আওয়ামী লীগের জরুরি সভা সোমবার
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হবে সোমবার।
শনিবার দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৯ মার্চ (সোমবার) সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।
সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সব সদস্যকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অনুরোধ জানিয়েছেন।
এসজে
মন্তব্য করুন
৫ দিনের রিমান্ডে সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী
বিএনপির কার্যালয়ে পুলিশের লাঠিচার্জে মকবুল নামে এক কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (৭ অক্টোবর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
এ দিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাসান তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। বাদীপক্ষে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী রিমান্ড বাতিলসহ জামিন আবেদন করেন। সেই আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে, রোববার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর বিএনপির একদফা দাবি আন্দোলন কর্মসূচি ঘিরে সারা দেশের নেতাকর্মীরা যখন জড়ো হতে থাকেন, তখন আসামিরা বিএনপির সমাবেশ বানচালের সিন্ধান্ত নেন। ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর অজ্ঞাতনামা ৫০০ থেকে ৬০০ জন আসামি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। আসামিরা বিএনপি অফিসে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর করেন।
এ সময় পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ে থাকা নেতাকর্মীদের লাঠিচার্জ ও গুলি করেন। এতে মকবুল নামে বিএনপির এক কর্মী আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় মাহফুজুর রহমান নামে একজন গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আসামি ছিলেন সাবের হোসেন চৌধুরী।
আরটিভি/টি
১৬ বছরে সম্পদের পাহাড় গড়া শাহরিয়ার এবার ভারত ছেড়ে রাশিয়ায়
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারত পালিয়ে যাওয়ার পর তার দোসররাও ভারত পালিয়ে যায়। তারা সে দেশে এখনও আছেন। ভারতে পালিয়ে যাওয়া মন্ত্রী-এমপিদের মধ্যে রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও রয়েছেন। জানা গেছে, তিনি এখন আর সে দেশে নেই।
শাহরিয়ারের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে বাঘা-চারঘাটের বাসিন্দারা বলছেন, ৫ আগস্ট খুব ভোরে তিনি নিজ বাড়ি ছেড়ে সড়কপথে গেদে সীমান্তে পৌঁছান। এরপর তিনি ভারতে প্রবেশ করেন। ভারত থেকে থাইল্যান্ড হয়ে বর্তমানে তিনি রাশিয়ায় অবস্থান করছেন।
শাহরিয়ার ২০০৮ সালে প্রথম নির্বাচন করেন। তখন তিনি ছিলেন ব্যবসায়ী। হলফনামায় ঋণগ্রস্ত ছিলেন বলে উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তী ১৬ বছরে অভাবনীয় উত্থান ঘটে। রীতিমতো কয়েক হাজার কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির মালিক বনে যান শাহরিয়ার ও তার পরিবারের সদস্যরা। তার এই অস্বাভাবিক উত্থান দেখে বিস্মিত এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্টরা।
নাটোরের লালপুর উপজেলার আওয়ামী লীগের এক নেতার কন্যা সিলভিয়া পারভীন লেনিকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন শাহরিয়ার। প্রভাব খাটিয়ে লেনির মা রোকসানা মর্ত্তুজাকে ২০২১ সালে মেয়র বানান শাহরিয়ার। ঢাকার গুলশানে লেনিকে ৩ হাজার ৬০০ স্কয়ার ফুটের রাজকীয় একটি ফ্ল্যাট উপহার দেন। লালপুরে কোটি টাকা মূল্যের বাড়ি করে দেন। এ ছাড়া গুলশানে নিজের নামে দুটি এবং ছেলের নামে একটি ফ্ল্যাট কেনেন শাহরিয়ার।
জানা গেছে, রাশিয়া, ব্রাজিল ও চীনে গড়ে তুলেছেন ৮টি পোশাক কারখানা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। নিজের রেনেসাঁ গ্রুপের নামে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘দুরন্ত’ টেলিভিশন ।
আরটিভি/এআর
ওবায়দুল কাদেরের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে দুদকে আবেদন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ তিনজনের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধান চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুদক চেয়ারম্যান বরাবর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুলতান মাহমুদ এ আবেদন করেছেন। দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে এক সংবাদ সম্মেলনে এই আইনজীবী নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেন ।
আবেদনে ওবায়দুল কাদের ছাড়াও তার দুই ভাই আব্দুল কাদের মির্জা ও শাহাদাত কাদের মির্জার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অনুসন্ধান করার কথা মামলার আরজি জানানো হয়েছে।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে যান শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপরই দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সরকারদলীয় সাবেক এমপি-মন্ত্রী ও নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান।
গত বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ‘সড়ক ও মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে সড়ক-মহাসড়কের ব্যাপক উন্নয়ন দাবি করা হলেও সড়ক খাতে ২৯ হাজার ২৩০ থেকে ৫০ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে ১২ বছরই সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী হিসেবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) দায়িত্বে ছিলেন ওবায়দুল কাদের।
আরটিভি/এআর
বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মতিয়া চৌধুরী আর নেই
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বেগম মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এভারকেয়ার হাসপাতালের মহাব্যবস্থাপক আরিফ মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হলে সকালে মতিয়া চৌধুরীকে হাসপাতালে আনা হয়। এরপরই আমরা ইসিজি করে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করি। শেষ পর্যন্ত আমরা সব ধরনের চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সফল হতে পারিনি। দুপুর ১২টা ৫৭ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মতিয়া চৌধুরীরর পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, তিনি দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মাঝে তাকে বাসায় আনা হয়েছিল। কিন্তু শারীরিক জটিলতা দেখা দেওয়ায় আবার এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
১৯৪২ সালের ৩০ জুন মতিয়া চৌধুরী পিরোজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মা নুরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী। ব্যক্তিজীবনে ১৯৬৪ সালের ১৮ জুন খ্যাতিমান সাংবাদিক বজলুর রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
তিনি শেরপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় বামপন্থী রাজনীতি দিয়ে। তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)-এর সদস্য ছিলেন, পরবর্তীতে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে।
ইডেন কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন মতিয়া চৌধুরী। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৬৭ সালে ‘অগ্নিকন্যা’ নামে পরিচিত মতিয়া পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে যোগ দেন এবং এর কার্যকরী কমিটির সদস্য হন। ১৯৭০ ও ১৯৭১-এর মাঝামাঝি সময়ে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, প্রচারণা, তদবির এবং আহতদের শুশ্রূষায় সক্রিয় অংশ নিয়েছিলেন।
১৯৭১ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সময়কালে তিনি বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তারও হন।
১৯৯৬ ও ২০০৯ এবং ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ শাসনামলে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ তিনি আওয়ামী লীগের ১নং প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে পর পুনরায় তিনি ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব নেন।
এ বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে সাবেক প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান।
আরটিভি/টিআই
মতিয়া চৌধুরীর জানাজা বৃহস্পতিবার, দাফন বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরীর জানাজা আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর গুলশান আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রয়াত মতিয়া চৌধুরীর ভাই মাসুদুল ইসলাম চৌধুরী।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে স্বামী প্রয়াত সাংবাদিক বজলুর রহমানের কবরের পাশে শায়িত করা হবে।
প্রসঙ্গত, প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
আওয়ামী লীগের প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ ১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মা নুরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী। ব্যক্তিজীবনে ১৯৬৪ সালের ১৮ জুন খ্যাতিমান সাংবাদিক বজলুর রহমানের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মতিয়া চৌধুরী।
ইডেন কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন মতিয়া চৌধুরী। ১৯৬৭ সালে ‘অগ্নিকন্যা’ নামে পরিচিত মতিয়া পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে (ন্যাপে) যোগ দেন এবং এর কার্যকরী কমিটির সদস্য হন। ১৯৭০ ও ১৯৭১ এর মাঝামাঝি সময়ে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, প্রচারণা, তদবির এবং আহতদের শুশ্রূষায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছিলেন।
১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছিলেন তিনি। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সময়কালে বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হন মতিয়া চৌধুরী। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেয়।
শেরপুর-২ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য ১৯৯৬ ও ২০০৯ এবং ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ শাসনামলে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ১ নম্বর প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মতিয়া চৌধুরী। এ ছাড়া ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি।
আরটিভি/একে
মতিয়া চৌধুরীর প্রথম জানাজা সম্পন্ন
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, জাতীয় সংসদের উপনেতা ও সাবেক মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে রমনা অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে তার বাসভবনের সমানে প্রথম জানাজা পড়া হয়।
এর আগে, মতিয়ার চৌধুরীকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স তার বাসভবন রমনা অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে পৌঁছায়। সেখানে শেষ বিদায় জানাতে ভিড় করেন তার ভক্ত-অনুসারী ও স্বজনরা। এরপর সেখানে জানাজা সম্পন্ন হয়। এর পর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
মতিয়া চৌধুরীর ভাই মাসুদুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন, মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফনের জন্য নতুন জায়গা চাওয়া হয়েছে সিটি করপোরেশনের কাছে। জায়গা পেলে সেখানে দাফন করা হবে, না পেলে তার স্বামী বজলুর রহমানের কবরে দাফন করা হবে।
শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন মতিয়া চৌধুরী। তার নির্বাচনী এলাকার মানুষের দাবি থাকলেও দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় তার মরদেহ সেখানে নেওয়া হবে না বলেও জানান মাসুদুল।
গতকাল বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
প্রসঙ্গত, প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
আওয়ামী লীগের প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ ১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মা নুরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী। ব্যক্তিজীবনে ১৯৬৪ সালের ১৮ জুন খ্যাতিমান সাংবাদিক বজলুর রহমানের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মতিয়া চৌধুরী।
ইডেন কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন মতিয়া চৌধুরী। ১৯৬৭ সালে ‘অগ্নিকন্যা’ নামে পরিচিত মতিয়া পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে (ন্যাপে) যোগ দেন এবং এর কার্যকরী কমিটির সদস্য হন। ১৯৭০ ও ১৯৭১ এর মাঝামাঝি সময়ে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, প্রচারণা, তদবির এবং আহতদের শুশ্রূষায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছিলেন।
১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছিলেন তিনি। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সময়কালে বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হন মতিয়া চৌধুরী। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেয়।
শেরপুর-২ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য ১৯৯৬ ও ২০০৯ এবং ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ শাসনামলে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ১ নম্বর প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মতিয়া চৌধুরী। এ ছাড়া ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি।
আরটিভি/একে-টি
স্বামীর কবরে অন্তিম শয়নে মতিয়া চৌধুরী
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর দাফন আজ (১৭ অক্টোবর) বিকেলে সম্পন্ন হয়েছে।
দুই দফা জানাজা শেষে মতিয়া চৌধুরীকে মিরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তার স্বামী বজলুর রহমানের কবরে শায়িত করা হয়।
মতিয়া চৌধুরী গত বুধবার দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে দাফনের জন্য শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে নতুন জায়গা চাওয়া হয়েছিল। তবে সিটি করপোরেশন তাতে সাড়া না দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত স্বামীর কবরে তাকে দাফন করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে মতিয়া চৌধুরীর কফিন রাজধানীর রমনা অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের বাসভবনে নেওয়া হয়। সেখানে প্রথম জানাজায় পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা অংশ নেন। এ সময় আওয়ামী লীগের ব্যানারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বাদ জোহর রাজধানীর গুলশানের আজাদ মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাজা হয়। জানাজার আগে মতিয়া চৌধুরীর জন্য সবার কাছে দোয়া চান তার ভাই মাসুদুল ইসলাম চৌধুরী। পরে মসজিদের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তার কফিনে আলাদাভাবে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানানো হয়।
মতিয়া চৌধুরীর জন্ম পিরোজপুরে, ১৯৪২ সালের ৩০ জুন। তাঁর বাবা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মা নুরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী। ১৯৬৪ সালের ১৮ জুন খ্যাতিমান সাংবাদিক বজলুর রহমানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মতিয়া চৌধুরী।
মতিয়া চৌধুরী শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসন থেকে ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯৬ ও ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন মতিয়া চৌধুরী। ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে তিনি জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরও তিনি এই দায়িত্বে ছিলেন।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অধিকাংশ নেতা আত্মগোপনে থাকায় জানাজায় দলটির কোনো পর্যায়ের নেতাকে দেখা যায়নি। তবে দলটির সহযোগী সংগঠনের কয়েকজন নেতা এবং আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কিছু কর্মী জানাজায় অংশ নেন। জানাজা ও শ্রদ্ধা নিবেদনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী, বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তবে মতিয়া চৌধুরীর জানাজাকে ঘিরে দুই স্থানেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি চোখে পড়েনি।
আরটিভি/এআর