অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি
আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর ‘শুদ্ধি অভিযান’কে স্বাগত জানিয়ে, একে আরো জোরালো করার পরামর্শ দিলেন বিশিষ্টজনরা। বললেন, কেবল দুই-একজন নয়, অপরাধের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিতদের রাজনীতিতে সুযোগ না দেয়ারও পরামর্শ তাদের।
চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগে, ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, গত শনিবার রাতে পদ থেকে সরে দাঁড়ান। সংগঠনের ৭১ বছরের ইতিহাসে, নৈতিক স্খলনের অভিযোগে শীর্ষ দুই নেতার এক সঙ্গে পদত্যাগের নজির এটিই প্রথম। এরপর, অপরাধের সঙ্গে জড়িত দলের কাউকে ছাড় না দেয়ার ঘোষণা আসে দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে।
এমন ঘোষণার ধারাবাহিকতায় ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে বুধবার রাতে র্যাব গ্রেপ্তার করে। অভিযোগ রয়েছে, ১৯৯২ সালে রাজধানীর শান্তিনগরের হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজে উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণিতে ভর্তির পর ছাত্রদলের হয়ে ছাত্র সংসদের নেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন খালেদ।
‘ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’-টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, এমন শুদ্ধি অভিযান দেশের মানুষের মধ্যে আশা জাগাবে। শুদ্ধি অভিযান দীর্ঘমেয়াদী না হলে কাঙ্ক্ষিত ফল মিলবে না। সবক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলেই বন্ধ হবে দুর্নীতি-অপরাধ।
পি
মন্তব্য করুন