উপদেষ্টা ও সমন্বয়কদের ওপর আস্থা রাখতে বললেন আজহারী
দেশ পুনর্গঠনের জন্য যথাযথ সময় না দিয়ে সচিবালয় ঘেরাও করা এবং রাস্তা বন্ধ করে আন্দোলনকারীদের নিয়ে মন্তব্য করেছেন মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত দেশের জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে উপদেষ্টা ও সমন্বয়কদের ওপর আস্থা রাখতে বলেছেন তিনি।
পোস্টে মাওলানা আজহারী লেখেন, ‘উপদেষ্টাগণ দিনরাত এক করে কাজ করে যাচ্ছেন। সমন্বয়করা আহতদের খোঁজ রাখতে হাসপাতালে দৌড়াচ্ছেন। আর একদল আছে তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে। গত ১৫ বছর তো কথাও বলতে পারেননি। আর এখন ১৫ দিনেই অস্থির হয়ে যাচ্ছেন?’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা (উপদেষ্টা ও সমন্বয়ক) রোবট নন। তাদের সময় দিন। অধৈর্য হবেন না। আস্থা রাখুন।’
মন্তব্য করুন
যে কারণে শিক্ষা উপদেষ্টার পা জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন দুই শিক্ষক
শূন্য পদে বদলির সুযোগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন চেয়ে অবেগতাড়িত হয়ে কাঁদতে কাঁদতে শিক্ষা উপদেষ্টার পা জড়িয়ে ধরেন এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই শিক্ষক।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে ঘটা এই ঘটনার ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
জানা যায়, এদিন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে দেখা করতে যান এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের একটি দল। তাদের দাবি, শূন্যপদের বিপরীতে বদলি। এক পর্যায়ে ওই দলের দুজন শিক্ষক ‘এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশপ্রাপ্ত ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বদলি গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদ’ এর সাধারণ সম্পাদক মো সাকিবুল ইসলাম ও রাজশাহী জেলার সমন্বয়ক শরিফুল ইসলাম শিক্ষা উপদেষ্টার পায়ে পড়ে কাঁদতে শুরু করেন। এসময় শিক্ষা উপদেষ্টা তাদেরকে তোলার চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে শিক্ষক মো. সাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এটা ইচ্ছাকৃত করিনি, আবেগের বশবর্তী হয়ে করে ফেলেছি। কারণ, গত ৭ তারিখে আমার দাদি শাশুড়ি মারা গেছে কিন্তু আমি সেখানে যেতে পারিনি। কারণ, আমি চাঁদপুরে কর্মরত। মৃত্যু সংবাদ পেয়েছি সকাল ৮টায় আর দাফন হয়েছে দুপুর আড়াইটায়। আমার পক্ষে ওই সময়ের মধ্যে রাজশাহীতে যাওয়া সম্ভব ছিল না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার আত্মীয়-স্বজন মারা গেলেও আমি দেখতে যেতে পারি না। আমার মতো অসংখ্য শিক্ষক আছে যাদের জীবন দুর্বিষহ।’
ওই সময় কী ঘটেছিল? জানতে চাইলে তিনি জানান, তিনি ওটা করে ফেললে উপদেষ্টা মহোদয় বলেন, ‘ওঠো ওঠো বাবা, তোমাদের কাজ তো করে দিয়েছি, তোমাদের কাজ তো হচ্ছে।’ এরপর শিক্ষা উপদেষ্টা নিজের ব্যক্তিগত সহকারীর সঙ্গে তাদেরকে পাঠিয়ে দেন বিস্তারিত কথা বলার জন্য। সেখানে কর্মকর্তারা শিক্ষকদের আশ্বস্ত করেন যে, তাদের কাজ দ্রুত হয়ে যাবে।
এনটিআরসিএর তথ্যমতে, ২০১৬ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগে সুপারিশ করে আসছে। প্রথম গণবিজ্ঞপ্তিতে উপজেলাভিত্তিক শিক্ষক সুপারিশ করায় নিজ উপজেলায় শূন্যপদ না থাকায় অনেক শিক্ষক বাধ্য হয়ে মাদরাসায় ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ নেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে মেধাতালিকা অনুযায়ী জাতীয়পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছিল।
প্রতিষ্ঠানটির নিয়োগ পরিপত্র থেকে জানা গেছে, একজন ইনডেক্সধারী শিক্ষক যেকোনো বয়সে পরবর্তী যেকোনো গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের মাধ্যমে মেধাতালিকা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করতে পারবেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে অনেক নিবন্ধনধারী শিক্ষক নিজ এলাকায় শূন্যপদ না থাকায় দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে আবেদন করে সুপারিশ পেয়েছেন।
তবে হঠাৎ করে নিয়োগ কর্তৃপক্ষ পরিপত্র ২০১৫-এর ৭ নম্বর অনুচ্ছেদ সাময়িক স্থগিত করার কারণে চতুর্থ ও পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে ইনডেক্সধারীদেরও আবেদনের সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা এখন সমস্যায় পড়েছেন। এতে লক্ষাধিক ইনডেক্সধারী শিক্ষক ভোগান্তিতে পড়েন। তারপর থেকেই শিক্ষকরা নানা সময়ে বদলির দাবীতে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে এলেও তাদের এ সমস্যার সমাধান হয়নি। শিক্ষকদের দাবির মুখে কয়েকদিন আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পারস্পরিক বদলির প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে। এরইমধ্যে শিক্ষকদের পারস্পরিক বদলির আবেদন শুরু হয়েছে যা চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু শিক্ষকরা মনে করছেন, এতে ১ শতাংশ শিক্ষকও উপকৃত হবেন না।
আরটিভি/এসএপি/এআর
যেই পথে গেছে আপা, সেই পথে যাবে জাপা: হাসনাত
আওয়ামী লীগের দোসর জাতীয় পার্টির সমাবেশ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চলছে। মূলত জাপার এমন কর্মসূচি আওয়ামী লীগের রাজনীতি পুনরুত্থানের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেখছে বিভিন্ন দল ও সংগঠন। যদিও পুলিশের নিষেধাজ্ঞার পর বাধ্য হয়ে রাজধানীর কাকরাইলে সমাবেশ স্থগিত করেছে জাপা। এমন অবস্থায় জাতীয় পার্টিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাতে দেওয়া সেই ফেসবুক পোস্টে হাসনাত লিখেছেন, ‘যেই পথে গেছে আপা, সেই পথে যাবে জাপা। নোট: কেয়ামতের সময়ের তওবা কবুল হয় না।’
এর আগেরদিন, বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় পার্টিকে বেইমান আখ্যা দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন হাসনাত আবদুল্লাহ। সেখানে তিনি লিখেছেন, জাতীয় বেইমান এই জাতীয় পার্টি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিজয়নগরে আমাদের ভাইদের পিটিয়েছে, অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। এবার এই জাতীয় বেইমানদের উৎখাত নিশ্চিত।
ঘটনার সূত্রপাত
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবসহ দলের নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে ২ নভেম্বর রাজধানীতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয় দলটি। জাপার এমন কর্মসূচির কিছুক্ষণ পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় একদল মানুষ।
এরপর শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন ডেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, ওই কার্যালয়ের সামনেই শনিবার সমাবেশের কর্মসূচি হবে। কিন্তু ওই সমাবেশ ‘করতে দেওয়া হবে না বলে’ হুঁশিয়ারি দেয় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ। দুই পক্ষের এই পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায় কাকরাইল ও আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
উল্লেখ্য, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জাতীয় পার্টি সমর্থন দিলেও আওয়ামী সরকার পতনের পর দলটি তার অতীতের নানা কর্মকাণ্ডের কারণে হোঁচট খাচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ অনুষ্ঠানসহ পরবর্তীতে প্রধান উপদেষ্টার তিনটি সংলাপে ডাক পায় জাতীয় পার্টি। এরপর গত ৭ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হলে আমরা সেই আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ ও কঠোর বিরোধিতা করব। এরপর গত ১৯ অক্টোবরের চতুর্থ দফার সংলাপে ডাক পায়নি দলটি।
এদিকে গত ১৪ অক্টোবর সারজিস আলম এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ জাতীয় সংলাপ থেকে জাতীয় পার্টিকে বাদ দেওয়ার আহ্বান জানানোর পর জাপা তাদের রংপুরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে।
এরপর ২৬ অক্টোবর হাসনাত আবদুল্লাহ রংপুরে যাওয়ার খবরে দুপুরে রংপুর শহরের বিভিন্ন সড়কে জাপা নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ মিছিল করেন। মিছিলের নেতৃত্ব দেন দলের কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান।
আরটিভি/আরএ/এআর
তিন দফা দাবিতে সোহেল তাজের কর্মসূচি ঘোষণা
জেলহত্যা দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনসহ তিন দফা দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজ। সে অনুযায়ী আগামী ৩ নভেম্বর ওইসব দাবি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে স্মারকলিপি দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে কর্মসূচি ঘোষণা করেন তাজউদ্দিন পুত্র।
সোহেল তাজ তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, আগামী ৩ নভেম্বর কলঙ্কময় জেলহত্যা দিবস। দেখতে দেখতে ৪৯ বছর পার হয়ে গেলো, অথচ এখন পর্যন্ত জাতির চার বীর যাদের নেতৃত্বে সফলভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হলো, যাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেলাম- আজ অবধি রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের কোনো স্বীকৃতি নেই। এটা মেনে নেওয়া যায় না!
এরপর নিজের তিনটি দাবি তুলে ধরেন তিনি। সেগুলো হলো:
১. যেহেতু ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়, সেহেতু বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র (প্রজাতন্ত্র) হিসেবে জন্ম লাভ করে। তাই এ দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করতে হবে।
২. ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে।
৩. জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, অমর শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
পোস্টে সোহেল তাজ লেখেন, ‘আমি মনে করি, আমার এ তিন দাবি ন্যায্য ও যৌক্তিক এবং এটা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সবার প্রাণের দাবি। সেই লক্ষ্যে আমার পরবর্তী কর্মসূচি, আগামী ৩ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৩ টায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে আমি অবস্থান নেবো এবং পরবর্তীতে পদযাত্রা করে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেবো।’
তিনি আরও লিখেন, ‘হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে থেকে বিকেল ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার উদ্দেশ্যে হেটে যাত্রা শুরু করবো। এ সমাবেশে স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধের-বৈষম্যবিরোধী চেতনায় বিশ্বাসী সবাইকে অংশ নেয়ার জোর আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরটিভি/এসএইচএম
সোহেল তাজকে প্রধান উপদেষ্টার ফোন
জাতীয় চার নেতা হত্যার দিনকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণাসহ তিন দাবি জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে রোববার (৩ নভেম্বর) স্মারকলিপি দিয়েছেন জাতীয় নেতা তাজউদ্দিন আহমেদের ছেলে তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সোহেল তাজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ৩ দাবি আপডেট: আপনারা সবাই শুনে আনন্দিত হবেন যে আজ সকালে প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনূস আমাকে ফোন করেছিলেন এবং ওনার সঙ্গে আমার বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে তাজউদ্দীন আহমদ এবং জাতীয় চার নেতার অবদানের কথা তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেন যে পদক্ষেপ নেবেন যাতে নতুন প্রজন্ম আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস জানতে পারে।
এর আগে, রোববার বিকেল ৪টায় তিন দাবিতে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল-সংলগ্ন সাকুরা রেস্টুরেন্টের সামনে উপস্থিত হন সোহেল তাজ এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরুর আগেই বিকেল ৫টায় প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের প্রতিনিধি এসে দাবিসংবলিত স্মারকলিপি নিয়ে গেলে, পরে আর পদযাত্রা করার প্রয়োজন হয়নি। তবে এ সময় সাকুরা রেস্টুরেন্টের উল্টো পাশে শতাধিক পুলিশকে রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরা ৩ দাবিগুলো হলো-
যেহেতু ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়, সেহেতু বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র (প্রজাতন্ত্র) হিসেবে জন্ম লাভ করে। তাই এ দিনটিকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করতে হবে।
৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবসকে ‘জাতীয় শোক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে।
জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, অমর শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে ও পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
আরটিভি/এমএ/এসএ
ছাত্রলীগ সভাপতিকে নিয়ে টকশো স্থগিত করলেন খালেদ মুহিউদ্দীন
খালেদ মুহিউদ্দীনের টকশোতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতিকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে, যা আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রচার হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইতোমধ্যে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ সভাপতির সেই অনুষ্ঠানটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) রাতে ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন খালেদ মুহিউদ্দীন।
ওই পোস্টে তিনি লেখেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এখন নিষিদ্ধ সংগঠন। একাধিক আইনজীবীর পরামর্শ মতে, বাংলাদেশের দিক থেকে ছাত্রলীগের কারও বক্তব্য প্রচার আইনত ঠিক হবে না। এই বিবেচনায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ সভাপতির অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হলো।
ছাত্রলীগের সভাপতিকে নিয়ে এ প্রোগ্রামের সময়সূচি ঘোষণার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীন। ফুঁসে ওঠেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কসহ নেটিজেনরা।
এ নিয়ে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, খালেদ মুহিউদ্দীন ভাই, এর পূর্বে কয়টা নিষিদ্ধ সংগঠনের লিডারদের সঙ্গে টকশো করেছেন? এটা আমাদের দুই হাজারের অধিক শহীদের সঙ্গে বেঈমানি, অর্ধলাখ ভাই-বোনের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এক পোস্টে লিখেছেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের সভাপতিকে প্রমোট করার মধ্যে দিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের শহীদ, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতির সঙ্গে প্রতারণা করা হলো।
‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ এর ফেসবুক পেজ থেকে বলা হয়েছিল, ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার, বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়, মুখোমুখি নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ সভাপতি। ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন- টকশোতে অতিথি সম্প্রতি সরকারি নিষেধাজ্ঞায় পড়া ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।
ওই পোস্টের নিচে খান আশরাফ নামের একজন কমেন্ট করেছেন, নিষিদ্ধঘোষিত একটা দলের প্রধানকে মিডিয়ায় আনা মানে তাকে পুনর্বাসনের সুযোগ করে দেওয়া। খালেদ মুহিউদ্দীন সেই কাজটাই করতে চলেছেন। এরকম হলে হিজবুত তাহরিরের সভাপতিকেও দাওয়াত দেন।
আল মামুন রাসেল লিখেছেন, আমাদের আইন অনুযায়ী এটি আপনি করতে পারেন না। এটি করলে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৯ ধারায় আপনিও অপরাধী হবেন। আশা করি এহেন কাজ থেকে বিরত থাকবেন।
এদিকে আজ (বুধবার) এক বিফ্রিংয়ে বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, উনি রিপোর্টগুলো করছেন দেশের বাইরে থেকে। উনি যদি এটা করেন, তাহলে আমরা এটুকু বলতে পারি যে, উনি রেসপন্সিবল জার্নালিজম করলেন কি না?
আরটিভি/একে/এসএ
শেখ হাসিনাকে নিয়ে সারজিস ও হাসনাতের ভিডিও ভাইরাল
সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এ জয়ে নিজেদের ফেসবুক ওয়ালে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ।
ভিডিওতে তারা কৌশলে শেখ হাসিনার ‘চট করে দেশে ঢুকে পড়ার’ দলীয় কর্মীর সঙ্গে ফাঁস হওয়া ভাইরাল সেই কথাটিকেই নাটকীয়ভাবে তুলে ধরেছেন। এতে সমন্বয়কদের দেখে শেখ হাসিনাকে দেশে আসতে বলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পালানোর প্রতীকী গল্প তুলে ধরা হয়। ভিডিওটিতে সারজিস আলমের পাশে দেখা যায় আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহকেও।
ভিডিওতে দেখা যায় একজনকে কথা বলতে। তাকে বলতে শোনা যায়, আপা আমি সাদ্দাম বলতেছি, আপা। আমরা পঞ্চগড়ে, বর্ডারে আপা। আমাদের কাছে চার-পাঁচ লাখ ছাত্রলীগের ছেলেপেলে আছে, দুই চার লাখ আওয়ামী লীগের আছে। আপা আপনি চট করে ঢুকে পড়েন, কোনো সমস্যা নাই। একদম চট করে আসবেন, আমরা সব রেডি করে রাখছি। একদম গাড়িটাড়ি, চট করে আসবেন ঢুকে পড়বেন...।
এরপর দেখা যায়, সারজিস ও হাসনাতসহ কয়েকজন একদিক থেকে হেঁটে আসছে এবং তাদেরকে দেখে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ভূমিকায় অভিনয় করা তরুণরা পালা পালা চিৎকার করে এদিক-ওদিক দৌড়াদৌড়ি করছে।
এসময় একজনকে বলতে শোনা যায়, আপা আপনি আইসেননা আপা, যেখানে আছেন সেখানেই থাকেন আপা। সমন্বয়করা আসতেছে আপা, আপনি আইসেননা আপা, সবাই পালাইতেছে আপা, আপা…।
আরটিভি/এসএপি-টি
আসিফ নজরুলের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের পরিণতি ভোগ করতেই হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে হেনস্তার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী।
আওয়ামী লীগের সমর্থকদের উদ্দেশে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দেওয়া সেই পোস্টে তিনি লিখেছেন, আসিফ নজরুল ভাইয়ের ওপর হামলে পড়া এবং ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের পরিণতি মাফিয়া দলের এই জঙ্গি উত্তরাধিকারদের ভোগ করতেই হবে।
সেইসঙ্গে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস ও মিশনের অবহেলা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়ে তিনি লিখেছেন, খতিয়ে দেখতে হবে জেনেভাস্থ বাংলাদেশ মিশনের যেকোনো গাফিলতি, মাননীয় উপদেষ্টার যথাযথ নিরাপত্তা কিংবা প্রটোকলের ঘাটতি আছে কিনা।
এর আগে, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডির মিটিং যোগ দিতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় যান আসিফ নজরুল। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) তিনি দেশে ফিরছিলেন।
উপদেষ্টা গাড়ি থেকে বিমানবন্দরে নামার পর কয়েকজন লোক এসে তাকে ঘিরে ধরেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সুইজারল্যান্ড শাখার সভাপতি নজরুল ইসলাম জমাদার ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান ছিলেন। জেনেভা বিমানবন্দরে প্রবেশের আগ পর্যন্ত উপদেষ্টাকে বিরক্ত ও হেনস্তা করেন তারা। তখন তারা জয়বাংলা, জয়বন্ধু শ্লোগানও দেন।
আরটিভি/আরএ/এআর