‘দেশবাসী আ.লীগকে নিষিদ্ধ করতে চাইলে একাত্মতা পোষণ করবে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম জানিয়েছেন, গণহত্যার দায়ে দেশের মানুষ যদি আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে চায়, তবে সে দাবিতে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা একাত্মতা প্রকাশ করবে।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সপ্তাহব্যাপী ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর শাহবাগে কেন্দ্রীয় জমায়েত কর্মসূচি পালনকালে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
সারজিস আলম বলেন, ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ স্বৈরাচারের যারা দোসর ছিল সেসব দুষ্কৃতকারীরা নতুন একটি গণঅভ্যুত্থান করে বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারা করছে। এটি কখনো হতে দেওয়া হবে না। ছাত্র সমাজ মাঠে আছে, থাকবে।
এ সময় পাল্টা গণঅভ্যুত্থান করলে তাদের আর কোনো অস্তিত্ব থাকবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
চার দফা দাবিতে সপ্তাহব্যাপী ঘোষিত ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে চার দফা দাবি জানিয়েছি। এসব দাবি বাস্তবায়নে কালবিলম্ব করলে গদি থেকে নামানোর মতো কৌশল শিক্ষার্থীদের জানা আছে বলেও হুঁশিয়ারি দেন সার্জিস আলম।
প্রথম দাবি: ফ্যাসিবাদী কাঠামো ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দল ও সরকার যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।
দ্বিতীয় দাবি: সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী মহাজোটের শরিক দলগুলোর পরিকল্পিত হত্যা, ডাকাতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার চেষ্টায় অংশগ্রহণকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে।
তিন নম্বর দাবি: প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলা, মামলা ও হত্যাকাণ্ডকে বৈধতা দিয়েছেন এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বারবার কায়েমের চেষ্টা করছেন, তাদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
চার নম্বর দাবি: প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছেন, তাদের সবার জন্য ন্যায্যতার ভিত্তিতে সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।’
এর আগে, মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) চার দফা দাবিতে ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচির ডাক দিয়ে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর অংশ হিসেবে ওইদিন ঢাকাসহ সারাদেশে রোডমার্চ কর্মসূচি ছাড়াও আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে দোয়া ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। সবশেষ আজ পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল ১০টায় শাহবাগে কেন্দ্রীয় জমায়েতে অংশ নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
মন্তব্য করুন