• ঢাকা সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

ভোটের হাওয়া

রাঙামাটিতে আ.লীগে একক, বিএনপিতে একাধিক, চুপচাপ জেএসএস

ইয়াছিন রানা সোহেল, রাঙামাটি

  ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৪:১৪

সারা দেশের মতো রাঙামাটিতেও শুরু হয়েছে নির্বাচনী হাওয়া। দেশের বৃহত্তম এই জেলায় একটি মাত্র সংসদীয় আসন। নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলার সর্বত্র চষে বেড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী দীপংকর তালুকদার।

তবে বিএনপি প্রার্থী চূড়ান্ত না হলেও নির্বাচনকে সামনে রেখে ঘর গোছাতে ব্যস্ত তারা। এছাড়াও এই আসনে অন্যতম ফ্যাক্টর সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস প্রার্থীর তোড়জোড়ও তেমন একটা চোখে পড়ছে না। নির্বাচন নিয়েও ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে নারাজ তারা। তবে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছে ছোট দলগুলো।

আয়তনের দিক দিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা। ১০টি উপজেলা, ১২টি থানা, ৫০টি ইউনিয়ন নিয়ে ২৯৯ নং সংসদীয় আসন রাঙামাটি। নির্বাচন কমিশনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এই জেলার মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ১৭ হাজার তিনশ’ ৫৯ জন। এরইমধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ দুই হাজার ৯৯ জন ও মহিলা ভোটার এক লাখ ৯৭ হাজার দুইশ’ ৬০ জন। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই এর উত্তাপ বাড়ছে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার সন্তু লারমার-জেএসএস সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরে গেলেও এবার তা ফিরে পেতে মরিয়া আওয়ামী লীগ। একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের একক, বিএনপির একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে।

তবে প্রার্থী যেই হোক না কেন ভোটার চান যোগ্য ও এলাকার উন্নয়ন করবেন এমন প্রার্থী। এবারের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার। বিএনপির একাধিক প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ান, সহ-উপজাতীয় বিষয়ক সম্পাদক কর্নেল (অবঃ) মনীষ দেওয়ান, জেলা বিএনপির সভাপতি হাজী মো. শাহ আলম।

দশম জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জেএসএস সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ঊষাতন তালুকদারের কাছে ১৩ হাজার ছয়শ’ ৮৭ ভোটে হেরে গেলেও এবার তা ফিরে পাবেন বলে আশাবাদী আওয়ামী লীগ প্রার্থী দীপংকর তালুকদার।

আওয়ামী লীগ সভাপতি দীপংকর তালুকদার বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অস্ত্রের মুখে জনগণের ভোট কেড়ে নিয়েছে জেএসএস। ফলে বিগত পাঁচটি বছর জনগণ তাদের কাছ থেকে কিছুই পাইনি। এলাকায় যা উন্নয়ন হয়েছে সব আওয়ামী লীগই করেছে। তাই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকেই জয়ী করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

জেলা বিএনপির সভাপতি হাজী মো. শাহ আলম বলেন, আগামী নির্বাচন মোকাবেলা করার জন্য জেলা বিএনপি প্রস্তুত। নিজেদের প্রার্থীকে জয়ী করার জন্য বিএনপি যা যা করার সব কিছুতেই প্রস্তুত বলে জানান তিনি। একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন চাইতে পারেন বলেও জানান তিনি। তবে দলের হাই কমান্ড যাকে মনোনয়ন দিবেন তার পক্ষেই সবাই কাজ করবেন বলে জানান জেলা বিএনপি’র সভাপতি।

এছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলনের নেতা অ্যাডভোকেট আবছার আলী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন বলেও জানান। অপরদিকে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের পক্ষ থেকেও প্রার্থী ঘোষণা হতে পারে বলে জোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়। সম্মিলিত জাতীয় জোটের অন্যতম শরিক দল ইসলামী ফ্রন্ট রাঙামাটি জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ আল্লাম নুরুল আলম হেজাজী বলেন, ইসলামী ফ্রন্টের পক্ষ থেকে প্রার্থীর তালিকা ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। জোটের ও কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে যে নির্দেশনা আসবে তাই করতে প্রস্তুত জেলা ইসলামী ফ্রন্ট।

জেলায় একেবারে নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় থাকা জামায়াতে ইসলামীও কেন্দ্রীয় নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবদুল আলিম। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় পরিষদের নির্দেশনা মোতবেক তারা নির্বাচনে কাজ করবেন।

নির্বাচনে সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস প্রার্থী। কিন্তু এই সংগঠনের কেউ নির্বাচন নিয়ে এখনও মুখ খুলছেন না।

তবে যে দল বা ব্যক্তিই নির্বাচিত হোক না কেন সাধারণ লোকজনের প্রত্যাশা পাহাড়ে সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির বন্ধন মজবুত করতে পারবেন এমন জনপ্রতিনিধিকেই চান ভোটাররা।



আরও পড়ুন :

জেবি

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
হতাহতের ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন নয়: হাসনাত
আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনের সময়সীমা বেধে দিচ্ছি না: শাকিল 
নির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে, আর থামবে না: ড. ইউনূস
কক্সবাজারে ট্রাক্টরের ধাক্কায় নির্বাচন অফিসের কর্মচারী নিহত