• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
logo
২৪ ঘণ্টায় ৪২ জনের করোনা শনাক্ত
করোনায় আরও একজনের মৃত্যু
সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন করে  ৩১ জনের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  এতে বলা হয়, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৮৫টি পরীক্ষাগারে ৬০২ টি নমুনা পরীক্ষায় ৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে ২৮ জনই ঢাকার রোগী। বাকি তিনজন চট্টগ্রামের। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ১৫ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তদের মধ্য থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৬ হাজার ৪১৪ জনে। সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪০ শতাংশ। করোনায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২৯ হাজার ৪৯৮৩ জন। আর মোট শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ২১৯ জনের। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর দেশে প্রথম একজনের করোনায় মৃত্যু হয়।
আরও ৩৪ জনের করোনা শনাক্ত
আরও ৩৫ জনের করোনা শনাক্ত
করোনায় প্রাণ গেলো আরও ১ জনের, শনাক্ত ৪৯
আরও ৪৬ জনের শারীরে করোনা
করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ৫৭
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাআক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৯০ জনে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে ৫৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৪ জনে।     বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪৫ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৫ হাজার ৪৫৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা হয় ৬৩৯ জনের নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৯২ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৮ শতাংশ। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।
আরও ৪৫ জনের করোনা শনাক্ত
করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু না হলেও ৪৫ জনের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে।  সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৩২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৮ শতাংশ। দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৪৮ হাজার ২৭৭ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ৪৮৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৫ হাজার ৩৩৩ জন। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে একজনের মৃত্যু হয়।
করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ৪৬
করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ৪৬ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৩৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৮ শতাংশ। দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৪৮ হাজার ২৩২ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ৪৮৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৫ হাজার ২৮৭ জন। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম একজনের করোনায় মৃত্যু হয়।
বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, দেড় মাসে ১১ মৃত্যু
দেশে আবারও বাড়তে শুরু করে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ সময়ে ৩৬২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১০ দশমিক ২২ শতাংশ। চলতি বছরে দেড় মাসের ব্যবধানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সামনের কয়েক মাসে সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এজন্য দ্রুত টিকা নেওয়াসহ সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।   স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত বছরের সেপ্টেম্বরের ৪ তারিখ কোভিড আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর জানুয়ারির ১১ তারিখ পর্যন্ত চার মাসে কোভিড আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। তবে চলতি বছরের ১১ জানুয়ারির পর থেকে আজ পর্যন্ত কোভিড সংক্রমিত হয়ে ১১ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ফেব্রুয়ারি মাসে মারা গেছেন ছয়জন। আর জানুয়ারিতে মারা গেছেন পাঁচজন। গত বছরের ডিসেম্বরে যেখানে পুরো মাসে কোভিড সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ২১০ জনের, সেখানে ফেব্রুয়ারির ১৭ থেকে ২৩ তারিখ পর্যন্ত এ সপ্তাহে শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৩৫৭ জন। কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধির পেছনে কারণ হিসেবে মানুষের মধ্যে টেস্ট না করার প্রবণতা, ভ্যাকসিন না নেওয়া ও নতুন ভ্যারিয়ারন্টের প্রভাবকে চিহ্নিত করা হয়। করোনাভাইরাসের নতুন সাব ভ্যারিয়ান্ট জেএন ডট ওয়ান বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে বলে এ বছরের শুরুতেই সতর্ক করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বাংলাদেশেও রোগীদের মধ্যে এই নতুন সাব ভ্যারিয়ান্টের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলে কিছুদিন আগে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য শরফু্দ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে কোভিড আক্রান্ত ৪৮ জন রোগীর জিনোম সিকোয়েন্স বিশ্লেষণ করে করা এক গবেষণা চালায় বিএসএমএমইউ। সেখানে উঠে আসে ৪৮ জনের মধ্যে ৩ জন নতুন ভ্যারিয়ান্ট জেএন ডট ওয়ানে আক্রান্ত। জেএন ডট ওয়ান আক্রান্ত রোগীদের প্রত্যেকেই দুই ডোজ টিকা দেওয়া ছিল।  এমন রোগীও দেখা গেছে যিনি তৃতীয়বার আক্রান্ত হয়েছেন-অর্থাৎ এর আগে দুইবার কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন এবং তৃতীয়বার যখন আক্রান্ত হয়েছেন, তখন জেএন ডট ওয়ান সাব ভ্যারিয়ান্ট সংক্রমণ হয়েছে তার। কোভিডের অন্য সব সাব ভ্যারিয়ান্টের তুলনায় জেএন ডট ওয়ান সাব ভ্যারিয়ান্টটির উপসর্গ তুলনামূলক দুর্বল। উপাচার্য শরফু্দ্দিন আহমেদ আরও জানান, জেএন ডট ওয়ান সাব ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্ত রোগীর রোগের লক্ষণের তীব্রতা কম। এছাড়া এই সাব ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও কম হয়। আইইডিসিআরের সাবেক উপদেষ্টা মোশতাক হোসেন বলেছেন, কোভিডের নতুন সাব ভ্যারিয়ান্টের সংক্রমণ বৃদ্ধিতে লাগাম টানতে হাসপাতাল, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ সব ধরনের স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে সরকারি নির্দেশনা মানার বিষয়ে জোর দিতে হবে এবং মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।   তিনি বলছিলেন, অসুস্থ হলে মানুষ স্বাস্থ্য কেন্দ্রেই আগে যায়। কাজেই স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো থেকে কোভিড ছড়ানোর সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। এসব জায়গায় দরজায় মাস্ক সরবরাহ করা, সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখার ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন। এছাড়া যাদের দুই ডোজ টিকা দেওয়া আছে তাদের পরবর্তী ডোজ টিকা নিতে উৎসাহিত করা, যারা দুই ডোজ টিকা দেয়নি তাদের শনাক্ত করে তাদের টিকা দেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া, বয়স্কদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার মত কার্যক্রম নেওয়ার বিষয়ে তাগিদ দেন তিনি। গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে আইইডিসিআরের সাবেক উপদেষ্টা মোশতাক হোসেন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এ বছরে জুন-জুলাই পর্যন্ত কোভিড সংক্রমণের হার আরো বাড়তে পারে। এর আগের কয়েক বছরে আমরা দেখেছি যে ফেব্রুয়ারি-মার্চ থেকে শুরু করে জুন-জুলাই পর্যন্ত কোভিড কিছুটা বাড়ে। কাজেই শীতকালে যখন বেড়েছে, এটা আরো বাড়ার আশঙ্কা আছে। বাংলাদেশে এই মৌসুমে মানুষের মধ্যে সাধারণত ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। কোভিডের পাশাপাশি আসন্ন বসন্তে এবং গ্রীষ্মে ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রভাবও বাড়তে পারে। তিনি বলেন, কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও সেই অনুপাতে মানুষ কোভিড টেস্ট করাচ্ছে না। আর টেস্ট না করানোর ফলে প্রয়োজনীয় সতর্কতাও মানছেন না অনেকে, যার ফলশ্রুতিতে কোভিড সংক্রমণ আরও বাড়ছে। মানুষের মধ্যে টেস্ট করার হার আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। কোভিড সংক্রমণের হার এখন যেহেতু বাড়ছে, কারো জ্বর হলেই সঙ্গে সঙ্গে কোভিড টেস্ট করা উচিৎ। বিশেষ করে যেসব ব্যক্তি ঝুঁকিপূর্ণ বয়সে আছেন বা যাদের ডায়বেটিস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপের মত শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে কোভিড সংক্রমণের বিষয়ে সতর্ক হওয়া বেশি জরুরি। সূত্র : বিবিসি  
আরও ৩৭ জনের করোনা শনাক্ত
করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু না হলেও ভাইরাসটিতে ৩৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।    এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১০ দশমিক ২২ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ। দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৪৮ হাজার ১৮৬ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ৪৮৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৫ হাজার ২৫৯ জন।   উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম একজনের করোনা শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম একজনের করোনায় মৃত্যু হয়।
করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩৩
করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ভাইরাসটিতে ৩৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৪২ শতাংশ। এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৮ শতাংশ। দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৪৮ হাজার ১৪৯ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ৪৮৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৫ হাজার ২২৭ জন। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম একজনের করোনায় মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।
করোনার কিছু টিকায় সমস্যা বেড়েছে : গবেষণা
করোনা মহামারি মোকাবিলায় সারা বিশ্বে ১ হাজার ৩৫০ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে মানুষকে। জীবন রক্ষায় এসব টিকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। শুধুমাত্র ইউরোপেই ১০ লাখের বেশি মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে করোনার এ টিকা। তবে এ টিকা নেওয়াদের কিছুটা সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছ বিজ্ঞানীরা। ৮টি দেশে করোনার টিকা গ্রহণ করা ৯ কোটি ৯০ লাখ মানুষের ওপর একটি জরিপ পরিচালনা করে এমন মন্তব্য করেছেন তারা। ‘গ্লোবাল ভ্যাকসিন ডেটা নেটওয়ার্ক’-এর নতুন এই গবেষণাটি গত সপ্তাহে ভ্যাকসিন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। হৃদ্‌যন্ত্রে প্রদাহের বিষয়ে ব্লুমবার্গ ও ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষণার আওতায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে যারা ফাইজার ও মডার্নার মতো ‘এমআরএনএ’ টিকা নিয়েছেন তাদের হৃদ্‌যন্ত্রে প্রদাহের মাত্রা সামান্য বেশি দেখা গেছে। অন্যদিকে যারা ভাইরাল ভেক্টর নামে পরিচিত অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা নিয়েছেন তাদের মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার মতো একটি বিরল ব্যাধির সম্পর্ক পাওয়া গেছে। বিশেষ করে, মডার্নার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের পর এই প্রবণতা সামান্য বেশি দেখা গেছে। প্রাথমিক ও বুস্টার ডোজ নেওয়ার পর পেরিকার্ডাইটিস বা হৃৎপিণ্ডের চারপাশের টিস্যুগুলোতে ফোলাভাব প্রবণতারও প্রমাণ পাওয়া গেছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা গুলেন-ব্যারি সিনড্রোমের উচ্চ ঝুঁকির সঙ্গেও যুক্ত বলে দাবি করে গবেষকরা বলেন, গুলেন ব্যারি সিনড্রোম বা জিবিএস হচ্ছে এমন স্নায়বিক ব্যাধি—যা মাংসপেশিকে দুর্বল করে ধীরে ধীরে শরীরের শক্তি কমিয়ে দেয়। একপর্যায়ে নড়াচড়ার সামর্থ্যও হারিয়ে ফেলতে পারেন আক্রান্ত ব্যক্তিরা।  গবেষণায় ৯ কোটি ৯০ লাখ টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তির স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ধারাবাহিক তথ্যগুলো পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা ভ্যাকসিনের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য প্রাথমিকভাবে ১৩টি নির্দিষ্ট অবস্থার ওপর নজর রাখেন। তাদের মতে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রাথমিক ডোজ গ্রহণের ৪২ দিনের মধ্যে গুলেন-ব্যারি সিনড্রোমের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। এ ক্ষেত্রে স্বাভাবিক অবস্থায় যেখানে ৬৬টি নজির প্রত্যাশিত ছিল, সেখানে ১৯০টি নজির দেখা গেছে। এই টিকা সেরিব্রাল ভেনাস সাইনাস থ্রম্বোসিসের তিনগুণ বৃদ্ধির সঙ্গেও যুক্ত ছিল। এ সিনড্রোম মূলত মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার একটি ব্যাধি। এই ব্যাধির প্রত্যাশিত ২১টি নজিরের বিপরীতে টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৬৯টি নজির শনাক্ত করা হয়েছে। এই অভিযোগে ডেনমার্কসহ একাধিক দেশ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা প্রত্যাহার বা সীমাবদ্ধ করেছে।