যতই ষড়যন্ত্র হোক নিপীড়িত মানুষের পাশে থাকব: আব্দুল হালিম
যতই ষড়যন্ত্র হোক নিপীড়িত মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আব্দুল হালিম মোল্লা।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার থাকাকালে বিগত ১৬টি বছর নানান নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছি। আমার নামে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। তবুও আমি রাজপথ ছাড়িনি।
আবদুল হালিম মোল্লা বলেন, যতই ষড়যন্ত্র হোক দেশ ও দশের জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করে রাজপথে থেকে গাজীপুর মহা নগরীর নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের পাশে থাকব।
এ সময় মিথ্যা তথ্য ছড়ানো থেকে সবাইকে বিরত থাকার অনুরোধ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
বিএনপির শামা ও কৃষক দলের বাবুলের পদ স্থগিত
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের দলের সব পদ স্থগিত করা হয়েছে।
বুধবার (২১ আগস্ট) বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এই দুই নেতার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। সূত্র জানায়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের পদ স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগে, ফরিদপুরের নগরকান্দায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কবির ভূঁইয়া (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের পথসভা আয়োজনকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বুধবার (২১ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও কৃষকদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলে।
সংঘর্ষে নিহত কবির ভূঁইয়া উপজেলার ছাগলদি গ্রামের আবুল বসার ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম বাবুলের সমর্থক ছিলেন বলে জানা গেছে। আহতদের ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে আহতদের নাম পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নগরকান্দা ফরিদপুর-২ সংসদীয় আসনের অন্তর্গত। এই উপজেলাতেই জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ’র বাড়ি। দুজনই ওই আসন থেকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী।
আজ ঢাকা থেকে শহিদুল ইসলাম বাবুল এলাকায় আসার কথা ছিল। আয়োজন ছিল শোডাউন ও পথসভার করার। কিন্তু মঙ্গলবার রাত থেকেই দুই পক্ষের মহড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে চলছিল উত্তেজনা।
এরই জেরে সকালে উপজেলা সদর এলাকার ছাগলদির মোড়ে অবস্থান নেন বাবুল গ্রুপের সমর্থকেরা, অপরদিকে রিংকু গ্রুপের সমর্থকেরাও অবস্থান নেন বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। একপর্যায়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে দুই পক্ষই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। শুরু হয় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই পক্ষকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হত্যা মামলায় আসামি হয়ে যা বললেন শামা ওবায়েদ
ফরিদপুরে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক (পদ স্থগিত) শহীদুল ইসলামের সমর্থককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (পদ স্থগিত) শামা ওবায়েদকে আসামি করা হয়েছে। তবে, এ ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন শামা ওবায়েদ।
রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে শামা ওবায়েদ বলেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনেকেরই ছবি ও নামসহ তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সংঘর্ষকারীদের পরিচয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনসহ ফ্যাসিস্ট হাসিনার অবৈধ ক্ষমতার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য।’
তিনি বলেন, ‘ফরিদপুরের নগরকান্দায় ২১ আগস্ট ঘটে যাওয়া সংঘর্ষে একজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনায় গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণের দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিক নির্দেশনায় সাংগঠনিক যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তাকে আমি পূর্ণাঙ্গ সমর্থন জানাই। পরবর্তী সময়ে ২৪ আগস্ট আমাকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষ এবং পরবর্তী মামলার ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত চাই আমি।’
উল্লেখ্য, গত ২১ আগস্ট কৃষক দল নেতা শহীদুল ইসলামের মোটর শোভাযাত্রা করে ঢাকা থেকে ফরিদপুর শহরে এসে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে নগরকান্দা সদরে শামা ওবায়েদের সমর্থকরা শহীদুল ইসলামের সমর্থকদের ওপর হামলা করে। এ হামলায় শহীদুল ইসলামের সমর্থক নগরকান্দা পৌরসভার ছাগলদী মহল্লার বাসিন্দা কবির ভূঁইয়া (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। এ প্রেক্ষাপটে ওই দিন রাতেই বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত আলাদা দুই পত্রে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ শহীদুল ও শামা ওবায়েদের সকল পদ স্থগিত করেন।
আশা করেছিলাম ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা একটা রোডম্যাপ দেবেন: ফখরুল
দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণে সন্তোষ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম প্রধান উপদেষ্টা একটা রোডম্যাপ (রূপরেখা) দেবেন। আমরা গণতন্ত্রে উত্তরণের সেই রোডম্যাপ তার বক্তব্যের মধ্যে পাইনি।’
সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় পার্টির (জাফর) প্রতিষ্ঠাতা কাজী জাফর আহমদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনাসভায় এ প্রতিক্রিয়া জানান বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কবে নির্বাচন হবে, এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত’—প্রধান উপদেষ্টা ঠিকই বলেছেন। অবশ্যই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হবে। এই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তো রাজনৈতিক নেতা, রাজনৈতিক দল, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। আমি আশা করব, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা খুব দ্রুত সে প্রক্রিয়াটার দিকে যাবেন এবং তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলবেন।’
‘আমাদের এখন অত্যন্ত ধৈর্য ধরে সতর্কতার সঙ্গে পা বাড়াতে হবে’ মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, এই সরকার অবশ্যই কাজ করার জন্য এসেছে। সেই কাজ করার সুযোগ তাদের দিতে হবে। এ কথা আমরা বারবার বলছি, যৌক্তিক সময় অবশ্যই তাদের দিতে চাই।’
‘বাংলাদেশকে যেন কেউ পুলিশি রাষ্ট্র বানাতে না পারে, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ প্রধান উপদেষ্টার এমন কথাকে সাধুবাদ জানিয়ে ফখরুল বলেন, অত্যন্ত ভালো কথা। আমরা সবসময় এটাই চাই। আমরা পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হতে চাই না। আমাদের নিয়ন্ত্রণ করবে, প্রতি মুহূর্তে বলে দেবে যে এটা করা যাবে, এটা করা যাবে না, অথবা আমাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে আমাদের থেকে টাকা নেবে, আমাদের ছেলেদের গুলি করবে...এটা আমরা আর দেখতে চাই না। এটা করতে আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল আনসার এবং কিছু লোকজন যে সচিবালয় ঘেরাও করেছে, সেটা কিন্তু অশনিসংকেত, এটা ভালো লক্ষণ নয়। এ বিজয়কে নস্যাৎ করে দেওয়ার জন্য চক্রান্ত চলছে।’
স্বাধীনতাই বিশ্বাস করে না, এ ধরনের দলকে সমর্থন নয়: মির্জা ফখরুল
বাংলাদেশের স্বাধীনতাই বিশ্বাস করে না, এ ধরনের দলকে সমর্থন করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমার বাংলাদেশের স্বাধীনতাই বিশ্বাস করে না, সে ধরনের দলকে তো সমর্থন করা যাবে না। তবে আমরা মনে করি মানুষের অধিকার আছে একটা সংগঠন তৈরি করার, রাজনীতি করার।’
সরকার জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার আদেশটি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে, এ প্রসঙ্গে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা কোনও রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে নই, সে যে দলই হোক। আমাদের সংবিধানে যেকোনও ব্যক্তির অধিকার রয়েছে সংগঠন করার। কিন্তু স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের পক্ষে থাকতে হবে।’
বিএনপি মহাসচিব মনে করেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অর্জিত বিপ্লবকে নস্যাৎ করার জন্য এবং বিএনপির অবদানকে খাটো করতে পরিকল্পিতভাবে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
মির্জা ফখরুলের দাবি, ‘ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে ব্যর্থ করতে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। আপনারা দেখবেন, বিদেশ থেকে, বিশেষ করে ভারত থেকে এমন কতগুলো প্রচারণা চালানো হচ্ছে- যা বাংলাদেশে যে বিপ্লব, সেটাকে তারা নস্যাৎ করতে চায়। কতগুলো রাজনৈতিক ইস্যুকে তারা সাম্প্রদায়িক ইস্যু বানাতে চায়। যেটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘প্রথম দিকে তারা যে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রচার চালিয়েছিল, এটা বোধহয় এক-দুই পারসেন্টও সঠিক নয়। দ্বিতীয়ত হচ্ছে দখলদারি। এগুলো কিন্তু একটা ক্যাম্পেইন। আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি, আবারও আগের মতো, এক-এগারোর মতো বিএনপিকে লক্ষ্য করে এ কাজগুলো করা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত অন্যায়। আমরা ১৫ বছর ধরে সংগ্রাম করেছি গণতন্ত্রের জন্য, ভোটের অধিকারের জন্য। মনে রাখতে হবে, গণতন্ত্রে নির্বাচিত সংসদ ছাড়া কোনও সমস্যার সমাধান হয় না।’
২০০৭ সালের সেনা-সমর্থিত এক-এগারোর সরকারের প্রসঙ্গ তুলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা তো ভুলে যাইনি এক-এগারোর সময় কারা চেষ্টা করেছিল বিরাজনীতিকীকরণের। এমনকি ওই সময়ে আমাদের দলকে পর্যন্ত পুরোপুরি বাতিল, নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টাও হয়েছিল। এ কথাগুলো তো আমরা ভুলতে পারি না।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে রাষ্ট্র মেরামতের জন্য বিএনপি ‘যৌক্তিক’ সময় দেওয়ার কথা বলেছে, এমনটি উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই জন্যই আলোচনা দরকার। যৌক্তিক সময়ের ধারণা নির্ভর করবে পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে। আমরা কী চাই, ওনারা কী চান, জনগণ কী চায়, একটা আলাপ–আলোচনা তো হতে হবে। সে জন্য বলেছি, বর্তমান সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর অতি দ্রুত আলোচনা হওয়া দরকার। খুব জোর দিয়ে বলেছি, আজকেও বলছি। নইলে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি যদি মনে করি একজন ব্যক্তি একেবারে স্বর্গ বানিয়ে দিতে পারবে, আমার ওই চিন্তাটা সঠিক হবে না। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে দেশ কীভাবে চলবে। সংস্কারের দাবি তো আমরাই তুলেছি। আমরা ৩১ দফা দিয়েছি। ৩১ দফা থেকে কমিয়ে ১০ দফা হয়েছে, ১০ দফা থেকে এক দফা হয়েছে। এটা নিয়ে আমরা আন্দোলন করেছি, সারা বাংলাদেশ চষে বেড়িয়েছি। আমরা তো সংস্কার চাই। তবে সেই সংস্কারটা অবশ্যই হতে হবে জনগণের সমর্থন নিয়ে।’
তিনি বলেন, ‘মানুষ এখানে একটা ডেমোক্র্যাটিক সেটআপ চায়, গণতন্ত্র চায়। মানুষ নির্বাচন চায়। এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে।’
বর্তমান সরকারের মধ্যেও বিরাজনীতিকীকরণের কোনও লক্ষণ দেখছেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘না, আমি এমন লক্ষণ দেখছি না। আমি সতর্ক করছি। আমার একটা সতর্কের কথা আছে। কিছু চেহারা আছে তো? এই চেহারাগুলোকে দেখলে আমরা ভয় পাই।’
এ সময় যাদের কোনও দিন দেখা যায়নি, তারা সামনে চলে আসছেন বলেও উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে তারা মিডিয়াতে ফ্রন্ট পেজে চলে আসছেন। তাদের বক্তব্য, থিওরি প্রচার করছেন। আমি কারও নাম বলতে চাই না। আমার মনে হয়, এটা সুস্থ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য ভালো বিষয় নয়।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন ফখরুল
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তিন নেতা।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সোয়া এক ঘণ্টার বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আলোচনার জন্য ডেকেছিলেন। প্রায় সোয়া এক ঘণ্টার আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশাবাদী ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের আন্তরিকতা, দেশপ্রেম এবং যোগ্যতা দিয়ে খুব দ্রুত বাংলাদেশকে স্টেবল (স্থিতিশীল) অবস্থায় নিয়ে আসতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচনের দিকেও যেতে পারবেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। আমরা কোনো তারিখ বলব না। এটা উনারা বলবেন।
এর আগে, এদিন বিকেল ৪টায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পৌঁছান। অপর দুজন হলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।
এ ছাড়া বৈঠকে পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ ও আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ছিলেন।
উল্লেখ্য, ড. ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পর গত ১২ আগস্ট বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের স্থায়ী কমিটি যমুনা প্রথম বৈঠক করেন।
সংস্কার শেষে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা দেবে সরকার: ফখরুল
প্রয়োজনীয় সংস্কার করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আলোচনার জন্য ডেকেছিলেন। প্রায় সোয়া এক ঘণ্টার আলোচনা অত্যন্ত ফলোপ্রসু হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার দেশকে দ্রুত স্থিতি অবস্থায় নিয়ে আসবে এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা দিবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের আলোচনা চলমান থাকবে। যার মাধ্যমে রূপরেখা বেরিয়ে আসবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশাবাদী ড. ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বতীকালীন সরকার তাদের আন্তরিকতা, দেশপ্রেম এবং যোগ্যতা দিয়ে খুব দ্রুত বাংলাদেশকে স্টেবল অবস্থায় নিয়ে আসতে পারবেন।
এর আগে, এদিন বিকেল ৪টায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পৌঁছান। এ সময় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ ছিলেন।
এ ছাড়া বৈঠকে পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ ও আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ছিলেন।
উল্লেখ্য, ড. ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পর গত ১২ আগস্ট বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের স্থায়ী কমিটি যমুনায় প্রথম বৈঠক করেন।
জামায়াতের সঙ্গে জোট নিয়ে যা জানালেন ফখরুল
জামায়াতের সঙ্গে আমাদের যে জোট ছিল, আন্দোলনের জন্য জোট, সেটা অনেক আগেই অকার্যকর হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জামায়াতের সঙ্গে আমাদের যে জোট ছিল এটা এখন কোনো কাজ করে না। অনেক আগেই আমরা যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে প্রোগ্রাম ঠিক করে যুগপৎ আন্দোলন করেছি সরকার পতন অবধি। এটা এখন বলবত নেই।
তিনি বলেন, তবে অন্য দলগুলোর সঙ্গে আমরা আলোচনা অব্যাহত রেখেছি। কারণ, এখনো কেয়ারটেকার সরকার আছে, এরপর নির্বাচন আছে। সুতরাং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আমরা আলোচনা বজায় রাখছি, এটা জরুরি। এই মুহূর্তে আমাদের কোনো জোট নেই। আমরা জোটবদ্ধ নই।