করণীয় ঠিক করতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
চলমান সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে করণীয় ঠিক করতে বৈঠকে বসেছে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করছেন।
আরটিভি/একে
মন্তব্য করুন
ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন গ্রেপ্তার
রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ইডেন মহিলা কলেজ শাখার সভাপতি তামান্না জেসমিন রীভাকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে ডিবি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
জুলাইয়ের আন্দোলনে ইডেন মহিলা কলেজ ক্যাম্পাস ছেড়ে পালিয়ে যান তামান্না জেসমিন রীভা। এরপর তাকে আর জনসম্মুকে দেখা যায়নি।
বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য আলোচিত ছিলেন তামান্না জেসমিন। বিশেষ করে শিক্ষার্থী নির্যাতন ও হল বাণিজ্যের ঘটনা তাকে সামনে নিয়ে আসে।
ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, তামান্না জেসমিন রীভা ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মাহবুবকে ডিবি গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি আরও জানান, তারা বেশ কয়েকটি মামলার আসামি। এ ছাড়া তারা সম্প্রতি স্কয়ার হাসপাতালের কাছে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের একটি ঝটিকা মিছিল করেছে।
আরটিভি/একে
মির্জা ফখরুলের শারীরিক অবস্থা নিয়ে যা জানা গেল
মহান বিজয় দিবসে স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানাতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসেন মির্জা ফখরুলসহ সিনিয়র নেতারা। পরে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি অসুস্থ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে সাভার সিএমএইচে নেওয়া হয়। এখন তিনি অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে বলেন, জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক তাকে সাভারের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, শেষ খবর অনুযায়ী সিএমএইচে চিকিৎসাধীন বিএনপির মহাসচিব এখন অনেকটা সুস্থ।
শায়রুল কবির খান বলেন, হাসপাতালে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে গিয়েছেন অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ, আবদুস সালাম এবং যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন্নবী খান সোহেল।
আরটিভি/আইএম-টি
রাষ্ট্রপতির অনুষ্ঠানে ফোন হারিয়েছেন মির্জা আব্বাস
রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে বঙ্গভবনে অনুষ্ঠানে গিয়ে নিজের মোবাইল ফোন হারিয়ে ফেলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
বাংলাদেশের ৫৪তম বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং ফার্স্ট লেডি ড. রেবেকা সুলতানা এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, অনুষ্ঠানে মির্জা আব্বাস যেখানে বসেছিলেন, তার পাশের একটি চেয়ারে মোবাইল ফোনটি রেখেছিলেন। পরে ফোনটি আর খুঁজে পাননি।
শায়রুল জানান, বিষয়টি তিনি রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব জয়নাল আবেদীনকে অবহিত করেছেন।
এ অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। খালেদা জিয়া অনুষ্ঠানে না গেলেও বিএনপির পক্ষ থেকে এক প্রতিনিধিদল অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, নাসির উদ্দিন অসিম ও কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল।
আরটিভি/একে/এআর
প্রিজন ভ্যান থেকে যা বললেন পলক
আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে দায়ের করা এক মামলায় আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে হাজিরা শেষে তিনি প্রিজন ভ্যানে উঠলে সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন- কেমন আছেন? জবাবে পলক বলেন, ‘দোয়া করবেন ভাই, বোবা হয়ে আছি, বোবা।’
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
প্রিজন ভ্যান ছেড়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত সাংবাদিকরা সাবেক প্রতিমন্ত্রীকে ফের প্রশ্ন করেন, পলক ভাই কেমন আছেন? এ কথা শোনার পর তাকে মুখে আঙুল দিয়ে কিছুক্ষণ চুপ থাকতে দেখা যায়। পরে ভেন্টিলেটর দিয়ে বাইরে তাকিয়ে তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন- ‘আপনারা মুক্ত আছেন তো? আমরা বোবা।’
এ সময় কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী তাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘পলক ভাই, ইন্টারনেট আছে? তবে জবাবে পলক কোনো কথা বলেননি।
তারপর পলকসহ আরও কয়েকজন হেভিওয়েট আসামিকে নিয়ে প্রিজন ভ্যানটি ট্রাইব্যুনাল ছেড়ে চলে যায়।
প্রসঙ্গত, জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ১২ মন্ত্রীসহ ১৬ আসামিকে আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
এই ১৬ জনের মধ্যে ৯ মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীসহ ১৩ জনকে গত ১৮ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। প্রসিকিউশনের আবেদন মঞ্জুর করে ওই দিন ১৩ জনকে কারাগারে পাঠান চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সেদিন চিফ প্রসিকিউটর ট্রাইব্যুনালের কাছে আসামিদের বিরুদ্ধে সব প্রমাণ জমা দেওয়ার জন্য দুই মাসের সময় চাওয়া হয়। তবে আদালত এক মাস সময় দেন। সে অনুযায়ী আসামিদের বিষয়ে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের দিন ছিল আজ।
আরটিভি/আইএম/এআর
বিএনপিকে যে আহ্বান জানাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
বিএনপি এবং তার অঙ্গ সংগঠনগুলোকে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের আহ্বান জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে সংগঠনটির মুখপাত্র উমামা ফাতেমার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ ডিসেম্বর চাঁদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত বিক্ষোভ ও সংহতি সমাবেশে চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে অবস্থান স্পষ্ট করেন গণঅভ্যুত্থানের আহত যোদ্ধা আ. হাই লাভলু। চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান ব্যক্ত করায় সমাবেশ পরবর্তী সময়ে চাঁদপুর পৌর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম সোহান ও তার সঙ্গীরা আ. হাই লাভলু এবং তার ভাইয়ের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে এমন হামলা ও আক্রমণের ঘটনা অপ্রত্যাশিত। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং তাদের অঙ্গ সংগঠনসমূহ গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম অংশীজন। কিন্তু, অভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্রগঠনকালীন সময়ে গণঅভ্যুত্থানেরই আহত যোদ্ধার ওপর যুবদল নেতা এবং তার সঙ্গীদের হামলার ঘটনা দুঃখজনক।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী থানায় একটি মামলা করলেও মূল অপরাধীদের এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। অতি দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের।
আরটিভি/এসএইচএম
প্রতিশোধ নিলেন না, উদারতা দেখালেন ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক
উদারতা ও মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন বিএনপির আর্ন্তজাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। নিজের ওপর হামলার প্রতিশোধ না নিয়ে উল্টো হামলাকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের অনুরোধে নিজের করা মামলার এজহারভুক্ত আসামিকে আটকের পর ছেড়ে দেওয়ারও ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর কোতোয়ালী থানায় এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর ৪ বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় মহাসমাবেশকে ঘিরে পুরান ঢাকায় জনসংযোগ চালানো অবস্থায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন ইশরাক হোসেন। পুলিশ মামলা না নিলেও পরবর্তীতে সেই ঘটনায় আদালতে মামলা করেন তিনি। তাতে এজহারভুক্ত আসামি হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাইনুদ্দীনকে শনাক্ত করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে মঙ্গলবার রাতে তাকে ধরে নিয়ে রাজধানীর কোতোওয়ালী থানায় সোপর্দ করেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতারা। আটকের খবরে মাইনুদ্দীনের আইন বিভাগের বন্ধুরা বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের সঙ্গে দেখা করতে তার বাসায় যান। সে সময় তিনি বাসায় না থাকায় রাতেই কোতোয়ালী থানার সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে ইশরাক হোসেনের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা হলে তারা বন্ধুকে মাফ করে দিয়ে থানা থেকে ছাড়ানোর দাবি জানান। হামলার ঘটনায় ভুল করেছে উল্লেখ তার কাছে ক্ষমাও চান অভিযুক্ত মাইনুদ্দীনসহ তার বন্ধুরা। একই সঙ্গে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তাদের জোরালো ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন। শিক্ষার্থীদের অনুরোধে ইশরাক তাদের দাবি মেনে নিয়ে অভিযুক্ত মাইনুদ্দীনকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানান। রাত পৌনে ৩টায় তাকে থানা থেকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
এ বিষয়ে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘২০২২ সালে আমার ওপর যে ন্যাক্কারজনক হামলা করেছিল ছাত্রলীগ। সেখানে আমার গাড়ি ভাঙচুর করেছিল তারা। আমিসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন। সে সময়কার ঘটনার জন্য ওরা দুঃখ প্রকাশ করেছে। ঘটনায় ভুল করে এবং অনেকটা বাধ্য হয়েই অংশ নিয়েছিলেন জানিয়ে এজন্য ক্ষমাও চান অভিযুক্ত ওই ছেলেটি। ছাত্র আন্দোলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ভূমিকার কথা বিবেচনা করেছি।’
তবে ছাত্রলীগ নিয়ে তার অবস্থান কঠোর বলেও জানান ইশরাক হোসেন।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানার ওসি তদন্ত নাসির উদ্দির বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অনুরোধে ইশরাক হোসেন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নেন। একই সঙ্গে তাকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধও করেন। বাদীর অনুরোধে আসামিকে রাতেই ছেড়ে দিয়েছি।’
আরটিভি/এসএপি
নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে হতাশ বিএনপি
নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বক্তব্যে বিএনপি হতাশ বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন নিয়ে সরকার যে সময় নিচ্ছে বিএনপি সেটিকে যৌক্তিক মনে করে না। নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে, এখন নির্বাচনের রোডম্যাপের কোনো বাঁধা নেই। নির্বাচন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করেই দ্রুত নির্বাচন দেওয়া যেতে পারে।
গতকাল বুধবার হওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে সবাই মনে করে ড. ইউনূসের বক্তব্য অস্পষ্ট। কোনো সুনির্দিষ্ট বক্তব্য রাখা হয়নি।
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, বিজয় দিবসে দেওয়া জাতির উদ্দেশে ভাষণে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর অথবা ২০২৬-এর প্রথমার্ধে নির্বাচন করার কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা যা একেবারে অস্পষ্ট। সুনির্দিষ্ট সময়ের উল্লেখ নেই। আবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেছেন ২০২৬ সালের জুনের কথা যা পরস্পরবিরোধী। বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবে।
সোমবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, মোটাদাগে বলা যায়, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়।
তিনি বলেন, আমি সকল প্রধান সংস্কারগুলো সম্পন্ন করে নির্বাচন আয়োজন করার ব্যাপারে বারবার আপনাদের কাছে আবেদন জানিয়ে এসেছি। তবে রাজনৈতিক ঐকমত্যের কারণে আমাদের যদি, আবার বলছি ‘যদি’, অল্প কিছু সংস্কার করে ভোটারতালিকা নির্ভুলভাবে তৈরি করার ভিত্তিতে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয় তাহলে ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠান হয়তো সম্ভব হবে। আর যদি এরসঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করি তাহলে অন্তত আরও ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে।
এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী সাধারণ নির্বাচন ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করেছেন। যা থেকে এটি স্পষ্ট যে, ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখন নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময় ও তারিখ নির্ধারণ করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের।
আরটিভি/একে-টি