দুই বছরে সরকার একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত পাঠাতে পারেনি: রিজভী
কূটনৈতিক তৎপরতায় ব্যর্থ বলেই দুই বছরে সরকার একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত পাঠাতে পারেনি বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে চলন্তিকা বস্তিতে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
রিজভী অভিযোগ করে বলেন, জায়গা দখল করতেই একের পর এক বিভিন্ন বস্তিতে পরিকল্পিত আগুন দিচ্ছে ক্ষমতাসীনরা।
এ সরকারের হাতে কেউ নিরাপদ নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিরোধী দল দমনের পাশাপাশি দখলের রাজনীতিতে ব্যস্ত সরকার। তাই মানুষের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই।
পি
মন্তব্য করুন
দুই নেতাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করল বিএনপি
সিলেট মহানগর বিএনপির ২ নেতাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে দলটি। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের নীতি, আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থী অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ থাকায় তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নিয়েছে বিএনপি।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাদেরকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের আদেশ দেওয়া হয়।
বহিষ্কৃত দুই নেতা হলেন, সিলেট মহানগরীর ২৫নং ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. সোলেমান হোসেন সুমন এবং ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো.আবদুল মান্নান।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি, আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থী অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ অক্টোবর রাতে সিলেটের সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে ভারতীয় চোরাই চিনির ট্রাক ছিনতাই চেষ্টা করে বহিষ্কৃত দুই নেতাসহ ৬ জন। এ সময় স্থানীয়রা তাদেরকে আটক করে পুলিশে দেয়।
আরটিভি নিউজ
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে মানুষের চাহিদা অনেক বেশি: রিজভী
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দেশের মানুষের চাহিদা অনেক বেশি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর উত্তরায় ডেঙ্গু মোকাবিলায় জনসচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রশাসনে এখনও অনেক ফ্যাসিবাদের দোসর রয়েছে বলে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার আমলে নিয়োগ পাওয়া ৮০৩ জন পুলিশের উপপরিদর্শককে বিভিন্ন থানায় পোস্টিং দেওয়া হচ্ছে খবর পাচ্ছি। তারা কেউ নিরপেক্ষ নন। তারা হাসিনার ক্যাডার। এদের মধ্যে ২০০ পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছে, যাদের বাড়ি গোপালগঞ্জে। এসব পুলিশ কর্মকর্তাদের বিষয়ে তদন্ত করতে হবে। আরও অনেক ঘটনা আছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, যে পুলিশ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে শহীদ করেছে, সেই সব পুলিশ কীভাবে এখনও প্রশাসনে বহাল আছে? গোপালগঞ্জের মতো জেলার বাসিন্দা পুলিশের ২০০ এসআই কীভাবে এখনও হাসিনার ফ্যাসিবাদের পক্ষে কাজ করছে? এই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন দিয়ে শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতা এবং রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালিয়ে গুম-খুন করে বাংলাদেশকে গণকবরে পরিণত করেছে।
তিনি আরও বলেন, জুলাই-আগস্টে অভ্যুত্থান সফলে ছাত্র-জনতা গুলির মুখে বুক পেতে দিয়ে শহীদ হয়েছেন। আন্দোলন চলাকালে একজন পুলিশ কর্মকর্তা ভিডিও দেখিয়ে তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছিল, ‘স্যার একজন মরে, আরও দুইজন দাঁড়িয়ে যায়।’ এই ধরনের কর্মকর্তাদের পুলিশে বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব দেওয়া হলে তা ছাত্র-জনতার রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হবে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, প্রশাসনের এসব ব্যক্তিদের শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। এ ছাড়া শহীদের আত্মা শান্তি পাবে না।
এ সময় বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক পারভেজ রেজা কাকন, উত্তরের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হক, এস এম জাহাঙ্গীরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরটিভি/এফএ/এসএ
জনগণকে কষ্টে রেখে কোনো উদ্যোগ সফল হবে না: তারেক রহমান
দেশের মানুষকে কষ্টে রেখে কোনো উদ্যোগ সফল হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের রজতজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। আর জনগণকে কষ্টে রেখে কোনো উদ্যোগ সফল হবে না।
তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তী সরকারকে বাস্তব ও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। মাফিয়া সিন্ডেকেট ভাঙতে প্রয়োজনে উপদেষ্টা পরিষদের আকার বাড়াতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান রেখে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, জনদুর্ভোগ কমাতে না পারলে পলাতক স্বৈরাচারী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।
তিনি বলেন, মাফিয়া সরকারের অনেক নেতাকর্মী ভিন্নমতের অনেকের সম্পত্তি দখল করেছিল। জবরদখলকারীদের কাছ থেকে সেসব উদ্ধারে সরকারের উদ্যোগে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
জনকল্যাণকর রাষ্ট্র গঠনে স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, রাষ্ট্র ও নাগরিক নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করলেই সফল রাষ্ট্র তৈরিতে সফলতা মিলবে।
আরটিভি/আরএ/এসএ
আ.লীগকে আর টোকাইয়াও খুঁজে পাওয়া যায় না: রুমিন ফারহানা
বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সহসম্পাদক রুমিন ফারহানা বলেছেন, আওয়ামী লীগকে আর টোকাইয়াও কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
রোববার (২০ অক্টোবর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুরে আয়োজিত এক সভায় রুমিন ফারহানা এ কথা বলেন। রুমিন ফারহানার বাবা ভাষাসংগ্রামী অলি আহাদের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
ব্যারিস্টার রুমিন বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের মানুষ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিল। একটা বাড়িতেও কান্না হয়নি। একটা মানুষও আফসোস করেনি। এত বছর পরে আবার ৫ আগস্ট একই ঘটনা ঘটেছে। হাসিনা একদিকে পালিয়েছে। আর মানুষের ঘরে খুশি আর খুশি, মুক্তি আর মুক্তি, আনন্দ আর আনন্দ। আওয়ামী লীগকে আর টোকাইয়া কোথায় খুঁজে পাওয়া যায় না।
তিনি বলেন, ভোটের কোনো নিশানা কিন্তু দেখি না। সাবধান করে দেই। এ দেশের মানুষ ভোটের জন্য বারবার আন্দোলন করেছে। বারবার রক্ত দিয়েছে। মানুষের ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন না। মানুষকে ভোট দেওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেন। মানুষ যাকে খুশি, তাকেই বেছে নেবে। এই দেশ চলবে মানুষের রায়ে।
সাবেক সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, ক্ষমতায় যাবে সেজন, যেজনকে দেশের মানুষ ভোট দিয়ে ক্ষমতায় নেবে। বিনা ভোটের সরকার বাংলাদেশে আমরা আর কোনোদিন আসতে দেব না।
শাহবাজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমান মুন্সির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন অলি আহাদের গড়া ডেমোক্রেটিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক খোকন চন্দ্র দাস, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান, জেলা যুবদলের সাবেক সদস্যসচিব আলী আজম, সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মমিন হোসেন। আলোচনা সভা শেষে প্রয়াত অলি আহাদ স্মরণে দোয়া করা হয়।
আরটিভি/একে
রাষ্ট্রপতির অপসারণ চায় না বিএনপি: সালাহউদ্দিন
এই মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির অপসারণ বিএনপি চায় না বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাষ্ট্রপতি পদ শূন্য হলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে। এতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত হবে। তাই এই মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির অপসারণ বিএনপি চায় না।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি পদে শূন্যতা রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি করবে। যা দেশে গণতন্ত্র উত্তরণের পথ বাধাগ্রস্ত করবে। সুতরাং ফ্যাসিবাদের দোসররা যেন কোনো ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
এদিকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বুধবার প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা জানান।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, ‘যারা (এই দাবিতে) বিক্ষোভ করছেন তাদের আমরা বারবার বলছি, তারা যেন বঙ্গভবনের আশপাশ থেকে সরে যান। মঙ্গলবার থেকে বঙ্গভবনের আশপাশের নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।’
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার সাত দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে এবং সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাও ছিলেন। এ প্রসঙ্গে সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যারা এই আল্টিমেটাম দিচ্ছেন, তাদেরকে এ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবেন।’
পদত্যাগের এই দাবিকে সরকার কীভাবে দেখছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, ‘অনেক ধরনের দাবি অনেক জায়গায় তৈরি হয়। সবগুলো তো আমরা এড্রেস করি না।’
আরটিভি/এফএ/এআর
বিদেশি নাগরিক হয়ে রাষ্ট্রপতি হওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ: রিপন
বার্বাডোজের নাগরিক হয়ে মো. সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হয়ে দণ্ডনীয় অপরাধ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) ইতালির বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আমিনুর রহমান সালামের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে ‘সংবর্ধনা ও সাংবাদিকতার বিকাশে জিয়াউর রহমানের অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, মো. সাহাবুদ্দিন বার্বাডোজের নাগরিক। অন্য দেশের নাগরিক হয়ে তিনি কীভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন? এটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এর জন্য তার শাস্তি হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ করা উচিত। তার এ পদে থাকার যোগ্যতা নেই। তিনি আপাদমস্তক একটা দুর্নীতিবাজ লোক।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সাহাবুদ্দিন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন। পদ্মা সেতুর দুর্নীতি ঢাকতেই তাকে সে সময় ওখানে বসানো হয়েছিল। পরে তাকে ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান করা হয়। এরপর সাহাবুদ্দিনকে যখন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি করা হয়, তখন সবাই আশ্চর্য হয়ে গেলেন।
শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়ে রিপন বলেন, তিনি তো মানুষের ভোটে নির্বাচিত হননি। তাই উনি পদত্যাগ করলেন কি করলেন না সেটা নিয়ে আলোচনার কিছু নেই। বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা ওনাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি তিন বাহিনীর প্রধানকে পেছনে রেখে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। তাকে পদত্যাগপত্র দেওয়া হয়েছিল। এখন আড়াই মাস পর এসে সাহাবুদ্দিন বললেন ওনি পদত্যাগপত্র পাননি। এর মধ্যে নিশ্চই কোনো উদ্দেশ্য আছে।
আরটিভি/আরএ/এসএ
জামায়াতও কোনো ফ্যাসিবাদী ব্যক্তিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেনি: গয়েশ্বর
অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে। কালকে বিএনপিকে নিষিদ্ধ করলে করণীয় কী, এমন প্রশ্ন রেখে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, জামায়াতে ইসলামও কিন্তু কোনো ফ্যাসিবাদী ব্যক্তিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেনি।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন স্বৈরশাসন চালিয়েছে, কিন্তু কোনো ব্যক্তিকে নিষিদ্ধ করেনি। আপনারা (অন্তর্বর্তী সরকার) নিষিদ্ধ করতেছেন, সেটার ইফেক্ট মনে রেখেই করবেন বলে আশা করি।
তিনি আরও বলেন, পাপকে ঘৃণা করেন পাপীকে না। যারা পাপ করেছে আপনারা তো তাদের শাস্তি দিতে পারলেন না। অনেক অপরাধী-দুর্নীতিবাজকে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ ছাড়ার সুযোগ করে দিয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, জামায়াতে ইসলামের অনেক লোককে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। অনেক অত্যাচার করা হয়েছে। জামায়াতও কিন্তু কোনো ফ্যাসিবাদী ব্যক্তিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে নাই।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, সরকার বদলে গেছে আমি-আপনি আগের মতোই আছি, আমাদের কোর্টে হাজিরা দিতে হয়। তাহলে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম করে আমাদের কি লাভ হলো? কেবল স্বৈরশাসক হাসিনার পতন হওয়ার পর ক্ষমতার হাত বদল হয়েছে। কিন্তু দেশের মানুষ কোনো পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছে না।
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশে তিনি বলেন, সংস্কার করতে কতটুকু সময় দরকার হয় তা আমরা বুঝি। সে সময়টুকু পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করব। সেই সময়টুকু অতিক্রান্ত হলে বিএনপি অবশ্যই ঘরে বসে চিনাবাদাম খাবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বিএনপিকে হালকা করে দেখার সুযোগ নেই। অতীতেও আমরা রাজপথে আন্দোলন করেছি, ভবিষ্যতেও করব। আমরা ক্ষমতা চাই না, জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী।
আরটিভি/আরএ/এসএ