দেশের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি
রাজনীতির সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে বৈঠকে বসেছে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।
এ সভায় সভাপতিত্ব করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন এ বৈঠকে।
আরটিভি/এএইচ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ নিয়ে যা বলছে জামায়াত
জনরোষে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন ২১ সদস্যের অন্তর্বর্তী সরকার। আর এই সরকারকে প্রশাসন, বিচার বিভাগ এবং অর্থনীতি ও ব্যাংক খাতের প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য সময় দিতে চায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন সংস্কার করে পুনর্গঠনের কথাও জানিয়েছে রাজনৈতিক দলাটি।
রোববার (২৫ আগস্ট) বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানিয়েছেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান।
জামায়াতের আমির বলেন, ‘যারা ব্যক্তিগতভাবে অপরাধ করেছে, তাদের বিচার অবশ্যই হতে হবে। তারা অপরাধী হলে অবশ্যই শাস্তি পাওয়া উচিত। এটা হচ্ছে ব্যক্তির বিচারের ক্ষেত্রে। আর দল হিসেবে পুরো দলটাই হত্যায় শরীক হয়ে গিয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মন্ত্রী বলেছেন, ছাত্রদের আন্দোলন দমনের জন্য ছাত্রলীগই যথেষ্ট। তাহলে বিষয়টা কী দাঁড়াল? একটা দল পুরো দায়িত্ব নিয়ে নিল সন্ত্রাস করার এবং সেটিই হলো। অনেক প্রাণ ঝরে গেল। সন্ত্রাসীদের যখন বাহিনী হিসেবে দলীয় ব্যানারে নামিয়ে দেওয়া হলো, তখন বিশ্বের বহু দেশে এমন নজির আছে যে, এমন গণহত্যা যারা করে, তাদের আর সেদেশে রাজনীতি করার অধিকার থাকে না।’
জামায়াতের আমির বলেন, ‘এখনো দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানাননি তারা। এ বিষয়ে দলীয় কোনো সিদ্ধান্তও হয়নি।’
এ ছাড়া আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় আইনি বিচারের ওপরও গুরুত্ব দিচ্ছে দলটি।
স্বাধীনতাই বিশ্বাস করে না, এ ধরনের দলকে সমর্থন নয়: মির্জা ফখরুল
বাংলাদেশের স্বাধীনতাই বিশ্বাস করে না, এ ধরনের দলকে সমর্থন করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমার বাংলাদেশের স্বাধীনতাই বিশ্বাস করে না, সে ধরনের দলকে তো সমর্থন করা যাবে না। তবে আমরা মনে করি মানুষের অধিকার আছে একটা সংগঠন তৈরি করার, রাজনীতি করার।’
সরকার জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার আদেশটি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে, এ প্রসঙ্গে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা কোনও রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে নই, সে যে দলই হোক। আমাদের সংবিধানে যেকোনও ব্যক্তির অধিকার রয়েছে সংগঠন করার। কিন্তু স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পক্ষে থাকতে হবে।’
বিএনপি মহাসচিব মনে করেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অর্জিত বিপ্লবকে নস্যাৎ করার জন্য এবং বিএনপির অবদানকে খাটো করতে পরিকল্পিতভাবে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
মির্জা ফখরুলের দাবি, ‘ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে ব্যর্থ করতে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। আপনারা দেখবেন, বিদেশ থেকে, বিশেষ করে ভারত থেকে এমন কতগুলো প্রচারণা চালানো হচ্ছে- যা বাংলাদেশে যে বিপ্লব, সেটাকে তারা নস্যাৎ করতে চায়। কতগুলো রাজনৈতিক ইস্যুকে তারা সাম্প্রদায়িক ইস্যু বানাতে চায়। যেটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘প্রথম দিকে তারা যে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রচার চালিয়েছিল, এটা বোধহয় এক-দুই পারসেন্টও সঠিক নয়। দ্বিতীয়ত হচ্ছে দখলদারি। এগুলো কিন্তু একটা ক্যাম্পেইন। আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি, আবারও আগের মতো, এক-এগারোর মতো বিএনপিকে লক্ষ্য করে এ কাজগুলো করা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত অন্যায়। আমরা ১৫ বছর ধরে সংগ্রাম করেছি গণতন্ত্রের জন্য, ভোটের অধিকারের জন্য। মনে রাখতে হবে, গণতন্ত্রে নির্বাচিত সংসদ ছাড়া কোনও সমস্যার সমাধান হয় না।’
২০০৭ সালের সেনা-সমর্থিত এক-এগারোর সরকারের প্রসঙ্গ তুলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা তো ভুলে যাইনি এক-এগারোর সময় কারা চেষ্টা করেছিল বিরাজনীতিকীকরণের। এমনকি ওই সময়ে আমাদের দলকে পর্যন্ত পুরোপুরি বাতিল, নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টাও হয়েছিল। এ কথাগুলো তো আমরা ভুলতে পারি না।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে রাষ্ট্র মেরামতের জন্য বিএনপি ‘যৌক্তিক’ সময় দেওয়ার কথা বলেছে, এমনটি উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই জন্যই আলোচনা দরকার। যৌক্তিক সময়ের ধারণা নির্ভর করবে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে। আমরা কী চাই, ওনারা কী চান, জনগণ কী চায়, একটা আলাপ–আলোচনা তো হতে হবে। সে জন্য বলেছি, বর্তমান সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর অতি দ্রুত আলোচনা হওয়া দরকার। খুব জোর দিয়ে বলেছি, আজকেও বলছি। নইলে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি যদি মনে করি একজন ব্যক্তি একেবারে স্বর্গ বানিয়ে দিতে পারবে, আমার ওই চিন্তাটা সঠিক হবে না। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে দেশ কীভাবে চলবে। সংস্কারের দাবি তো আমরাই তুলেছি। আমরা ৩১ দফা দিয়েছি। ৩১ দফা থেকে কমিয়ে ১০ দফা হয়েছে, ১০ দফা থেকে এক দফা হয়েছে। এটা নিয়ে আমরা আন্দোলন করেছি, সারা বাংলাদেশ চষে বেড়িয়েছি। আমরা তো সংস্কার চাই। তবে সেই সংস্কারটা অবশ্যই হতে হবে জনগণের সমর্থন নিয়ে।’
তিনি বলেন, ‘মানুষ এখানে একটা ডেমোক্র্যাটিক সেটআপ চায়, গণতন্ত্র চায়। মানুষ নির্বাচন চায়। এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে।’
বর্তমান সরকারের মধ্যেও বিরাজনীতিকীকরণের কোনও লক্ষণ দেখছেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘না, আমি এমন লক্ষণ দেখছি না। আমি সতর্ক করছি। আমার একটা সতর্কের কথা আছে। কিছু চেহারা আছে তো? এই চেহারাগুলোকে দেখলে আমরা ভয় পাই।’
এ সময় যাদের কোনও দিন দেখা যায়নি, তারা সামনে চলে আসছেন বলেও উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে তারা মিডিয়াতে ফ্রন্ট পেজে চলে আসছেন। তাদের বক্তব্য, থিওরি প্রচার করছেন। আমি কারও নাম বলতে চাই না। আমার মনে হয়, এটা সুস্থ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য ভালো বিষয় নয়।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন ফখরুল
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তিন নেতা।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সোয়া এক ঘণ্টার বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আলোচনার জন্য ডেকেছিলেন। প্রায় সোয়া এক ঘণ্টার আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশাবাদী ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের আন্তরিকতা, দেশপ্রেম এবং যোগ্যতা দিয়ে খুব দ্রুত বাংলাদেশকে স্টেবল (স্থিতিশীল) অবস্থায় নিয়ে আসতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচনের দিকেও যেতে পারবেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। আমরা কোনো তারিখ বলব না। এটা উনারা বলবেন।
এর আগে, এদিন বিকেল ৪টায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পৌঁছান। অপর দুজন হলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।
এ ছাড়া বৈঠকে পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ ও আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ছিলেন।
উল্লেখ্য, ড. ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পর গত ১২ আগস্ট বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের স্থায়ী কমিটি যমুনা প্রথম বৈঠক করেন।
জামায়াতের সঙ্গে জোট নিয়ে যা জানালেন ফখরুল
জামায়াতের সঙ্গে আমাদের যে জোট ছিল, আন্দোলনের জন্য জোট, সেটা অনেক আগেই অকার্যকর হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জামায়াতের সঙ্গে আমাদের যে জোট ছিল এটা এখন কোনো কাজ করে না। অনেক আগেই আমরা যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে প্রোগ্রাম ঠিক করে যুগপৎ আন্দোলন করেছি সরকার পতন অবধি। এটা এখন বলবত নেই।
তিনি বলেন, তবে অন্য দলগুলোর সঙ্গে আমরা আলোচনা অব্যাহত রেখেছি। কারণ, এখনো কেয়ারটেকার সরকার আছে, এরপর নির্বাচন আছে। সুতরাং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আমরা আলোচনা বজায় রাখছি, এটা জরুরি। এই মুহূর্তে আমাদের কোনো জোট নেই। আমরা জোটবদ্ধ নই।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে যা বললেন ফখরুল
কোন দলের নিষিদ্ধের বিষয়টি আমরা সমর্থন করি না বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি কখনই কোনো রাজনৈতিক দলের নিষিদ্ধের পক্ষে নই। আমার দলও সেটা বিশ্বাস করে না। আমাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের শুরু করেছেন। আগে তো আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসন শুরু করেছিল। আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র শুরু করেছেন। সুতরাং কোনো দলের নিষিদ্ধের বিষয়টি আমরা সমর্থন করি না।
বিএনপির পররাষ্ট্রনীতি কেমন হবে? প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, আমরা সকলের বন্ধুত্ব চাই। আমরা পার্টিকুলারি কোনো দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই না। কোনো দেশ বাংলাদেশের পার্টিকুলারি কোনো দলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলুক এটাও আমরা চাই না। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, অন্য দেশ এখানকার মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলবে পারস্পরিক স্বার্থ বিবেচনা করে। আমাদের সার্বভৌমত্ব সম্মান করে সম্পর্ক হবে।
বিএনপির সঙ্গে জোট নিয়ে যা বললেন জামায়াত নেতা রফিকুল
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপি-জামায়াতের জোট নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল একটি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘জামায়াতের সঙ্গে এই মুহূর্তে কোনো জোট নেই।’ জোট প্রসঙ্গে একই কথা বললেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে নরসিংদীতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের প্র্যাক্টিক্যাল (ব্যবহারিক) কোনো দলীয় জোট নেই।
রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, বিএনপির সঙ্গে ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় আছে, থাকবে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে, এটা দল রক্ষা করে চলবে। তাদের সঙ্গে আমাদের মাঝে মাঝে বসা হয় এবং দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত আছে।
এর আগে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জামায়াতের সঙ্গে আমাদের যে জোট ছিল, সেটি আন্দোলনের জন্য জোট, সেটি অনেক আগেই অকার্যকর হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা অন্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছি। কারণ, এখন অন্তর্বর্তী সরকার আছে, এরপর আছে নির্বাচন। সুতরাং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আমরা আলোচনা বজায় রাখছি, এটা জরুরি। এই মুহূর্তে আমাদের কোনো জোট নেই। আমরা জোটবদ্ধ নই।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে ডাক পায়নি যেসব দল
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নির্বাচন করার বিষয়ে রাজনৈতিক দল এবং জোটের সঙ্গে মতবিনিময়ে বসেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তবে আওয়ামী লীগ এবং দলটির ১৪ দলীয় জোটের শরিকরাসহ কিছু দল আমন্ত্রণ পায়নি।
শনিবার (৩১ আগস্ট) সরকারপ্রধানের কার্যালয় যমুনায় অনুষ্ঠিত হবে এ বৈঠক। বিকেল ৩টায় শুরু হয়ে চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত। তবে গত ১২ আগস্ট বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দল ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করায় এবার তাদের ডাকা হয়নি।
মতবিনিময় এ সভায় ডাক পায়নি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টিসহ (বিএসপি) আরও কয়েকটি দল।
ডাক পেয়েছে প্রায় সব ইস্যুতে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাকে সমর্থন দেওয়া জাতীয় পার্টি (জাপা)। এ ছাড়া খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, বাংলাদেশ জাসদ, ১২ দলীয় জোট, গণফোরাম ও জাতীয় পার্টি ডাক পেয়েছে।
বাংলাদেশ খেলাফতের নেতৃত্ব দেবেন মাওলানা ইউসুফ আশরাফ। প্রতিনিধি দলে থাকবেন মাওলানা মামুনুল হক ও মাওলানা জালাল উদ্দিন।
গণফোরামের নেতৃত্ব দেবেন ড. কামাল হোসেন। তার সঙ্গে মোস্তফা মহসীন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, এসএম আলতাফ হোসেন, মিজানুর রহমান, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহিব উদ্দিন আবদুল কাদের ও মোশতাক আহমেদের থাকার কথা রয়েছে।
অলি আহমেদের নেতৃত্বে এলডিপির প্রতিনিধি দলে থাকবেন রেদোয়ান আহমেদ, নেয়ামূল বশির, নুরুল আলম তালুকদার ও আওরঙ্গজেব বেলাল।
জি এম কাদেরের নেতৃত্বে যাবে জাতীয় পার্টির। প্রতিনিধি দলে থাকতে পারেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চৌধুরী, মজিবুর রহমান চুন্নু, মাশরুর মওলা ও সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন।
জাতীয়বাদী সমমনা জোটের নেতৃত্বে দেবেন এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। এই জোটের শরিক জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, গণদলের এটিএম গোলাম মওলা চৌধুরী, এনডিপির আবু তাহের, বাংলাদেশ ন্যাপের শাওন সাদেকি, সাম্যবাদী দলের সৈয়দ নুরুল ইসলাম মতবিনিময়ে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে।
১২ দলীয় জোটের নেতৃত্বে দেবেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার। এই জোটের দলে জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহিউদ্দিন ইকরাম, লেবার পার্টির একাংশের ফারুক রহমান, জাগপা একাংশের তাসমিয়া প্রধান, কল্যাণ পার্টির শামসুদ্দিন পারভেজ ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের শাহ আহমেদ বাদল থাকতে পারেন।
শরীফ নুরুল আম্বিয়া নেতৃত্ব দেবেন বাংলাদেশ জাসদের। তার সঙ্গে নাজমুল হক প্রধান, মুশতাক হোসেন, আবদুল কাদের হাওলাদার, কাজী সদরুল হকের থাকার কথা রয়েছে।
এর আগে, গত ১২ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপি, ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামী, শাহ আলমের নেতৃত্বে সিপিবি, মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বে গণতন্ত্র মঞ্চ, আন্দালিব রহমান পার্থের নেতৃত্বে বিজেপি, মাওলানা সৈয়দ ফয়জুল করীমের নেতৃত্বে ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশ, এএফএম সোলায়মান চৌধুরীর নেতৃত্বে এবি পার্টি, নুরুল হক নূরের নেতৃত্বে গণঅধিকার পরিষদ, হারুন চৌধুরীর নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, ববি হাজ্জাজের নেতৃত্বে এনডিএম আলাদাভাবে মতবিনিময় করে।