মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত হলে ধর্ষকদের মধ্যে ভীতি থাকবে: কাদের
ধর্ষণের শাস্তির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজেই উদ্যোগ নিয়েছেন, মৃত্যুদণ্ডই সর্বোচ্চ শাস্তি। আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রী মানুষের চোখের ভাষা, মনের ভাষা ভালো বোঝেন। এটা আজ জনদাবিতে পরিণত হয়েছে। কাজেই আমরা অবশ্যই স্বীকৃতি দেব। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
আজ সোমবার (১২ অক্টোবর) সচিবালয়ে ভারতের নতুন হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে এমন কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন সংক্রান্তে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত হলে এদের মধ্যে একটা ভীতিও থাকতে পারে। এই সহিংসতা ও ধর্ষণ বন্ধ করতে হলে এ ধরনের কঠোর আইন প্রয়োগের প্রয়োজন রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ
আগামীকাল অধ্যাদেশ জারি করা হবে: আইনমন্ত্রী
মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত হলে ধর্ষকদের মধ্যে ভীতি থাকবে: কাদের
কুষ্টিয়ায় করোনা রোগীদের পাশে ছাত্রলীগ (ভিডিও)
আজ সোমবার (১২ অক্টোবর) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে, সংশোধিত নারী ও শিশুনির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড করে সংশোধিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আগামীকাল মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশে জারি করা হবে।
উল্লেখ্য, গেল মাসের (সেপ্টেম্বরের) ২৫ তারিখে সিলেট নগরীর টিলাগড় এলাকায় এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া এক তরুণীকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠে ওই কলেজের ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে। এরপরই নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে উলঙ্গ করে নারী নির্যাতনের ঘটনার ৩২ দিন পর গেল ৪ অক্টোবর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে দেশব্যাপী ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সেসব আন্দোলন থেকে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবনের পরিবর্তে মৃত্যদণ্ডের দাবি ওঠে। এরই প্রেক্ষিতে গেল ৮ অক্টোবর আইনমন্ত্রী জানান, জনগণের দাবির মুখে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার বিষয়টি বিবেচনা করছে সরকার।
কেএফ/পি
মন্তব্য করুন