গুগল ড্রাইভের ট্র্যাশে থাকা তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে যাবে
গুগল এবার ড্রাইভ সেবায় পরিবর্তন নিয়ে আসছে। আগামী অক্টোবর মাসের ৩০ তারিখ থেকে গুগল ড্রাইভের ট্র্যাশ সেকশনে আইটেমগুলো ৩০ দিনের বেশি স্থায়ী হবে না। প্রতি ৩০ দিন পর ট্র্যাশে থাকা ফাইল আপনাআপনি ডিলিট হবে।
ইতোমধ্যে গ্রাহকদের এ বিষয়ে বার্তা দিচ্ছে। গুগল ড্রাইভের ট্র্যাশে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিভিন্ন আইটেম সংরক্ষিত থাকতো। ব্যবহারকারী চাইলে আগে ডিলিট করতে পারতেন। তবে এখন থেকে ২৫ দিনের মধ্যে ডিলিট আইটেম ফেরত না আনলে তা আপনাআপনি গায়েব হয়ে যাবে।
শিগগিরই গ্রাহকরা নতুন এই পদ্ধতিতে অভ্যস্ত হবেন। তবে ড্রাইভে সংরক্ষিত অন্যান্য তথ্য আগের মতোই নিরাপদে থাকবে।
সূত্র- ইন্ডিয়া টুডে
জিএ
মন্তব্য করুন
যে কারণে ৮৪ লাখের বেশি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল হোয়াটসঅ্যাপ
বিশ্বজুড়ে বর্তমানে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছে মেটার হোয়াটসঅ্যাপ। এই অ্যাপের মেসেঞ্জার হলো একটি আন্তর্জাতিকভাবে উপলব্ধ ফ্রিওয়্যার, ক্রস-প্ল্যাটফর্ম, সেন্ট্রালাইজড ইন্সট্যান্ট মেসেজিং এবং ভয়েস-ওভার-আইপি পরিষেবা। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের পাঠ্য এবং ভয়েস বার্তা পাঠাতে, ভয়েস এবং ভিডিও কল করতে এবং ছবি, নথি, ব্যবহারকারীর অবস্থান এবং অন্যান্য শেয়ার করতে দেয়।
নিজেদের প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহারকারীদের তথ্য সুরক্ষিত রাখার জন্য প্রায়ই কাটছাঁট চালায় মেটা। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন নিয়মও আনে প্রতিষ্ঠানটি, যেগুলো অমান্য করলেই শান্তির আওতায় আনা হয় ব্যবহারকারীদের। এবার এসব নিয়ম না মানায় সম্প্রতিপ্রায় ৮৪ লাখ (৮.৪ মিলিয়ন) অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ।
জানা গেছে, হোয়াটসঅ্যাপ তাদের নিজস্ব সুরক্ষা প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, এবং অন্যান্য প্রযুক্তির সাহায্যে প্ল্যাটফর্মে অপব্যবহার রোধে কাজ করছে। বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারী থাকায় হ্যাকাররা মেটা মালিকানাধীন অ্যাপটিকে বারবার টার্গেট করে। এর ফলে নতুন নিয়ম আনে অ্যাপটি। সম্প্রতি এই নিয়ম না মানার কারণে ভারতের প্রায় ৮৪ লাখ হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে মেটা। বন্ধ করে দেওয়া অ্যাকাউন্টগুলোর বেশিরভাগই স্প্যাম বা অটোমেটেড বার্তা পাঠানোর কারণে বাতিল করা হয়েছে।
তথ্য প্রযুক্তি নিয়ম ২০২১-এর ধারা ৪(১)(ডি) এবং ধারা ৩এ(৭) মেনে হোয়াটসঅ্যাপের নীতি লঙ্ঘন বা অবৈধ কার্যকলাপে জড়িত অ্যাকাউন্টগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা মূলত হোয়াটসঅ্যাপের প্রো-অ্যাকটিভ ডিটেকশন মেকানিজমের মাধ্যমে হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ লাখ ৬১ হাজার অ্যাকাউন্ট কোনো ব্যবহারকারীর অভিযোগ দায়ের করার আগেই বন্ধ করা হয়। সেই সঙ্গে ২০২৪ সালের আগস্টে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের পক্ষ থেকে ১০ হাজার ৭০৭টি অভিযোগ পেয়েছে। এর মধ্যে ৯৩টির বিরুদ্ধে তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
আরটিভি/এসএপি/এআর
যেভাবে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন
বর্তমানে চাইলে ঘরে বসেই খুব সহজে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। আয়কর অফিসে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার ঝামেলায় পড়তে হবে না। এছাড়াও ই-রিটার্ন থাকার অনেক সুবিধা রয়েছে। এটা দিয়ে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন, ই-পেমেন্ট করতে পারবেন। এমনকি ঘরে বসেই সনদ, আয়কর রিটার্নের কপি নেওয়া যাবে এবং রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ানোর আবেদন করার সুযোগ রয়েছে অনলাইনে। অন্যান্য বারের মতো এই অর্থবছরেও (২০২৪-২৫) বাসায় বসেই আয়কর রিটার্ন দাখিল করা যাবে।
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রতিটি ধাপ কীভাবে পেরোবেন, তা তুলে ধরা হলো এই প্রতিবেদনে—
যাদের জন্য আয়কর প্রযোজ্য:
বাংলাদেশে ব্যক্তি পর্যায়ের করদাতাদের রিটার্ন দাখিলের সময় ১ জুলাই থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। রিটার্ন দাখিলের আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ওয়েবসাইট থেকে চলতি অর্থবছরের কর নির্দেশাবলী পড়তে ভুলবেন না।
এনবিআরের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তির বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি হলে তাকে আয়কর দিতে হবে। তবে নারী ও ৬৫-ঊর্ধ্ব নাগরিকদের করমুক্ত আয়ের সীমা চার লাখ টাকা। আর যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এটি পাঁচ লাখ টাকা।
এছাড়া, পূর্ববর্তী কর মূল্যায়ন, শহরে বাসস্থান, গাড়ির মালিকানা, নির্দিষ্ট কিছু পেশার সদস্যপদ, ব্যবসা পরিচালনা এবং দরপত্র বা নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্যও আয়কর পরিশোধ করতে হয়। এটি নিবন্ধিত কোম্পানি ও এনজিওগুলোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
আর মনে রাখবেন, করদাতা সনাক্তকরণ নাম্বার (টিআইএন) থাকলে আপনার করযোগ্য আয় থাকুক বা না থাকুক, আপনাকে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতেই হবে। করযোগ্য আয় না থাকলে শূন্য রিটার্ন দাখিল করা যাবে। সেটা না করলে আইনে শাস্তি ও জরিমানার বিধান আছে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
কর দেওয়ার সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র—ইটিআইএন, জাতীয় পরিচয় পত্রের (এনআইডি) ফটোকপি, বিস্তারিত ঠিকানা এবং আগের বছরের রিটার্নের নথি সরবরাহ করুন। একাধিক আয়ের উৎস থাকলে প্রয়োজন মোতাবেক কাগজপত্র সংগ্রহ করুন। বিনিয়োগের বিবরণ, সম্পত্তির তথ্য এবং করমুক্ত আয়ের সার্টিফিকেট অন্তর্ভুক্ত করুন।
টিআইএন (করদাতা শনাক্তকরণ নাম্বার) সনদধারী প্রতিটি বাংলাদেশি নাগরিকের জন্য প্রতিবছর আয়কর রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক। বয়স ১৮ অতিক্রম করলে টিআইএন সদন নেওয়াও বাধ্যতামূলক। আপনি যখন টিআইএন-এর জন্য আবেদন করবেন, আপনাকে কর দাখিলের জন্য একটি নির্দিষ্ট এলাকা বরাদ্দ করা হবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় করে তখন আপনাকে আয় বিবরণী জমা দিতে হবে। এরপর নিজে গিয়ে অথবা কোনো
প্রতিনিধির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক কর অফিসে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
ই-রিটার্ন সিস্টেমে নিবন্ধন
অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে চাইলে প্রথমে এনবিআরের ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন করতে, ওয়েবসাইটের ই-রিটার্ন শাখায় ক্লিক করুন। সেখানে ‘সাইন আপ’ অপশনে গিয়ে প্রথম বক্সে আপনার টিআইএন নাম্বার লিখুন। দ্বিতীয় বক্সে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত মোবাইল নাম্বারটি লিখুন (প্রথম শূন্য বাদ দিয়ে)। এরপর ক্যাপচা কোড দিয়ে ‘ভেরিফাই’ বাটনে ক্লিক করুন। ফোনে আসা ওটিপি ব্যবহার করে আপনার ফোন নাম্বারটি নিশ্চিত করুন। সবশেষে ই-রিটার্ন সিস্টেমে লগ ইন করতে একটি পাসওয়ার্ড ঠিক করুন।
১. ই-রিটার্ন সিস্টেমে প্রবেশ
একবার নিবন্ধন করা হয়ে গেলে এরপর আপনি ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনার টিআইএন, পাসওয়ার্ড এবং ক্যাপচা দিয়ে সাইন ইন করতে পারবেন। এরপর একটি ড্যাশবোর্ড পাবেন। এর বাম দিকে থাকা 'রিটার্ন সাবমিশন' অপশনে ক্লিক করতে হবে।
২. কর যাচাইয়ের তথ্য
ই-রিটার্ন ফরমের শুরুতেই থাকবে ‘ট্যাক্স অ্যাসেসমেন্ট ইনফরমেশন’। সেখানে আয়কর সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য– রিটার্ন স্কিম, আয়ের সাল ও উৎস দিতে হবে। আপনার আয় যদি করমুক্ত হয়, তাহলে আয়ের পরিমাণের পাশাপাশি ‘রেসিডেন্ট স্ট্যাটাস’ দিতে হবে।
৩. আয়ের বিবরণ
এই পর্যায়ে, 'হেডস অফ ইনকাম'-এ গিয়ে আপনার বিভিন্ন আয়ের উৎস দিন। এখানে আপনার বেতন, নিরাপত্তা সুদ, বাড়ি-সম্পত্তি থেকে আয়, কৃষি আয়, ব্যবসা থেকে আয়, মূলধন লাভ এবং অন্যান্য উৎস থেকে আয় অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন।
যদি আপনার বেতন আপনার আয়ের একমাত্র উৎস হয়, তাহলে ‘স্যালারি’ অপশনে ক্লিক করুন। এর বাইরে আয় থেকে থাকলে ‘ইনকাম ফ্রম আদার সোর্সেস’ অপশনে ক্লিক করুন। সেখানে অন্যান্য যেসব উৎস থেকে আয় করে থাকেন, তাতে ক্লিক করুন। এরপর ‘সেভ অ্যান্ড কন্টিনিউ’ অপশনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে যান।
৪. অতিরিক্ত তথ্য
এই ধাপে একটি ড্রপডাউন মেনু থেকে আপনার প্রাথমিক আয়ের উৎসের স্থান ঠিক করবেন। সেখানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মতো অনেকগুলো অপশন থাকবে।
আপনি যদি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তির আইনি অভিভাবক হয়ে থাকেন, সেটিও এখানে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এছাড়া, বিনিয়োগের জন্য আপনি করমুক্তির দাবিদার কি না এবং আপনি কোনো সংস্থার শেয়ারহোল্ডার পরিচালক কি না, তা 'হ্যাঁ' বা 'না'-এর মাধ্যমে উত্তর দেবেন।
৫. আইটি১০বি পূরণ
যদি আপনার সম্পূর্ণ সম্পদের পরিমাণ ৪০ লাখ টাকা বা তারচেয়ে বেশি হয়, তাহলে আপনাকে অবশ্যই স্টেটমেন্ট ফর্মের ব্যয় বিভাগটি পূরণ করতে হবে। এজন্য ‘আইটি১০বি ফর্ম’ পূরণ করতে হবে। সম্পদের পরিমাণ ৪০ লাখের কম হলে তা পূরণ করতে হবে না। এক্ষেত্রে, আপনার ও আপনার পরিবারের বার্ষিক খরচের হিসেব দিতে হবে। এরপর ‘সেভ অ্যান্ড কন্টিনিউ’ অপশনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে যান।
৬. আয়ের বিবরণ
অন্যান্য উৎস থেকে আসা আয়, বৈদেশিক আয় বা কর-অব্যাহতিপ্রাপ্ত আয়ের বিবরণ দিন। বেতন বা করযোগ্য বিনিয়োগ ছাড়া অন্যান্য উৎস থেকে আসা আয়ের তথ্য দিতে আপনি ড্রপডাউন মেনুতে বিভিন্ন অপশন পাবেন।
‘এনি আদার ইনকাম’ অপশনে ক্লিক করলে সেখানে আপনার অন্য আয়ের উৎস, অর্থ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ, প্রাপ্ত সর্বশেষ আয়ের তারিখ ও পরিমাণ, এবং সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের হিসেব দিতে হবে। এসব তথ্য দেওয়ার পর আপনার নেট আয়ের হিসেব দেখানো হবে। আবার ‘সেভ অ্যান্ড কন্টিনিউ’ অপশনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে যান।
৭. বিনিয়োগ বিভাগ
আপনি যদি বর্তমানে জীবন বীমা প্রিমিয়াম, ডিপোজিট প্রিমিয়াম সার্ভিস (ডিপিএস), অনুমোদিত সঞ্চয়পত্র, সাধারণ প্রভিডেন্ট ফান্ড, বেনেভোলেন্ট ফান্ড, গ্রুপ বীমা প্রিমিয়াম, অনুমোদিত স্টক বা শেয়ার, কিংবা অন্যান্য ক্যাটাগরিতে বিনিয়োগ করে থাকেন, সেগুলো এখানে উল্লেখ করবেন।
ধরুন আপনি যদি ‘ডিপিএস’ অপশনে ক্লিক করেন, তাহলে সেখানে ব্যাংকের নাম, অ্যাকাউন্ট নাম্বার এবং জমাকৃত অর্থের পরিমাণ দিতে হবে। এভাবে অন্যান্য অপশনে গেলেও আপনাকে বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে। আবার ‘সেভ অ্যান্ড কন্টিনিউ’ অপশনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে যান।
৮. ব্যয়
এই বিভাগে, মোট আয়ের বিপরীতে আপনার মোট ব্যয় পর্যালোচনা করতে পারবেন। এখানে বিভিন্ন খাতে ব্যয়ের বিভাগ থাকবে। খাদ্য, পোশাক, বাসস্থান (পরিবহন, গৃহস্থালি, ইউটিলিটিসহ), বাচ্চাদের শিক্ষা এবং অন্য কোনো ব্যয়ের খাত থাকলে তা অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন। এই বিবরণগুলো পূরণ করলে আপনার বকেয়া করের হিসেব দেওয়া হবে।
৯. কর এবং পেমেন্ট
এখানে আপনি ইতোমধ্যে কোনো উৎস কর এবং অগ্রিম কর প্রদান করে থাকলে তার হিসেব দিতে পারবেন। এই হিসেব দেওয়ার পর আপনার মোট প্রদেয় করের পরিমাণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে কমে যাবে। আপনার আয়ের উপর কোনো কর বকেয়া না থাকলে আপনার প্রদেয় করের পরিমাণ হবে শূন্য। একে 'শূন্য রিটার্ন' বলা হয়।
১০. রিটার্ন ভিউ
‘অনলাইন রিটার্ন’ অপশনে ক্লিক করলে আপনি রিটার্ন ফর্মটি দেখতে পাবেন। তার নিচে 'ইয়েস' অপশনে ক্লিক করলেই আপনার রিটার্ন চলে যাবে। কোনো তথ্য নিয়ে সন্দেহ থাকলে আপনি 'নো' অপশনে ক্লিক করতে পারেন এবং আবার সব তথ্য দেখে নিতে পারেন।
১১: রসিদ ডাউনলোড করুন
যদি আয়কর রিটার্ন সফলভাবে জমা হয়, তাহলে আপনাকে অভিনন্দন জানিয়ে একটি বার্তা লেখা দেখবেন। সেখানে আপনি একটি রেফারেন্স আইডি ডাউনলোড করার অপশন পাবেন। সেটি ডাউনলোড করে অনলাইনেই আপনি আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারেন। অথবা সেটি প্রিন্ট করে আয়কর অফিসে পাঠাতে পারেন।
এই প্রক্রিয়াটি জটিল মনে হলে আপনি কোনো কর আইনজীবীর দ্বারস্থ হতে পারেন। এছাড়া, বিডিটেক্স এবং শাপলা ট্যাক্সের মতো অনেক অনলাইন প্লাটফর্ম ও অ্যাপ্লিকেশন আছে, যেগুলো আপনাকে আয়কর রিটার্ন দাখিলে সাহায্য করবে।
আরটিভি/এফআই/এআর
রয়্যাল এনফিল্ড বাজারে আসছে সোমবার, থাকছে যেসব ফিচার
অবশেষে অনুমোদনের দীর্ঘ এক বছর পর দেশের বাজারে আসছে ‘রয়্যাল এনফিল্ড’। সোমবার (২১ অক্টোবর) বাংলাদেশে লঞ্চ হতে যাচ্ছে চার মডেলের ৩৫০ সিসির বাইক। বাংলাদেশে রয়্যাল এনফিল্ডের একমাত্র প্রস্তুতকারক ও পরিবেশক ইফাদ মোটরস বাজারে নিয়ে আসছে এই আইকনিক ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল।
নতুন মডেলের নাম ও দামের বিষয়ে এখনো বিস্তারিত জানায়নি কোম্পানিটি। তবে অভ্যন্তরীণ সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার দুপুরে চারটি ৩৫০ সিসির মডেল—হান্টার, বুলেট, ক্লাসিক ও মিটিয়র—অনলাইনে লঞ্চ করা হবে। পরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে রয়্যাল এনফিল্ডের ফ্ল্যাগশিপ শোরুমে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মডেলগুলো উন্মোচিত হবে।
টেস্ট রাইডাররা বলছেন, নতুন প্রজন্মের রয়্যাল এনফিল্ড মডেলগুলো ঐতিহ্য ধরে রাখার পাশাপাশি আরও উন্নত পারফরম্যান্স নিশ্চিত করবে।
মডেলগুলোর দাম কত হবে, তা এখনো জানানো না হলেও ধারণা হচ্ছে, চারটি মডেলের মধ্যে হান্টার ৩৫০-এর দাম হতে পারে সবচেয়ে কম, প্রায় ৪ লাখ টাকা। বুলেট, ক্লাসিক ও মিটিয়র মডেলগুলোর দাম ক্রমান্বয়ে বেশি রাখা হবে। এই চারটি মডেলে থাকবে উন্নত ফুয়েল ইনজেকশন সিস্টেম এবং পরিমার্জিত সিঙ্গেল-সিলিন্ডার 'জে' (J) সিরিজের ইঞ্জিন। এছাড়া রং ও ব্রেকিং সিস্টেমে ওপর ভিত্তি করে আলাদা ভেরিয়েন্টও থাকবে। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মোটরসাইকেল উৎপাদন কারখানা তৈরি করেছে ইফাদ মোটরস।
দীর্ঘ দুই দশক ইঞ্জিন সক্ষমতার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে রাখার পর ২০২৩ সালে বাংলাদেশ সরকার স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ৩৭৫ সিসি পর্যন্ত ইঞ্জিন সক্ষমতার মোটরসাইকেলের অনুমোদন দেয়।
একনজরে রয়্যাল এনফিল্ড:
রয়্যাল এনফিল্ডের মোটরসাইকেল উৎপাদনের যাত্রা শুরু ১২৩ বছর আগে, ইংল্যান্ডে। মূলত সামরিক ব্যবহারের জন্য মোটরসাইকেলটির উৎপাদন শুরু হয়। এটি এখনো চালু থাকা বিশ্বের প্রাচীনতম টু-হুইলার ব্র্যান্ড।
১৯৫০-এর দশকে রয়্যাল এনফিল্ড ভারতের মাদ্রাজ মোটরসের সঙ্গে যৌথভাবে 'এনফিল্ড ইন্ডিয়া' গঠন করে এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য বুলেট ৩৫০ মোটরসাইকেল সংযোজন শুরু করে। পরের কয়েক দশকে রয়্যাল এনফিল্ড ভারতীয় মোটরসাইক্লিংয়ের প্রতীক হয়ে ওঠে। যুক্তরাজ্যে ১৯৭০ সালে এর উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে রয়্যাল এনফিল্ড ভারতীয় শিল্পগোষ্ঠী আইশার মোটরসের শতভাগ নিয়ন্ত্রণাধীন। ৫০টিরও বেশি দেশে বিক্রি হয় রয়্যাল এনফিল্ড। ২০২৩ সালে কোম্পানিটির বিক্রি রেকর্ড ৯ লাখ ইউনিট পেরিয়েছে। ২০২৩ সালে ব্রাজিল, থাইল্যান্ড, কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার পর নেপালে পঞ্চম সংযোজন কারখানা প্রতিষ্ঠা করেছে রয়্যাল এনফিল্ড।
চলুন জেনে নেওয়া যাক বাইকগুলোর ফিচার সম্পর্কে—
রয়্যাল এনফিল্ড হান্টার ৩৫০: রয়্যাল এনফিল্ড পরিবারের সবচেয়ে আধুনিক সদস্য হচ্ছে হান্টার। অবশ্য ক্লাসিক মডেলের ধারা অব্যাহত রেখে এর একক সিলিন্ডার ও ৩৪৯ সিসির ইঞ্জিনের ক্ষমতা একই রাখা হয়েছে। অর্থাৎ ৬,১০০ আরপিএমে ১৪.৮৭ কিলোওয়াট এবং চার হাজার আরপিএমে ২৭ এনএম টর্ক। সামগ্রিক নকশা অনুসারে এই সিরিজ শহুরে পরিবেশের জন্য উপযুক্ত। স্টিলের ফ্রেমটি ন্যাভিগেশন এবং চালক ও যাত্রী দুজনের ফুটপেগের সহায়ক। এখানেও আছে সামনের সাসপেনশনে টেলিস্কোপিক ফর্ক এবং পেছনের সাসপেনশনে টুইন সাইড সুইং আর্ম। হান্টার-৩৫০’ এর আকার ও সর্বোচ্চ ১৮১ কেজি ওজন শামাল দিতে কোনো প্রাপ্তবয়স্ক মোটরসাইকেল চালককে হিমশিম খেতে হয় না। ৩১.১ ইঞ্চি বা ৭৯০ মিলিমিটারের উচ্চতায় বসার জায়গাটি যেকোনো চালক ও যাত্রীর জন্য স্বাভাবিক। তাছাড়া চলন্ত অবস্থায় সুরক্ষার জন্য সামনে এবং পিছনে এবিসসহ হাইড্রোলিক ডিস্ক ব্রেক তো থাকছেই। বাইকটির যন্ত্রাদি ডিজিটাল হওয়ায় পাওয়ার আউটলেট, হার্ডসাইড কেস এবং স্টোরেজ কভারের সুবিধা আছে। অ্যালুমিনিয়ামের চাকাগুলোতেও লাগানো আছে টিউবলেস টায়ার।
রয়্যাল এনফিল্ড ক্লাসিক ৩৫০: প্রতিষ্ঠানটির ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তির এক সঙ্গত সংমিশ্রণ রয়্যাল এনফিল্ড ক্লাসিক ৩৫০। বাতাস চলাচলের মাধ্যমে শীতলীকরণ প্রক্রিয়া সমৃদ্ধ একক সিলিন্ডার ও ৩৪৯ সিসির ইঞ্জিন একটি আদর্শ মোটরসাইকেল হিসেবে মডেলটিকে ন্যায্যতা দেয়। ৬,১০০ আরপিএম (ইভোলিউশন পার মিনিট)-এর সঙ্গে রয়েছে ২০.২ বিএইচপির (ব্রেক হর্সপাওয়ার) হর্সপাওয়ার এবং চার হাজার আরপিএমের সঙ্গে প্রতি ফুট দূরত্বে ১৯ পাউন্ডের টর্ক। তাই শহুরে যানজট বা খোলা-রাস্তা উভয় ক্ষেত্রেই চালনায় ভারসাম্য নিয়ে কোনো চিন্তা নেই।
এনফিল্ড ঐতিহ্যের সমগ্র নান্দনিকতার ছোঁয়া পড়েছে নকশায়। স্টিলের ফ্রেমটি চালক ও যাত্রী উভয়ের জন্যই স্বাভাবিক হ্যান্ড গ্রিপ্স, হ্যান্ডেলবার ও সামঞ্জস্যপূর্ণ ফুট পেগ নিশ্চিত করে। বাইক চড়ার মুহূর্তগুলোকে আরামদায়ক করার জন্য সামনের সাসপেনশনে রয়েছে ৪১ মিলিমিটার টেলিস্কোপিক ফর্ক আর পেছনেরটাতে একটি টুইন সাইড সুইং আর্ম। যথাযথ নিরাপত্তার স্বার্থে এবিএস (অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম) হিসেবে কাজ করবে সামনে এবং পিছনে উভয় দিকের হাইড্রোলিক ডিস্ক ব্রেক। সতর্ক সংকেত দেওয়ার জন্য যন্ত্রাংশ প্যানেলে রয়েছে চিরাচরিত স্পিডোমিটার ও একটি ফুয়েল লেভেল লাইট। এছাড়াও সঙ্গে বহন করার জন্য আছে হার্ডসাইড কেস, পেছনের র্যাক ও ব্যাগ লাইনারসহ আনুষঙ্গিক নানাবিধ সংযোজনের ব্যবস্থা।
রয়্যাল এনফিল্ড মিটিওর ৩৫০: অন্যান্য সিরিজগুলোর সঙ্গে খুব একটা তারতম্য নেই রয়্যাল এনফিল্ড মিটিওর ৩৫০-এর। ৩৪৯ সিসির একক সিলিন্ডার ইঞ্জিনে অপরিবর্তিত আছে চার হাজার আরপিএমে ২৭ এনএম (নিউটন-মিটার) টর্ক এবং ৬,১০০ আরপিএমে ২০.২ বিএইচপির ক্ষমতা। টেকসই ও পালিশ করা সর্বাঙ্গে জেনুইন মোটরসাইকেল এক্সেসরিজের (জিএমএ) বিশাল বহর। ইঞ্জিন এবং গিয়ারের মাঝে সুষ্ঠু যোগসাজশ এক মসৃণ রাইডিং অভিজ্ঞতা দেয়। প্রতি ঘণ্টায় গতি ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে গেলেও কম্পন অনুভূত হবে না। মিটিওর-৩৫০ ও সমস্বরে জানান দেয় স্টিল ফ্রেম এবং সামনের ও পেছনের সাসপেনশনে যথাক্রমে টেলিস্কোপিক ফর্ক ও টুইন সাইড সুইং আর্মের উপস্থিতি। গ্রাউন্ড থেকে ৩০.১ ইঞ্চি বা ৭৬৪.৫ মিলিমিটারের উচ্চতায় ডুয়্যাল সিট এবং সামনের-পেছনের দুই চাকাতে এবিএসের হাইড্রোলিক ডিস্ক ব্রেক পূর্ণ নিরাপত্তার পরিপূরক। স্পিডোমিটার, ট্যাকোমিটার, ট্রিপ ওডোমিটার, কম্পাস এবং ন্যাভিগেশন সিস্টেমের ডিজিটাল যন্ত্রাংশ বিশ্বমানের সুবিধা হিসেবে আলাদা আকর্ষণ রাখে।
রয়্যাল এনফিল্ড বুলেট ৩৫০: বুলেট মডেলকে রয়্যাল এনফিল্ড ঐতিহ্যের প্রতীক বলা যেতে পারে। ক্লাসিকের মতো এটাতেও রয়েছে ৩৪৯ সিসির জে-সিরিজ ইঞ্জিন ও ৬,১০০ আরপিএম-এ ২০.২ বিএইচপি হর্সপাওয়ার। পাশাপাশি এটি চার হাজার আরপিএম-এ প্রতি ফুট দূরত্বে ১৯.৯ পাউন্ড টর্ক দিতে সক্ষম। অর্থাৎ উচ্চগতির জন্য নয়; এটি বরং প্রতি ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ মাইল যাত্রার জন্য উত্তম। সিরিজটি ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী মোটরসাইকেল ডিজাইন। ১৯৫৫ সালে মূল প্রতিষ্ঠান এনফিল্ড সাইকেল কোম্পানি ভারতের মাদ্রাজ মোটরসের সঙ্গে অংশীদারিত্বে গঠন করেছিল এনফিল্ড অব ইন্ডিয়া। মাদ্রাজ (বর্তমানে চেন্নাই) কেন্দ্রিক এনফিল্ড সাইকেলের উত্তরসূরি তাদের কার্যক্রম শুরু করেছিল এই রয়্যাল এনফিল্ড বুলেট অ্যাসেম্বলির মাধ্যমেই। বুলেটের চিত্তাকর্ষক নকশায় এখনও সেই ঐতিহাসিক ছাপ বিদ্যমান, যা অনায়াসেই যেকোনো মোটরসাইকেল চালকের মন জয় করে নেয়। বুলেটের ভিনদেশী নকশা এবং ইউএসবি চার্জিং পোর্ট বিশেষভাবে নজর কাড়ে। স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ হ্যান্ডলিং, সাসপেনশন, এবং ডুয়্যাল সিট সেটআপ একা একা বা কাউকে সঙ্গে নিয়ে চালানো উভয় ক্ষেত্রে ন্যাভিগেশনটা চালকের জন্য সহজাত করে তোলে। সিটটি মোটা-প্যাডের হওয়ায় তা ৮০৫ মিলিমিটার উচ্চতায় চালক ও যাত্রী দুইজনের জন্যই বেশ সহজসাধ্য এবং আরামপ্রদ। ১৩ লিটার ধারণক্ষমতার জ্বালানি ট্যাঙ্ক একবার ভরে নিলে ৩০০ মাইলেরও বেশি নিশ্চিন্তে ভ্রমণ করা যাবে।
রয়্যাল এনফিল্ড-৩৫০ এর সম্ভাব্য মূল্য: রয়্যাল এনফিল্ড মোটরসাইকেলের স্থানীয় প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ইফাদ মোটরস বাইকটির দাম গ্রাহকদের জন্য সারপ্রাইজ রেখেছে। তবে সূত্রে জানা গেছে, রয়্যাল এনফিল্ডের ৩৫০ সিসির বাইকটি দাম হতে পারে সাড়ে ৪ লাখ থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকার মধ্যে। তবে এর আগে ইফাদ মোটরস জানিয়েছিল, উদ্বোধনকালীন বাজার পরিস্থিতি এবং ডলার মূল্যের ওপর বাংলাদেশে মোটরসাইকেলগুলোর দাম নির্ভর করছে। ডলার রেট প্রায় ১২৫ (বাংলাদেশি) টাকা হলে রয়্যাল এনফিল্ড-৩৫০ সিরিজগুলোর দাম হতে পারে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশে ৩৫০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেলের অনুমতি দেয়। সরকারের এ সিদ্ধান্তের ফলে উচ্চ সিসির মোটরসাইকেল স্থানীয় বাজারে প্রবেশের সুযোগ পায়।
এই সিসিতে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা রয়েল এনফিল্ড কখন পাওয়া যাবে, তা নিয়ে দেশের বাইকারদের মধ্যে অধীর আগ্রহ দেখা দেয়। সেই সময় দেশে রয়্যাল এনফিল্ড উৎপাদন এবং বিপণনের ঘোষণা দেয় ইফাদ মটরস।
আরটিভি/এফআই/এআর
বেশি এসএমএস পাঠানোয় জিপি-রবি-বাংলালিংককে জরিমানা
বেশি বেশি প্রমোশনাল এসএমএস পাঠানোয় মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংক ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রোববার (২০ অক্টোবর) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) এ সিদ্ধান্ত জানা গেছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, দৈনিক তিনটির বেশি প্রমোশনাল এসএমএস পাঠানোর জন্য প্রত্যেক অপারেটরকে পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা দিতে হবে। গত বছরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গ্রাহকদের দিনে তিনটির বেশি প্রমোশনাল এসএমএস দিতে পারবে না অপারেটরগুলো, আদেশ অমান্য করলে জরিমানার বিধান আছে।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর গত বছরের অক্টোবরের শেষের দিকে এ নির্দেশনা অমান্য করে গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংক। তখন তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছিল। চলতি বছরের এপ্রিল ও মে মাসে এ নিয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল। তখন তিনটির বেশি এসএমএস পাঠানোর বিষয়ে নানা যুক্তি তুলে ধরে বিটিআরসিতে চিঠি দিয়েছিল অপারেটরগুলো। তবে বিটিআরসি অপারেটরগুলোর এসব যুক্তি গ্রহণ করেনি। সম্প্রতি তিন অপারেটরকে অনুষ্ঠানিকভাবে জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।
এ বিষয়ে বিটিআরসির এ তর্মকর্তা জানান, বিটিআরসি গ্রাহকদের দিকটা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। তবে অপারেটরগুলো এটাকে খুব ছোট বিষয় হিসেবে দেখাতে চাইছে। তবে বিটিআরসি একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দ্রুত এটি বাস্তবায়নে কাজ করবে সংস্থাটি।
তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে রাজি হয়নি মোবাইল অপারেটরগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারা। তারা জানিয়েছেন, আগেই গ্রাহকদের এসএমএস বন্ধ করার সুযোগ দিয়েছে তারা। গ্রামীণফোন থেকে *১২১*১১০১#, বাংলালিংক থেকে *১২১*৮*৬# এবং রবি ও এয়ারটেল থেকে *৭# ডায়াল করলে আর প্রমোশনাল এসএমএস আসবে না।
আরটিভি/এসএপি
দাম কমল আইফোন ফিফটিনের
আইফোন সিরিজের নতুন ফোন আইফোন ১৬ বাজারে আসার পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। নতুন সিরিজের এই ফোনটি নিয়ে আইফোনপ্রেমীদের নানা আলোচনা-সমালোচনার মাঝেই এবার জানা গেল আইফোন ১৫-এর দাম কমেছে।
ভারতের বাজারে আসন্ন দীপাবলি উৎসবকে সামনে রেখে এবার আলোচনায় উঠে এসেছে আইফোন ১৫ সিরিজের প্রো ও প্লাস এই মডেল দুটি। কেননা ভারতের জনপ্রিয় ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস ফ্লিপকার্ট আইফোন ১৫ প্রো ও প্লাস মডেলে দিচ্ছে বড় অঙ্কের মূল্যছাড়সহ বিভিন্ন অফার।
ফ্লিপকার্টের ‘দীপাবলি সেল’ শুরু হয়েছে (১০ অক্টোবর) থেকে। প্ল্যাটফর্মটির এই সেল উৎসবের অংশ হিসেবেই আইফোনের প্রো ও প্লাস মডেল দুটিতে মিলছে বিশেষ এই মূল্যছাড়।
আইফোন ১৫ প্লাস মডেলে মূল্যছাড়ের অফার
গত বছর বাজারে আসার পর আইফোন ১৫ প্লাসের দাম ছিল ভারতীয় মুদ্রায় ৮৯ হাজার ৯০০ রুপি। গত মাসে আইফোন ১৬ সিরিজ উন্মোচনের পর ১৫ প্লাসের দাম স্থায়ীভাবে ১০ হাজার রুপি কমিয়ে আনা হয় ৭৯ হাজার ৯০০ রুপিতে। বর্তমানে ‘দীপাবলি সেল’ উপলক্ষে ফ্লিপকার্ট ১৮ শতাংশ মূল্যছাড় দিয়ে ফোনটি অফার করছে ৬৪ হাজার ৯৯৯ রুপিতে।
অবশ্য আকর্ষণীয় অফারের এখানেই শেষ নয়। বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে মিলছে অতিরিক্ত মূল্যছাড়। এই যেমন স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (এসবিআই) এর ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে গ্রাহকরা সাথে সাথেই পেয়ে যাবেন ১০ শতাংশ অতিরিক্ত মূল্যছাড়। আবার অ্যাক্সিস ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য রয়েছে ৫ শতাংশ ক্যাশব্যাকের সুযোগ। এছাড়া আইসিআইসিআই ব্যাংকের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডে মিলছে তাৎক্ষণিক ৪ হাজার টাকার মূল্যছাড়।
পুরাতন আইফোন এক্সচেঞ্জ করে যারা আইফোন ১৫ প্লাস নিতে ইচ্ছুক তারা নির্দিষ্ট ফোনে ৩৮ হাজার ৫০ রুপি পর্যন্ত মূল্যছাড় পেতে পারেন। শুধু তাই নয় এক্সচেঞ্জের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কয়েকটি মডেলে ২ হাজার রুপি অতিরিক্ত ছাড়েরও সুযোগ থাকছে গ্রাহকদের জন্য।
আইফোন ১৫ প্রো মডেলে মূল্যছাড়ের অফার
আইফোন ১৫ প্রো মডেলের বিভিন্ন ভার্সনেও মিলছে ৪ শতাংশ থেকে ২২ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড়। ১৫ প্রো মডেলের ২৫৬জিবি ভার্সনটি ৪ শতাংশ ছাড়ে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯৯৯ রুপিতে পাওয়া যাচ্ছে। ৫১২জিবি ভার্সনে পাওয়া যাচ্ছে ১৭ শতাংশ মূল্যছাড়,ফলে এর দাম এখন ১ লাখ ১৫ হাজার ৯৯৯ রুপি। আইফোন ১৫ প্রো-এর ১টিবি ভার্সন ২২ শতাংশ ছাড়ে ১ লাখ ২৩ হাজার ৯৯৯ রুপিতে অফার করছে ফ্লিপকার্ট। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে অতিরিক্ত মূল্যছাড়ও পাওয়া যাবে, যেমনটা ১৫ প্লাস মডেলে পাওয়া যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, আইফোন ১৫ সিরিজের প্রো ও প্লাস মডেল দুটির ব্যবহারকারীরা অ্যাপলের এআই প্ল্যাটফর্ম ‘অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স’ অ্যাক্সেস করতে পারবেন। ফলে অ্যাপলের নিত্যনতুন এআই ফিচারগুলোও ব্যবহার করতে পারবেন তারা।
তথ্যসূত্র: ফ্লিপকার্ট, ইন্ডিয়া টুডে, লাইভমিন্ট
আরটিভি/এএ
১০০ টাকায় ‘জেন-জি’ সিম বিক্রি বন্ধ করতে যাচ্ছে টেলিটক
১০০ টাকায় ‘জেন-জি’ সিম বিক্রি বন্ধ করতে যাচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর কোম্পানি টেলিটক। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) থেকে এই সিম কিনতে নিয়মিত মূল্য ১৫০ টাকা খরচ করতে হবে গ্রাহকদেরকে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) টেলিটকের ফেসবুক পেজ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ফেসবুকে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১০০ টাকা মূল্যে ‘জেন-জি’ সিম ক্রয় করার আজই শেষ দিন। আগামীকাল (২৪ অক্টোবর) থেকে প্যাকেজটির রেগুলার মূল্য ১৫০ টাকা কার্যকর হবে।
মূলত জুলাই বিপ্লবের আলোচিত শব্দ ‘জেনারেশন জি’ বা ‘জেন-জি’ কে অনুসরণ করে তরুণদের জন্য ‘জেন-জি’ নামে সিম প্যাকেজ বাজারে এনেছে টেলিটক। আনলিমিটেড মেয়াদে ডাটা ও বছর মেয়াদে বান্ডেল অফার পাওয়া যাচ্ছে প্যকেজটিতে। এই সিমের দাম ১৫০ টাকা হলেও প্রথম ৩০ দিন অর্থাৎ এক মাস গ্রাহকরা ৫০ টাকা কমে এই সিম কিনতে পেরেছেন।
টেলিটকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই প্যাকেজে রয়েছে বাজারের সবচেয়ে কম মূল্যে আনলিমিটেড মেয়াদে ডাটা ও বছর মেয়াদে বান্ডেল অফার সুবিধা। আরও রয়েছে ১ সেকেন্ড পালস্, সাশ্রয়ী ভয়েস, ট্যারিফ এবং চাকরিপ্রার্থীদের জন্য ১২ মাসের অল জবস প্রিমিয়াম মেম্বারশিপ সার্ভিসে ফ্রি সুবিধা। নতুন গ্রাহকরা টেলিটক কাস্টমার কেয়ার থেকে এই সিম কিনতে পারবেন। এছাড়াও গুগল প্লে স্টোর থেকে মাই টেলিটক অ্যাপে নিবন্ধন করার মাধ্যমেও ব্যবহারকারীরা জেন-জি প্যাকেজের অফার নিতে পারবেন। পাশাপাশি ফিচার ফোন ব্যবহারকারীরা *১১১# ডায়াল করে এই সুবিধা পাবেন।
আরটিভি/এসএইচএম/এআর
ফোন চুরি ঠেকাতে গুগল আনছে নতুন ফিচার
স্মার্টফোন আমাদের নিত্যসঙ্গী। স্মার্টফোন ব্যবহার করেন না এমন মানুষ কমই আছেন। বিভিন্ন কাজে স্মার্টফোনের ব্যবহার দিনদিন বাড়ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে স্মার্টফোন চুরির ঘটনা। চুরি ঠেকাতে নানা উপায় অবলম্বন করা হয়। কিন্তু কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। স্মার্টফোনে থাকে অসংখ্য ব্যক্তিগত তথ্য। আর তা যদি চোরের হাতে যায় তাহলেই বিপত্তি। ফোন চুরি আটকাতে নানা মুনির নানা মত থাকলেও, খুব একটা সুরাহা পাননি স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা।
তবে এবার স্মার্টফোন চুরি ঠেকাতে নতুন ফিচার আনছে গুগল। যা অন থাকলে কোনো অ্যাপ খুলতে হলে বায়োমেট্রিক পরিচয় জানাতে বাধ্য করবে গুগল ক্রোম। পরিকল্পনা সেরকমই। অর্থাৎ কোনোভাবে চোর বাবাজি যদিও আপনার পিন, প্যাটার্ন কিংবা পাসওয়ার্ড জেনে যায়, তাহলেও লাভ নেই। সে ওই সব স্পর্শকাতর অ্যাপের নাগালই পাবে না। আর সেটা নিশ্চিত করবে অ্যান্ড্রয়েডের ‘আইডেন্টিটি চেক’ ফিচার।
অ্যাপলের ‘স্টোলেন ডিভাইস প্রোটেকশন’কে অনুসরণ করেই ফিচার আনা হচ্ছে অ্যান্ড্রয়েডে। এই ফিচারটিকে সক্রিয় করে রাখলেই তা বাধ্য করবে কোনো অ্যাপ খোলার সময় বায়োমেট্রিক্স ব্যবহার করতে। এমনও হতে পারে সাধারণভাবে ওই অ্যাপ খুলতে পিন, প্যাটার্ন বা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়।
কিন্তু ‘আইডেন্টিটি চেক’ ফিচারটি সক্রিয় থাকলে বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন লাগবেই। গত সপ্তাহেই এই ফিচারটির কথা ঘোষণা করেছে গুগল।
যদি ফোন চোর হাতিয়ে নিয়ে পালাতে যায়, তাহলেও তা ধরে ফেলবে এই ফিচার! ‘মেশিন লার্নিং মডেল’ ব্যবহার করে ফোন যদি বুঝতে পারে চোর দৌড়ে কিংবা গাড়িতে পালাচ্ছে তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ‘ডিটেকশন লক’ মোড অন করে নেবে সেটি।
আরটিভি/এফআই/এআর