নার্সদের কর্মবিরতি স্থগিত
দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে সারাদেশে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) পর্যন্ত কর্মবিরতি স্থগিত করেছেন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদের আহ্বায়ক ড. মো. শরিফুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা নার্সিং কলেজের সভাকক্ষ এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এই কথা জানান তিনি।
এর আগে, সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এক দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন শুরু করেন নার্সরা। দেশের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। দাবি দ্রুত সময়ে না মানলে আগামী দুই দিনও কর্মবিরতির ঘোষণা দেন তারা।
কর্মবিরতির বাইরে রয়েছে হাসপাতালগুলোর জরুরি বিভাগ এবং আইসিইউ ও সিসিইউর মতো গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ডগুলো।
আরটিভি/এমএ/এআর
মন্তব্য করুন
ডেঙ্গুতে আরও ৬ জনের মৃত্যু
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ১ হাজার ২৪৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
রোববার (২৭ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৫১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০৭ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ২৬০, ঢাকা উত্তর সিটিতে ২৭৮, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৬৭, খুলনা বিভাগে ১০৭ আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও রংপুর বিভাগে ২৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৫১ জন এবং সিলেট বিভাগে ৪ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬ হাজার ৯১১ জন। এরমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫২ হাজার ৬৫০ জন। মারা গেছেন ২৭৭ জন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।
আরটিভি/এসএপি
ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১১৯৭
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১১৯৭ জন।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ২ জন পুরুষ ও ১ জন নারী। তাদের মধ্যে একজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এবং দুজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ৪০৫ জন ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন। এর বাইরে (সিটি করপোরেশন বাদে) ঢাকা বিভাগে ১৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪০ জন, বরিশাল বিভাগে ৮২ জন, খুলনা বিভাগে ১৩৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩১৭ জন, রংপুর বিভাগে ২৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ৭১ ও সিলেট বিভাগে ৪ জন ভর্তি হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১২০৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫৩ হাজার ৮৫৮ জন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ২৮০ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮ হাজার ১০৮ জন।
আরটিভি/এফএ
গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় ঢাকায় থাইল্যান্ডের চিকিৎসকদল
গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় বুধবার (৩০ অক্টোবর) থাইল্যান্ডের একটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদল ঢাকায় এসেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জানায়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের অনেকেই এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহতদের বিনামূল্যে মেডিকেল পরামর্শ দেওয়ার জন্য ব্যাংককের ভেজথানি হাসপাতাল আগ্রহ প্রকাশ করে। সে লক্ষ্যে ভেজথানির তিনজন ডাক্তারসহ ৬ জনের একটি টিম ঢাকায় এসেছেন।
চিকিৎসক দলটি ঢাকায় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান নিটোর এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে আন্দোলনে আহত রোগীদের দেখেছে।
এ সময় নিটোরের পরিচালক ডা. কাজী শামীম উজজামান জানান, থাইল্যান্ড থেকে আসা চিকিৎসক দল ভর্তি হওয়া ৫৭ জন রোগীর সবাইকে দেখেছেন। এদের মধ্যে ১৫ জন গুরুতর আহত রোগীর স্নায়ু এবং জয়েন্টের আঘাতের ওপর বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। নার্ভের আঘাতের রোগীর জন্য তাদের পরিকল্পনা হলো অপেক্ষা করা এবং তদন্তের মাধ্যমে চার সপ্তাহের ব্যবধানে পর্যবেক্ষণ করা। রিপোর্টের ওপর নির্ভর করে পরবর্তী অস্ত্রোপচারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বাকি রোগীদের সম্পর্কে তারা আমাদের চলমান চিকিৎসা প্রোটোকলের সঙ্গে একমত।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক ডা. মো. বদরুল আলম বলেন, থাইল্যান্ড থেকে আগত চিকিৎসক দল আমাদের এখানে ৭ জন গুরুতর আহত রোগীকে দেখেছেন। চিকিৎসক দল বলেছে, বৃহস্পতিবার তারা প্রত্যেক রোগীর প্রতিবেদন দেবেন। এ ছাড়া সামগ্রিকভাবে তারা আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট।
আরটিভি/আরএ/এসএ
৬ মেডিকেল কলেজের নতুন নামকরণ, শেখ মুজিব-হাসিনার নাম বাদ
ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ও জামালপুরের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজসহ ৬টি মেডিকেল কলেজের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের (চিকিৎসা শিক্ষা-১) সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারীর স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশের ৬টি সরকারি মেডিকেল কলেজের নাম পরিবর্তন করে নিম্নবর্ণিতভাবে নামকরণ করা হলো। এর মধ্যে মানিকগঞ্জের কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজকে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ, নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজকে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ, জামালপুরের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজকে জামালপুর মেডিকেল কলেজ নামে নামকরণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া নতুন নামকরণের তালিকায় রয়েছে টাঙ্গাইলের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ এবং দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের নাম। এগুলো যথাক্রমে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ এবং দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ নামে নামকরণ করা হয়েছে।
আরটিভি/এফএ-টি
ডেঙ্গুতে একদিনে প্রাণ গেল ৭ জনের
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় এক হাজার ২৪৩ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৪৯৭ জন এবং বাকিরা ঢাকার বাইরের। এ সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন এক হাজার ১৫৮ জন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬১ হাজার ৮১৭ জন। এরমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৪৭৬ জন। মারা গেছেন ২৯৭ জন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।
আরটিভি/আরএ/এসএ
চলতি মাসেই ডেঙ্গুতে ১৩৪ জনের মৃত্যু
দেশে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। মৃত্যুর পাশাপাশি আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি মাসে (অক্টোবর) ডেঙ্গুতে ১৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা চলতি বছরে এক মাসে সর্বোচ্চ। এ ছাড়া অক্টোবরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩০ হাজার ৮৭৯ জন।
চলতি বছরের মাসিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জানুয়ারিতে ১৪ জনের মৃত্যু এবং হাসপাতালে এক হাজার ৫৫ জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজনের মৃত্যু এবং হাসপাতালে ৩৩৯ জন, মার্চে পাঁচজনের মৃত্যু এবং ৩১১ জন হাসপাতালে, এপ্রিলে দুই জনের মৃত্যু এবং ৫০৪ জন হাসপাতালে, মে মাসে ১২ জনের মৃত্যু এবং ৬৪৪ জন হাসপাতালে, জুনে আটজনের মৃত্যু এবং ৭৯৮ জন হাসপাতালে, জুলাইতে ১২ জনের মৃত্যু এবং দুই হাজার ৬৬৯ জন হাসপাতালে, আগস্টে ২৭ জনের মৃত্যু এবং ছয় হাজার ৫২১ জন হাসপাতালে, সেপ্টেম্বরে ৮০ জনের মৃত্যু এবং ১৮ হাজার ৯৭ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৬১ হাজার ৮১৭ জন। এরমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৪৭৬ জন। মারা গেছেন ২৯৭ জন। নিহতদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৪২ জন এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৫০ জন মারা গেছেন। বাকি ১০৫ জন দেশের বিভিন্ন জায়গায় মারা গেছেন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।
আরটিভি/আরএ/এসএ
এক সপ্তাহে ডেঙ্গুতে ৩১ জনের মৃত্যু, চলতি বছর ৩০০
দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। মৃত্যুর পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি সপ্তাহে (২৬ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর) ডেঙ্গুতে ৩১ জনের মৃত্যু এবং সাত হাজার ১৯৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
গত সাত দিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২৬ অক্টোবর ডেঙ্গুতে দুইজন মৃত্যু এবং ৬৬১ জন হাসপাতালে, ২৭ অক্টোবর ছয়জনের মৃত্যু এবং এক হাজার ২৪৮ জন হাসপাতালে, ২৮ অক্টোবর তিনজনের মৃত্যু এবং এক হাজার ১৯৭ জন হাসপাতালে, ২৯ অক্টোবর ছয়জনের মৃত্যু এবং এক হাজার ৩১২ জন হাসপাতালে, ৩০ অক্টোবর চারজনের মৃত্যু এবং এক হাজার ১৫৪ জন হাসপাতালে, ৩১ অক্টোবর সাতজনের মৃত্যু এবং এক হাজার ২৪৩ জন হাসপাতালে, ১ নভেম্বর তিনজনের মৃত্যু এবং ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬২ হাজার ১৯৯ জন। এরমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৯৩৮ জন। মারা গেছেন ৩০০ জন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেতনতা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।
আরটিভি/আরএ