মির্জা ফখরুলের নামে ভুয়া ডিও লেটার, যা জানাল বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নামে ভুয়া ডিও লেটার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দলটি।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দলটির সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে জ্ঞাত হয়েছি যে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নামে বানোয়াট ডিও লেটার তৈরি করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে প্রদান করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণরুপে মিথ্যা, বানোয়াট ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এতে আরও বলা হয়, সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য। যেসব মন্ত্রণালয়ে এ ধরনের ডিও লেটার পাওয়া যাবে সেই মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
আরটিভি/এসএপি
মন্তব্য করুন
ড. ইউনূসের সঙ্গে সংলাপ, বিএনপির যেসব নেতা থাকবেন
জাতীয় ঐক্য গঠনে ছাত্রনেতাদের পর এবার দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসতে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সব ঠিক থাকলে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিএনপির পাঁচ নেতা অংশ নেবেন।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সংলাপের আহ্বান করেছেন। তার ডাকে বুধবার বিকেল ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সংলাপ যাবেন বিএনপির পাঁচজন নেতা।
শায়রুল কবির খান আরও বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপির ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদলে থাকবেন ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
এর আগে, আজ সন্ধ্যায় ছাত্রনেতাদের সঙ্গে সংলাপে বসেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরাও সরকারের অংশ। দেশের মানুষ তোমাদের ওপর ভরসা করে। এই বিশ্বাস ধরে রেখো। হাতছাড়া করো না। আন্দোলনের মাধ্যমে একটি বিজয় অর্জন করেছো, আরেক বিজয় আসবে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, তোমরা কখনোই আশাহত হবে না। তোমরা অসম্ভবকে সম্ভব করেছো। দেশ বদলে ফেলেছো। তোমরাই পারবে। মানুষের আশা তোমাদের পূরণ করতে হবে। অন্তত সে পথে তোমাদের অগ্রসর হতে হবে।
আরটিভি/আইএম
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা, ফিরে গেলেন অলি
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে জাতীয় ঐক্য গড়ার লক্ষ্যে বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এতে অংশ নিতে গিয়েও আমন্ত্রিতদের তালিকায় নাম না থাকায় ফিরে গেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমদ।
এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত) সালাহ উদ্দীন রাজ্জাক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ফরেন সার্ভিস একাডেমির সামনে থেকে ফেরত যান অলি আহমদ। এদিন বিকেল সোয়া চারটার পর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৈঠক শুরু হয়।
এলডিপির একজন নেতা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, স্যারের (অলি আহমদ) সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টা তাকে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে যেতে বলেছিলেন। সে মোতাবেক তিনি সেখানে পৌঁছান। কিন্তু প্রবেশপথে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন সেখানে তার নাম সেখানে নেই। পরে তিনি ফেরত গেছেন।
এর আগে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিতে বিএনপি, জামায়াতসহ গণসংহতি আন্দোলন, বাসদ, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এনডিএম, এবি পার্টি ও খেলাফত মসলিসের প্রতিনিধিরা ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে যান।
গতকাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, জাতীয় ঐক্যের ডাক দিতে রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠন ও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এর ধারাবাহিকতায় আজ (বুধবার) রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে।
মঙ্গলবার রাতে ড. ইউনূস বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আজ বসেছেন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে। আগামীকাল ধর্মীয় সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে বসবেন তিনি।
আরটিভি/একে
অলি আহমদ বৈঠকে অংশ নিতে না পারায় যা বললেন জামায়াত আমির
জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার পর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নিতে গিয়ে আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকায় নাম না থাকায় ফিরে গেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম।
এদিকে বৈঠকে আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকায় অলি আহমদের নাম না থাকা নিয়ে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি মন্তব্য করেন।
জামায়াত আমির লিখেছেন, এলডিপি চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ড. অলি আহমদ বীরবিক্রম গতকাল (৪ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক দলসমূহের জাতীয় নেতৃবৃন্দের সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে সম্মানজনকভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি না হওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক। ভবিষ্যতে এসব ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আরও আন্তরিক হবেন আমরা আশা করি।
সর্বদলীয় এই বৈঠকে অংশ নেয় বিএনপি ও জামায়াতসহ বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এই বৈঠক শেষ হয়। তবে বৈঠকে আওয়ামী বা সমমনা কোনো দলই আমন্ত্রণ পায়নি।
আরটিভি/একে-টি
স্ত্রীর ভারতীয় শাড়ি রাস্তায় ফেলে আগুন দিলেন রিজভী
ত্রিপুরায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও ভারতের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশের পতাকা অবমাননার প্রতিবাদে স্ত্রীর ভারতীয় শাড়ি রাস্তায় ফেলে আগুনে পুড়িয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘দেশীয় পণ্য, কিনে হও ধন্য’ শিরোনামে একটি সভায় এমনটা করতে দেখা গেছে রিজভীকে। সঙ্গে ছিলেন তার নেতাকর্মী ও সমর্থকরাও। এ সময় সবাইকে দেশীয় পণ্য কেনার পরামর্শ দেন তিনি।
রিজভী বলেন, ভারতীয় ভিসা বন্ধ করে বাংলাদেশ সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা একবেলা খেয়ে থাকব, তবুও মাথা নত করব না।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, যে শেখ হাসিনা গুম, খুন করেছে, ছাত্রদের রক্তে রাজপথ ভাসিয়েছে তাকে ভারত পছন্দ করে। কিন্তু বাংলাদেশকে পছন্দ করে না।
হুঁশিয়ারি দিয়ে রিজভী বলেন, স্বাধীনতা চায় এমন ভারতীয় অনেক জাতিকে দেশটির সরকার পদানত করে রেখেছে। কিন্তু বাংলাদেশকে সেটা করতে আসবেন না। ভারত যা বলবে তাই শুনবে, শেখ হাসিনার মতো এমন দুয়েকজন থাকতে পারে। কিন্তু কোটি কোটি বাঙালি এর বিপক্ষে।
আরটিভি/একে-টি
আওয়ামী লীগ নতুন করে সংগঠিত হচ্ছে: কর্নেল অলি
আওয়ামী লীগ নতুন করে সংগঠিত হচ্ছে বলে দাবি করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর মগবাজার এলডিপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
অলি আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগ নতুন করে সংগঠিত হচ্ছে। কে সংগঠিত করছে, কে দায়িত্ব নিয়েছে, কোথায়, কখন এবং কোন বাসায় তিনি আছেন সে তথ্য আমার কাছে আছে।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারীরা বসে নেই। তাদের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তর পুলিশ এবং প্রশাসনে বসে আছে। এখনো স্বৈরাচারের দোসরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্ব অবস্থানে রয়েছে। আমি ড. ইউনূসকে বলবো আর কালবিলম্ব না করে স্বৈরাচারের দোসরদের চিহ্নিত করুন। তাদের বদলি কোনো সমাধান নয়। চাকরি থেকে বাদ দিতে হবে।
দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন পর্যায়ের দোসরদের কাছেও কোটি-কোটি টাকা আছে। এটা শেখ হাসিনা নিজেও বলেছেন, তার পিয়নের কাছে ৪০০ কোটি টাকা রয়েছে।
এদিকে গতকাল জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের একটি বৈঠক হয়। সেখানে অংশ না নিয়ে ফিরে যাওয়ার প্রসঙ্গে অলি বলেন, যে কারণেই হোক না কেনো আমরা সেখানে উপস্থিত থাকতে পারিনি। যার জন্য সরকারের একজন উপদেষ্টা দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, আগামীতে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না। সুতরাং এ নিয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে চাই না।
এলডিপির প্রেসিডেন্ট বলেন, অভিজ্ঞতার মূল্য দিতে হবে। লেখাপড়া, বই পড়ে আপনি গবেষণা করতে পারবেন। অভিজ্ঞ লোকদের বিভিন্ন জায়গায় বসাতে হবে। আমার অভিজ্ঞতা রয়েছে, আমি ছয়বার সংসদ সদস্য ও তিনবার সফল মন্ত্রী ছিলাম। সুতরাং রাষ্ট্রপরিচালনায় কে, কোথায় কীভাবে কাজ করছে, কে ভুল করছে, তা আমাদের পক্ষে নির্ণয় করা কঠিন কাজ নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা মিটিংয়ে থাকি বা না থাকি। বাংলাদেশের বিষয়ে আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার-ভারতকে এটা বুঝতে হবে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা এখনও জীবিত আছি। বাংলাদেশে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ।
অলির দাবি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার শাসনকাল ছাড়া বাকি সময়টুকু ভারতের দালাল হিসেবে কাজ করছে বাকিরা। বর্তমানে কাউকে আমরা ভারতের দালাল হিসেবে কাজ করতে দেব না। আমার ভারতের বিপক্ষে না, কোনো দেশের বিরুদ্ধে না, ইসলাম ধর্মের অনুসারী, যারা আমাদের সাহায্য-সহযোগিতা করেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। তবে বেশি গুতাগুতি করলে ভালো হবে না।
ভারতীয় গণমাধ্যমে বিভিন্ন অপপ্রচার নিয়ে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কোনো হিন্দুদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে না। এবার বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে যেভাবে দুর্গাপূজা হয়েছে, তা গত ৫০ বছরেও হয়নি। মুসলমানরা মন্দির পাহারা দিয়েছে, এটা বিরল ঘটনা। তাই ভারত সরকারের উচিত অনতিবিলম্বে এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
ভারতের উচিত হবে বাংলাদেশে তাদের নতুন করে কোনো দালাল সৃষ্টি না করে দেশের মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে তারা তাদের রাষ্ট্র পরিচালনা করবে, আমরা আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনা করবো। যার যেখানে সাহায্যের প্রয়োজন পড়বে, আমরা একে অপরকে সাহায্য করবে। তবে, ভারতের উচিত তাদের শত্রুতামূলক মনোভাব পরিহার করা।
আরটিভি/একে
শিবিরকে দাওয়াত না দেওয়ার কারণ জানাল ছাত্রদল
বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর আপত্তিতে মতবিনিময় সভায় ছাত্রশিবিরকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে এ কথা জানান তিনি।
নাছির উদ্দিন নাছির বলেন, ‘যারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যেসব লড়াই সংগ্রাম করেছে, তাদের নিয়ে আমরা বৈঠক করেছি। শিবিরের বিষয়ে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর বরাবরের মতো আপত্তি রয়েছে, তাই স্কিপ করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে সামনে বসা হবে না, এমনও না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খারাপ এমন না। তারা নিজেদের ছাত্রসংগঠন হিসেবে নিজেরা প্রকাশ করেনি, তারা তাদের বিষয়ে স্পষ্ট করলে আমরা বসব।’
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাঁটাবনের গ্লোরিয়াস সেন্টারে ছাত্রদলের নেতৃত্বে ২৮টি ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কাউকে অংশ নিতে দেখা যায়নি। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব, অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ, ছাত্র সংসদ নির্বাচন, অভ্যুত্থানের প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে’ ভূমিকাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন ছাত্রনেতারা।
মতবিনিময় সভার বিষয়ে একাধিক ছাত্রনেতা জানান, ভারত রাজনৈতিকভাবে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে সর্বোতভাবে চেষ্টা করেছে কিন্তু, তাতে ব্যর্থ হয়ে এখন নানা ধরনের উসকানি তৈরির চেষ্টা করছে। আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা তারই প্রকাশ। জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যার বিচার, আহতদের সুচিকিৎসা, নিহতদের পরিবারের পূনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে। দেশে সাম্প্রদায়িক উসকানি তৈরির যেকোনো পদক্ষেপ ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করা হবে। একই সঙ্গে দখলদারিত্বমুক্ত নিরাপদ ক্যাম্পাস, শিক্ষার্থীদের গণতন্ত্র-সংগঠনের অধিকার চর্চার পরিবেশ ও ছাত্র রাজনীতি বন্ধের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই গড়ে তোলার বিষয়ে একমত পোষণ করেন ছাত্রনেতারা।
মতবিনিময় সভায় অংশ নেওয়া ছাত্রসংগঠনগুলো হল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন (গণসংহতি), ছাত্র আন্দোলন (এনডিএম), বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জেএসডি), জাতীয় ছাত্র সমাজ (জাফর), জাগপা ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ ছাত্র মিশন, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ভাষানী ছাত্র পরিষদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বিসিএল), নাগরিক ছাত্র ঐক্য, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্র সমাজ (পার্থ), ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস, বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ, রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ মুসলিম ছাত্রলীগ (নুর আলম), সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র সমাজ এবং বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন (মুক্তি কাউন্সিল)।
আরটিভি/এসএপি/এআর
যেসব দেশের ভিসা পেলেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে ইতোমধ্যেই সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র এই তিন দেশের ভিসা পেয়েছেন। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে কয়েক দিনের মধ্যে তিনি চিকিৎসার উদ্দেশ্যে দেশের বাইরে যেতে পারেন।
জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাওয়ার আগে বা পরে ওমরাহ করার জন্য সৌদি আরব যেতে পারেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। এ জন্য তিনি সৌদি আরবের ভিসা নিয়েছেন। তার আগেই তিনি লন্ডনের ভিসা নিয়েছেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা ও ছেলে তারেক রহমানসহ স্বজনদের সঙ্গে কিছুদিন সময় কাটানো ও বিশ্রাম শেষে তিনি লিভারের জটিল চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন।
চিকিৎসার জন্য প্রথমে খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হলেও সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর যুক্তরাষ্ট্রের মাল্টিডিসিপ্লিনারি মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হবে। সেখানে তার লিভারের জটিল চিকিৎসা করানো হবে।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বিভিন্ন সময়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে তাকে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
আরটিভি/এমএ