মাকে বাঁচাতে ইলিনার আকুতি
পৃথিবীতে ইলিনার আপন বলতে একজনই আছেন মা শিরিনা বেগম। কিন্তু তিনি (হাইপোগ্লাইসেমিয়া, কিডনি সমস্যা ও স্ট্রোক) একাধিক রোগে ভুগছেন। গত ১৫ দিন যশোরের কুইন্স হাসপাতালে ভর্তি। নেই সাড়া শব্দ। প্রথমে মায়ের হার বিক্রি করে চিকিৎসার খরচ চালালেও দ্রুত শেষ হয় সেই টাকা। এখন দিশেহারা ইলিনা, হাসপাতালে কয়েকদিন অভুক্ত অবস্থায় কেটেছে তার। তাই বিত্তবান ও হৃদয়বানদের কাছে সহযোগিতার প্রত্যাশা করেছেন তিনি।
মা শিরিনা বেগম দর্জির কাজ করতেন, মেয়ে ইলিনা ডাঃ মেসবাহ উর রহমান মেডিকেল টেকনোলজি কলেজের প্যাথলজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। টিউশানি করেই পড়ালেখা করতেন ইলিনা, একই সঙ্গে মায়ের সঙ্গে মিলেই সংসার চালাতেন। তবে অসুস্থ হবার পর একাই লড়তে হচ্ছে ইলিনাকে। মায়ের উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন এখন কয়েক লাখ টাকা। ইলিনার চোখে মুখে এখন অন্ধকার।
আরটিভি অনলাইনকে ইলিনা বলেন, একা আর কত পারা যায়। বাবা আর ভাইবোন কেউই যার এই পৃথিবীতে নাই তার কি দশা হয় তার বড় প্রমাণ আমি। আর আমার মত যদি মেয়ে হয় তার জন্য এই পরিস্থিতি যে কত ভয়াবহ তা বুঝানো সম্ভব নয়। ডাক্তার শেষমেশ যখন বললেন, মাকে বাঁচাতে আইসিইউ নামক টাকা খেকো রুমে ট্রান্সফার করাতে হবে সত্যি মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো! কিভাবে সম্ভব? আমার কাছে টাকা বলতে শুধু মায়ের হার বিক্রি করা কয়েক হাজার ছিল আর কিছুটা বন্ধুরা দিয়েছিল। সেগুলো গত কয়েকদিনে শেষ করেছি এখন এই মুহূর্তে কয়েক লাখ টাকা না যোগাড় করতে না পারলে তো মাকে আইসিইউতেও নেওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, আমার বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন মাকে হয়তো হারাতে হবে। আল্লাহ ছাড়া কেউ দেখার মত আমার নাই। জানি না মাকে বাঁচাতে পারব কি না তবু আপনাদের সবার সহযোগিতায় একটা শেষ লড়াই করতে চাই। আমার শেষ আশ্রয়স্থল মাকে বাঁচানোর জন্য। জানি না এই লক্ষাধিক টাকা ম্যানেজ করতে পারব কি না তবু সবার দোয়া চাই, যাতে আমার আম্মুকে আল্লাহ আবার সুস্থ করে দেন।
(যারা আমার মাকে বাঁচাতে অর্থ সহায়তা করছেন, তারা নিচের নম্বর ব্যতীত টাকা দিবেন না, আর দয়া করে আমাকে কল দিয়ে পরিচয় দিয়ে টাকা দিবেন, কী আর বলব আমার এই জীবন মরণ দু:সময়েও কেউ কেউ ষড়যন্ত্র করতে পিছুপা হচ্ছেন না)
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা-
কুইন্স হসপিটাল, যশোর
বেড নং F-13।
বিকাশ- ০১৭১৬ - ২৩৬৫৫৬
রকেট- ০১৯৩৪৫০২৯০৭৫।
জিএ
মন্তব্য করুন