অবাধে লুটপাট করছে সরকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অবাধে লুটপাট করে দেশকে শ্মশানে পরিণত করেছে সরকার। এখন তাদের দুর্নীতির কল নিজে নিজেই নড়া শুরু করেছে। গত কয়েকদিনেই ছাত্রলীগ, যুবলীগ আর আওয়ামী লীগ নেতারাই প্রমাণ করেছে, তারা দেশের সম্পদ লুট করে নিচ্ছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে যুবদল আয়োজিত মানববন্ধনে শুক্রবার সকালে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ঢাকার ক্যাসিনোগুলো চালাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তারা ধরা পড়ে এখন অন্যের দোষ ধরছে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, দুর্নীতিকে প্রতিবাদহীন রাখতে সরকার, বিরোধী নেতাকমীদের জেলে পুরে রাখছে। সরকারের ভয়ে বিচারপতিরাও স্বাধীনভাবে বিচার কাজ চালাতে পারছেন না।
আরো পড়ুন: ছাত্রদলের কাউন্সিল স্থগিত
পি
মন্তব্য করুন
দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দিচ্ছেন: মির্জা ফখরুল
দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ডা. মিলন হোসেন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চরম অস্থিরতা ও নৈরাজ্য নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এ মন্তব্য করেন তিনি।
বক্তব্য প্রদানকালে নির্দিষ্টভাবে কারও নাম মুখে না নিলেও দায়িত্বজ্ঞানহীন বিভিন্ন বক্তব্যের কারণে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারের সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছরের আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গত ৫ আগস্ট দানব সরকারকে উৎখাত করেছে দেশের ছাত্র-জনতা। তার ফলশ্রুতি কি এই বাংলাদেশ? তিন মাসও যায়নি, রাস্তায় রাস্তায় অবরোধ! হত্যা, রক্তপাত হচ্ছে, জ্বালাও পোড়াও! কেন এই ভয়াবহ হিংসা? সমস্যা কোথায়? আর কত এই বিভাজন?
বিএনপি মহাসচিব বলেন, তিন মাসেই আমাদের আসল চেহারা বেরিয়ে এসেছে। এমন চেহারা নিয়ে সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়। গত কয়েক দিনের ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ধর্মকে ব্যবহার করে উন্মাদনা সৃষ্টি করা হচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করে বিভাজনের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য লড়াই করলাম, তা পুড়িয়ে দিচ্ছে। নিজের ঘরেই যদি বিভাজন থেকে যায় তাহলে কোনো কিছুই সম্ভব নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় উন্মাদনা দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছি।
এরপর বিএনপির এই নেতা বলেন, কিছু মানুষ দায়িত্বশীল হয়েও উসকানি দিচ্ছে। তাদের নাম বলব না। তারা বিভাজনের পথ তৈরি করছে। তারা দেশের শত্রু না বন্ধু, তা বিচারের ভার জনগণের।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে কোন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? আমাদের সবাইকে দায়িত্বজ্ঞান সম্পন্ন কথা বলতে হবে। বিভাজন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে না। এজন্য দেশকে ভালোবেসে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
জনগণ বিভ্রান্ত হয়, এমন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের আতঙ্ক–ভয় কোথায়? আমরা কি বুঝি যে, আততায়ী পেছনে দাঁড়িয়ে আছে? আমরা বুঝলে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা বের হতো না।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা দায়িত্বে রয়েছেন, তারা এমন কথা বলবেন না, যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করে৷ এ সরকার কারও দয়াতে হয়নি, রক্তের ওপর এ সরকার হয়েছে, তাই সরকারের দায়িত্ব জনগণের আশার প্রতিফলন ঘটানো।
দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে হামলার নিন্দা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য সারাজীবন লড়াই করলাম, সেখানে জ্বালিয়ে দাও-পুড়িয়ে দাও স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। এই বাংলাদেশ কখনও দেখতে চাইনি। কারও দ্বিমত থাকতে পারে, কিন্তু মতপ্রকাশের স্বাধীনতা জীবন দিয়ে রক্ষা করতে হবে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ছাড়া গণতন্ত্রের উত্তরণ সম্ভব নয়।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, জেলে গেছি, আবার জেলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি, কিন্তু এ দেশ আমরা দেখতে চাই না। যা অন্যায় তার বিরোধিতা করব। যারা সামনে থেকে লড়াই করি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে পিছপা হব না।
আরটিভি/এসএইচএম-টি
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন ফখরুল
চলমান সংকট নিরসনে এই মুহূর্তে জাতীয় ঐক্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যমুনায় বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে আমাদের আসার মূল উদ্দেশ্য ছিল সম্প্রতি উদ্ভুদ পরিস্থিতি, বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, ইসকন পরিস্থিতি, শিক্ষার্থীদের কয়েকটি কলেজের সমস্যা নিয়ে দলের উদ্বেগের কথা প্রধান উপদেষ্টাকে জানানো। আমরা তা জানিয়েছি। আশা করি, প্রধান উপদেষ্টা তার পরিষদ নিয়ে দ্রুত বিষয়গুলোর শান্তিপূর্ণ সমাধানের ব্যবস্থা করবেন।
তিনি বলেন, দেশে যেন বিভাজন তৈরি না হয়। চলমান সংকট নিরসনে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। আমাদের সামনে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেই চ্যালেঞ্জগুলোকে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা জনগণের দুর্ভোগের কথাও জানিয়েছি। বিশেষ করে দ্রব্যমূল্যের বিষয়টিও তুলে ধরেছি। যাতে করে তারা দ্রব্যমূল্য কমানোর জন্য কাজ করেন। টিসিবির ট্রাকগুলোকে বাড়ানোর জন্য বলেছি।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার যে মামলাগুলো করেছি, সেই মামলাগুলো প্রত্যাহার করার ব্যাপারে দ্রুততার সঙ্গে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে একটি জাতীয় ঐক্য সৃষ্টিরও আহ্বান জানিয়েছে। সেই সঙ্গে নির্বাচনের বিষয়ে বলেছি, যা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। সংস্কারগুলোকে সম্পূর্ণ করে যতদ্রুত সম্ভব নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়ার জন্য বলেছি। একটি রোডম্যাপ অত্যন্ত জরুরি। এই কথাগুলো আমরা তাদেরকে বলেছি।
তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ও তার সঙ্গে যারা উপস্থিত ছিলেন তারা শান্তিপূর্ণভাবে ও মনোযোগসহ আমাদের কথা শুনেছেন।
আরটিভি/এফএ
মমতা ব্যানার্জীর বক্তব্য দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি: ফখরুল
বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী মোতায়েন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বক্তব্য রেখেছেন তা বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অবিলম্বে মমতার এই ধরনের বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) লন্ডন থেকে মুঠোফোনে গণমাধ্যমের কাছে দলের পক্ষ থেকে বিএনপি মহাসচিব এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সকালে কয়েকটি পত্রিকায় একটা সংবাদ দেখলাম যে ভারতের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী যে উক্তি করেছেন বাংলাদেশ সম্পর্কে- সে বিষয়ে আমি বক্তব্য না রেখে পারছি না। তিনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) যে উক্তি করেছেন বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রেরণের… এটা সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি একটা হুমকিস্বরূপ। আমরা মনে করি, এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে নেতাদের (ভারতের) যে দৃষ্টিভঙ্গি- তা কিছুটা হলেও প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি মনে করি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। এ ধরনের কোনও চিন্তাও তাদের মধ্যে থাকা উচিত হবে না। কারণ বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে এবং সম্প্রতি একটা বিপ্লবের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে ফিরে পেয়েছে… এ দেশের মানুষ যেকোনও মূল্যে এই ধরনের চক্রান্তকে রুখে দেবে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপও চেয়েছেন।
এনডিটিভি লিখেছে, বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ-ইসকনের তিন জন পুরোহিত গ্রেপ্তার হওয়ার খবরের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এমন দাবি তুললেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ক্ষুন্ণ হওয়া বা বিপন্ন হওয়ার যে অলীক কাহিনি ভারতীয় মিডিয়ায় প্রচারিত ও প্রকাশিত হচ্ছে- তা কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, আমরা বারবার বলেছি, এখানে ভারতের সাংবাদিকরা এসেছিলেন, তারাও দেখেছেন… পশ্চিম বাংলা ও ভারতের অনেক নামকরা সাংবাদিক এসেছিলেন, তারা দেখেছেন- বাংলাদেশে এ ধরনের কোনও পরিস্থিতি নেই। অথচ ভারতবর্ষের মিডিয়া ও তাদের নেতারা যেভাবে সম্পূর্ণ একটা মিথ্যাকে প্রচার করছেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি দিচ্ছেন, তা কোনোমতেই বাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করবে না।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে যে কথাগুলো বলা হচ্ছে এটা খুব পরিষ্কার যে, ইসকনের সাম্প্রতিক ভূমিকা অত্যন্ত সন্দেহজনক, রহস্যজনক এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি, বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার প্রতি হুমকিস্বরূপ।
আরটিভি/একে
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সবার জন্য ফ্যামিলি কার্ড চালু করা হবে: তারেক রহমান
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সবার জন্য ফ্যামিলি কার্ড চালু করা হবে জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, এই ফ্যামিলি কার্ড প্রতিটি পরিবারের মা কিংবা স্ত্রীর নামে দেওয়া হবে। নারীদের স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। তাদের মধ্যে দেশীয় উৎপাদনশীল পণ্য বিতরণ করা হবে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ৬০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাড়ে ৪০০ শিক্ষার্থী বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে এই কর্মশালায় অংশ নেন।
রাষ্ট্র থেকে যত বেশি সম্ভব সহযোগিতা করার চেষ্টা করা হবে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, মানুষের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারলে রাষ্ট্রের সংস্কার কার্যক্রম কাজে আসবে। এছাড়াও ফ্যামিলি কার্ডের মতো কৃষকদের ফার্মার্স কার্ড দেওয়া হবে। এতে প্রকৃত কৃষকদের শনাক্ত করে, তাদেরকে ডাটাবেজের আওতায় আনা হবে।
বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে শিক্ষাখাতে বাজেট বাড়ানোর ওপর জোর দেবে জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিশেষ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জোর দেওয়া হবে। যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। যাতে শিক্ষার মান বাড়ে এবং শিক্ষার্থীরা সামাজিক মূল্যবোধ সম্পর্কে প্রাথমিক পর্যায় থেকে ধারণা লাভ করে।
যেভাবেই হোক দুর্নীতি রোধ করতে হবে মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, দুর্নীতির কালো থাবা থেকে দেশ ও জনগণকে বের করে নিয়ে আসতে হবে। অনেক সময় বিদেশে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ভাষার সমস্যা দেখা দেয়। পাঠ্যবইয়ে বাংলা, ইংরেজির পাশাপাশি তৃতীয় আরেকটি ভাষা অবশ্যই শিখানো হবে। এতে দেশের বাহিরে কর্মসংস্থানে সমস্যা হবে না। শিক্ষার্থীদের জন্য খেলাধুলা বাধ্যতামূলক করতে হবে। তাদের হাতের লেখা ও আর্টের প্রতি জোর দেওয়া হবে।
প্রতিটি গ্রামে একাধিক পল্লী চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, স্বাস্থ্য বিষয়ে জনগণকে সচেতনতা করতে হবে। এরমধ্যে ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ নারীদেরকে পল্লী চিকিৎসক হিসেবে নিয়োগ হবে। কর্মসংস্থান বাড়ানো হবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা শহরের রিকশাচালকদের বেসিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে। চাঁদাবাজি রোধ করতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে পরিবেশ রক্ষায় খাল ও নদী খননের উদ্যোগ নেওয়া হবে। ৫ বছরে ৫ কোটি গাছ লাগানো হবে।
সংস্কার বিষয়ে তারেক রহমান বলেন, বিএনপি ২ বছর আগে ৩১ দফা দিয়েছে। আমরা তখনও জানতাম না স্বৈরাচার কবে বিদায় নেবে, তারপরেও আমরা রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা দিয়েছি। এই দফাগুলো সারা দেশের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমিন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য সাত্তার পাটোয়ারী, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির ও মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল প্রমুখ।
আরটিভি/কেএইচ
ড. ইউনূসের সঙ্গে সংলাপ, বিএনপির যেসব নেতা থাকবেন
জাতীয় ঐক্য গঠনে ছাত্রনেতাদের পর এবার দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসতে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সব ঠিক থাকলে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিএনপির পাঁচ নেতা অংশ নেবেন।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সংলাপের আহ্বান করেছেন। তার ডাকে বুধবার বিকেল ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সংলাপ যাবেন বিএনপির পাঁচজন নেতা।
শায়রুল কবির খান আরও বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপির ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদলে থাকবেন ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
এর আগে, আজ সন্ধ্যায় ছাত্রনেতাদের সঙ্গে সংলাপে বসেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরাও সরকারের অংশ। দেশের মানুষ তোমাদের ওপর ভরসা করে। এই বিশ্বাস ধরে রেখো। হাতছাড়া করো না। আন্দোলনের মাধ্যমে একটি বিজয় অর্জন করেছো, আরেক বিজয় আসবে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, তোমরা কখনোই আশাহত হবে না। তোমরা অসম্ভবকে সম্ভব করেছো। দেশ বদলে ফেলেছো। তোমরাই পারবে। মানুষের আশা তোমাদের পূরণ করতে হবে। অন্তত সে পথে তোমাদের অগ্রসর হতে হবে।
আরটিভি/আইএম
স্ত্রীর ভারতীয় শাড়ি রাস্তায় ফেলে আগুন দিলেন রিজভী
ত্রিপুরায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও ভারতের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশের পতাকা অবমাননার প্রতিবাদে স্ত্রীর ভারতীয় শাড়ি রাস্তায় ফেলে আগুনে পুড়িয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘দেশীয় পণ্য, কিনে হও ধন্য’ শিরোনামে একটি সভায় এমনটা করতে দেখা গেছে রিজভীকে। সঙ্গে ছিলেন তার নেতাকর্মী ও সমর্থকরাও। এ সময় সবাইকে দেশীয় পণ্য কেনার পরামর্শ দেন তিনি।
রিজভী বলেন, ভারতীয় ভিসা বন্ধ করে বাংলাদেশ সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা একবেলা খেয়ে থাকব, তবুও মাথা নত করব না।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, যে শেখ হাসিনা গুম, খুন করেছে, ছাত্রদের রক্তে রাজপথ ভাসিয়েছে তাকে ভারত পছন্দ করে। কিন্তু বাংলাদেশকে পছন্দ করে না।
হুঁশিয়ারি দিয়ে রিজভী বলেন, স্বাধীনতা চায় এমন ভারতীয় অনেক জাতিকে দেশটির সরকার পদানত করে রেখেছে। কিন্তু বাংলাদেশকে সেটা করতে আসবেন না। ভারত যা বলবে তাই শুনবে, শেখ হাসিনার মতো এমন দুয়েকজন থাকতে পারে। কিন্তু কোটি কোটি বাঙালি এর বিপক্ষে।
আরটিভি/একে-টি
শিবিরকে দাওয়াত না দেওয়ার কারণ জানাল ছাত্রদল
বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর আপত্তিতে মতবিনিময় সভায় ছাত্রশিবিরকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে এ কথা জানান তিনি।
নাছির উদ্দিন নাছির বলেন, ‘যারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন যেসব লড়াই সংগ্রাম করেছে, তাদের নিয়ে আমরা বৈঠক করেছি। শিবিরের বিষয়ে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর বরাবরের মতো আপত্তি রয়েছে, তাই স্কিপ করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে সামনে বসা হবে না, এমনও না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খারাপ এমন না। তারা নিজেদের ছাত্রসংগঠন হিসেবে নিজেরা প্রকাশ করেনি, তারা তাদের বিষয়ে স্পষ্ট করলে আমরা বসব।’
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাঁটাবনের গ্লোরিয়াস সেন্টারে ছাত্রদলের নেতৃত্বে ২৮টি ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কাউকে অংশ নিতে দেখা যায়নি। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব, অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ, ছাত্র সংসদ নির্বাচন, অভ্যুত্থানের প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে’ ভূমিকাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন ছাত্রনেতারা।
মতবিনিময় সভার বিষয়ে একাধিক ছাত্রনেতা জানান, ভারত রাজনৈতিকভাবে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে সর্বোতভাবে চেষ্টা করেছে কিন্তু, তাতে ব্যর্থ হয়ে এখন নানা ধরনের উসকানি তৈরির চেষ্টা করছে। আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা তারই প্রকাশ। জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যার বিচার, আহতদের সুচিকিৎসা, নিহতদের পরিবারের পূনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে। দেশে সাম্প্রদায়িক উসকানি তৈরির যেকোনো পদক্ষেপ ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করা হবে। একই সঙ্গে দখলদারিত্বমুক্ত নিরাপদ ক্যাম্পাস, শিক্ষার্থীদের গণতন্ত্র-সংগঠনের অধিকার চর্চার পরিবেশ ও ছাত্র রাজনীতি বন্ধের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই গড়ে তোলার বিষয়ে একমত পোষণ করেন ছাত্রনেতারা।
মতবিনিময় সভায় অংশ নেওয়া ছাত্রসংগঠনগুলো হল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন (গণসংহতি), ছাত্র আন্দোলন (এনডিএম), বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জেএসডি), জাতীয় ছাত্র সমাজ (জাফর), জাগপা ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ ছাত্র মিশন, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ভাষানী ছাত্র পরিষদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বিসিএল), নাগরিক ছাত্র ঐক্য, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্র সমাজ (পার্থ), ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস, বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ, রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ মুসলিম ছাত্রলীগ (নুর আলম), সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র সমাজ এবং বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন (মুক্তি কাউন্সিল)।
আরটিভি/এসএপি/এআর