জরুরি সংবাদ সম্মেলনের ডাক দিয়েছে হেফাজত
সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দু অধ্যুষিত গ্রামে হামলা ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমন বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানাতে সংবাদ সম্মেলন করবে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
আগামীকাল সোমবার (২২ মার্চ) বেলা ১১টায় সংগঠনটির ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে।
গতকাল শনিবার (২০ মার্চ) দিনগত রাতে হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরী সেক্রেটারি মামুনুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন...
নির্বাচনে হেরে স্ত্রীকে তালাক দিলেন যুবদল নেতা
কেএফ
মন্তব্য করুন
রাষ্ট্রপতি আমাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছেন: নুর
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আমাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছেন, তাই তাকে সুযোগ দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে এক দোয়া ও স্মরণসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
নুরুল হক নুর বলেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করল কি করল না, সেটা ব্যাপার না। রাষ্ট্রপতি পদত্যাগের বিষয় নিয়ে ভিন্ন মত দেখা যাচ্ছে। যিনি মিথ্যাচার করেন তার সেই পদে থাকার অধিকার নেই। রাষ্ট্রপতি আমাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছেন। ওনাকে সুযোগ দেওয়া যাবে না।
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনাদের নেতা বানানোর জন্য ছাত্র-জনতা জীবন দেয়নি। গেল দেড় দশকে বিরোধী নেতাদের জেলে পুরে দেশে ভারতীয় তাঁবেদারি কায়েম করা হয়েছিল। এরপর অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা ক্ষমতায় বসালাম, কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে তামাশা করছে। জাতীয় সরকার গঠন না করে পদে পদে বাধান সম্মুখীন হচ্ছেন। রাষ্ট্র চালানো ছেলেমানুষি না। তাই ছয় মাসের মধ্যে তল্পিতল্পা গোছানোর প্রস্তুতি নেন।
তিনি আরও বলেন, এক মাস সময় দিলাম, শহীদদের এক কোটি টাকা দেবেন আর আহতদের ৫০ লাখ টাকা করে দিতে হবে। এক মাসের মধ্যে সবার পাওনা দিয়ে দেবেন।
আওয়ামী লীগ সুযোগ পেলে আবারও ফণা তুলে আঘাত করবে মন্তব্য করে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, গুহা থেকে আওয়ামী লীগের নেতারা যতই আস্ফালন দেখান না কেন, এ দেশে আওয়ামী লীগের জায়গা হবে না। মানুষকে আহত নিহত করে শেখ হাসিনা এ দেশে রাজনীতি করবে তা হতে দেওয়া যাবে না।
আরটিভি/এফএ/এআর
সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের দাবি নুরের
অন্তর্ভুক্তিমূলক কার্যকর সংসদ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। এ ছাড়া কেউ যেন একইসঙ্গে দলীয় প্রধান ও সরকার প্রধানের দায়িত্বে না থাকতে পারে, সে ব্যবস্থাও চান তিনি।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এসব দাবি জানান নুর।
তিনি বলেন, আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা খুব ভালো না। যে একবার ক্ষমতা যায়, ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে প্রশাসনসহ পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রে একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়। ২০২১ সালে দল ঘোষণার সময়ই আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্র, কার্যকর সংসদ, রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনা এবং সংখ্যানুপাতি নির্বাচনের কথা বলেছিলাম। একইসঙ্গে দলীয় প্রধান ও সরকার প্রধান নয়। দলীয় প্রধান একটা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন, সরকার প্রধান পুরো রাষ্ট্রের। সেজন্য আমরা বলেছি একইসঙ্গে কেউ দলীয় প্রধান ও রাষ্ট্র প্রধান হতে পারবে না।
গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি বলেন, গত ১৫ বছর শেখ হাসিনা যেভাবে স্বৈরাচার হয়ে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে সে ধরনের শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে হবে। মানুষ এখন পরিবর্তন চায়, মানুষ আর প্রথাগত রাজনীতির পথে হাঁটতে চায় না। তাই আমাদেরও বদলাতে হবে।
নুর বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে ভারত ১৫ বছর সমর্থন করেছে। শেখ হাসিনার মতো বাংলাদেশের গণবিচ্ছিন্ন স্বৈরশাসক, গণহত্যাকারীকে আশ্রয় দিয়ে ভারত এদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে; যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। ১৫ বছর আওয়ামী ফ্যাসিবাদ এবং গণহত্যাকারীদের সমর্থন করায় ভারতের দুঃখপ্রকাশ করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, গণঅধিকার পরিষদ বিগত সময়ে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রামে রাজপথে ছিলো, নেতাকর্মীরা রক্ত দিয়েছে, ত্যাগ স্বীকার করেছে। আজকে দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে। এই আন্দোলনে আমাদের জেলে যেতে হয়েছে, উপদেষ্টাদের নয়। সরকার ব্যর্থ হলে দেশে বিপর্যয় সৃষ্টি হবে। তাই আমরা চাই না, সরকার ব্যর্থ হোক। কিন্তু এ ধরনের সরকারের সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম। তাই রাষ্ট্র সংস্কার ও সংকট মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের সরকার দরকার।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান খান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ প্রমুখ।
আরটিভি/এসএইচএম-টি
‘শেখ হাসিনা চট করে ঢুকবেন, ফট করে জেলে যাবেন’
শেখ হাসিনা চট করে দেশে ঢুকবেন, ফট করে জেলে যাবেন বলে মন্তব্য করেছেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে আয়োজিত খেলাফত মজলিসের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভারতে পালিয়ে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, ‘গর্ব করে তিনি বলতেন শেখ হাসিনা পালায় না। এখন শেখ হাসিনা মাথা নিচু করে পালিয়ে আছেন।’
তিনি বলেন, ‘বিগত সময়ে আমাদেরকে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। গ্রেপ্তার, হয়রানি, গুম সব করা হয়েছে। ১৬ বছরে অত্যাচারের ১৬ কলা পূর্ণ হওয়ার পর শেখ হাসিনা আর সময় পায়নি। তাকে পালাতে হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে আমার-আপনার ভাই মারা গেছে। শেখ হাসিনার পরিবারের কেউ মারা যায়নি। শেখ হাসিনার বাবা স্বাধীনতার ঘোষক নন কিংবা স্বাধীনতা সংগ্রামীও নন। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তার বাবা পাকিস্তানে বন্দি ছিল।’
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব বলেন, ‘ইসলামী দলগুলোর ঐক্যের বিকল্প নেই। একেকটি আসনে ইসলামী দলের প্রার্থী দিতে হবে। যে স্বপ্ন বাঁচার, যে স্বপ্ন এগিয়ে যাওয়ার সেটা নস্যাৎ করতে দেওয়া যাবে না। আমরা প্রভাবমুক্ত রাষ্ট্র চাই। আমরা বলতে চাই বাঙালীর কণ্ঠরোধ করা যায়, দমিয়ে রাখা যায় না। শুধু প্রয়োজন হলো জেগে ওঠার।’
এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সব কাজে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।
খেলাফত মজলিস ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ নিয়াজী কর্মী সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন।
আরটিভি/এসএপি-টি
জাতীয় পার্টির একাংশের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধীদের বৈঠক
বিএনপির পর এবার জাতীয় পার্টির একাংশ (কাজী জাফর)-এর সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।
রোববার (২৭ অক্টোবর) জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি ও রাষ্ট্রপতির পদত্যাগসহ রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য বৈঠকে বসেছে সংগঠন দুটির নেতাকর্মীরা।
এর আগে, শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেল রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে বসে সংগঠন দুটি।
বৈঠক শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। প্রথমত, প্রক্লেমেশন অব সেকেন্ড রিপাবলিক কীভাবে করা যায়, সেটি নিয়ে কথা বলেছি। দ্বিতীয়ত, চুপ্পুর অপসারণ দ্রুততম সময়ে কীভাবে করা যায়, রাজনৈতিক চেতনা কীভাবে তৈরি করা যায়, যেকোনো ধরনের সংকট কীভাবে পরিহার করা যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তৃতীয়ত, জাতীয় ঐক্য কীভাবে ধরে রেখে সরকারের সার্বিক ফাংশনিংয়ের ধারবাহিকতা অব্যাহত রাখা যায়, সেই বিষয়ে কথা বলেছি।’
আরটিভি/এসএপি-টি
পটুয়াখালী-৩ আসনে নুরকে সহযোগিতার নির্দেশ বিএনপির
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে তার নিজ সংসদীয় এলাকা পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে জনসংযোগ ও দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে সহযোগিতা করতে বিএনপি তাদের স্থানীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিএনপির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়; যা আজ সোমবার (২৮ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
চিঠিতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুর রশিদ চুন্নু ও সদস্য সচিব স্নেহাংশ সরকার কুট্টিকে নির্দেশ দিয়ে বলা হয়, গত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। তাই তার সংসদীয় এলাকা পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা ও দশমিনা) আসনে জনসংযোগ ও তার দলের সাংগঠনিক সার্বিক কার্যক্রমে সহযোগিতা করার জন্য আপনাদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় এলাকার থানা, উপজেলা বা পৌরসভায় বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে বিষয়টি অবহিত করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করতে আপনাদের অনুরোধ করা হচ্ছে। এই আদেশ অতীব জরুরি।
পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি চিঠি পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশনা পেয়েছি। ইতোমধ্যে ওই আসনের সংশ্লিষ্ট নেতাকর্মীদের অবহিত করা হয়েছে।
এদিকে, পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে শক্ত অবস্থানে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. হাসান মামুন। তবে নুরুল হক নুরের বাড়িও এ আসনে হওয়ায় আগামী সংসদ নির্বাচনে হাসান মামুন ও নুরের মধ্যে হবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ধারণা করা হচ্ছে, বিএনপির সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের জোট হলে এ আসনে জোটের মনোনয়ন বাগিয়ে নিতে পারেন নুর। সে কারণে স্থানীয় বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে যাতে বিরোধ সৃষ্টি না হয়, সেজন্য কেন্দ্রীয় বিএনপির পক্ষ থেকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চিঠি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হাসান মামুন বলেন, এই চিঠির সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন কর্মসূচিতে গেলে কিছু উচ্ছৃঙ্খল লোক তাকে বাধাগ্রস্ত করে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে উলানিয়ায় তার ওপর হামলা হয়েছিল। পুনরায় যাতে কেউ এ রকম ঘটনা না ঘটাতে পারে, সেই লক্ষ্যেই মূলত বিএনপির সহযোগিতা করার নির্দেশ। এটা ছাড়া আর কিছুই নয়।
এ বিষয় জানতে চাইলে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর গণমাধ্যমকে বলেন, গণঅধিকার পরিষদ শুরু থেকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছিল। পাশাপাশি বিগত দিনগুলোতে আমরা বিএনপিসহ ৪১টি দলের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করেছি। তবে সম্প্রতি স্থানীয় পর্যায়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে কিছুটা সমস্যা তৈরি হচ্ছে। সে কারণে বিএনপির পক্ষ থেকে এ ধরনের একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আরটিভি/আইএম-টি
মার্কায় ভোট হবে, ব্যক্তিতে নয়: ফয়জুল করীম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, মার্কায় ভোট হবে, ব্যক্তিতে নয়। তাহলে কোটি কোটি টাকার মনোনয়ন বাণিজ্য বন্ধ হবে। পেশীশক্তি বন্ধ হবে, কালো টাকার ছড়াছড়ি থাকবে না। যে মার্কা যত পার্সেন্ট ভোট পাবে, ওই দল সেই পরিমাণে সদস্য সংসদে পাঠাবে।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে জামালপুর শহরের ফৌজদারি মোড়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জামালপুর জেলা শাখা আয়োজিত ছাত্রসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
ফয়জুল করীম বলেন, ৯৮ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক থেকে লুটপাট করা হয়েছে। ৫৩ বছর পর্যন্ত কোনো গরিব ধনী হয়নি, ধনীরা ধনী হয়েছে। যাদের ক্ষমতায় বসিয়েছি তারা আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে।
তিনি বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে, চুরি, ডাকাতি, দখলদারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলাম। কিন্তু ৫ আগস্টের পর আবার গুন্ডামি, চাঁদাবাজি, অত্যাচার, অনাচার আবার মিথ্যা মামলা। এটা দেখার জন্য মানুষ আন্দোলন করেনি।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি নাহিদ খানের সভাপতিত্বে সমাবেশে কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল বশর আজিজী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি সৈয়দ ইউনুস আহমেদ, সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা কামাল, সেক্রেটারি সুলতান মাহমুদ সিরাজী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরটিভি/আইএম-টি
৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে গণঅধিকার পরিষদ: নুরুল হক
গণঅধিকার পরিষদ আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতি ও ডাকসু সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, আমরা বিএনপির সঙ্গে কোনো জোট করিনি। আমরা কোনো সংসদীয় আসন ভাগাভাগি বা জাতীয় সরকার গঠন করব না।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে পটুয়াখালীর গলাচিপায় নির্ধারিত কর্মসূচিতে যোগ দিতে ঢাকা থেকে যাওয়ার সময় বরিশাল নগরীর চৌমাথায় জমায়েত হওয়া নেতাকর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল হক নুর বলেন, আমরা সকল রাজনৈতিক দল একত্র হয়ে হাসিনাবিরোধী আন্দোলন করেছি। কিন্তু আন্দোলন পরবর্তী সময়ে বিএনপি আমাদের বিভিন্ন কার্যক্রমে বাধা প্রদান করছে। এ অবস্থায় আমরা দলের হাইকমান্ডকে জানিয়েছি, তাই বিএনপি থেকে প্রেস রিলিজ দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করার কথা বলা হয়েছে।
এ সময় বরিশাল মহানগর গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, সিনিয়র সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম সাগর, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন তালুকদার ফয়সাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ ফরাজি, মহানগর ছাত্রঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন, মহানগর যুবঅধিকার পরিষদের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইমাম হোসেন, শ্রমিকঅধিকার পরিষদের ইলিয়াস মিয়াসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী চিঠি দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের পটুয়াখালী-৩ আসনে (গলাচিপা-দশমিনা) নুরুল হক নুরকে জনসংযোগ ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য নির্দেশ দেন। এই চিঠি প্রকাশ পাওয়ার পর পটুয়াখালীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়া শুরু হয়।
আরটিভি/এআর/এসএ