পতাকা ও প্রধান উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর ঘটনায় জামায়াতের গভীর উদ্বেগ
ভারতের কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে সহিংস বিক্ষোভ এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও প্রধান উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ এবং তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ভারতের কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে ভারতীয়দের বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও প্রধান উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভারতের ‘বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ’ নামক উগ্রবাদী সংগঠনের এ ঘটনা সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত, অনাকাঙ্খিত ও দুঃখজনক।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ’ নামক একটি উগ্রবাদী সংগঠনের বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও প্রধান উপদেষ্টার কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর ঘটনা আন্তর্জাতিক আইন ও কূটনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী। এ ঘটনা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিনষ্ট করার এক গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের অংশ বলেই কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন। এমতাবস্থায় কলকাতাস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন যথাযথ নিরাপত্তার অভাব বোধ করছে। ভারত সরকারের উচিত ভবিষ্যতে এ ধরনের অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং বাংলাদেশ হাইকমিশনের নিরাপত্তা বিধান করা।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির মূল কথা হল ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে শত্রুতা নয়।’ বাংলাদেশ সহাবস্থানের নীতিতে বিশ্বাসী একটি শান্তিপ্রিয় দেশ। বাংলাদেশও বিশ্বের সকল দেশের কাছে একই নীতি আশা করে।
ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের এবং ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের সকল কূটনৈতিক মিশন, কূটনীতিক ও অ-কূটনীতিক কর্মীদের নিরাপত্তা বিধান করার জন্য আমরা ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
আরটিভি/এসএপি/এস
মন্তব্য করুন