২৮ অক্টোবর থেকে নাশকতায় ১৩ জন নিহত : প্রধানমন্ত্রী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে গত বছরের ২৮ অক্টোবর থেকে বিএনপি-জামায়াতের নাশকতায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলোর হরতাল-অবরোধে নাশকতায় ড্রাইভার, হেলপার, পুলিশ, বিজিবি, শ্রমিক, মুক্তিযোদ্ধাসহ বহু লোক নিহত হয়েছেন, আহত ও পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। বিএনপি ক্যাডাররা অসংখ্য যানবাহন জ্বালিয়ে দিয়েছে। হরতাল-অবরোধের নামে নাশকতার ঘটনায় সারাদেশে ১৩ জন নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে ট্রেনে নাশকতার ঘটনায় নিহত হয়েছেন নয়জন। বিজিবির দুইজন আহত হয়েছেন এবং একটি রিকুইজিশন করা যানবাহনের ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন জেলায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪৫ জন সদস্য আহত হয়েছেন। বিআরটিসি বাস ডিপোর বাস রক্ষা করতে গিয়ে এক আনসার সদস্য ইট পাটকেলের আঘাতে আহত হন। দুই আনসার সদস্য হোসেন আলী ও সুমন আলী বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের হামলায় গুরুতর আহত হন। তাদের বাহিনীর পক্ষ থেকে চিকিৎসা সেবা ও আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সহিংস কর্মসূচির মাধ্যমে সারাদেশে ছয় শতাধিক যানবাহনে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এর মধ্যে ১৮৪টি যাত্রীবাহী বাস, ৪৮টি ট্রাক, ২৮টি কাভার্ড ভ্যান বা মালবাহী লরি বা কনটেইনার, তিনটি সিএনজি, চারটি প্রাইভেট কার ও ১১টি পিকআপ ভ্যান রয়েছে। পাঁচটি ট্রেন হলো- যমুনা এক্সপ্রেস: ঢাকা কমিউটার, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, বেনাপোল এক্সপ্রেস ও টাঙ্গাইল কমিউটার। এ ছাড়া রয়েছে ১৫টি মোটরসাইকেল, তিনটি লেগুনা, একটি ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিস (মধ্যরামপুরা, ফেনী) ও একটি অটোরিকশা। এ ছাড়া একটি উচ্চ বিদ্যালয়, ১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চারটি বসতঘর, একটি বৌদ্ধ মন্দির একটি নৌকাসহ সর্বমোট ৩২৮টি যানবাহন ও প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
তিনি জানান, অগ্নি-সন্ত্রাস, নাশকতা এবং অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড প্রভৃতি অপরাধে জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য দেশে দক্ষ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী, বিচার ব্যবস্থা ও প্রচলিত আইন রয়েছে। হরতাল ও অবরোধের নামে নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন আইনি কার্যক্রম চলমান।
মন্তব্য করুন