আওয়ামী লীগের দোসররা এখনও প্রশাসনে রয়েছে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে সারাদেশে প্রায় ২ হাজার লোকের জীবন কেড়ে নিয়েছে ফ্যাসিস্ট হাসিনার সরকার। সেই আওয়ামী লীগের দোসররা এখনও প্রশাসনে রয়েছে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর দক্ষিণখানে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের সরকারের বিভিন্ন পদ থেকে অপসারণ করতে হবে। হত্যাকারীদের বিচার ছাড়া রাষ্ট্রের কোনো সংস্কার সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্ত সবচেয়ে বেশি রক্তাক্ত। ভারত বাংলাদেশের মানুষকে হত্যা করে থাকলে আমাদেরও অধিকার আছে, দিল্লি নিয়ে কথা বলার।
ভারতের কাছে নতজানু হয়ে থাকার দিন শেষ হয়ে আসছে দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আর কখনই নতজানু হয়ে থাকবে না।
আরটিভি/আইএম/এসএ
মন্তব্য করুন
মিনা ফারাহকে জামায়াত আমিরের ফোন, যে কথা হলো
কৃতজ্ঞতা জানাতে বিশিষ্ট কলামিস্ট, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও মানবাধিকারকর্মী মিনা ফারাহকে ফোন করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। এ সময় তিনি তার সঙ্গে প্রায় ৫ মিনিট ধরে কথা বলেন।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে মিনা ফারাহ নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফোনকলের ভিডিও শেয়ার করে মিনা ফারাহ লিখেছেন, ‘সত্যের পক্ষে কাজের জন্য আমাকে ধন্যবাদ জানাতে জামায়াত ইসলামের আমির ডা. শফিকুর রহমানের ফোন’।
কথোপকথনের শুরুতেই জামায়াত আমির বলেন, যোদ্ধা হিসেবে নয়, একজন সেনাপতি হিসেবে আপনার প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আপনাকে এই কৃতজ্ঞতা জানাতে অনেক দেরি করে ফেললাম এজন্য আমাকে ক্ষমা করবেন। দলের পক্ষ থেকে, আমার পক্ষ থেকে এবং বাংলাদেশে আমরা যারা মজলুম বসবাস করি তাদের সকলের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমাদের কঠিন সময় যখন কেউ দাঁড়ায়নি তখন আপনি আমাদের পাশে ছিলেন। আপনার এই ঋণ আমরা কোনোদিন পরিশোধ করতে পারবো না।
এ সময় মিনা ফারাহ জামায়াত আমিরকে ‘ভাই’ সম্বোধন করে বলেন, জামায়াতের এত বড় একটি জায়গায় থেকে আপনি আমাকে ফোন করেছেন এজন্য আমি কৃতজ্ঞ। আজকে আমি খুব শান্তি পাচ্ছি। ২০১১ সালে আমি যখন অত্যাচারী স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে প্রথম লিখি তখন আমার বাড়িঘর ব্লক করে দেওয়া হয় এবং আমার দেশে যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, জামায়াত নেতা কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য না দেওয়ায় আমাকে এত হয়রানি করা হয়েছে। আমি দেশে যেতে চাই এবং তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে চাই। ইন্টারপোলের মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে ফিরিয়ে এনে তাদের গণহত্যার বিষয়ে মুখোমুখি করা হোক। শেখ হাসিনার গণহত্যার বিষয়ে আমি একজন সাক্ষী।
মিনা ফারাহ আরও বলেন, কামরুজ্জামান মানুষ মারে নাই। আমি মিথ্যা সাক্ষ্য না দেওয়ায় আমার ওপর মামলা। এসব বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।
জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান এ সময় বলেন, আমরা সেই দিনটি দেখতে চাই যেদিন খুনিরা কাঁদবে আর মজলুমরা হাসবে।
আরটিভি/আইএম/এআর
নতুন নির্বাচন কমিশন প্রত্যাখ্যান জাতীয় নাগরিক কমিটির
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণসহ নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রত্যাখ্যান করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
রোববার (২৪ নভেম্বর) বাংলামোটরে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব ছাড়াই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রতিবাদে জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংগঠনটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে প্রণীত বিতর্কিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২ এর অধীনে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের আগেই নিয়োগ দেওয়ায় প্রতিবাদ জানাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। আইন বাতিল করাটাই যুক্তিযুক্ত হতো।
মুখপাত্র বলেন, নতুন সার্চ কমিটি গঠিত হয়ে যাওয়ায় নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার কমিশনের আইনটি বদলের পক্ষের যে ইচ্ছা সেটাও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। আমরা জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে সরকারের এমন সিদ্ধান্তে বিস্মিত হয়েছি এবং তাদের এমন পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা ও কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা মনে করি, এই সরকার গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী জনগণের অভিপ্রায়কে পুরোপুরি ধারণ করতে পারছে না। আজও ফ্যাসিবাদী সরকারের রাষ্ট্রপতি বহাল রয়েছেন, যিনি গণহত্যাকারী হাসিনার হয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। এই কদিন আগেও তিনি ফ্যাসিস্ট হাসিনা সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, তা গণঅভ্যুত্থানকে সাক্ষাত অস্বীকার করার শামিল। এ কারণে তার অধীনে কোনো ধরণের নিয়োগ বৈধ হতে পারে না। আমরা জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে অবৈধ রাষ্ট্রপতির অধীনে ফ্যাসিস্ট আইনি কাঠামোয় গঠিত নির্বাচন কমিশন প্রত্যাখ্যান করছি এবং অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনসহ আইনটি বাতিল করে নতুন আইনের ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ ও অবিতর্কিত নির্বাচন কমিশন গঠনের জোর দাবি জানাচ্ছি।
মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, আগের আইনের ওপর দাঁড়িয়েই গণহত্যাকারী সাবেক সরকার আয়নাঘর, হত্যা ও গুমের মতো নিষ্ঠুর ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে। সেই কালাকানুনের অধীনে ইসি গঠন করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে কলঙ্কিত করেছে।
সামান্তা শারমিন বলেন, আমরা স্পষ্ট লক্ষ করছি, নির্বাচন কমিশন সংস্কারের প্রস্তাব পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগেই রাজনৈতিক দলগুলোর চাপের কাছে নতি স্বীকার করে সরকার নির্বাচন কমিশন গঠন করতে বাধ্য হয়েছে। এ কাজ গণঅভ্যুত্থানের কমিটমেন্টের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল! আমরা সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশের সর্বস্তরের ছাত্র ও জনগণ গণঅভ্যুত্থানের শরিক। কেবল রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে কথা বলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। আমরা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস ও অন্যান্য উপদেষ্টাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন দেখতে চাই।
তিনি আরও বলেন, ড. ইউনূসকে মনে রাখতে হবে, তিনি ছাত্র-জনতার দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত। তরুণ শিক্ষার্থী সমাজসহ আপামর জনগণের কাছেই তিনি দায়বদ্ধ। রাজনৈতিক দলগুলো না চাইলে সংস্কার হবে না, এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্য আমরা তার কাছ থেকে শুনতে চাই না।
আরটিভি/ এমএ
নির্যাতিত আ.লীগ কর্মীকে গ্রেপ্তার করলে আমি এর বিরুদ্ধে: রিজভী
নাটোরের বড়াইগ্রামে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ পরিবারের লোকজনের সামনে উজ্জ্বল কুমার মণ্ডল (২৫) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উজ্জ্বলের খোঁজ-খবর নিতে গিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ সময় তিনি এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে ডাকা এক জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে রিজভী এ প্রতিবাদ জানান।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ভিকটিমকেই যদি গ্রেপ্তার করা হয়, এটা বেআইনি। আমি জানতাম না তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বরং আমি বলেছি, যারা এর জন্য দায়ী সে বিএনপির লোক হলেও তার বিরুদ্ধে পুলিশকে মামলা নিতে বলেছি। ঘটনায় জড়িত অনেকের নাম পেয়েছি, যারা আমাদের দলের নাম ব্যবহার করে কাজটি করেছে, অথচ তারা রাজনীতি করে না। তার (আওয়ামী লীগ কর্মী উজ্জ্বল) ওপর আক্রমণ হয়েছে, এ কারণে ভিকটিমকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে, আমি চূড়ান্তভাবে এটার বিরুদ্ধে। তবে তার নামে যদি পূর্বের মামলা বা ঘটনা থাকে সেটা আমি বলতে পারব না।
তিনি বলেন, যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত দলীয়ভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলা নেতাদেরকে বলা হয়েছে এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থার জন্য থানায় বসে ওসি সাহেবকে বলে এসেছি এবং জানতে চেয়েছি কেন এ বিষয়ে এখনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি তারা।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাকে পাঠিয়েছেন বিষয়টি জানার জন্য। ৫ আগস্টের পর তারেক রহমান দলীয় নেতাকর্মীদের সংযত থাকতে নিয়মিত নির্দেশনা দিচ্ছেন। আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন কেউ যাতে আইন হাতে তুলে না নেয়। নাটোরে যার ওপর হামলা হয়েছে শুনেছি সে বিগত সময় আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিল। কিন্তু তাকে বাসা থেকে তুলে এনে মারধর করা বেআইনি কাজ, এটা তো হতে পারে না, আমরা সেই দল করি না।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আপনারা জানেন, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে এ পর্যন্ত বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অন্তত ৮০০ নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেশটা যখন নতুন করে গড়ে উঠছে এবং গণতন্ত্রের পথে যে নতুন যাত্রা শুরু হয়েছে কেউ যাতে এই যাত্রাকে ব্যাহত করতে না পারে।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছর ভয়াবহ শাসন কায়েম হয়েছে। এই নাটোরে আমার প্রাণ হাতে নিয়ে আসতে হয়েছে। নাটোরের অবৈধ এমপি শিমুল দলের সিনিয়র নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করত। এদের বিবেক ছিল না, মানবতা ছিল না।
প্রসঙ্গত, গত ২০ নভেম্বর দুপুরে আওয়ামী লীগ কর্মী উজ্জ্বল কুমার মণ্ডলকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে পুলিশে দেন বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা। পরে উজ্জ্বলকে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।
সেখান থেকে তাকে ফৌজদারি আইনের ১৫১ ধারায় আটক দেখিয়ে পরেরদিন ২১ নভেম্বর সকালে নাটোরের বড়াইগ্রাম আমলি আদালতে পাঠালে আদালত ওই দিনই তার জামিন মঞ্জুর করেন। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রচার করা হয়।
আরটিভি/এফএ-টি
নির্বাচন যত দেরিতে হবে, ভঙ্গুর রাষ্ট্র ব্যবস্থার মেরামত তত দেরি হবে: তারেক রহমান
নির্বাচন যত দেরিতে হবে, আওয়ামী লীগের নিজ স্বার্থে গড়ে তোলা ভঙ্গুর রাষ্ট্র ব্যবস্থার মেরামত তত দেরি হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
রোববার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেছেন, নিজেদের স্বার্থ হাসিলে আওয়ামী লীগ যে ভঙ্গুর রাষ্ট্র ব্যবস্থা নির্মাণ করেছিলো, তা দীর্ঘায়িত হবে যদি নির্বাচন দেরিতে হয়।
জনস্বাস্থ্য খাত, শিক্ষা ব্যবস্থা, বহুমুখী সংকটের আবর্তে আটকে পড়া কৃষক ও কৃষি ব্যবস্থা, ব্যবসা-বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ, বিচার বিভাগ ও প্রশাসনে ব্যাপকভাবে রাজনীতিকরণের ফলে সৃষ্ট সংকটগুলো দূর করে বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিতে হলে দ্রুত নির্বাচন প্রয়োজন বলে মনে করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তারেক রহমান আরও লিখেন, একমাত্র জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত সরকারের পক্ষেই জাতির পুনর্গঠন সম্ভব।
জনগণের পছন্দের প্রতিনিধিকে সম্মান করা হবে এবং প্রতিনিধিদের অবশ্যই জনগণের সেবা করতে হবে। উভয়পক্ষকেই রাষ্ট্র পরিচালনায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে, যাতে সবার জন্য সমতা, অন্তর্ভুক্তি এবং উন্নয়ন নিশ্চিত হয় বাংলাদেশে।
সড়ক দুর্ঘটনার কবলে হাসনাত-সারজিস, যা বললেন জামায়াতের আমির
চট্রগ্রামে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম। এ ঘটনায় ট্রাকের চালক ও হেলপারকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিষয়টি নিয়ে নিজের ফেরিফাইড আইডিতে পোস্ট করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে জামায়াতের আমির লিখেছেন, ‘হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সার্জিস আলমকে বহনকারী প্রাইভেটকারকে ট্রাক চাপা! হত্যাচেষ্টা না নিরেট দুর্ঘটনা? তা অবশ্যই যথাযথভাবে খতিয়ে দেখা দরকার। বিষয়টি সত্যিই উদ্বেগজনক।’
এর আগে, বুধবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের গাড়িবহরের একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে গাড়িটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গেছে। এদিন দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মহানগরের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে ওই জানাজায় অংশ নেন হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম।
আরটিভি/এসএপি
চট্টগ্রামে ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে হেফাজতের লংমার্চের ডাক
বাংলাদেশ নিয়ে চক্রান্তের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম নগরীতে ভারতীয় হাইকমিশন কার্যালয় অভিমুখে লংমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে হেফাজতে ইসলাম।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) চট্টগ্রামে এক প্রতিবাদ সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি হারুন ইজাহার এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামে অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশনার (সহকারী) অফিস অভিমুখে আগামী সোমবার (২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় লংমার্চ হবে। আমাদের সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হবে। পরে আমাদের প্রতিনিধিরা তৌহিদী জনতার পক্ষ থেকে দূতাবাসে গিয়ে স্মারকলিপি দেবেন।
হারুন ইজাহার বলেন, শেখ হাসিনাকে বাংলার মাটি থেকে বিদায় করার পর এদেশের বেশিরভাগ হিন্দু সংগঠন ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে।
তিনি বলেন, হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের অনেকেই হিন্দুদের মন্দির পাহারা থেকে শুরু করে সুরক্ষার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। অতি উদারতা দেখাতে পূজামণ্ডপেও গিয়েছিল অনেকে, যেটা আমরা সমর্থন করি না। এত উদারতা দেখানোর পরও তারা আমাদের ভাইকে জবাই করে হত্যা করল।
হিন্দু সংগঠনের নেতাদের উদ্দেশে হেফাজত নেতা বলেন, আপনাদের বিভিন্ন সংগঠনে যেসব সন্ত্রাসী ঘাপটি মেরে রয়েছে তাদেরকে আপনারাই চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করতে হবে।
আমাদের মূল লড়াই বাংলাদেশের হিন্দুদের সঙ্গে নয় জানিয়ে হারুন ইজহার বলেন, আমাদের লড়াই দিল্লির সঙ্গে। দিল্লি বাংলাদেশে কুকুর লেলিয়ে দিয়েছে। কুকুরের সঙ্গে কোনো বোঝাপড়া নেই।
তিনি আরও বলেন, হিন্দুস্তান আমাদের দেশে প্রথম আলো, ডেইলি স্টারকে চাপিয়ে দিয়েছে। হিন্দুস্তান ষড়যন্ত্র অব্যহত রাখলে আমরাও হিন্দুস্তানের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও সামরিক আগ্রাসন অব্যহত রাখব।
আরটিভি/আরএ/এআর
ড. ইউনূসের সঙ্গে সংলাপ, বিএনপির যেসব নেতা থাকবেন
জাতীয় ঐক্য গঠনে ছাত্রনেতাদের পর এবার দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসতে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সব ঠিক থাকলে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিএনপির পাঁচ নেতা অংশ নেবেন।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সংলাপের আহ্বান করেছেন। তার ডাকে বুধবার বিকেল ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সংলাপ যাবেন বিএনপির পাঁচজন নেতা।
শায়রুল কবির খান আরও বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপির ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদলে থাকবেন ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
এর আগে, আজ সন্ধ্যায় ছাত্রনেতাদের সঙ্গে সংলাপে বসেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরাও সরকারের অংশ। দেশের মানুষ তোমাদের ওপর ভরসা করে। এই বিশ্বাস ধরে রেখো। হাতছাড়া করো না। আন্দোলনের মাধ্যমে একটি বিজয় অর্জন করেছো, আরেক বিজয় আসবে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, তোমরা কখনোই আশাহত হবে না। তোমরা অসম্ভবকে সম্ভব করেছো। দেশ বদলে ফেলেছো। তোমরাই পারবে। মানুষের আশা তোমাদের পূরণ করতে হবে। অন্তত সে পথে তোমাদের অগ্রসর হতে হবে।
আরটিভি/আইএম