যতই ষড়যন্ত্র হোক নিপীড়িত মানুষের পাশে থাকব: আব্দুল হালিম
যতই ষড়যন্ত্র হোক নিপীড়িত মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আব্দুল হালিম মোল্লা।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার থাকাকালে বিগত ১৬টি বছর নানান নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছি। আমার নামে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। তবুও আমি রাজপথ ছাড়িনি।
আবদুল হালিম মোল্লা বলেন, যতই ষড়যন্ত্র হোক দেশ ও দশের জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করে রাজপথে থেকে গাজীপুর মহা নগরীর নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের পাশে থাকব।
এ সময় মিথ্যা তথ্য ছড়ানো থেকে সবাইকে বিরত থাকার অনুরোধ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
ডিসেম্বরের মধ্যেই ভোটের রোডম্যাপ চায় বিএনপি ও সমমনারা
বিএনপি ও তার সমমনা রাজনৈতিকদলগুলো আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যাশা, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করবে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।
পৃথক এসব বৈঠকে বিএনপির পক্ষে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু উপস্থিত ছিলেন।
এ দিন বিকেল সাড়ে তিনটায় প্রথমে ন্যাপ ভাসানীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির নেতারা। এতে ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মো. রুবেল হোসেন, যুব ন্যাপ সভাপতি মো. আল-আমিন, বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক মো. ইরফান আহম্মেদ সাকিব, যুব ন্যাপ কেন্দ্রীয় সদস্য মো. ইমরান হাওলাদার, মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শুরু হয়। এতে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক হারুন আল রশিদ খান, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. সামছুল আলম, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড হারুন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
এরপর বাংলাদেশ পিপলস পার্টির সঙ্গে বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে বৈঠকে বসেন বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির নেতারা। এতে বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বাবুল সরদার চাখারি, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হারুন অর রশিদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুর রহমান লিটন, মো. কামাল আহমেদ, বিলকিস খন্দকার, রানী শেখ, মো. মামুন হোসেন, মো. আরিফুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. নাজমুল করিম, খাদিজা আক্তার, যুগ্ম মহাসচিব মোশাররফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সবশেষ বিকেল ৫টায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শুরু হয়। এতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক ইসমাইল সম্রাট, সদস্য সচিব সাজ্জাদুর রহমান রাফি, তাওহিদুল ইসলাম, হামিদ প্রিথু, মোহাম্মদ রাকিব, নাদিম খান নিলয়, রাবেয়া সাইদ মিম, রুবাইয়া হক রিদিকা, মোহাম্মদ ইব্রাহীম, জুয়েল আহমেদ, মোহাম্মদ মিনহাজ উপস্থিত ছিলেন।
এসব বৈঠকে ৩১ দফা বাস্তবায়নে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। পাশাপাশি বিএনপি যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে তাদের সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করা হবে। একই সঙ্গে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
আরটিভি/আইএম
পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলে হাইকোর্টে মির্জা ফখরুলের আবেদন
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলে হাইকোর্টে বিএনপির পক্ষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আবেদন করেছেন।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে সশরীরে হাইকোর্টে এসে বিএনপি মহাসচিব এ আবেদন করেন।
এর আগে, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে আওয়ামী লীগ। শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পুনর্বহাল করা হয়। তবে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালানোর পর গত ১৯ আগস্ট পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে প্রশ্ন তোলেন হাইকোর্ট।
সব ঠিক থাকলে আগামী ৩০ অক্টোবর এর চূড়ান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
আরটিভি/আইএম-টি
টানা ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি টানা ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ৭ নভেম্বরের ইতিহাস তরুণ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে এই কর্মসূচি ঘোষণা দেয় দলটি।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এর আগে, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে তিনি জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ নভেম্বরের সঠিক ইতিহাস জনগণের সামনে নিয়ে আসতে হবে। যারা গত ১৫ বছরে বিকৃত ইতিহাস পেয়েছে তাদের সামনে সেই সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্যই এবার আমরা এই দিনটি গুরুত্বসহকারে পালন করব।
এ সময় তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে দেশ আংশিক ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে, পুরোপুরি ফ্যাসিবাদ মুক্ত হতে সুষ্ঠু নির্বাচন জরুরি।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর সংঘটিত সিপাহী-জনতা বিপ্লবের স্মরণে দিনটিকে মূলত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কর্নেল (অব.) আবু তাহেরের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থান জেনারেল খালেদ মোশাররফের ৩ দিনব্যাপী সামরিক অভ্যুত্থানের পতন ঘটায়। এই বিপ্লবের ফলশ্রুতিতে জেনারেল জিয়াউর রহমান বন্দিদশা থেকে মুক্তি পান, এবং পরবর্তীতে ক্ষমতায় আসেন।
আরটিভি/একে-টি
ভালোবাসা ও সম্মানের জায়গাটা নষ্ট করবেন না, ড. ইউনূসকে ফখরুল
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের মানুষ আপনাকে ভালোবাসে ও সম্মান করে সেটা যেন নষ্ট না হয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখবেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টন কার্যালয়ে দলের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, সরকারের নেতৃত্বে যিনি আছেন তিনি সারা পৃথিবীতে সমাদৃত। ড. ইউনূসের কাছে বলতে চাই বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে ভালোবাসে। সম্মান দিয়েছে, দেবে ও দিতে চায়। আপনার এই জায়গা যেন নষ্ট না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখবেন।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, অন্য বিষয়ে নজর না দিয়ে ফোকাসটা ওই (নির্বাচন) দিকে করবেন। এটার কোনো বিকল্প নেই। রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকতে হলে, জাতি হিসেবে এগিয়ে যেতে হলে সবার অংশগ্রহণে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে। সে কারণেই এতো প্রাণ গেছে। এতো মানুষ দীর্ঘকাল সংগ্রাম করেছে, কারাগারে গেছে।
অন্তর্বর্তী সরকার একদম কিছু করেনি (নির্বাচনের বিষয়ে) সেটিও সঠিক নয় বলেই মনে করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সর্বশেষ একটা সার্চ কমিটি গঠন করেছে। আমাদের প্রত্যাশা ছিল সার্চ কমিটি গঠনের আগে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন। তারপরেও এটাকে আমরা বড় সমস্যা মনে করছি না। দ্রুত নির্বাচন কমিশন হোক। এরপর দ্রুততার সঙ্গে তাদের যে কাজ নির্বাচন করা সেটি তারা করুক।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা একটা জটিল সময় পার করছি। যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়নি। চক্রান্ত শেষ হয়নি। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ফ্যাসিস্টরা এখনো সক্রিয়। শুধু ব্যক্তির পরিবর্তন করে পুরো কাঠামোর পরিবর্তন করা যায় না। সেটার জন্য সময়ের প্রয়োজন হয়।
আরটিভি/একে/এসএ
বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে নয়: মির্জা ফখরুল
বিএনপি দেশের কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে নয় বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দেশে অযথা ইস্যু তৈরি করে অরাজক পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর মহাখালীতে বিএনপির চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমদের স্মরণসভায় এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশকে ঘিরে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় দেশের জনগণকে সজাগ থাকতে হবে।
এ সময় তিনি বলেন, প্রয়াত সাবিহ উদ্দিন আহমেদ দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের জন্য সারাজীবন কাজ করেছেন। এই ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ দেখে যেতে পারলে তিনি অনেক খুশি হতেন বলেও মন্তব্য করেন।
আরটিভি/এআর-টি
খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রা নিয়ে যা জানা গেল
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশ যাত্রার বিষয়টি ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত। সব ঠিক থাকলে আগামী ৮ নভেম্বর তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশত্যাগ করবেন। এ সময় মেডিকেল বোর্ডের সাতজন চিকিৎসক, নার্স ও তিনজন সহকারীসহ মোট ১৬ জন তার সঙ্গে যাবেন।
‘লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’ যোগে বিএনপি নেত্রীকে প্রথমে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে, পরে সেখান থেকে চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র কিংবা জার্মানির কোনো মাল্টি ডিসিপ্লিনারি হেলথ সেন্টারে নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ম্যাডামের শারীরিক সুস্থতার ওপর নির্ভর করে অতিদ্রুত তাকে বিদেশে ‘মাল্টি ডিসিপ্লিনারি অ্যাডভান্স হেলথ’ সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। তারই অংশ হিসেবে আমাদের ‘লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’ ভাড়া করার কাজও শেষের দিকে। প্রথমে ম্যাডামকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে স্টে-ওভারের পরে মাল্টি ডিসিপ্লিনারি মেডিকেল সেন্টার যে দেশে আছে, সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। আমরা আশা করছি, সব কাজ সম্পন্ন করেই অতিদ্রুত ম্যাডামকে বিদেশে নিয়ে যেতে পারব।
তিনি আরও বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাবেন। এ বিষয়ে এরইমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার কার্যালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ম্যাডামের সঙ্গে চিকিৎসক-নার্সসহ আত্মীয়-স্বজন যারা যাবেন, তাদের বিষয়েও জানানো হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সাত চিকিৎসক (অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, প্রফেসর ডা. শাহাবুদ্দিন, অধ্যাপক ডা. শামসুল আরেফিন, ডা. নূর উদ্দিন, প্রফেসর ডা. এফ এম সিদ্দিক, ডা. জাফর ও ডা. আল মামুন), পুত্রবধূ শর্মিলা রহমান, গৃহপরিচালিকা ফাতেমা ও রূপার যাওয়ার কথা রয়েছে।
এ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, বেগম খালেদা জিয়া আগামী ৮ নভেম্বর লন্ডন যাবেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার ও যাত্রা সঙ্গীদের ভিসা প্রাপ্তিতে সহযোগিতা প্রদানসহ বিষয়টি তদারকি করছে।
তবে অপর একটি সূত্র বলছে, শেষ পর্যন্ত খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এবং স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কনফার্মেশনের ওপরই নির্ভর করছে তার উন্নত চিকিৎসার্থে বিদেশ যাত্রা। সেক্ষেত্রে যাত্রার তারিখ দু-এক দিন এদিক সেদিকও হতে পারে।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি কারাবন্দি হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দি থাকার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে তার সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি দেয়। এরপর থেকে ৬ মাস পরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি নেত্রীর সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছিল সরকার।
এমন অবস্থায় গত ৫ আগস্ট গণ আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে নির্বাহী আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। এরপর থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে বিএনপি।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বিভিন্ন সময়ে আইসিইউতে রেখে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে তাকে দীর্ঘ সময় চিকিৎসা নিতে হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর গত ২১ আগস্ট এভারকেয়ার হাসপাতালে এক মাস চিকিৎসাধীন থেকে বাসায় ফেরেন তিনি।
আরটিভি/আইএম/এআর
বিএনপিকে বাদ দিয়ে কিছু করার চেষ্টা করবেন না: ফখরুল
‘ক্ষমতায় যেতে রাজনীতিবিদরা উসখুস করছেন’- জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের এমন বক্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার (৩ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক কথা। আমরা আশা করি না, তিনি এ ধরনের মন্তব্য করবেন। আমরা দ্রুত নির্বাচন চাচ্ছি, কারণ যত দেরি করলে হাসিনারা ফিরে আসবে। আমরা সহযোগিতা করছি, আপনারাও সহযোগিতা করুন। আমরা ক্ষমতায় যেতেই চাই, সেজন্যই তো রাজনীতি করছি।
তিনি বলেন, পরিষ্কার করে বলতে চাই, আবারও ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে বাদ দিয়ে কিছু করার চেষ্টা করবেন না। মাইনাস টু ফর্মুলা আগেও কাজ করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, আমরা ভয়াবহ দানবের হাত থেকে মুক্ত হয়েছি। আপনাদের সঙ্গে যখনই দেখা হতো তখনই বলতাম আমাদের বুকে পাথর হয়ে বসে আছে। পাথর গেলেও এখনো স্বস্তি নেই। কোথায় যেন আটকা আছি। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এখন সরকার আছে, সেটা অন্তর্বর্তী সরকার।
তিনি বলেন, সংবাদপত্রে এসেছে প্রতি বছর ১২ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়ে গেছে। হিসাব করে দেখা গেছে, ১০০ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়ে গেছে। একেবারে অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ধ্বংস করেছে মানবিকতা। যেখানে যাবেন আওয়ামী লীগের চোরেরা বসে আছে। এখনো বসে আছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, শুধু বিএনপির সঙ্গে নয়, সব দলের নেতাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল সাদেক হোসেন খোকার। ঢাকা শহরের সব সড়কের নামগুলো বিশিষ্ট মানুষের নামে করে দিয়েছিলেন তিনি।
তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এখন তরুণ প্রজন্মের যুগ। যখন আব্বাস ও খোকা ভাই ছিলেন তখন ঢাকা শহর কাঁপতো। তোমাদেরও কাঁপাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা খোকা ভাইয়ের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। কখন পরাজিত হন? যখন মানুষটিকে মানুষ নিজের কাছের মানুষ হিসেবে বেছে নেয়। আমি তাকে কখনও উত্তেজিত হতে দেখিনি, অত্যন্ত ভাবনা-চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিতেন। তার মৃত্যু আমাদের কাছে পাহাড়ের মতো ভারী হয়েছিল।
মির্জা ফখরুল বলেন, ঢাকাবাসী খুব ভাগ্যবান যে মির্জা আব্বাস ও সাদেক হোসেন খোকার মতো দুজন মানুষকে পেয়েছেন, যারা খুবই কর্মীবান্ধব।
আরটিভি/এফএ