• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
logo
লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন উদ্বোধন করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নড়াইলের লোহাগড়ায় ৩১ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নব নির্মিত এ ভবন উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা।  এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী, নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহা. মেহেদী হাসান, নড়াইলের সিভিল সার্জন সাজেদা বেগম পলি, লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জহুরুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস এম মাসুদ প্রমুখ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আমি নড়াইলে এসে অনেক খুশি। নড়াইলে অনেক জ্ঞানী-গুণী মানুষের বসবাস। হুইপ মাশরাফির আমন্ত্রণে আমি নড়াইলে এসেছি।  তিনি আরও বলেন, মাত্র তিন মাস হলো দায়িত্ব নিয়েছি। তিন মাসে আমার নিদের্শ হলো-তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা উন্নতি করা। হাসপাতালগুলোতে কেন ডাক্তার থাকে না এ বিষয়ে ডিজি এবং মন্ত্রণালয়ের সবাইকে বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেককে শোকজ করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৫০

আমাদের স্বাস্থ্য খাতে ভালো কাজ হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আমাদের স্বাস্থ্য খাতে ভালো কাজ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ১০০-শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও এ্যাসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‌‘আমি নতুন দায়িত্ব পেয়েছি। আমি সবসময় সারপ্রাইজ ভিজিট দিই এবং সারাদেশেই দিচ্ছি। আমাদের স্বাস্থ্য খাতে ভালো কাজও হচ্ছে। শুক্রবার পঞ্চগড়ে যে হাসপাতালটি ৫ বছর বন্ধ ছিল সেটি খোলা হয়েছে এবং অপারেশনও হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমি মাত্র তিন মাস হলো দায়িত্ব নিয়েছি। এই তিন মাসে আমার নির্দেশ হলো তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা উন্নতি করা। হাসপাতালগুলোতে কেন ডাক্তার থাকে না এ বিষয়ে ডিজি এবং মন্ত্রণালয়ের সবাইকে বলা হয়েছে কোথায় ডাক্তার থাকে না। ইতিমধ্যে অনেককে শোকজ করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘টুঙ্গিপাড়া ১০০-শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইতিমধ্যে ২১ জন ডাক্তার পদায়ন করা হয়েছে। আমি খেয়াল রাখব তারা আসেন কি না? না আসলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডাক্তার সংকট এক দিনের সমস্যা নয় এটা বহু দিনের সমস্যা। স্ট্যান্ডার্ড সেটআপের অনুমোদন হয়েছে। জনবল সংকট কাটানোর জন্য দ্রুত কাজ করা হচ্ছে। গরমের কারণে হাসপাতালগুলোতে বেড খালি রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এন্টিবায়োটিক এ যতগুলো সরকারি সাপ্লাই আছে, যেগুলো প্রয়োজনীয় সেগুলো সরবরাহ আছে। ভবিষ্যতে যাতে এগুলো সাধারণ মানুষ পায় সে বিষয় নিয়ে কাজ করা হবে। এ্যাসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডে এর ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী অগ্রাধিকারভিত্তিক একটি প্রকল্প। এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। দ্রুত এ প্রকল্পে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ করা হবে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারব, তত তাড়াতাড়ি দেশের বাইরেও রপ্তানি করতে পারব। এটি বাংলাদেশের একটি যুগান্তকারী প্ল্যান্ট হবে।’
২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:১৮

হিটস্ট্রোক / স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৪ নির্দেশনা
তীব্র গরমে পুড়ছে দেশ। চলমান এই গরম আরও কয়েক দিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ অবস্থায় হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে চার দফা নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ বিদ্যমান আছে। এ অবস্থায় সুস্থ থাকতে সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই। নির্দেশনাগুলো হলো- ১. তীব্র গরম থেকে দূরে থাকুন, মাঝে মাঝে ছায়ায় বিশ্রাম নিন। ২. প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করুন। হেপাটাইটিস এ, ই, ডায়রিয়াসহ প্রাণঘাতি পানিবাহী রোগ থেকে বাঁচতে রাস্তায় তৈরি পানীয় ও খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে একাধিকবার গোসল করুন। ৩. গরম আবহাওয়ায় ঢিলেঢালা পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরুন, সম্ভব হলে গাঢ় রঙিন পোশাক এড়িয়ে চলুন। ৪. গরম আবহাওয়ায় যদি ঘাম বন্ধ হয়ে যায়, বমি বমি ভাব দেখা দেয়, তীব্র মাথাব্যথা হয়, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, প্রস্রাব কমে যায়, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হয়, খিঁচুনি এবং অজ্ঞান হওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে হাসপাতালে যান এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এর আগে, হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা পেতে এবং পুলিশ সদস্যদের সুস্থ থাকতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ১১টি নির্দেশনা প্রদান করে। সেগুলো হলো- বাইরে দায়িত্ব পালনের সময় ছাতা, ক্যাপ এবং সানগ্লাস ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশুদ্ধ ও স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ধীরে ধীরে পান করতে হবে এবং ঠান্ডা পানি (বরফসহ/ফ্রিজের পানি) পান পরিহার করতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে এবং বাসি, খোলা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। পুলিশ মেস এবং ক্যান্টিনে বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশন নিশ্চিত করতে হবে। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে আধাঘণ্টা পর/দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হওয়ার পর হাতমুখ ধৌত বা গোসল করতে হবে। জুস বা এ জাতীয় পানীয় পরিহার করতে হবে। স্বাভাবিক শরবত, ডাব বা লবণ পানি পান করা যেতে পারে যদি তা অন্য কোনো কারণে নিষিদ্ধ না হয়ে থাকে। অসুস্থ বোধ করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অফিস ও আবাসন-ব্যারাকের দরজা-জানালা যথাসম্ভব খোলা রাখতে হবে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের তাপপ্রবাহ চলাকালে সুস্থ থাকার বিষয়টি তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে। তীব্র তাপপ্রবাহে সুস্থ থাকতে এবং হিটস্ট্রোক প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে নিয়মিত রোলকলে এবং অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায় পুলিশ সদস্যদের অবহিতকরণসহ সচেতন করতে হবে।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:০১

টিকা নিতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট লাগবে হজযাত্রীদের 
হজযাত্রীদের টিকা গ্রহণের সময় স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট লাগবে। সরকার নির্বাচিত মেডিকেল সেন্টারগুলো থেকে টিকা নেওয়ার আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষার কিছু রিপোর্ট সাথে আনতে সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।  ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখা থেকে জারিকৃত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্টগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইউরিন আরএমই, আরবিএস, এক্সরে চেস্ট পিএ ভিউ, ইসিজি, সেরাম ক্রিয়াটিনিন, সিবিসি উইথ ইএসআর, ব্লাড গ্রুপিং এন্ড আরএইচ টাইপিং।  মোট ৮০টি স্বাস্থ্য সেবা ও টিকাদান কেন্দ্র থেকে টিকা গ্রহণ করতে পারবেন হজযাত্রীরা। সব জেলার সিভিল সার্জন অফিস ছাড়াও কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, সরকারী কর্মচারী হাসপাতাল, ফুলবাড়ীয়া, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, রাজারবাগ, বাংলাদেশ সচিবালয় ক্লিনিক, গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বগুড়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মোহম্মদ আলী হাসপাতাল ও দিনাজপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতাল।  এ সংক্রান্ত যে কোনো তথ্যের জন্য ১৬১৩৬ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। 
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২১

স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করা হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
চিকিৎসক ও রোগীর সুরক্ষায় জাতীয় সংসদে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।   বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কুমিল্লা, নোয়াখালী, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও পরিচালকসহ অন্যান্য চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরও অংশ নেন কুমিল্লা–৬ সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, চান্দিনা আসনের সংসদ সদস্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. তাহসীন বাহার, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার প্রমুখ। আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিকিৎসকদের উদ্দেশে বলেন, আমি যেমন চিকিৎসকদের মন্ত্রী, তেমনি রোগীদেরও। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন পাস করতে সংসদে বিল উত্থাপন করা হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিদেশে চিকিৎসা নিরুৎসাহিত করতে দেশে চিকিৎসকদের আরও বেশি সেবা মনোভাবী হওয়ার অনুরোধ জানান। স্থানীয় সংসদ সদস্যের দাবির প্রেক্ষিতে কুমিল্লায় একটি ক্যানসার হাসপাতাল নির্মাণেরও প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী। এর আগে সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতাল ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৫

কাশ্মীরে স্বাস্থ্য কর্মীদের বিক্ষোভ
পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদের সমন্বিত স্বাস্থ্য কর্মসূচি ‘মা, নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্য’ (এমএনসিএইচ) এর কর্মীরা তাদের বেতন না বাড়ানো এবং কোনো রকমের নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, এই কর্মসূচির যুক্ত কর্মীদের যথাসময়ে বেতন বাড়ছে না। এমনকি নোটিশ ছাড়াই বেশ কয়েকজনকে চাকরিচ্যুত করেছে কর্তৃপক্ষ। এএনআই জানিয়েছে, বিক্ষোভে অংশ এক নারী বলেন, আমার বাচ্চাদের খাওয়াতে হয়, তারা গত ছয় মাস ধরে স্কুলে যাচ্ছে না। তাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করতে পারছি না। কম বেতনের কারণে তাদের পড়ালেখা চালাতে পারছি না। আমরা গরীব, খাওয়া-পড়া বাদে অন্যান্য খরচও সামাল দিতে হয়। আমার মেয়েদের অন্যের বাড়ির কাজের জন্যও পাঠাতে হয়েছিল, কারণ কোনো বিকল্প ছিল না। কর্মীদের অনেকেই এমএনসিএইচ কর্মসূচিতে ১৫ বছর ধরে কাজ করছেন জানিয়ে আরেক নারী বলেন, কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত ১২৪২ জনকে বিনা নোটিশে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত নয় মাসে তাদের বেতন দেওয়া হয়নি। তার ভাষ্য, এসব সমস্যার প্রতিবাদে রোজা রেখেও আমরা রাস্তায় নেমেছি। কারণ, আমাদের মনে হচ্ছে অন্য কোনো বিকল্প নেই। আমাদের অনেক সহকর্মী বিধবা আর দরিদ্র। পাকিস্তানে এই প্রকল্প সাধারণ গ্রেডে আনা হয়েছে। আমাদের দাবি, কাশ্মীরেও এটি সাধারণ গ্রেডে নিয়ে আস হোক। আমরা গত ১৭ দিন ধরে প্রতিবাদ করছি। কিন্তু আমাদের কথা কর্তৃপক্ষের কেউ শুনতেও আসেনি।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ০০:২০

ঈদের দাওয়াত দিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না বাবার, হাসপাতালে মেয়ে
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় মেয়েকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে ইদের দাওয়াত দিয়ে ফেরার পথে অটোরিকশা দুর্ঘটনায় বাবা নিহত ও শিশু মেয়ে আহত হয়েছে।  রোববার (৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার আমরাইদ-বারিষাব সড়কের আমারাইদ ব্রিজ সংলগ্ন স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কাপাসিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাহার আলম দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নিহত রফিকুল ইসলাম (৪২) কাপাসিয়া উপজেলার টোক নয়ন গ্রামের নজিবুল্লাহর ছেলে। গুরুতর আহত নিহতের শিশু মেয়ের (০৪) নাম পাওয়া যায়নি।  স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠিয়েছে। দুর্ঘটনার পর চালক অটোরিকশা ফেলে পালিয়ে গেছে। কাপাসিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাহার আলম স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, উপজেলার আমরাইদ-বারিষাব সড়কের আমারাইদ ব্রিজের কাছে অটোরিকশা পৌছলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্রিজের রেলিংয়ে গিয়ে ধাক্কা লাগে। এতে অটোরিকশা দুমড়ে মুচড়ে যায়। এ সময় রফিকুল ইসলাম নিহত ও তার শিশু মেয়ে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা শিশুকে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠিয়েছে।  তিনি আরও জানান, নিহতের মরদেহ আমরাইদ জেনারেল হাসপাতালের রয়েছে। স্থানীয় আমরাইদ জেনারেল হাসপাতালের স্টাফ এখলাস মিয়া বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রফিকুল ইসলামকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। আহত শিশুকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠানো হয়েছে। জানায় ।  
০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৭

‘সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সবর্জনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসতে হবে।  রোববার (৭ এপ্রিল) ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও রোববার ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিতে, কাজ করি একসাথে’ যথার্থ ও সময়োচিত হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই চিকিৎসা সেবাকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যখাতে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ অর্জন করেছে এমডিজি অ্যাওয়ার্ড, সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড ও গ্যাভি অ্যাওয়ার্ডের মতো আন্তর্জাতিক পুরস্কার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিকাদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য ও বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ ‘ভ্যাকসিন হিরো’ নামে আখ্যায়িত হয়েছে। বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক আজ তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। তিনি বলেন, সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে বাংলাদেশের জয়লাভ স্বাস্থ্যখাতে সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে চিকিৎসাসেবার মানোন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন, পর্যাপ্ত সংখ্যক জনবল নিয়োগ, পরিবার পরিকল্পনা ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, নার্সিং সেবার উন্নয়ন, স্বাস্থ্যখাতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, আইন ও নীতিমালা প্রণয়নসহ ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকা- বাস্তবায়ন করেছে। তিনি বলেন, নতুন নার্সিং কলেজ, মেডিকেল কলেজ ও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং চিকিৎসকদের পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্সের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। হাসপাতালে রোগীদের সেবার জন্য চিকিৎসক, নার্স, সাধারণ বেড ও ওটি বেডের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সরকারপ্রধান বলেন, বিভিন্ন হাসপাতালে টেলিমেডিসিন সেবা চালু করা হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সারা দেশে ১৪ হাজার ২৮৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তিকে সহজতর করা হয়েছে। ৫ম স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচির মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার সব চ্যালেঞ্জসমূহ অন্তর্ভুক্ত করে তা মোকাবিলার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ সমস্ত সেবার মাধ্যমে আর্থিক প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনের পথ সুগম হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে সবার জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা। আওয়ামী লীগ সরকার বৈশ্বিক এই ঘোষণার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকার স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির অধিকারকে অন্যতম মানবাধিকার হিসেবে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করায় স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন এখন ঈর্ষণীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। শিশুমৃত্যু, মাতৃমৃত্যুর হারও উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যখাতে সরকারের বিপুল অর্জনকে আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার জন্য সব পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের ধন্যবাদ জানান এবং ‘বিশ্বস্বাস্থ্য দিবস ২০২৪’ উপলক্ষ্যে নেওয়া সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন। সূত্র : বাসস
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৭

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস আজ
আজ ৭ এপ্রিল; বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত প্রতিপাদ্যের আলোকে দিবসটি উদযাপন করছে বাংলাদেশও। এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্বাস্থ্যের অধিকার নিশ্চিতে: কাজ করি একসাথে’। দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেইসঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং স্বাস্থ্য বিষয়ে কাজ করে এমন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো। এ বছর দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সেমিনার আয়োজন, স্যুভেনির প্রকাশ, স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রদর্শনী, জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ, সড়কদ্বীপ সজ্জিতকরণ, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার উদ্যোগে স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য কার্যক্রম। ১৯৪৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সম্মেলন ডাকার সিদ্ধান্ত নেয় জাতিসংঘ অর্থনীতি ও সমাজ পরিষদ। একই বছরের জুন ও জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সম্মেলন। সেইসঙ্গে গৃহীত হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাংগঠনিক আইন। ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয় এই আইন। একইসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস হিসেবে নির্ধারিত হয় দিনটি। দিবসটি ঘিরে প্রতিবছর সংস্থাটি এমন একটি স্বাস্থ্য ইস্যু বেছে নেয়, যা বিশেষ করে সারা পৃথিবীর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। এ দিন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হয় এ দিবসটি।
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৮

কলেরার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বৈশ্বিক কর্মসূচি ঘোষণা
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পানিবাহিত রোগ কলেরার প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। কলেরার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বৈশ্বিক কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে সংস্থাটি। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে বড় আকারের টেস্ট কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। ডব্লিউএইচও’র হিসেব অনুযায়ী, ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে ৪ লাখ ৭৩ হাজার জন কলেরায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এরপর ২০২৩ সালে সেটি প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে ৭ লাখ আক্রান্ত হয়েছিল। চলতি ২০২৪ সালে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আলামত রয়েছে। এজন্য কলেরার বৈশ্বিক টেস্ট কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ডব্লিউএইচও।  কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কলেরা টেস্টের সরঞ্জাম পৌঁছে যাবে। প্রাথমিকভাবে মালাউই, ইথিওপিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া, জাম্বিয়াসহ মোট ১৪টি দেশে  এসব সরঞ্জাম পাঠানো হবে। আন্তর্জাতিক টিকা সহায়তা সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (গ্যাভি), জাতিসংঘের শিশু নিরাপত্তা ও অধিকারবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এবং কলেরা প্রতিরোধ সংক্রান্ত বৈশ্বিক সংস্থা গ্লোবাল টাস্কফোর্স অন কলেরা কন্ট্রোল বৈশ্বিক এই কর্মসূচিতে অংশীদার হিসেবে কাজ করবে বলে জানায় ডব্লিউএইচও।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়