রাঙামাটিতে শেষ হলো কঠিন চীবর দানোৎসব
লাখো পুণ্যার্থীর সাধু সাধু ধ্বনিতে রাঙামাটি রাজবন বিহারে শেষ হয়েছে দুইদিনব্যাপী ৪৬তম দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব। শুক্রবার দুপুরে পুণ্যার্থীরা বনভান্তের স্মৃতির উদ্দেশ্যে কল্পতরু ও চীবর দান করেন। এসময় চীবর গ্রহণ করেন রাজবন বিহারের আবাসিক প্রতিনিধি শ্র্রীমৎ প্রজ্ঞালঙ্কার মহাস্থবির।
শুক্রবার সকাল ছয়টায় বুদ্ধ পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয় দেব-মানবের তথা সকল প্রাণীর হিতার্থে ধর্মদেশনা। ধর্মদেশনায় উপস্থিত ছিলেন রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান শ্র্রীমৎ প্রজ্ঞালঙ্কার মহাস্থবির। চীবর তৈরির পর শুক্রবার দুপুর একটায় শোভাযাত্রা সহকারে কঠিন চীবর ও কল্পতরু মঞ্চে আনা হয়। পঞ্চশীল গ্রহণের পর দুপুর আড়াইটায় বনভান্তের মানব প্রতিকৃতির উদ্দেশ্যে কঠিন চীবর উৎসর্গ করা হয়েছে।
দানোৎসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- সংসদের সংরক্ষিত আসনের সাংসদ বাসন্তী চাকমা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ, চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় ও রানী ইয়েন ইয়েন, উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সহ-সভাপতি গৌতম দেওয়ানসহ বিভিন্ন সস্তরের সাধারণ মানুষ।
রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান শ্র্রীমৎ প্রজ্ঞালঙ্কার মহাস্থবির বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের শান্তিসহ সারা বিশ্বের মানুষের শান্তি কামনা করা হয়। আগামী দিনগুলোতে যাতে মারামারি হানাহানি বন্ধ হয় এবং সুখে-শান্তিতে সবাই মিলে পৃথিবীতে বসবাস করতে পারি সেই মঙ্গল কামনা করা হয়।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বেইনঘর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই উৎসব। এটি পার্বত্যাঞ্চলে বৌদ্ধদের বৃহত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব। শুক্রবার দুপুরে গৌতম বুদ্ধ ও বনভান্তের প্রতিকৃতিতে চীবর দান ও দেশনার মাধ্যমে শেষ হয় এবারের দানোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।
পি
মন্তব্য করুন