ঢাকাসহ দেশের ১৬ অঞ্চলে ঝড়ের আশঙ্কা, নদীবন্দরে সতর্কতা
ঢাকাসহ দেশের ১৬ অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার (২ আগস্ট) ভোর ৫টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়- রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে হতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
সাগরে লঘুচাপ, এমন বৃষ্টি আরও যতদিন
ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ জায়গায় গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এরমধ্যেই উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় দেশজুড়ে চলমান বৃষ্টিপাত আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
এ অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
এ ছাড়া রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হতে পারে।
বর্ধিত পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে।
আরটিভি/আরএ/এআর
আগামী ৭২ ঘণ্টা আবহাওয়া যেমন থাকবে
উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি গুরুত্বহীন হয়ে মৌসুমি অক্ষের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। এ অবস্থায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শনিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
এ অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণও হতে পারে।
এ ছাড়া সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভগের কিছু কিছুজায়গায় এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্রগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে।
বর্ধিত পাঁচ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে বলেও পূর্বাভাসে বলা হয়।
আরটিভি/আরএ-টি
রাতেই যে ১৫ জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস
ঢাকাসহ দেশের ১৫ অঞ্চলের ওপর দিয়ে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দিনগত রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়- পাবনা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চল সমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকাল ৯টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এ ছাড়া একই সময়ে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আরটিভি/আরএ/এসএ
শনিবার আবহাওয়া যেমন থাকবে
দুই বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ছয় বিভাগের দু-এক জায়গায় শনিবার বৃষ্টি হতে পারে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
এ অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এ ছাড়া সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বর্ধিত পাঁচ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বিদায় নিতে পারে।
আরটিভি/আরএ
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’, আঘাত হানতে পারে যেখানে
বঙ্গোপসাগরে ‘ডানা’ নামে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। চলতি মাসের শেষের দিকে এটি সৃষ্টি হতে পারে এবং তা আগামী ২৪ থেকে ২৫ অক্টোবরের মধ্যে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান আবহাওয়ার পূর্বাভাস মডেল থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বেশিরভাগ আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল থেকে জানা যায়, চলতি মাসের ২১ থেকে ২৬ তারিখের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে এটির নাম হবে ‘ডানা’। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার এই নামটি দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়টি আগামী ২৪ থেকে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে উপকূলে আঘাত করতে।
এসব আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল থেকে ঘূর্ণিঝড়টির সৃষ্টির বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত হওয়া গেলেও এটি উপকূলের কোথায় আঘাত হানবে তা এখনও অনিশ্চিত। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য আগামী ২০ অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে ‘ডানা’ বরিশাল বিভাগ ও ভারতের ওড়িশা রাজ্যের মধ্যবর্তী যেকোনো উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত করতে পারে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে ভারতের আবহাওয়াবিষয়ক সরকারি সংস্থা আইএমডি জানিয়েছে, আগামী ২০ অক্টোবরের দিকে উত্তর আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে ২২ অক্টোবরের দিকে মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে।
বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদ নাজমুল হক বলেন, ‘অক্টোবরে এমনিতেই সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের অনুকূল পরিস্থিতি থাকে। ২২ অক্টোবর মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপও হতে পারে। তবে এখনও ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে নিশ্চিত করে বলার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।’
এর আগে আবহাওয়া অফিসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে জানানো হয়েছিল, অক্টোবরে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এর মধ্যে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তবে নিদিষ্ট সময় জানায়নি আবহাওয়া অফিস।
আরটিভি/এসএপি/এআর
যতটা শক্তি নিয়ে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ডানা
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে দেশজুড়ে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনে লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে আভাস মিলেছে। যদি পূর্বাভাস অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হয়, তাহলে নাম হবে ‘ডানা’। আবহাওয়া সংস্থার সতর্কবার্তা অনুসারে, আগামী ২৩ অক্টোবর সাগরে নিম্নচাপ তৈরি হবে। ২৩ বা ২৪ অক্টোবর নাগাদ একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে সেটি।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হলে কোন উপকূলে আঘাত হানতে পারে, সে ব্যাপারেও পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে, সম্ভাব্য গতিপথ হিসেবে বাংলাদেশের বরিশাল ও খুলনা বিভাগ এবং ভারতের ওড়িশা রাজ্যের কথা জানা গেছে।
বলা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়টি যদি বরিশাল এবং খুলনা বিভাগের কোনো উপকূলে আঘাত হানে সে ক্ষেত্রে এর গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার।
অন্যদিকে যদি ভারতের ওড়িশা অভিমুখে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে তাহলে এর বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৩০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার।
সম্প্রতি কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ এক ফেসবুক পোস্টে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলের বরাত দিয়ে বলেন, ২১ থেকে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি কম কিংবা মাঝারি শক্তিসম্পন্ন হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে তা ২৪ বা ২৫ অক্টোবর উপকূলে আঘাত করতে পারে। তবে স্থান-কাল নির্দিষ্ট করে বলতে হলে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন জানান, যে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে, সেটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এখন পর্যন্ত এতটুকু বোঝা যাচ্ছে। সাধারণত ২৪ ঘণ্টা আগে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে ঘূর্ণিঝড়ের আপডেট দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এখন দায়িত্বশীল জায়গা থেকে এই লঘুচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কি না, সেটি নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে, একটা আশঙ্কা রয়েছে।
এর আগে, অক্টোবরের শুরুতে দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানানো হয়েছিল, চলতি মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।
আরটিভি/এসএইচএম-টি
ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ নিয়ে সবশেষ যা জানাল আবহাওয়া অফিস
পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগরে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী সময়ে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রোববার (২০ অক্টোবর) আবহাওয়া অফিসের নিয়মিত পূর্বাভাস থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ রোববার ও আগামীকাল সোমবার সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। একই সঙ্গে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের আগ পর্যন্ত দুইদিন বৃষ্টি কম হতে পারে। এরপর বুধবার থেকে বাড়তে পারে বৃষ্টি।
এ প্রসঙ্গে আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান জানান, লঘুচাপের ফলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে লঘুচাপ সৃষ্টির পর এর গতিপথ কী হবে, কতটা শক্তিশালী হবে তা জানা যাবে।
জানা গেছে, লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নিলে এর নাম হবে ‘ডানা’। নামটি কাতারের দেওয়া।
আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান আবহাওয়ার পূর্বাভাস মডেল থেকে জানা গেছে, আগামী ২৪ থেকে ২৫ অক্টোবরের মধ্যে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’। এ সময় তার গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩০ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে আগামী ২৩ থেকে ২৬ অক্টোবর দেশের বেশিভাগ জেলায় প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে সারাদেশে ৪ থেকে ৫ দিন বৃষ্টিপাত হতে পারে।
এর আগে আবহাওয়া অফিসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে জানানো হয়েছিল, অক্টোবরে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এর মধ্যে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তবে নিদিষ্ট সময় জানায়নি আবহাওয়া অফিস।
আরটিভি/এসএপি/এআর