বাসসে নতুন এমডি নিয়োগ
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান সম্পাদক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১৭ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, সাংবাদিক, কবি ও কথাসাহিত্যিক মাহবুব মোর্শেদকে দুই বছরের জন্য চুক্তিতে বাসসের নতুন এমডি ও প্রধান সম্পাদক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো।
এ নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র দিয়ে নির্ধারিত হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
এ ছাড়া বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হলো।
মন্তব্য করুন
ছয় বছর পর দেশে ফিরলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
দীর্ঘ ছয় বছর পর দেশে ফিরেছেন সিনিয়র সাংবাদিক শফিক রেহমান।
রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি অবতরণ করেন।
এ সময় বিমানবন্দরে শফিক রেহমানকে করতালি ও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সাংবাদিক নেতারা এবং বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরে সহকর্মীদের কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন শফিক রেহমান।
জানা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যা চেষ্টা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে ডিবির পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন থানায় মামলা করেন। দণ্ডবিধির ৩০৭ এবং ১২০-বি ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। ওই মামলার আসামি শফিক রেহমান ও মিজানুর রহমান ভুঁইয়া মিল্টন।
পরবর্তীতে সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় পুলিশ। মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন, জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন ও তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার।
বিমানবন্দরে শফিক রেহমান বলেন, ‘দেশে ফিরে শেখ হাসিনাকে খুব অনুভব করছি। তার পিতা ও তাকে উপাধি দিয়েছি। একজন বীর পলাতক শ্রেষ্ঠ ও বীর পলাতক উত্তম। আমি তার মৃত্যুদণ্ড চাই না। মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে। সবাইকে বিজয়ের শুভেচ্ছা। আমি একাত্তরে দেশে ফিরতে পারিনি। এবার দেশে ফিরলাম। ব্যক্তি পূজা বন্ধ করুন। ব্যক্তি পূজা ইসলাম ধর্মের বিরোধী। দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘শহীদ জিয়ার অবদান বলে শেষ করা যাবে না। এবারের আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদেরকে পুনর্বাসন করতে হবে।’
এ সময় সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এলাহী নেওয়াজ খান সাজু, সরদার ফরিদ আহমেদ, তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু, আলফাজ আনাম, যায়যায় দিনের সাংবাদিক মাহবুব আলম, শাহীন চৌধুরী, ফেরদৌস মামুন, অধ্যাপক খান মনোয়ারুল ইসলাম, ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ, বিএনপি নেতা কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, প্রকৌশলী মো. মোস্তাফা-ই জামান সেলিম (সিআইপি), যুবদল নেতা কৃষিবিদ সানোয়ার আলম, ছাত্রদলের সাবেক নেতা জহিরুল ইসলাম বিপ্লব, রাশিদুল ইসলাম রিপন, বিএনপি নেতা আশরাফ শিকদার, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রাশেদ রহমান, ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তারিকসহ অসংখ্য নেতাকর্মী। আরও উপস্থিত ছিলেন শফিক রেহমান প্রত্যাবর্তন কমিটির সদস্য সজীব ওনাসিস, জাহিদুল ইসলাম রনি, রাজীব আহসান চৌধুরী পাপ্পু ও হাসানুর রহমান।
বিটিভির মহাপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমকে ওএসডি
বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মো. জাহাংগীর আলমকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।
রোববার (১৮ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এর আগে, ২০২৩ সালের ৫ জুন তৎকালীন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব থাকা মো. জাহাঙ্গীর আলমকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক করে আওয়ামী লীগ সরকার। তিনি বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১১তম ব্যাচের কর্মকর্তা।
সাংবাদিকদের যে উত্তর দিলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান একই সঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও রয়েছেন।
রোববার (১৮ আগস্ট) বিকেলে সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এর আগে কর্মকর্তাদের কথার আগে স্যার পরে স্যার, একবাক্যে চারবার স্যার বলা বন্ধ করতে বলেন।
একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করার আগে উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে বলেন, প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, আপনি গুরুত্বপূর্ণ একটা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছেন।
এ সময় ওই সাংবাদিকের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের স্তুতির (তোষামোদ) সংস্কৃতি থেকে বের হতে হবে। সদ্য পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আপনি দেখেছেন তো বিপদে পড়ছে কীভাবে?
ফাওজুল কবির খান আরও বলেন, আমি আমার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বলেছি, কথার আগে স্যার পরে স্যার, একবাক্যে চারবার স্যার, এগুলো বন্ধ করেন।
একই সভায় বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে করা বিতর্কিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন এখন থেকে অকার্যকর। তাই এখন থেকে জ্বালানির দাম নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ অ্যানার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
ফাওজুল কবির খান বৈঠকে বলেন, আপাতত বাংলাদেশ অ্যানার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) বাইরে সরকার ভোক্তা পর্যায়ে জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ ও সমন্বয় করতে পারবে না বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ অ্যানার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০২৩ এর ৩৪ক ধারার আওতায় সরকারের জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে জাতীয় দৈনিকে বিরূপ নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এর ফলে জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে বা হতে পারে।
এ অবস্থায় ওই ধারার অধীনে মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব বিবেচনা আপাতত স্থগিত থাকবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
বিমানবন্দর থেকে আটক সাংবাদিক শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রূপা
আলোচিত সাংবাদিক শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রূপা দম্পতিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (২১ আগস্ট) সকালে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাদের আটক করে। এ সময় সঙ্গে তাদের কন্যাও ছিল বলে জানা গেছে। পরে তাদের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘আমরা তাদের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করেছিলাম, কিন্তু মামলার আসামি হওয়ায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) আবেদনের প্রেক্ষিতে আমরা তাদের হেফাজতে দিয়েছি।’
জানা গেছে, তারা টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে (টিকে-৭১৩) ইস্তাম্বুল হয়ে ফ্রান্সের প্যারিস যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরে আসেন।
এর আগে, গত ৮ আগস্ট একাত্তর মিডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রূপাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়।
বাংলাদেশে পিস টিভির সম্প্রচার চান ডা. জাকির নায়েক
ধর্মপ্রচারক ড. জাকির নায়েক বলেছেন, তার প্রতিষ্ঠিত পিস টিভি বাংলাসহ ইংরেজি, উর্দু ও চাইনিজ ভাষায় বিভিন্ন অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে। কিন্তু তা বাংলাদেশের দর্শকরা দেখতে পারছেন না। তবে তিনি চান যে, পিস টিভি বাংলাদেশের মানুষ দেখতে পাক।
সোমবার (১৯ আগস্ট) এক অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। দর্শক প্রশ্ন করেন, ‘নতুন বাংলাদেশে পিস টিভি বাংলা কি চালু করতে পারবেন?’
জবাবে টেলিভিশনটির প্রতিষ্ঠাতা এবং সভাপতি ড. জাকির নায়েক বলেন, বাংলাদেশে বন্ধ হয়ে যাওয়া পিস টিভি বাংলার সম্প্রচার ফের চালু হতে পারে। এর স্যাটেলাইট সম্প্রচার কখনও বন্ধ হয়নি। শুধু বাংলাদেশ ও ভারতে পিস টিভির ডাউনলিংকের অনুমতি তুলে নেয়ায় ক্যাবল অপারেটররা তা বন্ধ রেখেছে। তা চালুর জন্য আবেদন করা হয়েছে।
দ্রুত তার আবেদনে সরকার সারা দিবে। এমন প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, নতুন সরকারের ওপর আমার বিশ্বাস আছে। বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে খুব বেশি ‘ক্লোজ নয়’। সুতরাং তারা অনুমতি দিলে শিগগিরই এটি চালু করা যাবে। এটি আগামী দুই তিন সপ্তাহের মধ্যেও চালু হতে পারে।
ডা. জাকির নায়েক আরও বলেন, ছয় মিলিয়নের বেশি বাংলাদেশি আমার ফেসবুক পেইজ অনুসরণ করেন। আমি বাংলাদেশিদের ভালোবাসায় আপ্লুত। ইতোপূর্বে দুইবার ভিসা পেয়েও বাংলাদেশে যেতে পারিনি। তবে আগামীতে বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের জুলাইতে ঢাকায় হোলি আর্টিসানে হামলাকারীদের একজন পিস টিভির বক্তা জাকির নায়েক দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়েছিল, এমন অভিযোগের পর থেকে পিস টিভি বন্ধ করে দেয়া হয়। হোলি আর্টিসানে হামলার পর দিল্লি থেকেও জাকির নায়েকের ওপর অনুসন্ধান চালিয়ে দেশটিতে পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়। ওই বছরই জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে এফআইআর জারি ও তার ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনকে নিষিদ্ধ করে ভারত সরকার। পরে দেশ ছেড়ে তিনি মালয়েশিয়ায় চলে যান। তবে তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।
তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য মালয়েশিয়ার কাছে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধও জানিয়েছে। ভারতের অভিযোগ, ইন্টারপোল যাতে তার বিরুদ্ধে ‘রেড কর্নার নোটিশ’ জারি করে, সে জন্যও ভারত উদ্যোগী।
ভারতীয় টিভি চ্যানেলের ওয়েবসাইট হ্যাক
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বন্যা নিয়ে বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য করায় ভারতীয় টিভি চ্যানেল জি মিডিয়ার ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে বাংলাদেশি হ্যাকাররা!
বুধবার (২১ আগস্ট) সন্ধ্যার পর থেকে জি মিডিয়ার ওয়েবসাইটে ঢুকলে ওয়েবসাইটটি বন্ধ দেখাচ্ছে। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘সিস্টেম এডমিন বিডি’ কর্তৃক ওয়েবসাইটটি হ্যাক করা হয়েছে।
ওয়েবসাইটটিতে আরও লেখা দেখাচ্ছে, ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মজা করার জন্য এই সাইটটি হ্যাক করা হয়েছে। আরও নোংরা করলে নিউজ চ্যানেল দখল করে ধ্বংস করব।’
উল্লেখ্য, বুধবার (২১ আগস্ট) সন্ধায় Zee24 এর একটি সংবাদ শিরোনাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটি লিখেছে- ‘ভারত ছাড়ল জল, হাবুডুবু খেতে খেতে বাংলাদেশের কাতর আর্জি...’ । এই শিরোনামের সংবাদটি নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাংলাদেশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা। সংবাদটি ঘিরে ভারতের সমালোচনাও করতে দেখা যায় অনেককে। বেশিরভাগ ব্যবহারকারী এটিকে ভারতের অবন্ধুসুলভ আচরণ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
রক্তের দাগ এখনও শুকায়নি, দাবি আদায়ে সবার ধৈর্য ধরা দরকার: মুশফিকুল ফজল আনসারী
শান্তিতে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথগ্রহণ করেছেন গত ৮ আগস্ট। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব যখন তিনি কাঁধে নিয়েছিলেন, তখন দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চলছিল অস্থিরতা।
বিশেষত, পুলিশ বাহিনীতে ভয়াবহ আতঙ্ক ও পূর্ববর্তী ক্ষমতাসীনদের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে কাজ করার অপরাধবোধ নিয়ে অনুশোচনায় ভুগছিলেন তারা। পরবর্তীতে ১২ আগস্ট থেকে অন্তবর্তী সরকারের কঠোর নির্দেশনা ও দেশপ্রেমের জায়গা থেকে কর্মে ফিরে আসেন পুলিশ সদস্যরা।
নতুন সরকার যখন দেশবিরোধী শক্তির আন্তর্জাতিক নানান ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ব্যস্ত, তখন কিছু মানুষ নানান দাবি নিয়ে প্রতিনিয়ত রাজপথ দখলে নিচ্ছেন। গত এক সপ্তাহে সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পের আওতায় চাকরিরত আউটসোর্সিং কর্মচারী, গ্রাম পুলিশ ও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত চাকরিজীবীরা তাদের বিবিধ দাবিতে সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন।
এর ফলে জনমনে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। বেড়েছে জনদুর্ভোগ। সেইসাথে রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা।
এমন চ্যালেঞ্জিং সময়ে আন্দোলনের বিষয়টিকে নেতিবাচকভাবে দেখছেন হোয়াইট ও পেন্টাগনে প্রতিনিধিত্বকারী বাংলাদেশি সাংবাদিক, জাতিসংঘের স্থায়ী সংবাদদাতা, ওয়াশিংটন থেকে প্রকাশিত অ্যাম্বাসেডর উইলিয়াম বি মাইলাম সম্পাদিত সাউথ এশিয়া পার্সপেক্টিভসের নির্বাহী সম্পাদক মুশফিকুল ফজল আনাসারী।
সকালে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘পলাতক গোষ্ঠী পেয়ে হারানোর বেদনা নিয়ে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। অনেকে আবার না পাওয়ার বেদনায় রুষ্ট। কেউ আবার ঘরে আগুন লেগেছে অথচ সেই আগুনে আলু পোড়া দিয়ে খাওয়ায় মত্ত। আবার অনেক ব্যস্ত গণিমতের মাল সংগ্রহে, কিংবা আপস রফা করে টু-পাইস কামাইয়ে।’
ইতোমধ্যে বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে যারা রাস্তায় নেমেছেন, তাদের উদ্দেশে এই সাংবাদিক বলেন, ‘একদল দাবিদাওয়া নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করছেন।’
প্রশ্ন রেখে তিনি লিখেছেন, ‘কোথায় ছিল এরা এতদিন? গর্ত থেকে বেরিয়ে হঠাৎ অতি বিপ্লবী! কেবল নিজেদের সুবিধা আদায়ের জন্য? বুঝলাম, বঞ্চনার শিকার। সময় দিন, ধৈর্য ধরুন। সময়তো আর চলে যাচ্ছে না! মাসুম বাচ্চাদের রক্তের দাগ শুকায়নি আর আপনারা নেমে পড়েছেন হিস্যা আদায়ে? ছাত্ররা এখনও লক্ষ্যে স্থির এবং সংকল্পে অটুট। বৈষম্যহীন রাষ্ট্র বিনির্মাণ তাদের দিয়েই সম্ভব। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে কোনো কিছুই বাড়াবাড়ি পর্যায়ে না যায়।’