
গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহতের সংখ্যা জানাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিহত ও আহতদের সংখ্যা জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ তথ্য জানান সিনিয়র সচিব এমএ আকমল হোসেন আজাদ।
তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশের বিভিন্ন স্থানে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও শহীদ পরিবারকে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে। শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের পরিচিতিসহ একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে। এ লক্ষ্যে একজন সাবেক স্বাস্থ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
এমএ আকমল হোসেন আজাদ বলেন, ‘এই কমিটি একটি খসড়া নীতিমালা এবং আহত-নিহতদের প্রাথমিক একটি তালিকা মন্ত্রণালয়ে দাখিল করেছে। ইতোমধ্যে আমরা ৭০০ জনেরও বেশি নিহত এবং ১৯ হাজার জন আহতের তালিকা পেয়েছি। তবে এ তালিকা সম্পন্ন হয়েছে, এটা বলা যাবে না। তথ্য সংগ্রহ ও যাচাইয়ের কাজ চলমান রয়েছে।’
সিনিয়র সচিব বলেন, ‘আহত ছাত্র-জনতার জন্য ঢাকায় ১৩টি হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। পরবর্তী সময়ে সারা দেশের আহত ছাত্র-জনতার জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাধীন যাদের ঢাকায় রেফার করা হয়েছে, তাদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
আকমল হোসেন আজাদ বলেন, ‘আহতদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হাসপাতালগুলোর ডেডিকেটেড অংশে স্থানান্তর করা হয়েছে, যেখানে তাদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। আহতদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চিকিৎসা সম্পর্কিত অভিযোগ, পরামর্শ, তথ্য জানার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে হটলাইন খোলা হয়েছে। আন্দোলনে আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অনেক হাসপাতাল বিনামূল্যে আহতদের চিকিৎসাসেবা দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘তারা আহত হয়েছেন বিশেষত যারা চোখে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন, দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন, পায়ে আঘাত পেয়েছেন, অঙ্গহানি হয়েছে, তাদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বিদেশ থেকে ডাক্তারদের টিম আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এজন্য বিভিন্ন দেশ এবং বহুজাতিক উন্নয়ন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত যাদের দেশে চিকিৎসা করতে হাসপাতাল অপারগতা প্রকাশ করেছে, তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া হবে।’
আরটিভি/এসএপি
স্বাস্থ্যের নতুন ডিজি অধ্যাপক নাজমুল
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেনকে নিয়োগ দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব আবু রায়হান দোলন সাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরে নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে পুনারাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জনস্বার্থে জারিকৃত এই আদেশ অনতিবিলম্বে কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদ থেকে অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিনকে সরিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। তার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেনকে।
এর আগে, অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমকে সরিয়ে ১৯ আগস্ট রোবেদ আমিনকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) করে মন্ত্রণালয়। তবে বিএনপি–সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এ সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে।
আরটিভি/একে
ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৫৬১
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ৫৬১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ২৯২ জন এবং বাকিরা ঢাকার বাইরের।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৭ হাজার ৮৪৫ জন। এরমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮৯৬ জন। মারা গেছেন ১০৩ জন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বছরব্যাপী নানান উদ্যোগ নিলেও কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।