বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ভারতের হাইকমিশনার
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠকটি শুরু হয়।
বৈঠকে ভারতের উপহাইকমিশনার প্রভন বাধেও উপস্থিত রয়েছেন।
গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায়চৌধুরী এবং আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ।
মন্তব্য করুন
কবে দেশে ফিরছেন তারেক রহমান, জানাল যুক্তরাজ্য বিএনপি
লন্ডন থেকে তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রতীক্ষায় বিএনপির লাখো নেতাকর্মী। এবার যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতারা জানালেন, তার দেশে ফেরা এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
বিএনপির যুক্তরাজ্য শাখার নেতারা জানিয়েছেন, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর শিগগিরই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরবেন।
যুক্তরাজ্য বিএনপি সভাপতি এম এ মালেক বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া খুব অসুস্থ। তিনি বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে আসবেন। আশা করছি তিনি লন্ডন হয়েই যাবেন। এই দিনের জন্য তিনি অপেক্ষা করছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আবু সায়েম বলেন, তিনি যেহেতু আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তিনি চান না আইনের স্বাভাবিক গতি ব্যাহত হোক। সেজন্য উপযুক্ত সময়ে তিনি দেশে ফিরে যাবেন বলে আমরা মনে করি।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে তারেক রহমান স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব হন। এর মধ্যে ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে তিনি দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ওইদিনই কারাবন্দি হওয়ার পর থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন তারেক রহমান।
র্ব্তমানে তারেক রহমান লন্ডনে থেকেই বিএনপির স্থায়ী কমিটির পরামর্শে দল পরিচালনা করছেন। বিএনপি নেতারা জানান, তারেক রহমানের নেতৃত্বেই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের এক দফার আন্দোলন হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেও তিনি সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন।
আরটিভি/টিআই
পূজামণ্ডপে গীতা পাঠের ব্যাখ্যা দিলেন সেই জামায়াত নেতা
শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাসপ্তমীর রাতে একটি পূজামণ্ডপে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র গ্রন্থ গীতা থেকে শ্লোক পাঠ করে বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক মতিয়ার রহমান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ঘটনার ৫ মিনিটের একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর এবার তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসের এ শুরা সদস্য।
শনিবার (১২ অক্টোবর) এক ভিডিও বার্তায় মন্দিরে গীতা পাঠের ব্যাখ্যা তুলে ধরেন তিনি।
১ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের ভিডিও বার্তায় অধ্যাপক মতিয়ার রহমান বলেন, প্রিয় এলাকাবাসী, আমার সালাম ও শুভেচ্ছা নেবেন। আমি মো. মতিয়ার রহমান, ঝিনাইদহ-৩ আসনের জামায়াত মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী। আমি গত বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায় যাতে করে নিরাপত্তার সঙ্গে তাদের ধর্মীয় পূজা উৎসব পালন করতে পারে তার জন্য কোটচাঁদপুর পৌরসভা ও এলাঙ্গি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় করতে যাই। সেখানে মানবসেবা, অমুসলিমদের অধিকার, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও নির্বিঘ্নে তারা যেন পূজা অনুষ্ঠান পালন করতে পারেন—এই মর্মে তাদেরকে আশ্বস্ত করি। ইসলাম যে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে শান্তির ধর্ম এবং গোটা মানবজাতির ধর্মীয় নাগরিক, মানবিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার সংরক্ষণ করে, তার স্বপক্ষে বিভিন্ন প্রকারের বক্তব্য প্রদানকালে বেদব্রহ্ম থেকেও কিছু শ্লোক পাঠ করে শোনাই।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত আমার বক্তব্যের খণ্ডিত অংশ প্রচার করে বিশেষ রাজনৈতিক মহল জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। এ বিষয়ে অন্য কিছু ভাববার বা ভুল বোঝাবুঝির কোনো সুযোগ নেই। বিদায়ের সময় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দুই হাত তুলে আমাকে অভিবাদন জানালে আমিও তাদের দুই হাত তুলে অভিবাদন জানাই।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে বক্তব্যের একপর্যায়ে গীতা থেকে শ্লোক পাঠ করেন অধ্যাপক মতিয়ার রহমান। সে সময় সনাতন ধর্মাবলম্বী নারীরা উলুধ্বনি দেন ও শঙ্খ বাজান। আগামীতে নির্বাচিত হলে হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব পালনে সহযোগিতার আশ্বাস দেন এ জামায়াত নেতা।
আরটিভি/এসএইচএম/এআর
গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতিকে অব্যাহতি
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ইমরান হোসেন শিশিরকে সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
রোববার (১৩ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি ইমরান হোসেন শিশিরকে সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
অভিযুক্ত ইমরান হোসেন শিশির কাপাসিয়ার তরগাঁও ইউনিয়নের সাফাইশ্রী গ্রামের আব্দুর রশিদ মাস্টারের ছেলে। তিনি কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজের সাবেক আহ্বায়ক ও বর্তমানে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
এর আগে, ইমরান হোসেন শিশিরের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন এক নারী।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইমরান হোসেন শিশির বলেন, এসব অভিযোগ মোটেও সত্য নয়, ওই মেয়ে কেন এসব কথা বলছে তা আমি বলতে পারব না।
আরটিভি/একে
১৬ বছরে সম্পদের পাহাড় গড়া শাহরিয়ার এবার ভারত ছেড়ে রাশিয়ায়
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারত পালিয়ে যাওয়ার পর তার দোসররাও ভারত পালিয়ে যায়। তারা সে দেশে এখনও আছেন। ভারতে পালিয়ে যাওয়া মন্ত্রী-এমপিদের মধ্যে রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও রয়েছেন। জানা গেছে, তিনি এখন আর সে দেশে নেই।
শাহরিয়ারের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে বাঘা-চারঘাটের বাসিন্দারা বলছেন, ৫ আগস্ট খুব ভোরে তিনি নিজ বাড়ি ছেড়ে সড়কপথে গেদে সীমান্তে পৌঁছান। এরপর তিনি ভারতে প্রবেশ করেন। ভারত থেকে থাইল্যান্ড হয়ে বর্তমানে তিনি রাশিয়ায় অবস্থান করছেন।
শাহরিয়ার ২০০৮ সালে প্রথম নির্বাচন করেন। তখন তিনি ছিলেন ব্যবসায়ী। হলফনামায় ঋণগ্রস্ত ছিলেন বলে উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তী ১৬ বছরে অভাবনীয় উত্থান ঘটে। রীতিমতো কয়েক হাজার কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির মালিক বনে যান শাহরিয়ার ও তার পরিবারের সদস্যরা। তার এই অস্বাভাবিক উত্থান দেখে বিস্মিত এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্টরা।
নাটোরের লালপুর উপজেলার আওয়ামী লীগের এক নেতার কন্যা সিলভিয়া পারভীন লেনিকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন শাহরিয়ার। প্রভাব খাটিয়ে লেনির মা রোকসানা মর্ত্তুজাকে ২০২১ সালে মেয়র বানান শাহরিয়ার। ঢাকার গুলশানে লেনিকে ৩ হাজার ৬০০ স্কয়ার ফুটের রাজকীয় একটি ফ্ল্যাট উপহার দেন। লালপুরে কোটি টাকা মূল্যের বাড়ি করে দেন। এ ছাড়া গুলশানে নিজের নামে দুটি এবং ছেলের নামে একটি ফ্ল্যাট কেনেন শাহরিয়ার।
জানা গেছে, রাশিয়া, ব্রাজিল ও চীনে গড়ে তুলেছেন ৮টি পোশাক কারখানা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। নিজের রেনেসাঁ গ্রুপের নামে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘দুরন্ত’ টেলিভিশন ।
আরটিভি/এআর
দুই নেতাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করল বিএনপি
সিলেট মহানগর বিএনপির ২ নেতাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে দলটি। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের নীতি, আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থী অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ থাকায় তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নিয়েছে বিএনপি।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাদেরকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের আদেশ দেওয়া হয়।
বহিষ্কৃত দুই নেতা হলেন, সিলেট মহানগরীর ২৫নং ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. সোলেমান হোসেন সুমন এবং ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো.আবদুল মান্নান।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি, আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থী অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ অক্টোবর রাতে সিলেটের সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে ভারতীয় চোরাই চিনির ট্রাক ছিনতাই চেষ্টা করে বহিষ্কৃত দুই নেতাসহ ৬ জন। এ সময় স্থানীয়রা তাদেরকে আটক করে পুলিশে দেয়।
আরটিভি নিউজ
সারজিস ও হাসনাতকে রংপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহকে রংপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন জাতীয় পার্টির নেতা ও সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) রংপুর সেন্ট্রাল রোড জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে জেলা ও মহানগরের যৌথ সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘জাতীয় পার্টিকে রাজনৈতিক সংলাপে না ডাকতে ফেসবুকে সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ যে ঘোষণা দিয়েছে- তারা রংপুরে আসতে পারবে না। যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে এই রংপুরের পার্টি অফিসে বসে থাকবেন। আমরা দেখিয়ে দিতে চাই, রংপুরে জাতীয় পার্টির শক্তি কতটুকু। যদি এই আন্দোলনকে আমরা জনস্রোত করতে না পারি তাহলে জাতীয় পার্টি থেকে নাকে খত দিয়ে চলে যাবো।’
ফেসবুকে সারজিস ও হাসনাতের লেখার ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘রংপুরের মাটিতে সারজিস আলম এবং হাসনাত আব্দুল্লাহর কোনও প্রোগ্রাম হতে দেওয়া হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই বক্তব্যের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার- আপনাদেরকে জানিয়ে দিতে চাই, জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়ে কোনও আলোচনা নয়। রংপুরে কোনও রাজনৈতিক সংলাপে যদি জাতীয় পার্টিকে ডাকা না হয়, সম্মান দেওয়া না হয়- তাহলে জাতীয় পার্টি নিজেই অধিকার আদায় করে নেবে। এর জন্য আপনারা প্রস্তুত থাকবেন।’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সংলাপ করছেন। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ।
গত ৭ অক্টোবর দিবাগত মধ্যরাতে নিজ নিজ ফেসবুক পেজে এই বিষয়ে পোস্ট দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
পোস্টে সারজিস আলম লিখেছিলেন, ‘জাতীয় পার্টির মতো মেরুদণ্ডহীন ফ্যাসিস্টের দালালদের প্রধান উপদেষ্টা কিভাবে আলোচনায় ডাকে?’
হাসনাত লিখেছিলেন, ‘স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হলে, আমরা সেই আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও কঠোর বিরোধিতা করব।’
আরটিভি/এসএপি
হাসনাত-সারজিসকে রংপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণার প্রতিবাদে জাপাকে আল্টিমেটাম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় দুই সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমকে রংপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে রোষের মুখে পড়েছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। অবিলম্বে ক্ষমা চেয়ে দলটিকে বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন রংপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সমর্থকরা। তেমনটি না করলে জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) মধ্যরাতে রংপুর নগরীর মেডিকেল মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সমর্থকরা। এ সময় মিছিল থেকে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। মিছিল নিয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আয়োজন হয় প্রতিবাদ সমাবেশের, যেখানে জাতীয় পার্টিকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে আল্টিমেটাম দেন বিক্ষোভকারীরা।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা বলেন, ছাত্র-জনতার মুক্তির লড়াই চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান। অসংখ্য প্ৰাণ আর ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত এই আন্দোলনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলা সবার মুক্তির প্লাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহরা চব্বিশ বিপ্লবের নায়ক, তাদের অবাঞ্ছিত করার এখতিয়ার জাতীয় পার্টির নেই।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুরের প্রতিনিধি ইমরান আহমেদ, মোতাওয়াক্কীল বিল্লাহ শাহ্ ফকির, ইমতিয়াজ আহমেদ প্রমুখ।
এর আগে, সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাতে রংপুর মহানগর ও জেলা জাতীয় পার্টির যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভা থেকে রংপুরে সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টিকে রাজনৈতিক সংলাপে না ডাকতে ফেসবুকে সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ যে ঘোষণা দিয়েছে, সেজন্য তারা রংপুরে আসতে পারবে না। যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে এই রংপুরের পার্টি অফিসে বসে থাকবেন। আমরা দেখিয়ে দিতে চাই, রংপুরে জাতীয় পার্টির শক্তি কতটুকু। যদি এই আন্দোলনকে আমরা জনস্রোতে রূপান্তরিত করতে না পারি তাহলে জাতীয় পার্টি থেকে নাকে খত দিয়ে চলে যাবো।
সারজিস ও হাসনাতের ফেসবুক পোস্টের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে সাবেক মেয়র বলেন, রংপুরের মাটিতে সারজিস আলম এবং হাসনাত আব্দুল্লাহর কোনও প্রোগ্রাম হতে দেওয়া হবে না।
মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা আরও বলেন, এই বক্তব্যের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার- আপনাদেরকে জানিয়ে দিতে চাই, জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়ে কোনও আলোচনা নয়। রংপুরে কোনও রাজনৈতিক সংলাপে যদি জাতীয় পার্টিকে ডাকা না হয়, সম্মান দেওয়া না হয়, তাহলে জাতীয় পার্টি নিজেই অধিকার আদায় করে নেবে। এর জন্য আপনারা প্রস্তুত থাকবেন।
প্রসঙ্গত, দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সংলাপ করছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যেখানে এখন পর্যন্ত ডাকা হয়নি জাতীয় পার্টিকে। এ অবস্থায় পরবর্তী সংলাপগুলোতে জাতীয় পার্টিকে আমন্ত্রণ জানানো প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ। গত ৮ অক্টোবর মধ্যরাতে নিজ নিজ ফেসবুক পেজে এই বিষয়ে পোস্ট দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
ফেসবুকে সারজিস আলম লিখেছিলেন, জাতীয় পার্টির মতো মেরুদণ্ডহীন ফ্যাসিস্টের দালালদের প্রধান উপদেষ্টা কিভাবে আলোচনায় ডাকে?
আর হাসনাত লিখেছিলেন, স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হলে, আমরা সেই আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও কঠোর বিরোধিতা করব।’
আরটিভি/এসএইচএম-টি