আওয়ামী লীগের জরুরি সভা সোমবার
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হবে সোমবার।
শনিবার দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৯ মার্চ (সোমবার) সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।
সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সব সদস্যকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অনুরোধ জানিয়েছেন।
এসজে
মন্তব্য করুন
বঙ্গবাজারে অগ্নিসংযোগ, ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
রাজধানীর বঙ্গবাজারে প্রায় দেড় বছর আগে পরিকল্পিতভাবে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ৩০ জনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর।
এর আগে কামাল হোসেন রিপন এক ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন ও সাবেক কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিনসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় বাদীপক্ষ অভিযোগ করেছে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে বঙ্গবাজারে আগুন দিয়ে দোকানপাট পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর বলেন, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে মামলার ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। নিবিড় তদন্তের মাধ্যমে বঙ্গবাজারের আগুনের ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল ভোর ৬টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়। উদ্ধারকাজ ও আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীও। সবার চেষ্টায় প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর বঙ্গবাজারে লাগা ভয়াবহ আগুন তাৎক্ষণিকভাবে নিয়ন্ত্রণে আসে।
তবে ৭৫ ঘণ্টা পর অর্থাৎ ৭ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে পুরোপুরি আগুন নেভে। ওই সময় বঙ্গবাজারে আগুনের ঘটনায় আনুমানিক দেড় হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন। এ ঘটনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন গঠিত তদন্ত কমিটি ও ফায়ার সার্ভিস গঠিত তদন্ত কমিটি তখন বলেছিল, মশার কয়েলের আগুন বা বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে বঙ্গবাজারে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল।
বঙ্গবাজারে আগুন লাগার ঘটনায় ২০২৩ সালের ১১ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন গঠিত তদন্ত কমিটি ওই প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল। তারা বলেছিল, মার্কেটের তৃতীয় তলায় একটি টেইলার্স থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। সিগারেটের অথবা মশার কয়েলের আগুন থেকে এই ঘটনা ঘটে। এতে ৩ হাজার ৮৪৫ জন ব্যবসায়ী সর্বস্ব হারান এবং ৩০৫ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে সিটি করপোরেশন গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়।
আরটিভি/কেএইচ
নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দীপু, মেনন, ইনু ও পলক
রাজধানীর রামপুরা, হাতিরঝিল ও শাহবাগ থানার নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু ও জুনায়েদ আহমেদ পলককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমাবার (২ ডিসেম্বর) সকালে পলক ছাড়া বাকি আসামিদেরকে ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করেন।
ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক শিক্ষা ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং সাবেক বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় ২০১৮ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার মামলা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেননকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে রামপুরায় হত্যা মামলায় হাসানুল হক ইনুকে এবং শাহবাগ থানার হত্যা মামলায় দীপু মনি, জুনায়েদ আহমেদ পলককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। পরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো ইমরান আহম্মেদের আদালত নতুন মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তাদের মদদ রয়েছে। এর আগেও বিভিন্ন মামলায় দীপু মনি, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু ও জুনায়েদ আহমেদ পলক রিমান্ডে ছিলেন।
আরটিভি/কেএইচ/এস
শেখ হাসিনাসহ ১৮৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার আবেদন
রাজধানীর উত্তরায় গুলিতে আলী হুসেন নামে এক আন্দোলনকারী নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৮৬ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে। একইসঙ্গে মামলায় আরও ৭০০ থেকে ৮০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাগীব নুরের আদালতে মফিজুল ইসলাম সানা নামে এক ব্যক্তি এই মামলার আবেদন করেন। তিনি আলী হুসেনের আত্মীয় বলে দাবি করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী জাকির হোসেন জানিয়েছেন, বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে আলী হুসেনের ঘটনায় কোনো মামলা হয়েছে কি না বা কোনো তদন্ত চলছে কি না তা ২০ কর্মদিবসের মধ্যে উত্তরা-পূর্ব থানা পুলিশকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার আবেদনে অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরী, হাবিব হাসান, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ ও বিপ্লব কুমার সরকার প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর উত্তরা-পূর্ব থানার আজমপুর-হাউজবিল্ডিং এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ছাত্র-জনতার মিছিলে অংশগ্রহণ করেন আলী হুসেন। সেখানে তিনি গুলিবিদ্ধ হলে তাকে উদ্ধার করে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরটিভি/কেএইচ
২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ, সাবেক ভূমিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকে চিঠি
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যাংক থেকে ঋণের নামে ২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবিএল) নতুন পরিচালনা পর্ষদ।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুদকের একটি সূত্র জানিয়েছে, আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে চিঠি পাঠিয়েছে ইউসিবিএল পরিচালনা পর্ষদ। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে আইন অনুযায়ী অনুসন্ধান করবে দুদক। অনুসন্ধানে প্রমাণ মিললে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সংস্থাটি।
বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে মন্ত্রী হওয়ার আগে সাইফুজ্জামান জাবেদ ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি ব্যাংক থেকে পদত্যাগ করে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। পরে তার স্ত্রী রুখমিলা জামান ব্যাংকটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।
আরটিভি/কেএইচ-টি
কলকাতায় ট্রাকচালককে পিটিয়ে আ.লীগ ও যুবলীগের ৪ নেতা গ্রেপ্তার
এক ট্রাকচালককে পিটিয়ে সিলেটের আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ৪ নেতা কলকাতায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। রোববার ভোরে কলকাতার নিউ টাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান (মুক্তি), সহসভাপতি আবদুল লতিফ (রিপন) ও সদস্য ইলিয়াস হোসেন (জুয়েল)।
জানা যায়, ভারতের কলকাতা থেকে সিলেটের আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ৪ নেতাকে গ্রেপ্তার করে মেঘালয় রাজ্যের ডাউকি থানার পুলিশ। রোববার (৮ ডিসেম্বর) ভোরে কলকাতার নিউ টাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে পশ্চিম জৈন্তা হিল জেলার একজন ট্রাকচালককে মারধরের অভিযোগে গত মাসে ডাউকি থানায় মামলা হয়েছিল।
এ বিষয়ে ভারতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, রোববার ভোরে মেঘালয়ের ডাউকি পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ প্রবেশের অভিযোগে ডাউকি থানায় একজন মামলা করেছেন। এ মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এ দিকে মেঘালয়ের পত্রিকা দ্য শিলং টাইমসের এক প্রতিবেদনে দাবি করা, গ্রেপ্তার ৪ বাংলাদেশিকে রোববার রাতে কলকাতা থেকে পশ্চিম জৈন্তা হিল জেলার প্রধান শহর জোয়াইয়ে আনা হয়। ট্রাকচালককে মারধরের অভিযোগে ডাউকি থানায় হওয়া মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
আরটিভি/এমকে/এআর
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদন / রাজনৈতিক বিরোধীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ হিসেবে প্রচার করেছে আওয়ামী লীগ
বিগত ২০২৩ সালে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি, তবে আওয়ামী লীগ সরকার প্রায়ই রাজনৈতিক বিরোধীদের কার্যক্রমকে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে মিলিয়ে প্রচার করেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২০২৩ সালে ‘সন্ত্রাসী’ কার্যক্রম নিয়ে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) প্রকাশিত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অবশ্য জঙ্গিদের, বিশেষ করে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (আল-কায়েদার সহযোগী গোষ্ঠী) এবং নব্য জেএমবির (আইএসআইএসের সহযোগী গোষ্ঠী) বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে ছিল। তবে বাংলাদেশের বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর একটা অংশের বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আছে।
এতে আরও বলা হয়, ২০২৩ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) হামলায় তিন সেনা নিহত হন।
তবে বাংলাদেশে অনলাইনে উগ্রবাদ উদ্বেগের বিষয় বলেও উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ডিসেম্বরে নিষিদ্ধ গোষ্ঠী হিযবুত-তাহরীরের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে অনলাইন সম্মেলনের অভিযোগ ছিল।
এছাড়া ২০২৩ সালে বাংলাদেশ সরকার বিতর্কিত ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করে, যার মাধ্যমে অনলাইনে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঠেকাতে পুলিশ কিছুটা এগিয়ে থাকে বলেও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
আরটিভি/কেএইচ
রাজধানী থেকে আ.লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
রাজধানীর পল্লবীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন—পল্লবী থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মামুন (৩৫), ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মো. সাজু (৩৪), ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক মো. সৈকত ইসলাম (১৯), আওয়ামী লীগ কর্মী মো. বাচ্চু বেপারী (৬০) ও রাজু (৫২)।
জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই বিকেলে পল্লবী থানার মিরপুর-১০ আবুল তালেব স্কুলের সামনে ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাথাড়ি গুলি করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় আকরাম খান রাব্বী নামে এক ব্যক্তি গুলিতে নিহত হোন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ফারুক খানের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ আগস্ট পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে মিরপুর ১১ এলাকা থেকে আসামি মো. মামুন ও সাজুকে (৩৪) গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ছাড়া গত ৪ আগস্ট বিকেলে পল্লবী থানার মিরপুর-১০ পপুলার-২ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে সরকার পতনের একদফা দাবিতে ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেন মো. আবিদ। আন্দোলনে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের গুলিতে গুরুতর আহত হোন আবিদ। এ ঘটনায় আবিদের ভাই জিন্নাত সাঈদীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ নভেম্বর পল্লবী থানায় অন্য একটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে পল্লবীর আদর্শ নগর এলাকা থেকে এ ঘটনায় জড়িত সৈকত, বাচ্চু ও রাজুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পল্লবী থানার পৃথক পৃথক মামলায় গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।
আরটিভি/আরএ-টি