অবাধে লুটপাট করছে সরকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অবাধে লুটপাট করে দেশকে শ্মশানে পরিণত করেছে সরকার। এখন তাদের দুর্নীতির কল নিজে নিজেই নড়া শুরু করেছে। গত কয়েকদিনেই ছাত্রলীগ, যুবলীগ আর আওয়ামী লীগ নেতারাই প্রমাণ করেছে, তারা দেশের সম্পদ লুট করে নিচ্ছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে যুবদল আয়োজিত মানববন্ধনে শুক্রবার সকালে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ঢাকার ক্যাসিনোগুলো চালাচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তারা ধরা পড়ে এখন অন্যের দোষ ধরছে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, দুর্নীতিকে প্রতিবাদহীন রাখতে সরকার, বিরোধী নেতাকমীদের জেলে পুরে রাখছে। সরকারের ভয়ে বিচারপতিরাও স্বাধীনভাবে বিচার কাজ চালাতে পারছেন না।
আরো পড়ুন: ছাত্রদলের কাউন্সিল স্থগিত
পি
মন্তব্য করুন
জামায়াতও কোনো ফ্যাসিবাদী ব্যক্তিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেনি: গয়েশ্বর
অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে। কালকে বিএনপিকে নিষিদ্ধ করলে করণীয় কী, এমন প্রশ্ন রেখে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, জামায়াতে ইসলামও কিন্তু কোনো ফ্যাসিবাদী ব্যক্তিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেনি।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন স্বৈরশাসন চালিয়েছে, কিন্তু কোনো ব্যক্তিকে নিষিদ্ধ করেনি। আপনারা (অন্তর্বর্তী সরকার) নিষিদ্ধ করতেছেন, সেটার ইফেক্ট মনে রেখেই করবেন বলে আশা করি।
তিনি আরও বলেন, পাপকে ঘৃণা করেন পাপীকে না। যারা পাপ করেছে আপনারা তো তাদের শাস্তি দিতে পারলেন না। অনেক অপরাধী-দুর্নীতিবাজকে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ ছাড়ার সুযোগ করে দিয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, জামায়াতে ইসলামের অনেক লোককে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। অনেক অত্যাচার করা হয়েছে। জামায়াতও কিন্তু কোনো ফ্যাসিবাদী ব্যক্তিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে নাই।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, সরকার বদলে গেছে আমি-আপনি আগের মতোই আছি, আমাদের কোর্টে হাজিরা দিতে হয়। তাহলে দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম করে আমাদের কি লাভ হলো? কেবল স্বৈরশাসক হাসিনার পতন হওয়ার পর ক্ষমতার হাত বদল হয়েছে। কিন্তু দেশের মানুষ কোনো পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছে না।
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশে তিনি বলেন, সংস্কার করতে কতটুকু সময় দরকার হয় তা আমরা বুঝি। সে সময়টুকু পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করব। সেই সময়টুকু অতিক্রান্ত হলে বিএনপি অবশ্যই ঘরে বসে চিনাবাদাম খাবে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বিএনপিকে হালকা করে দেখার সুযোগ নেই। অতীতেও আমরা রাজপথে আন্দোলন করেছি, ভবিষ্যতেও করব। আমরা ক্ষমতা চাই না, জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী।
আরটিভি/আরএ/এসএ
যে কারণে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চায় না বিএনপি
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের মাধ্যমে দেশে কোনো সাংবিধানিক সংকট ও শূন্যতা তৈরি হলে তৃতীয় পক্ষ সুযোগ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিএনপি। আর এ কারণে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চায় না দলটি।
রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে, শূন্যতা তৈরি হবে। তাই তারা চায় সংস্কার ও দ্রুত নির্বাচন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের দিক থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবি ওঠার পর বুধবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।
দেখা করার পর তাদের পক্ষে নজরুল ইসলাম খান বৈঠক সম্পর্কে সাংবাদিকদের বলেন, দেশে যাতে নতুন করে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি না হয় সেজন্য খেয়াল রাখতে বলেছি। আমরা কোনো সাংবিধানিক সংকট চাই না। পতিত স্বৈরাচারের দোসররা যদি কোনো সাংবিধানিক বা রাজনৈতিক সংকট তৈরির চেষ্টা করে, তাহলে আমরা গণতন্ত্রকামীরা তা প্রতিহত করবো।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বিএনপির চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে আরেক ব্রিফিংয়ে বলেন, রাষ্ট্রপতির পদে শূন্যতা এই মূহুর্তে রাষ্ট্রীয় সংকট সৃষ্টি করবে। সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি করবে। যেটা জাতির কাম্য নয়৷ এই সংকটের কারণে যদি জাতির গণতন্ত্রে উত্তরণ বিলম্বিত হয় বা বাধাগ্রস্ত হয়, সেটা জাতির কাম্য নয়।
বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগ প্রসঙ্গে একটি পত্রিকায় রাষ্ট্রপতির বক্তব্য নিয়ে যে বিতর্ক হয়েছে তা একটি সেটেলড ম্যাটার। বঙ্গভবন থেকে বিবৃতি দিয়েও তা বলা হয়েছে। তারপর এটা নিয়ে আর বিতর্ক থাকে না। সুপ্রিম কোর্টের রেফারেন্সে তার পদত্যাগের কথা বলা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে বলেছেন।
আমরা মনে করি, রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করলে সাংবিধানিক শূন্যতা ও রাষ্ট্রীয় সংকট তৈরি হলে তৃতীয় পক্ষ বা অন্য কোনো পক্ষের দুরভিসন্ধি কাজ করবে কিনা। সেইরকম রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক সংকটের মুখোমুখি আমরা হতে চাই না। আমরা চাই গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে অন্য কোনো কিছু যেন বাধা না হয়। আমরা চাই গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং নির্বাচন, এর মাঝে আর কোনো কিছু যেন বাধা না হয়। এটা জাতির জন্য কল্যাণকর হবে না।
আর ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আর সব অপকর্ম বাদ দিলেও ছাত্রলীগ জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ওপর সশস্ত্র আক্রমণ করেছে, ভারি অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করেছে। আর আওয়ামী লীগ শাসনামলে ছাত্রলীগ ছিল একটা আতঙ্কের নাম। ছাত্র-জনতার দাবি ছিল তাদের নিষিদ্ধ করার। সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার সঙ্গে আমরা একমত।
আওয়ামী লীগ প্রশ্নে তিনি বলেন, অন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের গণহত্যার বিচার শুরু হয়েছে। আইনেও কিছু সংশোধন আসবে৷ সেখানে দলেরও বিচার হবে। দল নিষিদ্ধেরও বিষয় থাকবে কিনা সেটা বিচার শেষ হলে দেখা যাবে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি হারুনুর রশীদ বলেন, আমরা রাষ্ট্রপতিকে স্বপদে বাহাল রাখায় কোনো সংকট দেখছি না। বরং আমার দল মনে করে, তিনি পদত্যাগ করলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে। কারণ, স্পিকার পদত্যাগ করেছেন। ডেপুটি স্পিকার কারাগারে। সংসদ নেই। তাহলে তিনি কোথায় পদত্যাগ করবেন? তিনি পদত্যাগ করলে সংকট হবে।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি জাতীয় ঐক্য হয়েছে। এখন রাষ্ট্রপতির ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তা সব রাজনৈতিক দলসহ সব পক্ষের সঙ্গে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতেই করতে হবে। এর বাইরে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হবে না। আর এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি স্বেচ্ছায় সরে যেতে চাননি, বলেন তিনি।
ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে তিনি বলেন, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করা বা না করা প্রসঙ্গে আমি কিছু বলবো না। তবে ১৫ বছর ধরে তারা হত্যাসহ যেসব অপরাধমূলক কাজ করেছে, আগে তার বিচার হওয়া দরকার। দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন।
বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, আমাদের তিন সিনিয়র নেতা রাষ্ট্রপতির ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টাকে যে মতামত দিয়েছেন, সেটা আমাদের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকদের মতামত। আমার আলাদা কোনো মতামত নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক বিএনপি নেতা বলেন, সাংবিধানিক সংকট তৈরি হলে তৃতীয় পক্ষ সুযোগ নিতে পারে। আর সেটা হলে নির্বাচন ও সংস্কার শেষ পর্যন্ত ভেস্তে যেতে পারে। সাংবিধানিক সংকট হয়- এমন কোনো কাজের বিরোধী বিএনপি। তাই বিএনপি বর্তমান রাষ্ট্রপতিকেই তার পদে রাখতে চায়। সেটাই আমাদের জন্য নিরাপদ।
শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার প্রায় তিন মাস পর বাংলাদেশের একটি পত্রিকায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শেখ হাসিনার লিখিত পদত্যাগপত্র না পাওয়ার কথা বললে সোমবার আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে শপথ ভঙ্গের অভিযোগ তোলেন।
তারপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা রাষ্ট্রপতিকে ফ্যাসিবাদের দোসর বলে তার পদত্যাগ দাবি করেন। তার পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার বিকালে শহীদ মিনারে সমাবেশ ও বঙ্গভবন ঘেরাও করা হয়। রাষ্ট্রপতিকে পদ ছাড়তে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছিল তখন।
তবে বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, রাষ্ট্রপতির পদে মো. সাহাবুদ্দিনের থাকা না থাকার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার।
বৈঠকের পর বন, পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সংবাদমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
আরটিভি/এএইচ
ডিসেম্বরের মধ্যেই ভোটের রোডম্যাপ চায় বিএনপি ও সমমনারা
বিএনপি ও তার সমমনা রাজনৈতিকদলগুলো আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যাশা, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করবে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।
পৃথক এসব বৈঠকে বিএনপির পক্ষে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু উপস্থিত ছিলেন।
এ দিন বিকেল সাড়ে তিনটায় প্রথমে ন্যাপ ভাসানীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির নেতারা। এতে ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মো. রুবেল হোসেন, যুব ন্যাপ সভাপতি মো. আল-আমিন, বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক মো. ইরফান আহম্মেদ সাকিব, যুব ন্যাপ কেন্দ্রীয় সদস্য মো. ইমরান হাওলাদার, মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শুরু হয়। এতে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক হারুন আল রশিদ খান, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. সামছুল আলম, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড হারুন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
এরপর বাংলাদেশ পিপলস পার্টির সঙ্গে বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে বৈঠকে বসেন বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির নেতারা। এতে বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বাবুল সরদার চাখারি, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হারুন অর রশিদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুর রহমান লিটন, মো. কামাল আহমেদ, বিলকিস খন্দকার, রানী শেখ, মো. মামুন হোসেন, মো. আরিফুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. নাজমুল করিম, খাদিজা আক্তার, যুগ্ম মহাসচিব মোশাররফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সবশেষ বিকেল ৫টায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শুরু হয়। এতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক ইসমাইল সম্রাট, সদস্য সচিব সাজ্জাদুর রহমান রাফি, তাওহিদুল ইসলাম, হামিদ প্রিথু, মোহাম্মদ রাকিব, নাদিম খান নিলয়, রাবেয়া সাইদ মিম, রুবাইয়া হক রিদিকা, মোহাম্মদ ইব্রাহীম, জুয়েল আহমেদ, মোহাম্মদ মিনহাজ উপস্থিত ছিলেন।
এসব বৈঠকে ৩১ দফা বাস্তবায়নে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। পাশাপাশি বিএনপি যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে তাদের সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করা হবে। একই সঙ্গে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
আরটিভি/আইএম
পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলে হাইকোর্টে মির্জা ফখরুলের আবেদন
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলে হাইকোর্টে বিএনপির পক্ষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আবেদন করেছেন।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে সশরীরে হাইকোর্টে এসে বিএনপি মহাসচিব এ আবেদন করেন।
এর আগে, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে আওয়ামী লীগ। শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পুনর্বহাল করা হয়। তবে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালানোর পর গত ১৯ আগস্ট পঞ্চদশ সংশোধনী নিয়ে প্রশ্ন তোলেন হাইকোর্ট।
সব ঠিক থাকলে আগামী ৩০ অক্টোবর এর চূড়ান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
আরটিভি/আইএম-টি
টানা ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি টানা ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ৭ নভেম্বরের ইতিহাস তরুণ প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে এই কর্মসূচি ঘোষণা দেয় দলটি।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এর আগে, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে তিনি জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ৭ নভেম্বরের সঠিক ইতিহাস জনগণের সামনে নিয়ে আসতে হবে। যারা গত ১৫ বছরে বিকৃত ইতিহাস পেয়েছে তাদের সামনে সেই সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্যই এবার আমরা এই দিনটি গুরুত্বসহকারে পালন করব।
এ সময় তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে দেশ আংশিক ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে, পুরোপুরি ফ্যাসিবাদ মুক্ত হতে সুষ্ঠু নির্বাচন জরুরি।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর সংঘটিত সিপাহী-জনতা বিপ্লবের স্মরণে দিনটিকে মূলত জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কর্নেল (অব.) আবু তাহেরের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থান জেনারেল খালেদ মোশাররফের ৩ দিনব্যাপী সামরিক অভ্যুত্থানের পতন ঘটায়। এই বিপ্লবের ফলশ্রুতিতে জেনারেল জিয়াউর রহমান বন্দিদশা থেকে মুক্তি পান, এবং পরবর্তীতে ক্ষমতায় আসেন।
আরটিভি/একে-টি
ভালোবাসা ও সম্মানের জায়গাটা নষ্ট করবেন না, ড. ইউনূসকে ফখরুল
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের মানুষ আপনাকে ভালোবাসে ও সম্মান করে সেটা যেন নষ্ট না হয়, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখবেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টন কার্যালয়ে দলের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, সরকারের নেতৃত্বে যিনি আছেন তিনি সারা পৃথিবীতে সমাদৃত। ড. ইউনূসের কাছে বলতে চাই বাংলাদেশের মানুষ আপনাকে ভালোবাসে। সম্মান দিয়েছে, দেবে ও দিতে চায়। আপনার এই জায়গা যেন নষ্ট না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখবেন।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, অন্য বিষয়ে নজর না দিয়ে ফোকাসটা ওই (নির্বাচন) দিকে করবেন। এটার কোনো বিকল্প নেই। রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকতে হলে, জাতি হিসেবে এগিয়ে যেতে হলে সবার অংশগ্রহণে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে। সে কারণেই এতো প্রাণ গেছে। এতো মানুষ দীর্ঘকাল সংগ্রাম করেছে, কারাগারে গেছে।
অন্তর্বর্তী সরকার একদম কিছু করেনি (নির্বাচনের বিষয়ে) সেটিও সঠিক নয় বলেই মনে করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সর্বশেষ একটা সার্চ কমিটি গঠন করেছে। আমাদের প্রত্যাশা ছিল সার্চ কমিটি গঠনের আগে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন। তারপরেও এটাকে আমরা বড় সমস্যা মনে করছি না। দ্রুত নির্বাচন কমিশন হোক। এরপর দ্রুততার সঙ্গে তাদের যে কাজ নির্বাচন করা সেটি তারা করুক।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা একটা জটিল সময় পার করছি। যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়নি। চক্রান্ত শেষ হয়নি। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ফ্যাসিস্টরা এখনো সক্রিয়। শুধু ব্যক্তির পরিবর্তন করে পুরো কাঠামোর পরিবর্তন করা যায় না। সেটার জন্য সময়ের প্রয়োজন হয়।
আরটিভি/একে/এসএ
বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে নয়: মির্জা ফখরুল
বিএনপি দেশের কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে নয় বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দেশে অযথা ইস্যু তৈরি করে অরাজক পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর মহাখালীতে বিএনপির চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমদের স্মরণসভায় এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশকে ঘিরে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় দেশের জনগণকে সজাগ থাকতে হবে।
এ সময় তিনি বলেন, প্রয়াত সাবিহ উদ্দিন আহমেদ দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের জন্য সারাজীবন কাজ করেছেন। এই ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ দেখে যেতে পারলে তিনি অনেক খুশি হতেন বলেও মন্তব্য করেন।
আরটিভি/এআর-টি