বিশ্ববিদ্যালয়েই ‘টর্চার সেল’ নামে কিছু নেই: ছাত্রলীগ (ভিডিও)
প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্র সংগঠনগুলো অভিযোগ করলেও কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েই ‘টর্চার সেল’ নামে কিছু নেই বলে দাবি করলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব। তারা বলছেন, গেস্ট রুমে নির্যাতন নয় বরং শেখানো হয় আচার-আচরণ। তবে, অতি উৎসাহী হয়ে কেউ র্যাগিংয়ের নামে নির্যাতন করলে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত ৪৫ বছরে প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ, নিজেদের অন্তর্দ্বন্দ্বসহ নানা কারণে শিক্ষাঙ্গনে খুন হয়েছেন ১৫১ জন শিক্ষার্থী। তালিকায় যার সবশেষ সংযোজন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববদ্যালয়ের মেধাবীছাত্র আবরার ফাহাদ।
ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি বললেন, যে সরকার ক্ষমতায় থাকে, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো তাদের ছাত্র সংগঠনের নিয়ন্ত্রণে থাকাটা অলিখিত সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
---------------------------------------------------------------
আরো পড়ুন: বুয়েটে ছাত্রলীগ সভাপতি-সেক্রেটারির রুম সিলগালা
---------------------------------------------------------------
হলগুলোর ‘গেস্ট রুম’ বা ‘র্যাগ কালচার’র সঙ্গে শিক্ষার কোনো সম্পর্ক নেই জানিয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি বললেন, কেবল ভয় দেখিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখার হাতিয়ার হিসেবে গেস্টরুমগুলো ব্যবহার হয়, যা নিরাপদ শিক্ষার অন্তরায়।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দাবি করলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে গেস্টরুমে টর্চার নয়, নতুন ছাত্র-ছাত্রীদের আদব-কায়দা শেখানো হয়। ছাত্রলীগ কাউকে নির্যাতনের অনুমতি দেয় না বা সমর্থন করে না জানিয়ে তিনি বললেন, অতি উৎসাহী কেউ এই কাজ করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ডাকসু ভিপি বললেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে হলের কোনো রুম বা গেস্টরুমের দরজার ‘টর্চার সেল’ লেখা থাকে না। তারপরও ছাত্র-ছাত্রীরা নির্যাতনের শিকার হন।
ডাকসু নেতৃবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার পরিবেশ নিরাপদ করতে ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দেন। অন্যথায়, ভবিষ্যতে একই ধরনের করুণ ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন।
পি
মন্তব্য করুন