সম্প্রচার খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করছে সরকার: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বেসরকারি টেলিভিশনে ডাবিং করা আনুষ্ঠান, সিনেমা প্রচারে সরকারের অনুমতি প্রয়োজন। অথচ তা মানছে না টিভি চ্যানেলগুলো। মানছে না বিদেশি শিল্পীদের এদেশে কাজ করার অনুমতি নেয়ার বিষয়টিও। তাই সম্প্রচার খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে কাজ করছে সরকার।
মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এটকোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি গুজব ও ডেঙ্গু সচেতনতায় সরকার এবং বেসরকারি গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানান।
বৈঠকে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে চালানোর বিষয়েও আলোচনা হয়।
আরো পড়ুন:
পি
মন্তব্য করুন
সম্প্রচারে ফিরছে শিশুদের প্রথম আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক ‘চাইল্ড মেসেজ’
চিলড্রেনস ভয়েজ হেজ নো বর্ডারে বিশ্বাসী শিশুদের প্রথম আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক ‘চাইল্ড মেসেজ’ পুনরায় সম্প্রচারে ফিরছে ২৯ নভেম্বর থেকে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) এক সাক্ষাৎকারে এমনটি জানান প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী পরিচালক আরিফ রহমান।
প্রথমে চাইল্ড মেসেজ বাংলা বিভাগ এরপর বিশ্বজুড়ে শিশুদের এই আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কটি তাদের মূল সম্প্রচারে ফিরবে বলে জানান আরিফ। এবার বাংলাদেশের শিশুরা বাংলা বিভাগের প্ল্যাটফর্মটির বিশেষ আয়োজন ‘শুনো আমাদের কথা’র পাশাপাশি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করতে পারবে সাংবাদিকতা ও সংবাদ উপস্থাপনা।
২০২১ সালের ১০ মে বাংলাদেশের শিশু অধিকারকর্মী আরিফ রহমান হাত ধরে যাত্রা শুরু করে শিশুদের ভিন্ন ধারার এই আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম ‘চাইল্ড মেসেজ’।
সম্প্রচারের প্রতিদিনই নতুন নতুন কনটেন্ট আর অল্প সময়ের মধ্যেই আন্তর্জাতিক মিডিয়া বিবিসি, আল জাজিরা নেটওয়ার্ক, এপি, এফপি, রয়টার্সের সমর্থন পায়। বাংলা বিভাগের জনপ্রিয় আয়োজন ‘শুনো আমাদের কথা’য় অংশ নেন বাংলাদেশের বসবাসকারী আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাদের প্রতিনিধিগণ। সেটি শিশুদের আরও বেশি নিজেদের কথা বলার আগ্রহকে বাড়িয়ে তুলে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী আরিফ বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে আমাদের অনলাইন সম্প্রচার আগামী বছরের শুরু থেকেই চালু করতে পারবো বলে বিশ্বাসী।’
আগামী শুক্রবার চাইল্ড মেসেজ বাংলা বিভাগের জনপ্রিয় আয়োজনে শিশুদের মুখোমুখি হবেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, মেক্সিম বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আর কে রিপন ও আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা ভয়েজ অব আমেরিকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ‘বিথি’।
আরটিভি/এমকে
সাংবাদিক নূরুল কবিরকে হয়রানি, তদন্তের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবিরকে হয়রানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একইসঙ্গে তিনি এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, নূরুল কবির দীর্ঘ কর্মজীবনে দেশের একজন সম্মানিত সম্পাদক। সততা ও নৈতিকতা মেনে সাংবাদিকতা করা গুরুত্বপূর্ণ এই ব্যক্তি সবসময় যুক্তি দিয়ে কথা বলায় প্রধান কণ্ঠস্বর।
অন্তর্বর্তী সরকার দেশে কোনো সাংবাদিক হয়রানির ঘটনা বরদাশত করবে না বলেও প্রেস উইং থেকে জানানো হয়।
এর আগে, শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে নূরুল কবির অভিযোগ করেন, গত ১৮ নভেম্বর একটি সম্মেলনে যোগ দিতে বিদেশে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আমাকে হয়রানি করে। ফেরার পথেও একই ধরনের পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে।
উল্লেখ্য, কলম্বোতে অনুষ্ঠিত এশিয়া মিডিয়া ফোরামে অংশ নিতে গত ১৮ নভেম্বর শ্রীলঙ্কা গিয়েছিলেন নূরুল কবির। ২২ নভেম্বর দেশে ফেরেন তিনি।
আরটিভি/আরএ/এআর
সাংবাদিক নূরুল কবিরকে হয়রানি, অভিযুক্তকে প্রত্যাহার
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবিরকে হয়রানির ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রোববার (২৪ নভেম্বর) পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
সাংবাদিককে হয়রানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে এসবি জানায়, বিগত শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলের ‘ব্লকড লিস্ট’ এর কারণে দুর্ভাগ্যজনক এই ঘটনাটি ঘটেছে। এ তালিকায় কয়েক হাজার লোককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যাতে করে তাদের বিদেশ সফরের সময় আটকে দেওয়া যায় বা বিদেশ ভ্রমণ থেকে বিরত রাখা যায়।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর পুলিশের বিশেষ শাখা আগের তালিকা থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তি, ভিন্ন মতাবলম্বী, সাংবাদিক ও অধিকারকর্মীদের বাদ দিতে শুরু করে। কাজটির বেশিরভাগই হাতে-কলমে করা হচ্ছে। ফলে কিছু ভিন্ন মতাবলম্বী ও সাংবাদিকের নাম এখনও রয়ে গেছে। তালিকাটি দ্রুত যাচাই করে সংশোধনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
সম্পাদক নুরুল কবিরকে হয়রানির ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে জানিয়ে এসবি আরও জানায়, বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের বন্ধু। দেশ ও জনগণের সেবায় পুলিশ বাহিনী দৃষ্টান্ত গড়তে চায়।
এর আগে, শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে নূরুল কবির অভিযোগ করেন, গত ১৮ নভেম্বর একটি সম্মেলনে যোগ দিতে বিদেশে যাওয়ার সময় বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আমাকে হয়রানি করে। ফেরার পথেও একই ধরনের পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে।
এ ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, নূরুল কবিরকে হয়রানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একইসঙ্গে তিনি এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্তর্বর্তী সরকার দেশে কোনো সাংবাদিক হয়রানির ঘটনা বরদাশত করবে না বলেও প্রেস উইং থেকে জানানো হয়।
আরটিভি/আরএ/এআর
২৬ সাংবাদিকসহ ২৯ জনের ব্যাংক হিসাব তলব
দেশের ২৬ সাংবাদিকসহ ২৯ জনের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একইসঙ্গে তাদের ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবও স্থগিত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
রোববার (২৪ নভেম্বর) বিএফআইইউয়ের সংশ্লিষ্ট একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দুটি পৃথক চিঠির মাধ্যমে তলবের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রথম চিঠি অনুযায়ী যাদের হিসাব তলব করা হয়েছে তারা হলেন, দৈনিক বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক চৌধুরী জাফরুল্লাহ শারাফত, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শফিকুর রহমান, টিভি টুডে প্রধান সম্পাদক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ওয়াশিংটনের সাবেক প্রেস মিনিস্টার সাজ্জাদ হোসেন সবুজ, ডিবিসি নিউজের অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর নাজনীন মুন্নি, ইনডিপেনডেন্ট টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক আশীষ ঘোষ সৈকত, গাজী টিভির এডিটর (রিসার্চ) অঞ্জন রায়, সময় টিভির চট্টগ্রাম ব্যুরো চিফ কমল দে, দৈনিক আমার সময়ের প্রধান সম্পাদক আব্দুল গাফফার খান, যুগান্তরের সাবেক নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি রাজু আহমেদ এবং এক্সিম ব্যাংকের হেড অব পিআরও সঞ্জীব চ্যাটার্জী।
হিসাব তলব করা ব্যক্তি ও তাদের ব্যক্তি মালিকানা ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্টের সব ধরনের লেনদেন আগামী ৩০ দিন বন্ধ থাকবে। প্রয়োজনে লেনদেন স্থগিত করার এ সময় বাড়ানো হবে।
বিএফআইইউয়ের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, যেসব হিসাব তলব করা হয়েছে তাদের হিসাব সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল, যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী যাবতীয় তথ্য চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে দুই কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউতে পাঠাতে হবে।
অপর চিঠি অনুযায়ী তলব করা ব্যক্তিরা হলেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ্র বাদল, ঢাকা ট্রিবিউন ও নিউইয়র্ক টাইমস বাংলাদেশ প্রতিনিধি জুলফিকার আলি মানিক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন, দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সিনিয়র নির্বাহী সম্পাদক মাসুদা ভাট্টি, দ্য ডেইলি অবজারবারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ডিবিসি নিউজের সাবেক ডিরেক্টর মো. শহীদুল আহসান চেয়ারম্যান, ঢাকা বাংলা মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশনস লিমিটেডের পরিচালক রাহনুমা আহসান, এটিএন নিউজের বার্তা প্রধান নুরুল আমিন (প্রভাষ), ঢাকা বাংলা মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশনস লিমিটেডের পরিচালক মাহবুবা হেলেন, ঢাকা বাংলা মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশনস লিমিটেডের পরিচালক শাহ মোহাম্মদ শফিকুল আহছান, ঢাকা বাংলা মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশনস লিমিটেডের পরিচালক মো. সালাউদ্দিন চৌধুরি, একাত্তর টিভির কাউন্সেলর মোবাশ্বিরা ফারজানা মিথিলা, দৈনিক জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়, সময় টিভির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ জোবায়ের ও ইকবাল সোবহান চৌধুরীর মেয়ে সাবরিনা মাহজাবীন।
আরটিভি/এআর/এস
মিশরে সাংবাদিকতায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন আরটিভি প্রতিনিধি
মিশর ও ফিলিস্তিনে শরণার্থীদের মাঝে বাংলাদেশিদের ত্রাণ সহায়তা সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ আরটিভি’র মিশর প্রতিনিধি আফছার হোসাইন পেলেন বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মিশরের রাজধানী কায়রোর আব্বাসিয়া বুর্জ আল থাতবিকিন সম্মেলন হলে বাংলাদেশের মানবিক সেবা সংস্থা ‘হাফেজ্জি চ্যারিটিবল সোসাইটি’ মিশরে অবস্থানরত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ সম্মাননা স্বারকটি সাংবাদিক আফছার হোসাইন এর হাতে তুলে দেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিস সামিনা নাজ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, হাফেজ্জি চ্যারিটিবল সোসাইটির পরিচালক নও মুসলিম মো. রাজ, ওয়ার্ল্ড ওয়ান উম্মাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হুজাইফা খান আজহারী, বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর মো. ইসমাইল হোসেন, দ্বিতীয় সচিব আতাউল হক, মানবিক সেবা সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি ডক্টর মশিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইব্রাহিম খলিল, স্বাস্থ্য বিষয়ক পরিচালক মাওলানা ইমরান নাফিস, কার্যনির্বাহী সভাপতি মুফতী তাওহিদুল ইসলামসহ দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি শরণার্থী পরিবারের সদস্য।
এর আগে মেক্সিকো সরকারের শীর্ষ বেসামরিক সম্মাননা ‘ওহটলি অ্যাওয়ার্ড’, কায়রোস্থ মেক্সিকান দূতাবাসে পরিষেবায় বিশেষ অবদান স্বরূপ রজত জয়ন্তী পুরস্কার, মিশরের দৈনিক আল-আহরাম পত্রিকা ও মানবিক সেবা সংস্থা ‘ওয়ান ওয়ার্ল্ড উম্মাহ ফাউন্ডেশন’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন এই প্রবাসী।
আফছার হোসাইন কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নে জন্ম গ্রহণ করেছেন। ১৯৯৫ সালে মেক্সিকো দূতাবাসে চাকরি নিয়ে মিশর যান। তার দুই সন্তানের মধ্যে মেয়ে চিকিৎসক পুষ্প হোসাইন যুক্তরাজ্যে একটি স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান গবেষক এবং ছেলে নাঈম হোসাইন কানাডায় সিনিয়র আইটি কনসালটেন্ট হিসাবে কাজ করছেন। তার স্ত্রী নাজমা হোসাইন কায়রোর একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেন।
আরটিভি/এএইচ
ডিআরইউ সাহিত্য পুরস্কার পেলেন আরটিভির রুবেলসহ ২৫ সাংবাদিক
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন লেখক মাইদুর রহমান রুবেলসহ ২৫ সাংবাদিক।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মানবজমিন সম্পাদক মাহবুবা চৌধুরী। বিজয়ীদের নগদ অর্থ, ক্রেস্ট ও সনদ এবং সম্মাননা প্রাপ্তদের ক্রেস্ট ও সনদ দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, লেখক-সাহিত্যিক আমাদের সমাজের দর্পন। তারা তাদের লেখনীর মাধ্যমে সমাজের ভুলত্রুটি, ভালো-মন্দ, অসংঙ্গতি সবকিছু তুলে ধরতে পারে। নিরেট আনন্দ দিতে পারে। নিরানন্দ জীবনে একটা ভালো গল্প, একটা ভালো কবিতা ও প্রবন্ধ অনেক বেশি উপকারে আসতে পারে মানুষের জীবনে।
তিনি আরও বলেন, যেকোনো মানুষই তার কাজের স্বীকৃতি চান। তবে লেখক হোক, গায়ক হোক বা অভিনয় শিল্পী হোক তিনি কিন্তু পুরস্কারের আশায় কাজ শুরু করেন না। কাজ করতে করতে যখন পুরস্কার পান, কাজের স্বীকৃতি পান তখন তার কাজের স্পৃহা আরও বেড়ে যায়, দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়। এ সময় তিনি লেখক-সাহিত্যিকদের পুরস্কৃত করার জন্য ডিআরইউকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে ডিআরইউ সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন বলেন, এ সাহিত্য পুরস্কার ডিআরইউ সদস্যদের মননশীলতা বিকাশে সহায়ক হবে এবং ডিআরইউতে সাহিত্য চর্চা আরও বেগবান করবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিআরইউর সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম শামীম, যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান (মিজান রহমান), অর্থ সম্পাদক মো. জাকির হুসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, নারী সম্পাদক মাহমুদা ডলি, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. রাশিম (রাশিম মোল্লা) ক্রীড়া সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. মনোয়ার হোসেন, কল্যাণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ, কার্যনির্বাহী সদস্য সাঈদ শিপন, মুহিববুল্লাহ মুহিব, রফিক মৃধা, দেলোয়ার হোসেন মহিন ও শরিফুল ইসলাম।
এ বছর ডিআরইউ সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন ৩ জন। কাব্যে (কবিতা/ছড়া) হাসান হাফিজ (কালের কণ্ঠ) মননশীল (প্রবন্ধ ও গবেষণা) ক্যাটাগরিতে জাকির হোসেন (কালবেলা) ও কথা সাহিত্যে (গল্প/উপন্যাস) আহমেদ আল আমীন (বাংলাদেশ প্রতিদিন)।
এ ছাড়াও লেখক সম্মাননা পেয়েছেন আরও ২২ সাংবাদিক।
কাব্য (কবিতা/ছড়া): শেখ এনামুল হক (চলো ফিরে যাই অরণ্যে), চপল, মাইদুর রহমান রুবেল (প্রেমের কবিতা সংকলন), বাশার (নির্বাচিত কবিতা), উমর ফারুক (দ্রোহের উপধারা)।
কথা সাহিত্যে (গল্প/উপন্যাস): এহসানুল হক জসীম (বরাক পারের বয়ান), জীবন ইসলাম (পূর্ণিমায় সেন্টমার্টিন), প্রণব মজুমদার (বিড়াল কাণ্ড), সিরাজুল ইসলাম কাদির (সবুজ ভালোবাসা), আবু আলী (প্যারিস থেকে হামবুর্গ), মুহম্মদ মোফাজ্জল (চাষাভুষার সন্তান) কাওসার রহমান (সিঁদুর) ও কানাই চক্রবর্ত্তী (ইতিহাসে নেই)।
মননশীল (প্রবন্ধ ও গবেষণা): আসিফ হাসান (হসপিস ও প্যালিয়েটিভ কেয়ার : পরিপ্রেক্ষিত বাংলাদেশ), সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা (রেখার মাঝে), মোহাম্মদ আব্দুর রহমান জাহাঙ্গীর (Dhaka : A City Plagued by problems), মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল (যাপিত জীবনের গল্প ), সিদ্দিকুর রহমান খান (কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা), আমিরুল মোমেনীন মানিক( নিষিদ্ধ গান বিশুদ্ধ বাদ্য), মিজান রহমান (বরিশালে ৭৩০ দিন) কুদরাত-ই-খোদা (সিভিল সার্ভিসের ভিতর বাহির), মোস্তফা কামাল মজুমদার (Thorny Path of Jounalism) ও শাহেদ মতিউর রহমান ( আওয়ামী লীগের বিতর্কিত কারিকুলাম)।
চিন্ময় গ্রেপ্তার ও আইনজীবী হত্যাকাণ্ড ঘিরে ভুয়া খবরের ছড়াছড়ি
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার ও আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে বলে ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
এক প্রতিবেদনে ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার ও আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যমের লোগো ব্যবহার করে অন্তত আটটি ভুয়া ফটোকার্ড ছড়ানো হয়েছে। এসব ফটোকার্ডে প্রচারিত গুজবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো- চিন্ময় স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন, শিশু বলাৎকারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং ডিবি পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
অন্যদিকে, নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী হিসেবে দাবি করে গুজব ছড়ানো হয়। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছাড়াও ভারতীয় কিছু গণমাধ্যম এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স, ভয়েস অব আমেরিকা এবং আরব নিউজের মতো প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমেও এই বিষয়ে ভুয়া তথ্য প্রচারিত হয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
রিউমর স্ক্যানার জানায়, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরটিভি এবং যমুনা টিভির লোগোযুক্ত দুইটি ফটোকার্ড ভাইরাল হয়। এতে দাবি করা হয়, তিনি ‘স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন’। তবে, গণমাধ্যম দুটির কোনো প্রতিবেদনে এমন তথ্য পাওয়া যায়নি। ফটোকার্ডগুলোও ভুয়া।
ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, মঙ্গলবার সকালে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে চট্টগ্রামের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চ্যানেল২৪ এর লোগোযুক্ত আরেকটি ভুয়া ফটোকার্ড ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দাবি করা হয়, শিশু বলাৎকার এবং উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু চ্যানেল২৪ এই ধরনের কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড প্রকাশ করেনি বলে নিশ্চিত করেছে।
এছাড়া চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে একটি নারী নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়। তবে, রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে নিশ্চিত হওয়া যায়, ভিডিওটি ভারতের ‘বাবা বালকনাথ’ নামের এক ধর্মগুরুর এবং ভিডিওটি চিন্ময় কৃষ্ণের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
অন্যদিকে, চিন্ময় কৃষ্ণকে নিয়ে আদালতে শুনানি চলাকালে সামাজিক মাধ্যমে একটি দাবি ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে বলা হয়, ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, ‘শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারলে চট্টগ্রাম আমাদের দেয়া হবে’ এবং ‘আমার কোনো দোষ নেই, আমাকে যা বলতে বলা হয়েছিল, বাধ্য হয়ে তাই বলেছি।’ এই দাবির সঙ্গে ডিবিসি এবং চ্যানেল ২৪-এর লোগোযুক্ত পৃথক ফটোকার্ডও ছড়ানো হয়। তবে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে এই ফটোকার্ডগুলোও ভুয়া প্রমাণিত হয়।
এ ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে সংঘর্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যেও প্রাণহানির দাবি ওঠে। বিভিন্ন পোস্টে নিহতদের নিয়ে বিভিন্ন সংখ্যা উল্লেখ করে দাবি করা হয়। তবে, নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আইনজীবী সাইফুল ইসলাম ছাড়া এ সংঘর্ষে আর কোনো মৃত্যুর প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এর মধ্যেই, নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে পরিকল্পিত হত্যার শিকার দাবি করে প্রোবীর চন্দ্র পাল নামের এক ব্যক্তির ফেসবুক পোস্টের দুটি স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ে। একটি পোস্টে প্রোবীর লিখেছিলেন, ‘সমস্ত সনাতনী এডভোকেটরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আজকেই শুনানি দিতে হবে! নাহলে দায়রা জজ মো: সাইফুল ইসলামকে কোর্ট থেকে বের হতে দেবে না।’ তবে, এখানে উল্লিখিত জজ সাইফুল ইসলাম এবং নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম ভিন্ন ব্যক্তি। পোস্টে উল্লিখিত সাইফুল ইসলাম চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ, আর নিহত সাইফুল ইসলাম চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি)।
ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার জানায়, ভারতের অসংখ্য এক্স ব্যবহারকারী এবং কিছু গণমাধ্যমে গুজব ছড়ায় যে, নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ ছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী, এবং সেই দায়িত্ব পালনের কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সও চট্টগ্রামের পুলিশ কর্মকর্তা লিয়াকত আলীর বরাত দিয়ে এই দাবি উল্লেখ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
তবে, এই দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী হলেন সুভাশিস শর্মা। এ তথ্য চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের পক্ষ থেকে জমা দেওয়া ওকালতনামা এবং আইনজীবী আলিফ নিহত হওয়ার আগে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।
এদিকে, আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজের ভিত্তিতে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে বলে সামাজিক মাধ্যমে একটি দাবি ছড়িয়ে পড়ে। দাবি করা হয়, আটক ব্যক্তিদের মধ্যে চারজন শিবিরের সদস্য এবং একজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক।
তবে, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র উপ-কমিশনার মো. রইস উদ্দিন এ বিষয়ে রিউমর স্ক্যানারকে জানান, ‘এ ধরনের কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।’
রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানেও দেখা গেছে, এই ভুয়া তথ্যটি ‘SadhinBangladeshNews’ নামের একটি ভুয়া পোর্টালের প্রতিবেদনের বরাতে ছড়ানো হয়েছে। অতীতেও এই পোর্টাল থেকে গুজব ছড়ানোর নজির পাওয়া গেছে।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয়, আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন অন্তত ছয়জনকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজের মাধ্যমে শনাক্ত করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। এছাড়া, সংঘর্ষ চলাকালে ভাঙচুর এবং পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ২১ জনকে আটক করেছে সিএমপি।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র উপ-কমিশনার মো. রইছ উদ্দিন রিউমর স্ক্যানারকে জানান, আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে এখন পর্যন্ত সাতজনকে আটক করা হয়েছে। এদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে এখনও নিশ্চিত কোনো তথ্য জানা যায়নি, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এছাড়া, ইসকন সদস্য প্রবীর চন্দ্র পালকে কেন্দ্র করে দুটি ফটোকার্ড ভাইরাল হয়, যেখানে সময় টিভি এবং চ্যানেল ২৪ এর লোগো ব্যবহার করে দাবি করা হয় যে তিনি ফেসবুকে লিখেছেন: ‘প্রভুকে মুক্তি না দিলে আরও লাশ পড়বে, ৩ কোটি সনাতনী মাঠে থাকবে’ এবং ‘ইসকন নিষিদ্ধ করতে চাইলে পুরো বাংলাদেশকে নিষিদ্ধ করে দেবে ভারত’।
তবে, এই দাবিগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা। প্রবীর চন্দ্র পাল এমন কোনো স্ট্যাটাস দেননি এবং সময় টিভি ও চ্যানেল ২৪ এর পক্ষ থেকেও এ ধরনের কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করা হয়নি। গণমাধ্যমের লোগো ব্যবহার করে ভুয়া ফটোকার্ড তৈরি করে এই মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হয়েছে।
রিউমর স্ক্যানার আরও জানায়, চিন্ময়ের জামিন ইস্যুতে সৃষ্ট অপ্রীতিকর পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী এক্সে একটি ভিডিও শেয়ার করে বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন। তবে, ভিডিওটি ঢাকার তিনটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের দৃশ্য। এটি হিন্দু নির্যাতনের কোনো ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
এছাড়া চিন্ময় কৃষ্ণ সমকামী কমিউনিটি এলজিবিটিভি-এর স্বনামধন্য সদস্য দাবিতে ভারতীয় গণমাধ্যম রিপাবলিক বাংলার বরাতে সময় টিভির লোগো সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। তবে যাচাইয়ে দেখা গেছে, রিপাবলিক বাংলা এমন কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি এবং সময় টিভিও এ ধরনের কোনো ফটোকার্ড প্রচার করেনি।
প্রসঙ্গত, সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে দায়েরকৃত রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র এবং পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) তাকে চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হলে জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত।
এ নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ সময় চিন্ময়কে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে তার অনুসারীরা প্রিজন ভ্যান আটকে দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে সাইফুল ইসলাম নামের এক আইনজীবীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনা দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং এর প্রেক্ষিতে সামাজিক মাধ্যমে নানা গুজব ছড়াতে শুরু করে।
রিউমর স্ক্যানারের মূল প্রতিবেদনটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
আরটিভি/কেএইচ