খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম।
রোববার (১৪ জুলাই) তিনি এ তথ্য জানান।
ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে। প্রতিবারই তাকে হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে নিয়ে আসতে হচ্ছে, এটি খুবই উদ্বেগজনক। এবার হাসপাতালে ভর্তির পর তার অবস্থা আরও আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে।
গত শুক্রবার (১২ জুলাই) রাত থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের লিভারের সমস্যা বেড়েছে, যাকে আশঙ্কাজনক বলছেন চিকিৎসকরা। তারা জানান, গত চার দিনে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি, বরং দিনে দিনে অবনতি হচ্ছে। তার হার্ট ও লিভারসহ শারীরিক অন্য প্যারামিটার বেশ অস্বাভাবিক। মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা নানাভাবে চিকিৎসা অব্যাহত রেখেছেন।
গত ৭ জুলাই দিবাগত রাতে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে জরুরি ভিত্তিতে সোমবার (৮ জুলাই) ভোর ৪টা ৪৫ মিনিটে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
প্রসঙ্গত, ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস এবং হৃদরোগ ছাড়াও ফুসফুস, লিভার ও কিডনি সংক্রান্ত বিভিন্ন জটিল রোগে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ২০২১ সালের এপ্রিলে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েকবার অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে তাকে। ইদানীং তার শারীরিক অবস্থার ঘন ঘন পরিবর্তন ঘটছে।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা নিয়ে কারাগারে গিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ওই বছরের অক্টোবরে হাইকোর্টে আপিল শুনানি শেষে সাজা বেড়ে হয় ১০ বছর। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও আরও সাত বছরের সাজা হয় বিএনপি নেত্রীর। তিনি তখনও পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের কারাগারে ছিলেন।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করেন ছয় মাসের জন্য। ওই বছরের ২৫ মার্চ মুক্তি পাওয়ার পর থেকে গুলশানে নিজ বাড়িতে রয়েছেন খালেদা জিয়া।
মন্তব্য করুন