বিএনপির অসহযোগ আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে এবার একই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ১২ দলীয় জোট।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক যুক্ত বিবৃতিতে জানানো হয়, সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং খালেদা জিয়াসহ সব বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে ‘অসহযোগ আন্দোলন’ ও আগামী ২১, ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর গণসংযোগ এবং ২৪ ডিসেম্বর দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ পালন করা হবে।
-
আরও পড়ুন: টানা ৪ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যে সরকার জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ করে ভোট ও ভাতের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। যে সরকার আপনার-আমার ভাই ও সহকর্মীদের গুম-খুন করে অগণিত পরিবার পরিজনদের এতিম বানিয়েছে। এখন আপনার ও আমার ঈমানি দায়িত্ব দেশ বাঁচাতে সেই শেখ হাসিনা সরকারকে অসহযোগিতা করুন।
এর আগে, বুধবার দুপুরে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয় বিএনপি। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোটগ্রহণে নিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। নির্বাচনের নামে বানর খেলায় যাবেন না। ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। নির্বাচনে কারা এমপি হবেন সেই তালিকা তৈরি হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ করছি। ব্যাংক খাতের মাধ্যমে সরকার সবচেয়ে বেশি অর্থ লুটপাট করেছে। ফলে ব্যাংকে টাকা জমা রাখা নিরাপদ কিনা সেটি ভাবুন।
এর পাশাপাশি মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় অভিযুক্ত ‘লক্ষ লক্ষ রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকে’ আজ থেকে আদালতে হাজিরা দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বানও জানান রিজভী।
উল্লেখ্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সাত জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
-
আরও পড়ুন : জাপার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা বৃহস্পতিবার
এ ছাড়া মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ছিল ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত, মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তির সময় ছিল ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দের সময় ছিল ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়েছে ১৮ ডিসেম্বর থেকে, চলবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত।