জোটসঙ্গীদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক অনুষ্ঠিত
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জোটসঙ্গীদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে বিএনপি।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গুলশান বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ন্যাপ ভাসানী এবং বাংলাদেশ পিপলস পার্টির সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও লিয়াজোঁ কমটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে বৈঠকে দলটির লিয়াজোঁ কমিটি ও দলটির ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু অংশ নেন।
প্রথম ধাপে ন্যাপ ভাসানীর সঙ্গে এ বৈঠক হয়। এতে দলটির চেয়ারম্যান মো. আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে ১২ সদস্যদের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।
এরপর বাংলাদেশ পিপলস পার্টির সঙ্গে বৈঠক হয়। এতে দলটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বাবুল সরদার চাখারীর নেতৃত্বে ১২ সদস্যদের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।
মন্তব্য করুন
টানা ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি টানা ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ৭ নভেম্বরের ইতিহাস তরুণ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে এই কর্মসূচি ঘোষণা দেয় দলটি।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এর আগে, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে তিনি জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ নভেম্বরের সঠিক ইতিহাস জনগণের সামনে নিয়ে আসতে হবে। যারা গত ১৫ বছরে বিকৃত ইতিহাস পেয়েছে তাদের সামনে সেই সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্যই এবার আমরা এই দিনটি গুরুত্বসহকারে পালন করব।
এ সময় তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে দেশ আংশিক ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে, পুরোপুরি ফ্যাসিবাদ মুক্ত হতে সুষ্ঠু নির্বাচন জরুরি।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর সংঘটিত সিপাহী-জনতা বিপ্লবের স্মরণে দিনটিকে মূলত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কর্নেল (অব.) আবু তাহেরের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থান জেনারেল খালেদ মোশাররফের ৩ দিনব্যাপী সামরিক অভ্যুত্থানের পতন ঘটায়। এই বিপ্লবের ফলশ্রুতিতে জেনারেল জিয়াউর রহমান বন্দিদশা থেকে মুক্তি পান, এবং পরবর্তীতে ক্ষমতায় আসেন।
আরটিভি/একে-টি
ভালোবাসা ও সম্মানের জায়গাটা নষ্ট করবেন না, ড. ইউনূসকে ফখরুল
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের মানুষ আপনাকে ভালোবাসে ও সম্মান করে সেটা যেন নষ্ট না হয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখবেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টন কার্যালয়ে দলের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, সরকারের নেতৃত্বে যিনি আছেন তিনি সারা পৃথিবীতে সমাদৃত। ড. ইউনূসের কাছে বলতে চাই বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে ভালোবাসে। সম্মান দিয়েছে, দেবে ও দিতে চায়। আপনার এই জায়গা যেন নষ্ট না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখবেন।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, অন্য বিষয়ে নজর না দিয়ে ফোকাসটা ওই (নির্বাচন) দিকে করবেন। এটার কোনো বিকল্প নেই। রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকতে হলে, জাতি হিসেবে এগিয়ে যেতে হলে সবার অংশগ্রহণে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে। সে কারণেই এতো প্রাণ গেছে। এতো মানুষ দীর্ঘকাল সংগ্রাম করেছে, কারাগারে গেছে।
অন্তর্বর্তী সরকার একদম কিছু করেনি (নির্বাচনের বিষয়ে) সেটিও সঠিক নয় বলেই মনে করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সর্বশেষ একটা সার্চ কমিটি গঠন করেছে। আমাদের প্রত্যাশা ছিল সার্চ কমিটি গঠনের আগে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন। তারপরেও এটাকে আমরা বড় সমস্যা মনে করছি না। দ্রুত নির্বাচন কমিশন হোক। এরপর দ্রুততার সঙ্গে তাদের যে কাজ নির্বাচন করা সেটি তারা করুক।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা একটা জটিল সময় পার করছি। যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়নি। চক্রান্ত শেষ হয়নি। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ফ্যাসিস্টরা এখনো সক্রিয়। শুধু ব্যক্তির পরিবর্তন করে পুরো কাঠামোর পরিবর্তন করা যায় না। সেটার জন্য সময়ের প্রয়োজন হয়।
আরটিভি/একে/এসএ
ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অফিস খোলা যাবে না: হেফাজতে ইসলাম
ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস খুলতে দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) হেফাজত থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক এক বিবৃতিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে এ আহ্বান জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দেশে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আমলজুড়ে অজস্র মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছিল। গুম-খুন ছাড়াও বিশেষত বিডিআর হত্যা, শাপলা চত্বরের গণহত্যার পরেও নির্বিঘ্নে স্বৈরাচারী শাসন কায়েম রাখতে পেরেছিল হাসিনা। পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ থাকা সত্ত্বেও হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে কোনো উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিতে পারেনি জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন। উল্টো গত বছরের নভেম্বরে জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দুর্নীতিগ্রস্ত কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে সমস্ত প্রতিবাদ উপেক্ষা করে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাই এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কাগুজে মানবাধিকার সংস্থার অফিস ঢাকায় হোক তা দেশের জনগণ চায় না।
‘জাতিসংঘের মানবাধিকার পলিসিতে এলজিবিটিকিউ তথা সমকামীদের অধিকারের বিষয়টি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত। কিন্তু বাংলাদেশ মুসলিম-অধ্যুষিত রাষ্ট্র হওয়ায় এদেশে সমকামিতা শুধু ধর্মীয় ও সামাজিকভাবে নিষিদ্ধই নয়, রাষ্ট্রীয় আইনেও দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ছাড়াও উত্তরাধিকার সম্পত্তি বণ্টনে তাদের নারী-পুরুষ সমানাধিকার ও সর্বজনীন যৌনশিক্ষার ইস্যুগুলো ইসলামের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক। পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে খ্রিস্টান রাজ্য বানানোর আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রও উদ্বেগের বিষয়।’
হেফাজতে ইসলাম আরও জানায়, সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রামে যে সন্ত্রাসবাদ, অশান্তির দাবানল সৃষ্টি করেছে তা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল। এমনকি পার্বত্য চট্টগ্রামে ৩৮ হাজার বাঙালি হত্যার দায় ও সব ঘটনার দায় অবশ্যই সন্ত্রাসীদের নিতে হবে। কিন্তু জাতিসংঘ তাদের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে সন্ত্রাসীদের পক্ষে বক্তব্য বিবৃতি দিয়েছেন। ফলে ঢাকায় তাদের অফিস খুলতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত চরম আত্মঘাতী হবে। নতুন করে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি হোক এবং তাতে অন্তর্বর্তী সরকার আরও দুর্বল হয়ে পড়ুক তা আমরা চাই না।
‘আমরা পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীদের নিয়ন্ত্রণাধীন জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের অফিস এদেশে খুলতে দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানাচ্ছি। গত কয়েক যুগ ধরে একের পর এক মুসলিম দেশে রুশ ও মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নেতৃত্বে বোমাবর্ষণ, গণহত্যা, আগ্রাসন, লুটপাট ও নজিরবিহীন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। অথচ জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ সেসবের কিছুই ঠেকাতে পারেনি।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দশকের পর দশক বিনা বাধায় ফিলিস্তিনে ইসরাইলের গণহত্যা ও দখলবাজি চলমান এবং কাশ্মিরে ভারত কর্তৃক মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়মিত ঘটনা ঘটছে। এমনকি সাম্রাজ্যবাদীদের আগ্রাসনকবলিত ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন, লিবিয়া ও লেবাননসহ অসংখ্য মুসলিম দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতেও চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে সংস্থাটি। তাই দেশের স্বার্থে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সভ্যতা সংস্কৃতি অক্ষুণ্ন রাখার জন্য জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের অফিস খুলতে দেয়া যাবে না।
আরটিভি/আরএ/এসএ
শেখ হাসিনা নির্বাচনে যেতে ফোন করেছিলেন, প্রস্তাব ছিল ১২ কোটি: নুর
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর জানিয়েছেন, গত নির্বাচনে অংশ নিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে টেলিফোন করেছিলেন এবং ১২ কোটি টাকার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে পটুয়াখালী গণঅধিকার পরিষদ কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।
নুরুল হক নুর জানান, নির্বাচনে অংশ নিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে টেলিফোন করে আমাদের নির্বাচনে যেতে অনুরোধ করেছিলেন। এমনকি ১২ কোটি টাকার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি। ওষুধের কার্টনে করে টাকা নিয়ে আসা হয়েছিল। কিন্তু তিনি নিজের বিবেককে বিক্রি করে দেননি।
তিনি বলেন, তিনি অনুরোধ করে আমাদের গণভবনে নিয়ে গেছেন। গণভবনে গিয়ে আমরা মাথা বিক্রি করে দিইনি, বিবেক বিক্রি করে দিইনি। শেখ হাসিনার টেলিফোনে, ডিজিএফআই, এনএসআইয়ের চাপ; এরপর ওষুধের কার্টনে করে ১২ কোটি টাকা নিয়ে এসেছিল।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, আমরা যদি বিক্রি হয়ে যাই, তাহলে মানুষ হতাশ হবে। এই দেশে আর কিছু হবে না। যে কারণেই স্রোতের বিপরীতে প্রতিকূল সময়ে আপসহীন থেকে পট পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে গেছি।
তিনি বলেন, পটুয়াখালীর মতো দেশের বিভিন্ন এলাকায় দু-একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের উৎপাত শুরু হয়েছে। তারা বিভিন্ন জনকে হামলার হুমকি দিচ্ছেন। সাংবাদিকদের হয়রানি করছেন, ঢালাওভাবে আওয়ামী লীগের ট্যাগ দিচ্ছেন। মামলা বাণিজ্য শুরু হয়েছে। আন্দোলন করলো ছাত্র-জনতা আর এরা শুরু করেছে হামলা-মামলা, মিষ্টি খাওয়ার ব্যবসা। এরা যে মাথা গজিয়েছে, তা এখনই ভেঙে দিতে হবে।
সভায় গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম ফাহিম, জেলা সভাপতি নজরুল ইসলাম লিটু, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলমসহ গণঅধিকার পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, সাংগঠনিক সফরে গত তিন দিন ধরে পটুয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলায় সমাবেশ করছেন নুরুল হক নুর।
আরটিভি/এসএপি/এসএ
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া
রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় জাতীয় পার্টি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ৭টার দিকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে পেটান এবং ধাওয়া দেন পার্টির নেতাকর্মীরা।
পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে শিক্ষার্থীরা ওই এলাকায় জড়ো হলে সেখানে জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়ায় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে সরে যান।
ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন রশিদ বলেন, সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতাকে নিয়ে মিছিল শুরু করি। বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কির সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে মিছিল শেষ হওয়ার কথা। তবে মিছিলটি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় দপ্তরের সামনে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উপর্যুপরি আক্রমণ করা হয়। আমাদের প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে হাসান আল মামুন বলেন, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় দপ্তরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের আগে থেকেই অবস্থান ছিল। মিছিলটি আসার সঙ্গে সঙ্গে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে। তাদের সঙ্গে যোগ দেন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। পরে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা এক হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
অন্যদিকে আগুন নেভাতে সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এলে ছাত্রদের বাধার মুখে পড়ে। কয়েক মিনিট পরে পুলিশের সহায়তায় আগুন নেভান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়ে জানান, জাতীয় বেইমান এই জাতীয় পার্টি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিজয়নগরে আমাদের ভাইদের পিটিয়েছে, অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। এবার এই জাতীয় বেইমানদের উৎখাত নিশ্চিত।
এরপর সার্জিস আলমও ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জাতীয় পার্টিকে নিশ্চিহ্ন করার কথা জানান। তিনি পোস্টে লেখেন, জাতীয় পার্টি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিজয়নগরে আমাদের ভাইদের আঘাত করেছে,অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল নিয়ে আমরা বিজয়নগরে যাচ্ছি। জাতীয় বেইমানদের নিশ্চিহ্ন করতে হবে।
প্রথমে বিজয় নগর অভিমুখে রওনা দেওয়ার কথা সাড়ে ৭টায় বললেও পরে তারা জানায় সাড়ে ৮টায় রওনা হবেন।
আরটিভি/এআর
ছাত্র-জনতার বিপ্লব বাস্তবায়নে জাপার সাংগঠনিক সম্পাদকের পদত্যাগ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার বিপ্লব বাস্তবায়নে পদত্যাগ করলেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাফিউল ইসলাম শাফি।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রংপুর নগরীর দর্শনা এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করে দলটির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় সব পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে শাফি বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার বিপ্লব বাস্তবায়ন করতে গেলে রাজনীতিতে থেকে কাজ করা সম্ভব নয়। তাই ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে এগিয়ে নিতে জাতীয় পার্টির সব পদ ও পদবী থেকে পদত্যাগ করছি।’
তিনি বলেন, ‘বিগত সময়ে জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকে অনেক মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি। জুলাই গণঅভ্যুত্থান পূর্ববর্তী সময়েও ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালেও একটি মামলা হয়েছে আমার নামে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থা বেশি ভালো না। তাই সংবাদ সম্মেলনে রাজনৈতিক দল থেকে সরে এসে নিরপেক্ষভাবে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার কথা চিন্তা করছি।’
জানা গেছে, শাফি দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এর আগে ছাত্র অবস্থায় রংপুরে ছাত্রশিবিরের রাজনীতিতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শাফি।
শাফিউল ইসলাম শাফির পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট ও রংপুর মহানগর সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াছির বলেন, ‘শাফি পদত্যাগ করেছে এবিষয়ে আমাদের জানা নেই। তার পদত্যাগপত্র এখনো আমরা হাতে পাইনি। তিনি ছাত্র জীবনে ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার নামে একাধিক মামলাও ছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এসব মামলা থেকে নিজেকে বাঁচতে দলের সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের কাছে মিনতি করে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন।’
আরটিভি/এসএপি/এআর
এবার জাপা চেয়ারম্যানের উপদেষ্টার পদত্যাগ
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাফিউল ইসলাম শাফির পর এবার দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের উপদেষ্টা সাজ্জাদ রশিদ পদত্যাগ করেছেন।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে সাজ্জাদ রশিদ উল্লেখ করেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা এবং চাঁদপুর জেলার সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। পতিত সরকারের বৈষম্যমূলক নানা আচরণের বিরুদ্ধে সর্বদা অবস্থান গ্রহণ করেছি। কিন্তু জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এবং জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর দলীয় পক্ষপাতমূলক ও বৈষম্যমূলক কার্যক্রম, পরস্পরবিরোধী ও অসঙ্গতিপূর্ণ রাজনৈতিক নীতিহীন সিদ্ধান্তের প্রতি অনাস্থা ব্যক্ত করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা এবং চাঁদপুর জেলা সহ-সভাপতিসহ সকল পদ-পদবী থেকে অব্যাহতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, আমার সঙ্গে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার জাতীয় যুব সংহতি এবং জাতীয় ছাত্র সমাজের চার শতাধিক নেতাকর্মী জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য অঙ্গ সংগঠন থেকে পদত্যাগ করবে।
এর আগে এদিন সন্ধ্যায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার বিপ্লব বাস্তবায়ন করতে পদত্যাগ করেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাফিউল ইসলাম শাফি।
আরটিভি/এসএপি