সেন্টমার্টিন ইস্যুতে খেপলেন জি এম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের বলেছেন, তারা (মিয়ানমার) আমাদের অভ্যন্তরে আসার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশের ভূমি দখলের চেষ্টা চললেও সরকারের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই।
শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলতে গিয়ে খেপে যান তিনি।
দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এমন বাড়াবাড়িতে আমরা নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনীর কোনো ভূমিকা দেখছি না। এখন মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এটা সত্যিই দুঃখজনক।
এ সময় তিনি জানতে চান, সরকারের এ বিষয়ে কোনো দায়বদ্ধতা আছে কি না। মিয়ানমার ইস্যুতে আমরা সত্যিকার অর্থেই উদ্বিগ্ন।
জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা আরও বলেন, এর আগে, মিয়ানমার প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছিল এবং সরকার উদারতা দেখিয়ে তাদের গ্রহণ করেছিল। রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসা ঠেকাতে সরকারের একটু চেষ্টা করা উচিত ছিল। জনবহুল দেশ হওয়া সত্ত্বেও আমরা তাদের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছি। দীর্ঘদিন ধরেই শোনা যাচ্ছে সেন্টমার্টিন দ্বীপ মিয়ানমার দখল করে নেবে। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সরকার কী করবে জানি না।
বিষয়টি নিয়ে সংসদের ভেতরে ও বাইরে সরকারের কথা বলা উচিত বলে মনে করেন এই নেতা। আশ্বাস দেন যে তিনি সেন্টমার্টিন দ্বীপের নিরাপত্তার বিষয়টি সংসদে তুলবেন।
এদিকে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে সেনাবাহিনীর কঠোর নজরদারি রয়েছে। পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। ভবিষ্যতে দেশে যদি আক্রমণ হয়, সেক্ষেত্রে প্রতিহত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যে প্রস্তুত সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। বর্ডার ভায়োলেশন, যেমন রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ওইখানে কোস্টগার্ড ও বিজিবি রয়েছে। তারা বিষয়টি সম্পূর্ণ তদারকি করছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থাও নিচ্ছে।
আমরা প্রস্তুত আছি, যদি লেভেল ক্লোজ করে তাহলে সমুচিত ব্যবস্থা আমরা নেব যোগ করেন সেনাপ্রধান।
মন্তব্য করুন