ইসলামী দলগুলোর ভোটবাক্স একটি করতে কাজ চলছে: রেজাউল করিম
আগামী নির্বাচনে ইসলামী দলগুলোর ভোটবাক্স একটি করতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউশনে শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে ইসলামী আন্দোলনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আয়োজিত নগর সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
এ সময় সকল ইসলামী দল এক হয়ে নির্বাচনী জোট করার ব্যাপারেও আশা প্রকাশ করেন রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, ইসলামী দলগুলোকে বারবার সিঁড়ি বানিয়ে ক্ষমতায় গেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সেটি আর হতে দেওয়া হবে না। বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ দেশে ইসলামী শাসন দেখতে চায়।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, দেশে এখনও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। প্রশাসন নিরপেক্ষ আচরণ করছে না। ক্ষমতার হাত বদল হয়েছে, সিস্টেমের পরিবর্তন হয়নি।
আরটিভি/আরএ/এআর
মন্তব্য করুন
সচিবালয়ে আগুন, ফেসবুকে যা লিখলেন ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক
দেশের প্রশাসনিক প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে মধ্যরাতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় আজ সকালে তা নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।
ইশরাক হোসেন লিখেছেন, জ্বলছে সচিবালয়। হাসিনা পরিবার ও তার দোসরদের দুর্নীতির নথিপত্র ধ্বংস করার জন্যে কি এই পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড?
তিনি লিখেছেন, দৈনিক সমকাল থেকে পাওয়া খবরের অংশ দেখাচ্ছে, মেগা দুর্নীতির মন্ত্রণালয়ের অফিস পুড়ে গেছে। যতদিন যাবে সংকট আরও গভীর হবে। তাই আমরা নির্বাচনের কথা বার বার বলছি। রাজনৈতিক সরকার ছাড়া আওয়ামী ও বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবিলা সম্ভব না।
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির এই সদস্য লিখেছেন, নির্বাচন শব্দটি শুনলেই যারা মহাবিরক্ত হোন, দয়া করে বোঝেন। বিএনপি অভিজ্ঞতা থেকেই দেশ রক্ষার্থে পরামর্শ দিচ্ছে। অন্য কাউকে বিশ্বাস না করলেও তারেক রহমানের ওপর ভরসা করুন।
স্ট্যাটাসে দৈনিক সমকালের উদ্ধৃতি দিয়ে ইশরাক হোসেন আরও লিখেছেন, সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়সহ বিভাগের অফিস রয়েছে। এই ভবনে রয়েছে- পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়; যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ; শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত স্ট্যাটাসটিতে দেড় হাজারেরও বেশি পাঠক মন্তব্য করেছেন।
ফরহাদ হোসেন নামে একজন লিখেছেন, নির্বাচিত একটি সরকারই পারে দেশকে স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে। কারণ, দেশের ভেতরে ও বাইরে ষড়যন্ত্র চলছে। অভিজ্ঞতাসম্পন্ন রাজনৈতিক দলগুলোই পারবে এসব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে।
আহসান আহমেদ ফকির লিখেছেন, ১০০% পরিকল্পিত।
আবু তালহা লিখেছেন, আগুন লাগলো কিভাবে সেটা আমার প্রশ্ন।
মোহাম্মদ লাবু ইসলাম নামে আরেকজন লিখেছেন, সচিবালয়ের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আগুন তো আর উড়ে এসে লাগেনি, এটা গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ মাত্র।
আরটিভি/আইএম
সরকার হাসিনা আমলের নথি চাওয়ার পরই সচিবালয়ে আগুন: রিজভী
সচিবালয়ে লাগা আগুনে জরুরি নথি পুড়ে যাওয়া কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয় উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার শেখ হাসিনা আমলের নথি চাওয়ার পরই তা গায়েব করতে আগুন দেওয়া হয়েছে। নিরপেক্ষ রাষ্ট্রীয় তদন্তের দাবি জানাই।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, জাতীয় পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের চেয়েও ভয়াবহ নিষ্ঠুরতা শেখ হাসিনা দেখিয়েছেন। সব জেনে শুনেই শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে ভারত। গণমাধ্যম দিয়ে পরিকল্পিত অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা।
গুম, খুন ও ক্রসফায়ারের মতো একের পর এক অপকর্ম যারা করেছেন, তাদেরকে সমর্থন দিচ্ছে ভারত মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, হাসিনার মাধ্যমে উপনিবেশ কায়েমের চেষ্টা করেছে তারা। ভারতের নীতি শেখ হাসিনার মাধ্যমে বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। তবে আমরা এখন চূড়ান্ত গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাব।
বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, শুনছি একটা দল গঠনের চেষ্টা চলছে। কারা কোন রাজনৈতিক দল করবেন, এটা যদি গোয়েন্দারা ঠিক করে দেন, তাহলে হাসিনার সঙ্গে পার্থক্য কী থাকল। এসব কিন্তু দেশের মানুষ মেনে নেবে না।
তিনি বলেন, মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন, এরশাদ ও হাসিনার মতো যদি একই সংস্কৃতি পুনরাবৃত্তি হয়, তাহলে কী পরিবর্তন এলো।
আরটিভি/আইএম
সচিবালয়ে আগুন, যা বললেন মির্জা ফখরুল
সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে দ্রুত শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে ফখরুল বলেন, সচিবালয়ের মতো স্পর্শকাতর ভবনে ভয়াবহ আগুন এবং আগুনে একজনের মৃত্যু ও দুই-তিনজন আহত হওয়ার ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের এ ধরনের অগ্নিকাণ্ডে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়া অস্বাভাবিক নয়।
তিনি আরও বলেন, মধ্যরাতে সচিবালয়ের মতো নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তামূলক স্থানে আগুনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তির দাবি করছি। নিহতের পরিবারসহ আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দিনগত রাত পৌনে ২টার দিকে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের শুরুতে রাত ১টা ৫৪ মিনিট থেকে সচিবালয়ে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করে। তবে তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় পর্যায়ক্রমে ১৯টি ইউনিটের দীর্ঘ প্রায় ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন পুরোপুরি নেভাতে সময় লাগে ১০ ঘণ্টা। এ ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরটিভি/এআর/এস
নিহত ফায়ার ফাইটার নয়নের পরিবারের পাশে তারেক রহমান
ঢাকায় সচিবালয়ে আগুন নেভাতে গিয়ে ট্রাকচাপায় নিহত ফায়ার সার্ভিসের সোহানুর জামান নয়নের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর একটি প্রতিনিধি দল।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে নিহত নয়নের শোকাহত পরিবারের কাছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহমর্মিতার বার্তা পৌঁছে দেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার আটপনিয়া গ্রামের সন্তান নিহত ফায়ার ফাইটার নয়নের পিতামাতার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্যসচিব আনিছুর রহমান লাকুসহ মিঠাপুকুর উপজেলা বিএনপির নেতারা।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর প্রতিনিধি দলটি নিহত নয়নের কবর জিয়ারত করেন। এ সময় নিহত নয়নের পিতা আখতারুজ্জামান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুনের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পর্যায়ক্রমে ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে নামে। দায়িত্ব পালনে তেজগাঁও থেকে ছুটে গিয়েছিলেন স্পেশাল ইউনিটের সদস্য নয়নও। যুক্ত হয়েছিলেন আগুন নেভানোর কাজে। পানির পাইপ সংযোগ দিতে সচিবালয়ের রাস্তার উল্টো পাশে যাওয়ার সময় বেপরোয়া গতির একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা দিলে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি।
আরটিভি/এএএ
সংস্কারের নামে অনির্বাচিত সরকারকে দেশ চালাতে দেওয়া যায় না: ফখরুল
সংস্কারের নামে দিনের পর দিন অনির্বাচিত সরকারকে দেশ চালাতে দেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সংস্কারের পাশাপাশি সুশাসন ও জনদুর্ভোগ কমানোর উদ্যোগ না নিলে লক্ষ্য অর্জন হবে না। এমনকি রাজনৈতিক দলগুলোকে আক্রমণ ও তীর্যকভাবে কথা বলেও কোনো সংকট সমাধান হবে না।
উপদেষ্টারা রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে মন্তব্য করছেন। এটা উচিত নয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, উপদেষ্টারা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলছেন না। তাদের সহযোগিতা করছেন না। মনে রাখতে হবে, রাজনৈতিক দলগুলো কোনোভাবেই সরকারের প্রতিপক্ষ নয়।
আল্লাহ চাইলে বিএনপি আবারও ক্ষমতায় যাবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা আগেও ক্ষমতায় ছিলাম। ক্ষমতার জন্য আমরা কোনোদিন রাজনীতি করিনি।
জিয়াউর রহমানই সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন উল্লেখ করে এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের বাকশাল থেকে তিনি ফিরিয়ে এনেছেন বহুদলীয় গণতন্ত্র।
আরটিভি/আইএম/এস
নারায়ে তাকবির ও জিন্দাবাদ স্লোগান নিয়ে যা বললেন মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, আমি এখানে এসে একটা স্লোগান শুনলাম, নারায়ে তাকবির। অনেকদিন পরে এই স্লোগান শুনলাম। নারায়ে তাকবির আর জিন্দাবাদ স্লোগান তো বাংলাদেশ থেকে উঠে গিয়েছিল।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খেলাফত মজলিসের দ্বাদশ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচারের আমলে আমি অন্তত ১২ বার গ্রেপ্তার হয়েছি। এখনও আমার নামে ১০৮টা মামলা আছে। এ রকম মামলা হেফাজতে ইসলাম, জামায়াতসহ যত ইসলামিক দল আছে, সবার বিরুদ্ধে আছে। আওয়ামী লীগের বিদায়ে সেই আতঙ্কিত জীবনের অবসান ঘটেছে।
ভারতের উদ্দেশ্যে এ সময় তিনি বলেন, হাসিনার পতনে তোমাদের এত মাথাব্যথা কেন? একটার পর একটা গন্ডগোল করছো, অস্থিরতা সৃষ্টি করছো। পাশের বাড়িতে আগুন লাগলে কিন্তু নিজের বাড়িও সেভ থাকে না। একটু বুঝে শুনে চলবে। দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের লক্ষ্যে আমরা কখনও আপস করব না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ছাত্র আন্দোলন যখন অনেকটা থেমে গিয়েছিল তখন যাত্রাবাড়িতে মাদরাসা ছাত্রদের মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়েছিল। সেই সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা এবং সাধারণ জনতা রাস্তায় নেমেছিলেন। এখানে যারা আছেন কেউ হলফ করে বলতে পারবেন না গত ১৬-১৭ বছর তারা বাড়িতে শান্তিতে ঘুমাতে পেরেছেন।
আরটিভি/আইএম/এস
রিজভীর বক্তব্যে জামায়াতের কড়া প্রতিবাদ
‘ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে শেখ হাসিনাকে ক্ষমা করতে চায় জামায়াত’—বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এমন বক্তব্যে কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দলটির সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বিবৃতিতে বলেন, রিজভীর বক্তব্য জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এবং জামায়াতকে চরিত্রহীনভাবে উপস্থাপন করার উদ্দেশ্যে প্রদান করা হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, রিজভীর এসব বক্তব্য মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। জামায়াত কখনও ভারত সম্পর্কিত কোনো রাজনীতিতে অংশ নেয়নি এবং না কখনও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে হাসিনাকে ক্ষমা করতে চেয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রিজভী জামায়াতের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছেন- যেমন ‘৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক দলের আত্মসাৎ’, ‘রগ কাটা’, ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকার’, এবং ‘৭১ এর বিরোধিতা’—এগুলো অতীতের রাজনৈতিক প্রচারণার অংশ, যা বহু আগেই জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। এ ধরনের কথাবার্তা আর কিছু নয়, শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। জনগণ এসব মিথ্যা অভিযোগ আর বিশ্বাস করে না।
রফিকুল ইসলাম খান বলেন, রিজভী এসব কথা বলার মাধ্যমে জামায়াতকে অসম্মান করার চেষ্টা করছেন, অথচ জামায়াত কখনও ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকার’ বা ‘মোনাফেকি’ করেনি। আমরা ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে রাজনীতি করি। জামায়াত মানুষের অধিকার, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, এবং ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আপসহীনভাবে লড়াই করছে। জামায়াতের রাজনীতি কখনও মোনাফেকি করে না, বরং একমাত্র সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, রিজভী ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে জামায়াতকে অভিযুক্ত করেছেন, কিন্তু তাকে নিজেই নিজের রাজনৈতিক ইতিহাস পর্যালোচনা করা উচিত। জনগণ জানে, কোন দল ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে এবং তারা কীভাবে সেখানে সফর করেছে।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, জামায়াত ভারতের আধিপত্যবাদ এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনীতি করে আসছে এবং এই অবস্থান গোটা জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য। আর এ কারণেই সম্ভবত রিজভীর গাত্রদাহ সৃষ্টি হয়েছে।
বিবৃতিতে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য এবং অপবাদ আরোপের রাজনীতি থেকে রিজভীকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়।
আরটিভি/আরএ