নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন খালেদা জিয়া: এনডিটিভিকে ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যদি শারীরিকভাবে সুস্থ থাকেন তাহলে খালেদা জিয়া আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবেন।
শনিবার (১০ আগস্ট) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি অনলাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে পারলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করবে। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণের যেসব ঘটনা ঘটেছে তা কিছু লোকের পরিস্থিতির সুযোগ নেওয়ার চেষ্টার ফল। এসব হামলা কোনো ‘পরিকল্পিত এজেন্ডা’র অংশ নয়। এ ছাড়া সম্প্রতি শেখ হাসিনার পতনের যে আন্দোলন হয়েছে সেটির সঙ্গে উগ্রবাদী কোনো সংগঠনের সংশ্লিষ্টতাও নেই।
খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে ফখরুল বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) খুবই অসুস্থ। হাসপাতালে আছেন। তিনি মাল্টিডিসপ্লিনারি রোগে ভুগছেন। দেশে তার ভালো চিকিৎসা হচ্ছিল না। আমরা আদালত এবং সরকারকে বারবার অনুরোধ করেছিলাম উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যেন বিদেশে পাঠানো হয়। কিন্তু সেটি হয়নি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন এখন বিদেশ যাওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা তার নেই। তাকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। তিনি যদি শারীরিককভাবে ফিট থাকেন তাহলে অবশ্যই নির্বাচনে অংশ নেবেন।
মির্জা ফখরুল জানান, তার দল নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তবে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে সময় লাগবে। কারণ শেখ হাসিনার সরকারের সময় নির্বাচনী কাঠামো কার্যত ভেঙে দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থা দূষিত হয়ে গেছে এবং এটি এখন একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের অবস্থানে নেই। এ কারণে তাদের নির্বাচনী ব্যবস্থায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে।
শুক্রবার রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় দাবি করেছিলেন, তার মা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেননি। তাকে বন্দুকের মুখে অপসারণ করা হয়েছিল।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক দল এবং সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি নিজে বলেছেন তিনি পদত্যাগ করেছেন। এটি কোনো জবরদস্তি ছিল না… বিপ্লব ছিল। যখন লাখ লাখ মানুষ শেখ হাসিনার বাড়ির দিকে আসছিল; তার নিরাপত্তা বাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনী বলেছে তার সামনে দুটি অপশন রয়েছে: এখানে থাকুন মানুষের রোষে পড়ুন। আর নয় দেশ ছাড়ুন। তিনি দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগে বাধ্য করার ব্যাপারে বিএনপির এই নেতা বলেছেন, তিনি শেখ হাসিনার স্বৈরাচার সরকারের অন্যতম সহযোগী ছিলেন। এ কারণে তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন