অধ্যাপক অজয় রায়ের মরদেহ দেওয়া হবে বারডেমে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক অজয় রায়ের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার মরদেহ গবেষণার জন্য রাজধানীর বারডেম হাসপাতালকে দান করা হবে।
অজয় রায়ের ছোট ছেলে অনুজিৎ রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাবার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী, চিকিৎসাবিজ্ঞানে গবেষণার জন্য তার মরদেহ বারডেম হাসপাতালে দান করা হবে। আনুষ্ঠানিকতা শেষে মঙ্গলবার বিকেলে মরদেহটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
রাজধানীর বারডেম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দুপুরে মারা যান অজয় রায়। শিক্ষা আন্দোলনের অগ্রপথিক অজয় রায়ের বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। জ্বর, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৫ নভেম্বর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
অধ্যাপক অজয় রায়ের জন্ম ১৯৩৫ সালের ১ মার্চ দিনাজপুরে। ১৯৫৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি পাস করে যোগ দেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে। এরপর কলেজের চাকরি বাদ দিয়ে ১৯৫৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ডের লিডস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৭ সালে সেখানেই করেন পোস্ট ডক্টরেট। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে তিনি পালিয়ে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানেও তিনি ছিলেন সামনের কাতারে। ২০০০ সালে অবসর নেওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই ইউজিসি অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তার দুটি গবেষণা প্রবন্ধ নোবেল কমিটিতে ব্যাপক আলোচিত হয়।
পদার্থবিজ্ঞানে অধ্যাপক অজয় রায় ২০১২ সালে একুশে পদক পান। দেশি-বিদেশি বহু জার্নালে তার নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। স্বাধীনতার পর তিনি বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির জেনারেল সেক্রেটারি, সম্প্র্রীতি মঞ্চের সভাপতি, বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট, এশিয়াটিক সোসাইটির বিজ্ঞান বিভাগের সম্পাদক, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন।
অজয় রায়ের বড় ছেলে বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়কে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি কুপিয়ে হত্যা করে উগ্রবাদীরা। অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। সেদিন হামলার শিকার হয়ে হাতের আঙুল হারান অভিজিতের স্ত্রী ব্লগার রাফিদা আহমেদ বন্যাও।
পি
মন্তব্য করুন