ইপিডির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি
ইউরোপিয়ান পার্টনারশিপ ফর ডেমোক্রেসির (ইপিডি) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বিএনপি নেতারা।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল পৌনে ৫টায় এ বৈঠক শুরু হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বৈঠকে মাইকেলস লিডাউয়ার ও মিসেস ম্যাট ব্যাকেনসহ ইউরোপিয়ান পার্টনারশিপ ফর ডেমোক্রেসির তিনজন প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন।
এ ছাড়া বিএনপির পক্ষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটি ও চেয়ারপারসন ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ ও কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য জেবা খান উপস্থিত আছেন।
আরটিভি/আরএ-টি
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন সেনাপ্রধান
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন সেনাবাহিনীপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সেনাপ্রধান খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় যান। তিনি প্রায় ৪০ মিনিটের মতো সেখানে ছিলেন।
বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে এসেছিলেন সেনাপ্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের সঙ্গে ওনার সহধর্মিণী ছিলেন। তারা প্রায় ৪০ মিনিট ফিরোজায় ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলে এলাহি আকবর স্বাগতম জানিয়েছেন সেনাপ্রধানকে। বিএনপি চেয়ারপারসন যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন সেই দোয়া করেছেন সেনাপ্রধান।
আরটিভি/এমএ/এস
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আরও যত মামলা রয়েছে, জানালেন কায়সার কামাল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আরও ১৮ থেকে ১৯ টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
রোববার (৫ জানুয়ারি) সকালে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
এর আগে, এদিন তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা চাঁদাবাজির চারটি মামলা বাতিল করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের দায়ের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
এ বিষয়ে কায়সার কামাল বলেন, এ আদেশের ফলে তারেক রহমান সাহেবের বিরুদ্ধে এই চারটি মামলা আর চলবে না।
তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেন ও শেখ হাসিনা সরকার যেসব মামলা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করেছে সবগুলো ছিল মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্রমূলক। আদালত চুলচেড়া বিশ্লেষণ করে দেখেছেন এই মামলাগুলোর আইনগত কোনো ভিত্তি ছিল না।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রাজধানীর গুলশান, কাফরুল, শাহবাগ ও ধানমন্ডি থানায় বিভিন্ন ব্যক্তি বাদী হয়ে এই চারটি মামলা করেন।
আরটিভি/আরএ
লন্ডন থেকে ফিরে তারেক রহমানকে নিয়ে যে তথ্য দিলেন সালাহউদ্দিন
প্রায় দুই সপ্তাহ লন্ডন সফর শেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। দেশের মাটিতে পা রেখেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি; দিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের খবরও।
রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।
এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরা নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, তারেক রহমান অবশ্যই দেশে ফিরবেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, এখনও পর্যন্ত তারেক রহমানের দেশে ফেরার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ আমরা তৈরি করতে পারিনি। সেজন্য অল্প কিছু সময় লাগবে। তবে, তিনি অবশ্যই আসবেন।
তারেক রহমানের সঙ্গে কী কী বিষয়ে কথা হয়েছে জানতে চাইলে বিএনপির এ নেতা বলেন, এ বিষয়ে আপনারা ধীরে ধীরে জানতে পারবেন। তবে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঐক্যের কথা বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে ফ্যাসিবাদবিরোধী যে ঐক্য গড়ে উঠেছে তার বাস্তবায়নে আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যাওয়া উচিত। জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের দিকে যাওয়া উচিত। ভাসা ভাসা সময় না, সবার সঙ্গে আলোচনা করে একটা সঠিক রোডম্যাপ দিতে হবে। নতুন রাজনৈতিক শক্তির উদয় হলে আমরা স্বাগত জানাবো। তবে, সেটা কিংসপার্টির মতো যেন না হয়।
এরপর সংবিধান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সংবিধান কখনো কবর দেয়া যায় না। পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা সংশোধন হতে পারে।
আরটিভি/এসএইচএম
৭ বছর পর দেখা হচ্ছে মা-ছেলের
এক অক্ষরের ছোট্ট শব্দ ‘মা’। এমন মধুর শব্দ অভিধানে আর দ্বিতীয়টি নেই। এই শব্দের মধ্যেই লুকিয়ে আছে পৃথিবীর সব মায়া, মমতা, অকৃত্রিম স্নেহ, আদর ও ভালোবাসা। অথচ, সেই ভালোবাসা ও নাড়ির সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল রাজনৈতিক কাঁটাতার। দীর্ঘ সাত বছর মা, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সশরীরে সাক্ষাৎ হয়নি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। অবশেষে তার এই কষ্ট ও আক্ষেপ ঘুচতে বসেছে। সব ঠিক থাকলে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাবেন বিএনপি নেত্রী। আর এর মাধ্যমে ৭ বছর পর গর্ভধারিণী মাকে সামনাসামনি দেখতে পাবেন বিএনপির এই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
জানা গেছে, কাতার আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির পাঠানো ‘বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’ ফ্লাইটে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১০টায় লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন খালেদা জিয়া। এরই মধ্যে সফরের সব প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে রোববার (৫ জানুয়ারি) রাতে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সব সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন বিএনপি নেত্রী। এ ছাড়াও এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ এবং রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীর সঙ্গেও পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
বেগম খালেদা জিয়ার এবারের বিদেশযাত্রার সফর সঙ্গীর বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো না হলেও চিকিৎসক, পরিবারের সদস্য এবং দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারাসহ অন্তত ২৫ থেকে ৩০ জন যেতে পারেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। তবে তার আগে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে খালেদা জিয়ার সফর সঙ্গী হিসেবে সাতজন চিকিৎসকসহ ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের তালিকা যাবে এমন তথ্য প্রচারিত হয়েছে।
ওই তালিকা অনুযায়ী, সফর সঙ্গীদের মধ্যে রয়েছেন খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, বিএনপির চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. মো. এনামুল হক চৌধুরী, তাবিথ মোহাম্মদ আওয়াল, ফখরুদ্দীন মোহাম্মদ সিদ্দিক, মো. শাহাবুদ্দীন তালুকদার, নুরুদ্দীন আহমাদ, মো. জাকির ইকবাল, মোহাম্মদ আল মামুন, শরিফা করিম স্বর্ণা, চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এবিএম আব্দুস সাত্তার, মো. মাসুদুর রহমান, এসএম পারভেজ, ফাতেমা বেগম এবং রুপা শিকদার।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, লন্ডনে বড় ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে কিছুদিন থাকার পর যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন খালেদা জিয়া। পরে সেখানকার মেরিল্যান্ডের পূর্ব বাল্টিমোরে অবস্থিত জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন তিনি। ইতোমধ্যে সে প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, গত আগস্টের শুরুতে নবায়ন করা মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) খালেদা জিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে নভেম্বরে তিনি যুক্তরাজ্যের ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন। ইতোমধ্যে তার সফরকারী টিমের তালিকা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খালেদা জিয়া ও তার যাত্রা সঙ্গীদের ভিসা প্রাপ্তিতে সহযোগিতা প্রদানসহ বিষয়টি তদারকি করছে।
চিকিৎসা শেষে দ্রুতই বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশে ফিরবেন, এমন আলোচনা এখন দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে। তাদের ভাষ্য, যুক্তরাজ্য ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের ভিসা পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তাই ধারণা করা হচ্ছে, চিকিৎসা শেষে তিনি সৌদি আরবে পবিত্র ওমরাহ পালন করতে পারেন। আর সবশেষে মায়ের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও একত্রে দেশে ফিরতে পারেন।
এর আগে, চোখ ও পায়ের ফলোআপ চিকিৎসার জন্য ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই সন্ধ্যায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া। পরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে তিনি যাত্রাবিরতি করেন।
১৬ জুলাই বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে বেগম জিয়া লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সে সময় বিএনপির তৎকালীন সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং যুক্তরাজ্য বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানান। লন্ডনে মা ও ছেলের এ সাক্ষাৎকালে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান উভয়ই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তারেক রহমান তখন নিজের গাড়িতে করে মা খালেদা জিয়াকে গন্তব্যে নিয়ে যান।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি কারাবন্দি হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দি থাকার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে তার সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি দেয়। এরপর থেকে ৬ মাস পরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি নেত্রীর সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছিল সরকার।
এমন অবস্থায় গত ৫ আগস্ট গণ আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। এরপর থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে বিএনপি।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বিভিন্ন সময়ে আইসিইউতে রেখে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে তাকে দীর্ঘ সময় চিকিৎসা নিতে হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর গত ২১ আগস্ট এভারকেয়ার হাসপাতালে এক মাস চিকিৎসাধীন থেকে বাসায় ফেরেন তিনি।
আরটিভি/আইএম
কাতার আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
কাতার আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া লন্ডন যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রাকে সামনে রেখে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, এই মুহূর্তে যেসব ফর্মালিটি আছে, সেগুলো সম্পন্ন করে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১০টায় ইনশা আল্লাহ কাতারের আমিরের স্পেশাল এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ম্যাডাম ঢাকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-দোহা এবং দোহা-লন্ডনের হিথরো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের উদ্দেশে রওনা দেবেন।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার জেনে রাজকীয় বহরের এই বিশেষ বিমান দিয়েছেন। এ তথ্য জানিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, কাতারের আমিরের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। এই বিমানেই ম্যাডামের আগামীকাল রাতে লন্ডন যাত্রা শুরু হবে।
জাহিদ হোসেন জানান, আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কাতারের চারজন চিকিৎসক ও প্যারামেডিকসরা থাকবেন। ঢাকা থেকে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের ছয় সদস্য এই বিমানে যাবেন। তারা হলেন অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার, অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিক, অধ্যাপক নরুদ্দিন আহমেদ, ডা. জাফর ইকবাল, অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও ডা. মোহাম্মদ আল মামুন।
এ ছাড়া বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার ছোট ছেলের স্ত্রী সৈয়দা শর্মিল রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এনামুল হক চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল এবং খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তারসহ ব্যক্তিগত কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।
আরটিভি/একে/এআর
খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যেসব সুবিধা থাকছে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ওইদিন রাত ১০টায় কাতার আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে ঢাকা ত্যাগ করবেন তিনি।
কাতারে আমিরের পাঠানো ওই ‘বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স’ হলো দ্রুতগামী এয়ারবাস এ-৩১৯ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স। এর ভেতরে রয়েছে অত্যাধুনিক সব চিকিৎসা সুবিধা।
এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে যা থাকে
আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম: এই বিমানগুলোতে সব ধরনের জরুরি চিকিৎসা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য সর্বশেষ প্রযুক্তির চিকিৎসা সরঞ্জাম রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ভেন্টিলেটর, ডিফিব্রিলেটর, মনিটর, ইনফিউশন পাম্প এবং অন্যান্য জরুরি ওষুধ।
আইসিইউ সুবিধা: বিশেষ এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে একটি পূর্ণ আইসিইউ সুবিধা রয়েছে। রোগীর কঠিন কোনো পরিস্থিতিতে তাকে স্থিতিশীল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সুবিধা থাকে।
ডাক্তার এবং নার্স: এই বিশেষ বিমানে সবসময় অত্যন্ত দক্ষ ডাক্তার এবং নার্স থাকেন, যারা রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা দিতে সক্ষম।
স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ পরিবেশ: রোগীর আরামের জন্য এই বিমানগুলো খুবই স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে রোগী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য আলাদা আলাদা জায়গা থাকে।
স্বয়ংসম্পূর্ণ: বিশেষ এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে থাকে। অর্থাৎ, দীর্ঘ দূরত্বের বিমান যাত্রায় (ফ্লাইটের) ক্ষেত্রেও রোগীর সব ধরনের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।
এয়ারবাস এ-৩১৯ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স একটি অত্যাধুনিক এবং বিশ্বাসযোগ্য বিমান যা জরুরি পরিস্থিতিতে রোগীদের জন্য সর্বোত্তম চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করে। এর দ্রুত গতি, স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ পরিবেশ এবং সর্বশেষ প্রযুক্তির চিকিৎসা সরঞ্জাম এটিকে অন্যদের থেকে আলাদা করে।
এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের খরচ কত?
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া দেশ ভেদে পরিবর্তিত হয়, তবে সাধারণত এয়ার মেডিকেল ইভাক্যুয়েশন পরিষেবার সাথে সম্পর্কিত খরচগুলো গণনা করা হয়-
১. এক জায়গা থেকে অন্য জায়গার দূরত্ব
২. রোগীর সাথে আসা লোকের সংখ্যা
৩. জরুরি মাত্রা
৪. রোগীর স্বাস্থ্যের অবস্থা
উল্লেখ্য, কাতার আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কাতারের চারজন চিকিৎসক ও প্যারামেডিকসরা থাকবেন। ঢাকা থেকে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের ছয় সদস্য এই বিমানে যাবেন। তারা হলেন- অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার, অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিক, অধ্যাপক নরুদ্দিন আহমেদ, ডা. জাফর ইকবাল, অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও ডা. মোহাম্মদ আল মামুন।
এ ছাড়া বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার ছোট ছেলের স্ত্রী সৈয়দা শর্মিল রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এনামুল হক চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল এবং খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তারসহ ব্যক্তিগত কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।
আরটিভি/একে
খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী যারা
উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যেতে রাজধানীর গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত সোয়া ৮টার পর তিনি বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হন। রাত ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যোগে কাতার হয়ে লন্ডনে যাবেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। সেখানে পৌঁছে ‘লন্ডন ক্লিনিকে’ ভর্তি হবেন।
লন্ডন যাত্রায় খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হবেন তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা, দলীয় নেতা, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও স্টাফসহ ১৫ জনের অধিক মানুষ।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার সফর সঙ্গী হচ্ছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে চারজন চিকিৎসক ও প্যারা মেডিক্সরা থাকবেন। এ ছাড়া ঢাকা থেকে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের ৬ জন সদস্য এই বিমানে যাবেন। তারা হলেন- অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার, অধ্যাপক এফএম সিদ্দিক, অধ্যাপক নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. জাফর ইকবাল, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও ডা. মোহাম্মদ আল মামুন।
সফর সঙ্গী হিসেবে খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান রয়েছেন। দলীয় নেতাদের মধ্যে আছেন তার উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী, দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তারসহ ব্যক্তিগত কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী মো. মাসুদুর রহমান, প্রটোকল অফিসার এসএম পারভেজ এবং গৃহকর্মী ফাতিমা বেগম ও রূপা শিকদার সফরসঙ্গী হবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানাতে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় গিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে ফিরোজায় যান মির্জা ফখরুল। চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করে সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে ফিরোজা থেকে বেরিয়ে যান মির্জা ফখরুল।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সভাপতি আমিনুল হক, যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি মামুন হাসানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন।
খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়াকে লন্ডন বিমানবন্দরে রিসিভ করতে আসবেন বড় ছেলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী এবং লন্ডন বিএনপির নেতারা। বিমানবন্দর থেকে তাকে সরাসরি লন্ডন ক্লিনিক হাসপাতালে নেওয়া হবে। সেখানে তার চিকিৎসা চলবে।
ইতোমধ্যে খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রাযাকে ঘিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবির ভুঁইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে লন্ডনের উদ্দেশে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন। আমরা মনে করি, এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা বিমানবন্দরে আসবেন। তাদের নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা সম্পন্ন হয়েছে। এখানে নিরাপত্তায় নিয়োজিত এভসেক, এপিবিএনসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীও মোতায়েন থাকবে।
তিনি বলেন, বিমানবন্দরের বাইরে ও ভেতরে তার (খালেদা জিয়া) যেন কোনো ধরনের সমস্যা না হয়, সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ ব্যবস্থাই থাকবে। এ ছাড়া বিমানবন্দরে আগত অন্য যাত্রীদের যেন কোনো ধরনের নিরাপত্তা সমস্যা না হয়, সে ব্যাপারেও আমাদের সর্বোচ্চ পদক্ষেপ থাকবে।
আরটিভি/এফএ/এআর