চট্টগ্রাম, আসন ১১
পাঁচ প্রার্থী নিয়ে বেকায়দায় আওয়ামী লীগ
চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনটি জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসন। দেশের সিংহভাগ রাজস্ব আয়ের যোগানদাতা চট্টগ্রামের এই ১১ নম্বর আসনটি থেকে আওয়ামী লীগের পক্ষে মনোনয়ন চাইছেন বেশ কয়েকজন।
অন্যদিকে, গুরুত্বপূর্ণ এ আসনটিতে বিএনপির রয়েছে একজন প্রার্থী। এছাড়া জাতীয় পার্টির প্রার্থীও এ আসন থেকে নির্বাচন করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সিটি করপোরেশনের ২৭ থেকে ৩০ এবং ৩৬ থেকে ৪১ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত চট্টগ্রামের ১১ নম্বর সংসদীয় আসন। পাঁচ লাখ ২ হাজার ২৩৪ ভোটারের এ আসনে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, দুইটি ইপিজেড, দেশের প্রধান তেল শোধনাগারসহ রয়েছে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। যে কারণে দেশের সিংহভাগ রাজস্বই আসে বন্দর-পতেঙ্গার এ আসনটি থেকে।
স্বাভাবিক ভাবেই জেলার গুরুত্বপূর্ণ এ আসনের জনপ্রতিনিধি নিয়ে বেশ কৌতূহলী এখানকার ভোটাররা। পাশাপাশি জাতীয়ভাবে উল্লেখযোগ্য এ আসনটি নিজেদের দখলে নিতে তৎপর বিভিন্ন দলের প্রার্থীরাও।
নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের টিকিট পেতে এ আসন থেকে মাঠে নেমেছেন বর্তমান সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চুসহ পাঁচজনের নাম।
এই আসনটিতে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকায় তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে আসছে।
মনোনয়ন প্রত্যাশী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন আরটিভি অনলাইনকে বলেন, বন্দর- পতেঙ্গা এলাকাটি যেভাবে উন্নয়নের হওয়ার কথা ছিল সেভাবে হয়নি। আমি এলাকায় কাজ করে যাচ্ছি। ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে যাচ্ছি। এবার যদি দল থেকে মনোনয়ন দেয়া হয় তাহলে আমার সেরাটা দিয়ে জয়ী হওয়ার চেষ্টা করবো।
একাধিক প্রার্থী থাকার বিষয়ে খোরশেদ আলম সুজন বলেন, দল যাকে মনোনয়ন দিবে তার পক্ষে কাজ করা হবে।
-------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : নির্বাচনে কী বিএনপি আসবে?
-------------------------------------------------------
আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু বলেন, নির্বাচনী এলাকায় আমি মনোনয়ন প্রত্যাশী। একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে এই আসন থেকে মনোনয়ন দেয়া উচিত। তাহলে সহজে জয় লাভ করা সম্ভব হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিবে তার প্রতি আমরা অবিচল।
এদিকে, বিএনপিতে রয়েছে একক প্রার্থী। বিএনপি থেকে বন্দর পতেঙ্গা আসন থেকে নির্বাচন করতে পারেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
এ বিষয়ে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে সবাই প্রস্তুত নির্বাচনে অংশ নিতে। কোথায় থেকে নির্বাচন করবো এখনও সিদ্ধান্ত নেইনি। দল যেখান থেকে চাইবে সে স্থান থেকে নির্বাচন করবো।
অন্যদিকে জাতীয় পার্টির গুরুত্বপূর্ণ আসনটি থেকে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। পোষ্টার ব্যানারসহ নানা উপায়ে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন নগর জাতীয় পার্টির সভাপতি সোলায়মান আলম শেঠ।
সোলায়মান আলম শেঠ বলেন, নির্বাচিত হতে পারলে বন্দর নিয়ে নিজের কিছু পরিকল্পনা আছে তা বাস্তবায়ন করা হবে। দল থেকে আমাকে বলা হয়েছে এই আসন থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে। আমি প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। দল থেকে মনোনয়ন পেলে ভালো করতে পারবো। জয়ী হতে পারবো।
আর ভোটররা বলছেন, দলীয়ভাবে যে প্রার্থীই মনোনয়ন পান না কেন, এটা তাদের কাছে যতটা গুরুত্বপূর্ণ তার চেয়েও বেশী বিবেচ্য বিষয় হলো ওই প্রার্থী দক্ষ ও দুর্নীতি মুক্ত কি-না?
আরও পড়ুন :
- যোগ্য নারী প্রার্থীকেই প্রাধান্য দেবে আ.লীগ হাইকমান্ড
- বিএনপির সমাবেশের দিনে মাঠ দখল রাখার ঘোষণা ১৪ দলের
এসএস/ এসএস
মন্তব্য করুন