চীনের ভিসা প্রত্যাশীদের জন্য সুখবর
চীনা ভিসা আবেদনকারীদের জন্য সুখবর আসছে। স্বল্পমেয়াদি দেশটির ভিসা নিতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে হবে না।
শনিবার (৩১ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকার চীনা দূতাবাস।
এতে বলা হয়েছে, চীনের ভিসা প্রত্যাশীদের আরও সুবিধার জন্য একক বা ডাবল এন্ট্রি স্বল্পমেয়াদি ভিসার (১৮০ দিনের কম থাকা) ক্ষেত্রে আগামী ২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫ সাল পর্যন্ত ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ থেকে ছাড় দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
আনসারদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, কড়া হুঁশিয়ারি সারজিসের
ঢাকার সচিবালয় এলাকায় আনসার সদস্যদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাংবাদিকসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন।
রোবববার (২৫ আস্ট) রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে সচিবালয়ের সামনে ঘটে এ ঘটনা। সংঘর্ষের কয়েক মিনিটেই শিক্ষার্থীদের জনস্রোতে পালিয়ে গেছেন আনসার সদস্যরা। এরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে সেনাবাহিনী।
এদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহসহ অনেককে সচিবালয়ে আটকে রাখে আনসার সদস্যদের একটি দল। রাত ৮টার দিও সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ নিজেদের ফেসবুক পোস্টে তাদের আটকে রাখার বিষয়ে জানালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জমা হতে থাকে। এরপর সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হন আনসার সদস্যরা। পরে স্রোতের মতো আসতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। তাদের ধাওয়ায় পালিয়ে যান আনসার সদস্যরা।
এদিকে এ ঘটনায় কড়া হুঁশিয়ার দিয়ে শিক্ষার্থীদের রাজপথ না ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। রাত সোয়া ১০টার দিকে ফেসবুকে এক পোস্টে এ আহ্বান জানান তিনি।
সারজিস আলম লিখেছেন, ‘এরা পুরনো শকুন। এটি তাদের বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ। তাদের সব পরিকল্পনা ছাত্র-জনতা ধুলোয় মিশিয়ে দেবে। আপনারা কেউ রাজপথ ছাড়বেন না। সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই নেমে আসুন। দেখি কত বড় কলিজা ওদের।’
ঢাবির উপাচার্য ও দুই উপ-উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে যা জানা গেল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানকে উপাচার্য, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইমা হক বিদিশা এবং ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইসমাইলকে উপ-উপাচার্য পদে নিয়োগের তথ্য ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছড়িয়ে পড়েছে।
গণমাধ্যমে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সূত্র ব্যবহার করে নিয়োগের তথ্য প্রকাশ করা হলেও এ নিয়ে এখনো কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বিষয়টি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, এসব নিয়োগের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপন সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরে পাঠানো হয়। এরপর রেজিস্ট্রার নিয়োগপ্রাপ্তদের যোগদানের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে থাকে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেখানে (রেজিস্ট্রার দপ্তরে) কোনো নির্দেশনা যায়নি।
তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মন্ত্রণালয় থেকে রাষ্ট্রপতি ও আচার্যকে যে ফাইল পাঠানো হয়, সেটাতে তিনি সম্মতি দিয়েছেন। এখন সেই ফাইল মন্ত্রণালয়ে আসবে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এটি হাতে পেলে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দায়িত্ব পাওয়া কর্মকর্তার সইয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘যে খবরটি গণমাধ্যমে এসেছে, সেটা বঙ্গভবন থেকে ফাঁস হয়েছে। মন্ত্রণালয় ফাইল পাঠিয়েছিল। কাদের নাম ছিল সেটা অবগত। সই করার সঙ্গে সঙ্গে সেখান (বঙ্গভবন) থেকে গণমাধ্যমে তথ্যটা চলে গেছে। তবে সেই ফাইলটা আজকের কর্মদিবসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে আসেনি। হয়তো আগামীকাল (মঙ্গলবার) আসবে। তখন প্রজ্ঞাপন হবে।’
মৃত্যুর আগে ফেসবুকে যা লেখেন সাংবাদিক সারাহ
রাজধানীর হাতিরঝিল লেক থেকে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল গাজী টিভির নিজরুম এডিটর সারাহ রাহানুমার (৩২) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) মধ্যরাতে সাগর নামের এক পথচারী তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, সারাহ নোয়াখালী সোনাইমুড়ী উপজেলার ইসলামবাগ কৃষ্ণপুর গ্রামের বখতিয়ার শিকদারের মেয়ে। তিনি রাজধানীর কল্যাণপুরে থাকতেন।
মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে তার সামাজিকমাধ্যমে ফেসবুকে রাহানুমা সারাহর লেখেন, ‘তোমার মত বন্ধু পেয়ে আমি ভগ্যবান। আল্লাহ তোমাকে সর্বদা মঙ্গল করুন। আশা করি, শীঘ্রই তোমার সব স্বপ্ন পূরণ হবে। আমি জানি আমরা একসঙ্গে অনেক পরিকল্পনা করেছি। দুঃখিত, আমাদের পরিকল্পনা পূরণ করতে পারছি না। আল্লাহ তোমার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আশীর্বাদ করুন।’
এর কিছুক্ষণ আগে আরও একটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘জীবন্মৃত হয়ে থাকার চাইতে মরে যাওয়াই ভাল।’
এদিকে সারাহর স্বামী সায়েদ শুভ্র গণমাধ্যমে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘সম্পর্কের মাধ্যমে সাত বছর পূর্বে আমরা পরিবারকে না জানিয়ে বিবাহ করেছিলাম। গতকাল সারাহ অফিসে গিয়ে রাতে আর বাসায় না ফিরে এক ব্যক্তিকে দিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাসা ভাড়ার টাকা পাঠিয়ে দিয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘পরে আমি তাকে ফোন করে বলি রাতে তো তুমি বাসায় আসতে তাহলে অন্যকে দিয়ে কেন টাকা পাঠিয়ে দিয়েছো? তখন সে বলল আমি ব্যস্ত আছি বলে ফোন রেখে দেয়। পরে রাত ৩টার দিকে খবর পাই সে হাতিরঝিল লেকের পানিতে ঝাঁপ দিয়েছে। পরে ঢামেক এসে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই।’
শুভ্র বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো ঝগড়াও হয়নি তবে বেশ কিছুদিন আগ থেকে আমার স্ত্রী বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে চাচ্ছে। আমরা দুজনই কাজী অফিসে গিয়ে ডিভোর্স দিয়ে আসব। দেশের এই পরিস্থিতিতে আর কাজী অফিসে যাওয়া হয়নি।’
তরুণ-যুবকদের রাস্তা সংস্কারের ভাইরাল ভিডিও সম্পর্কে যা জানা গেল
জনপ্রতিনিধিদের ওপর নির্ভর না করে নিজেদের রাস্তা নিজেরাই সংস্কার করছেন তরুণ-যুবকরা। সম্প্রতি এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি বন্যায় ফেনীর সীমান্তবর্তী উপজেলা পরশুরামে স্বেচ্ছাশ্রমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কার করেছেন একদল তরুণ-যুবক ও স্থানীয় গ্রামবাসী। উপজেলার পরশুরাম ও মির্জানগর ইউনিয়নের পশ্চিম সাহেবনগর সড়ক বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকালের দিকে রাস্তা সংস্কারের জন্য মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে পশ্চিম সাহেবনগর, পূর্ব সাহেবনগর, মনিপুরসহ একাধিক এলাকার ছাত্র, যুবক ও গ্রামবাসী বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতে নেমে পড়েন।
পশ্চিম সাহেবনগর গ্রামের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বলেন, বন্যায় পিচঢালা রাস্তা ভেঙে নাজেহাল হয়ে যায়। গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে রাস্তা মেরামত করে জনসাধারণের চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। বুধবার দুপুর থেকে মির্জানগর ইউনিয়নের দশটি গ্রামের সঙ্গে উপজেলা সদরে যান চলাচল শুরু হয়।
স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুল মান্নান বলেন, বন্যার পানি শুকিয়ে গেলেও এসব সড়ক দিয়ে যান চলাচল দূরের কথা, হেঁটেও চলাচল করা সম্ভব ছিল না। এজন্য উদ্যোগ নিয়ে এলাকার মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তার মেরামত করা হয়েছে।
এদিকে একইসঙ্গে বন্যায় ভেঙে পড়া উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের জয়চাঁদপুর-সত্যনগর সড়কের প্রায় ৩০ ফুট রাস্তায় স্বেচ্ছাশ্রমে একটি সাঁকো তৈরি করে যাতায়াত ব্যবস্থা সচল করেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তারুণ্যের আলো ফাউন্ডেশনের সদস্যরা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তারুণ্যের আলো ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আজাদ হোসেন বলেন, শুরু থেকে আমরা বন্যাকবলিত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্যসামগ্রী দেওয়াসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা করে আসছি। বন্যায় জয়চাঁদপুর-সত্যনগর পাকা সড়কের প্রায় ৩০ ফুট ভেঙে পড়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরে আমাদের উদ্যোগে আপাতত চলাচলের জন্য সংগঠনের সদস্যরা স্বেচ্ছাশ্রমে সেখানে একটি সাঁকো তৈরি করে দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পরশুরাম উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম শাহআলম ভূঁইয়া বলেন, গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙা রাস্তা মেরামত করে দিয়েছেন। এ সপ্তাহের মধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সবগুলো সড়ক সংস্কারের কাজ শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
চীনের ভিসা প্রত্যাশীদের জন্য সুখবর
চীনা ভিসা আবেদনকারীদের জন্য সুখবর আসছে। স্বল্পমেয়াদি দেশটির ভিসা নিতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে হবে না।
শনিবার (৩১ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকার চীনা দূতাবাস।
এতে বলা হয়েছে, চীনের ভিসা প্রত্যাশীদের আরও সুবিধার জন্য একক বা ডাবল এন্ট্রি স্বল্পমেয়াদি ভিসার (১৮০ দিনের কম থাকা) ক্ষেত্রে আগামী ২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫ সাল পর্যন্ত ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ থেকে ছাড় দেওয়া হবে।
ভ্যানে মরদেহের স্তূপ, আত্মগোপনে আরাফাতসহ সেই পুলিশ সদস্যরা
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি লোমহর্ষক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা গেছে, একটি ভ্যানে নিথর দেহের স্তূপ চাদর দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন মাথায় হেলমেট ও ভেস্ট পরা কিছু পুলিশ সদস্য। সেই স্তূপের ওপর আরও মরদেহ রেখে সেগুলোও রাস্তার পাশে থাকা পরিত্যক্ত ব্যানার দিয়ে ঢেকে দিচ্ছেন ওই পুলিশ সদস্যরা। তবুও নিথর দেহগুলোর ঝুলে পড়া সারি সারি হাত দেখা যাচ্ছে।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। পরে ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানার জানায়, ভ্যানে নিথর দেহের স্তূপের ঘটনাটি আশুলিয়া থানা-সংলগ্ন এলাকার। তবে, নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে রিউমার স্ক্যানার জানায়, গত ৫ আগস্ট বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। পরে এসব মরদেহ একটি ভ্যানে তুলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া ঘটনাস্থলের আশপাশে থাকেন এমন দুইজন দাবি করেন, ভিডিওর দেয়ালে যার পোস্টার দেখা যায়, তিনি আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী আবুল হোসেন ভূঁইয়া।
এদিকে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা বলেছেন, গণহত্যার প্রমাণ মুছে ফেলতে রহস্যজনকভাবে রাতারাতি থানার পাশের সামনের দেয়ালের রং মুছে তা পরিবর্তন করা হয়েছে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) ভাইরাল ভিডিও থেকে একজন পুলিশ সদস্যকে শনাক্ত করা গেছে। তিনি ঢাকা জেলা (উত্তর) গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক (তদন্ত) আরাফাত হোসেন। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালে। প্রায় দুই বছর আগে তিনি ঢাকা জেলার গোয়েন্দা বিভাগে যোগ দেন। ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পরে আত্মগোপনে চলে গেছেন তিনিসহ ভিডিওচিত্রে থাকা পুলিশ সদস্যরা।
গণহত্যার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে ভিডিওচিত্রে থাকা আরাফাত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সরকারি মোবাইলফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। ব্যক্তিগত মুঠোফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ঢাকা উত্তর (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ বিপ্লব ছবিটি আরাফাতের বলে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর আরাফাত মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। এখন ওপরে আল্লাহ নিচে আপনারা। সেদিন আমরা কোনো গুলি করিনি। অলিগলিতে হাজারও ছাত্র-জনতা আমাদের ঘিরে ফেলেছিল। তবে আমরা গুলি করিনি।
বিপ্লব বলেন, ঢাকা জেলা পুলিশের এসপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত আব্দুল্লাহিল কাফী স্যারের নির্দেশে ৫ আগস্ট আমরা আশুলিয়ায় ছিলাম। আল্লাহর রহমতে সেদিন আমরা প্রাণে রক্ষা পেয়েছিলাম। না হলে, আমাদেরকেও মরতে হতো।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানা থেকে সদ্য এপিবিএনএ বদলি করা তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এফ এম সায়েদ বলেন, ভিডিওতে আমার কোন ছবি নেই। এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য জানা নেই।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালানোর খবর পেয়ে ক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা আশুলিয়া থানা মুখে অগ্রসর হয়। এ সময় তাদের লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি ছোড়ে পুলিশ। পরে মরদেহগুলো ভ্যানে তোলা হয়। সেখান থেকে একটি পিকআপে স্থানান্তর করার পরে গণহত্যার চিত্র মুছে ফেলতে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, গত ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানায় গণহত্যার দিনে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের টিমের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। তাদের গণহত্যার চিত্রটি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল, যার কারণে সেই গণহত্যার পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে রোষানলের শিকার হয়ে আশুলিয়ায় প্রাণ হারাতে হয় ঢাকা জেলা ডিএসবির আশুলিয়া জোনে কর্মরত এএসআই সোহেল রানা, এএসআই রাজু আহমেদ ও রাজধানীর মালিবাগে স্পেশাল ব্রাঞ্চের এএসআই রফিকুল ইসলামকে। তাদের মধ্যে এএসআই রাজুর মরদেহ আগুন ধরিয়ে দগ্ধ করা হয়। আর এএসআই রফিকুল ইসলামের মরদেহ থানা-সংলগ্ন নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের ফুটওভারব্রিজে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে সাভার ও আশুলিয়ায় ৭৫ জন নিহত হয়। প্রায় সাড়ে চার শতাধিক মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন, তাদের অনেকেই চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন।
আল্লামা সাঈদীকে নিয়ে ছেলের আবেগঘন পোস্ট
আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন তার ছেলে মাসুদ সাঈদী।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে পারিবারিক কবরস্থানের একটি ছবি সংযুক্ত করে তিনি ওই স্ট্যাটাস দেন।
পোস্টে মাসুদ সাঈদী লেখেন, ‘বাবা ও বাবা! তোমায় ভেবে ভেবে কষ্টে ফেটে যায় বুক/অপলক চেয়ে চেয়ে লোনা জলে ভরে যায় চোখ/বিরহের কষ্ট বড় কষ্ট, এত দিন পরে বুঝেছি আমি/তুমি ছাড়া এ হৃদয় শূন্য মরুভূমি।’
এর আগেও মাসুদ সাঈদী বাবাকে নিয়ে আবেগঘন কথা বলেছেন। জামায়াতে ইসলামীর মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র কায়েম করে এই জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর খুনের বদলা নেবেন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
গত ১৭ আগস্ট আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পিরোজপুরের আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত ‘আল্লামা সাঈদীর জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।