‘ভোটের জন্য অনেক কিছুই বলে তারা’
দেশজুড়ে বাজছে নির্বাচনী ডামাডোল। চারদিকে সাজসাজ রব। মিটিং-মিছিলে নির্বাচনী উৎসবের মধ্য দিয়ে চলছে প্রার্থীদের প্রচার। তবে এবারের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী ও শরিক দলগুলো অংশ নিলেও ভোটের মাঠে নেই বিএনপি।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে সম্মানজনক কর্মসংস্থান, মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার পাশাপাশি উন্নত স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় প্রতিশ্রুতিশীল প্রার্থীদের ভোট দিতে চায় তরুণরা। তাদের দাবি, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সমাজের ইতিবাচক চিন্তার প্রভাব বাড়াতে প্রার্থীদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া উচিত।
বর্তমানে দেশে মোট ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১২ কোটি। এর মধ্যে গত পাঁচ বছরে নতুন ভোটার হয়েছেন দেড় কোটির বেশি। এদের বেশির ভাগই শিক্ষার্থী। আগামী জাতীয় নির্বাচনে কেমন জনপ্রতিনিধি চান তারা। প্রতিবেদনে শিক্ষার্থীদের ভাবনার কথা তুলে ধরা হলো-
তরুণ এক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, ভোট পাওয়ার জন্য অনেক প্রার্থী অনেক কিছু বলে, পরে আর সেগুলা রাখে না। আমি চাই এমন কেউ আসুক যে, শুধু প্রতিজ্ঞার সীমাবদ্ধ থাকবে না, সেটা পূরণও করবে।
শিক্ষার্থীদের কেউ বলছেন, আমাদের যে সমস্যাগুলো রয়েছে, আমি অবশ্যই এমন একজন জনপ্রতিনিধি চাইবো যে, আমাদের হয়ে কাজ করবে।
আবার কেউ বলছেন, বর্তমানের আমাদের দেশে কর্মসংস্থানের অভাব রয়েছে। আমি এমন একজন জনপ্রতিনিধি চাইবো যে কিনা বেকারদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে।
‘গ্রামাঞ্চলে মাদকের বেশ প্রসার ঘটেছে। আমি চাইবো আমাদের যে প্রতিনিধি হবেন তিনি যেনো এটা ভালোভাবে নির্মূল করতে পারেন। যোগ করেন এক শিক্ষার্থী।’
আবার কেউ বলছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমরা একজন স্মার্ট জনপ্রতিনিধি চাই।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. মেজবাহ কামাল বলেছেন, জনপ্রতিনিধি হয়ে যে ক্ষমতা তারা পাবেন সেটা নিজের স্বার্থে ব্যবহার করবে, দেশ ও সমাজের জন্য নয় এমন মানুষকে ভোট দিয়ে কি লাভ। এমন একজনকে নির্বাচন করতে হবে যে দেশের জন্য নীতি নির্ধারণের ভূমিকা রাখবে।
মন্তব্য করুন