ফাহিম হত্যায় অভিযুক্ত কে এই ডেভোন হাসপিল?
রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং সাবেক বিনিয়োগকারী ফাহিম সালেহ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত টেরেস ডেভোন হাসপিল নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচয় দিতেন। এক সময় ফাহিমের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজও করতেন। যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে কোনো অপরাধী গ্রেপ্তার হলে সঙ্গে সঙ্গে তার বিস্তারিত পরিচয় জানানো হয় না। হাসপিলের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম অনেকটা বজায় রাখছেন পুলিশ সদস্যরা।
এখন পর্যন্ত যেসব তথ্য পাওয়া গেছে তা থেকে বোঝা যাচ্ছে ২১ বছর বয়সী হাসপিল রীতিমতো প্রতারক চরিত্রের ছেলে। তিনি ফাহিমের ১ লাখ ডলার চুরি করেছেন বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানা গেছে। কিন্তু ফাহিম তার কাছে আরও অনেক ডলার পেতেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় এনওয়াইপিডি-এর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান রডনি হ্যারিসন বলেন, চুরি করা অর্থের পাশাপাশি হাসপিল আরও বড় অঙ্কের অর্থ ভুক্তভোগীর থেকে ধার নিয়েছিলেন বলে আমরা ধারণা করছি। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসপিল লং আইসল্যান্ড হাইস্কুল থেকে গ্রাজুয়েশন করেছেন।
ডেইলি নিউজের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রাজুয়েশন শেষ করতে পারেননি হাসপিল। ফাহিমের সঙ্গে তিনি কাজ করার সুযোগ পান একটি প্রতিযোগিতা থেকে। ২০০৯ সালে প্র্যাঙ্ক ডায়াল নামের একটি মজার ওয়েবসাইট তৈরি করেন ফাহিম। সেই ওয়েবসাইটে কাজ করার জন্য ওয়েব ডিজাইনের প্রতিযোগিতায় টিকে যাওয়া হাসপিলকে নিয়োগ দেন ফাহিম।
এবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসপিল ফাহিমের অ্যাডভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানিতে চিফ অব স্টাফ হিসেবেও যোগ দেন। এর পাশাপাশি ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে কাজ করছিলেন। নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের লোয়ার ইস্ট সাইডে নিজের বিলাসবহুল বাসায় স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে খুন হন ফাহিম।
এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার হওয়া হাসপিলকে সেকেন্ডে ডিগ্রি মার্ডারে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ফাহিম প্রযুক্তি জগতে নিজের পথচলা শুরু করেন ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে। এরপর ধীরে ধীরে নিজেকে ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। ২০১৫ থেকে ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত পাঠাওয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। খুন হওয়ার দিন দুপুর দেড়টার দিকে সিসিটিভিতে ফাহিমকে সর্বশেষ দেখা যায়। ওই সময় একটি ব্যাগ হাতে সন্দেহভাজনকেও দেখা যায়। তারা লিফটের জন্য দাঁড়িয়ে থাকেন।
ভিডিওতে দেখা গেছে, ফাহিম কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে খুনির দিকে তাকান। এরপর লিফটে দুজন একসঙ্গে উঠে যান। ফাহিম সাততলায় নিজের ফ্ল্যাটে ঢুকতে গেলেই তাকে আক্রমণ করে খুনি। পুলিশ জানিয়েছে, বৈদ্যুতিক করাত দিয়ে ফাহিমকে কাটা হয়েছে। করাতটি পাশেই পড়ে ছিল। শরীরের বিভিন্ন অংশ ভরা ছিল একটি ব্যাগে।
পি
মন্তব্য করুন