মঙ্গলবারের কর্মসূচি নিয়ে সারজিসের বার্তা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা দেশের ছাত্র-জনতার সঙ্গে মতবিনিময় কর্মসূচি শুরু করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবারের কর্মসূচি নিয়ে বার্তা দিয়েছেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
সোমবার (৯ সেপ্টম্বর) রাতে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন তিনি।
এতে সারজিস আলম বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের সংগ্রামী সহযোদ্ধাদের সাথে মঙ্গলবার দেখা হচ্ছে ইনশাআল্লাহ।’
স্ট্যাটাসে তিনি সাক্ষাতের সময় ও স্থান জানিয়ে বলেন, ‘বিকাল ৩টায় পৌর স্টেডিয়ামে দেখা হবে।’
এর আগে রোববার থেকে ছাত্র-জনতার সঙ্গে মতবিনিময় শুরু করেন আন্দোলনের সমন্বয়কেরা। এ দিন সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ চট্টগ্রাম এবং মুন্সিগঞ্জ যান সারজিস আলম।
মন্তব্য করুন
এই দৃশ্য কেমন করে সহ্য করি, তাবলিগ জামাতের ঘটনায় আজহারী
তাবলিগ জামাতের ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী বলেছেন, সাত সকালে ঘুম ভাঙতেই এমন একটা খবর শুনে, রীতিমতো আঁতকে উঠেছি। অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি। হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে ভীষণ। আহারে, আমার দেশে এক মুসলিম-ভাইয়ের হাতে আরেক মুসলিম-ভাই রক্তাক্ত! এই দৃশ্য কেমন করে সহ্য করি!
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা ৩টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
পোস্টে মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী লিখেছেন, তাবলিগের নেতৃত্বস্থানীয় মুরুব্বিদের বলবো, দেশের সবচেয়ে বড় দাওয়াতি প্ল্যাটফর্ম তাবলিগ জামাতের এ সংকটে, আপনাদের দায়িত্বশীল ভূমিকার কোনো বিকল্প নেই। আপনারা আলোচনায় বসুন। তবে ফলপ্রসূ আলোচনার পূর্বশর্ত হলো : দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে চিন্তা করতে পারা। একে-অপরকে ছাড় দেবার মানসিকতা রাখা। মনে রাখবেন, বিষয়টা কেবল আর দলীয় গণ্ডিতে আটকে নেই। এটার সাথে এখন বাংলাদেশের মুসলিমদের ভাবমূর্তি জড়িত।
তিনি আরও লিখেন, মদিনার আউস ও খাযরাজ গোত্রের ভেতর ছিল শত বছরের শত্রুতা। দা-কুড়াল সম্পর্ক বললেও কম হবে। সেই শত্রুতা ঘোচাতে নবিজির এক ঘণ্টাও সময় লাগেনি। কেননা, তিনি সমস্যার একেবারে গোড়ায় হাত দিয়েছিলেন। নবিজি দেখলেন, দুই গোত্রের মাঝেই ভীষণ-রকম ইগো-প্রবলেম, নিজেকে সেরা ভাববার বিশ্রী প্রবণতা। নবিজি তাই শুনিয়ে দিলেন তাওহিদের সবক : ‘শোনো, তোমরা কেউই বড় নও। বড়ত্ব একমাত্র আল্লাহর শান। তাই একবার যখন আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব মেনেই নিয়েছ, তখন আর নিজেকে ছোটো ভাবতে বাধা কোথায়? আল্লাহর ইচ্ছার সামনে নিজেদের সঁপে দাও। সব ভেদাভেদ ভুলে যাও। নবিজির এই আপ্তবাক্য সেদিন স্ফুলিঙ্গ হয়ে, জ্বালিয়ে দিয়েছিল সমস্ত শত্রুতা আর ইগো। আউস আর খাযরাজ হয়ে গেল ভাই ভাই। এক দেহ, এক প্রাণ।
মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, তাবলিগের নেতৃত্বস্থানীয় মুরুব্বিদের বলব, দেশের সবচেয়ে বড় দাওয়াতি প্ল্যাটফর্ম তাবলিগ জামাতের এই সংকটে, আপনাদের দায়িত্বশীল ভূমিকার কোনো বিকল্প নেই। আপনারা আলোচনায় বসুন। তবে ফলপ্রসূ আলোচনার পূর্বশর্ত হলো : দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে চিন্তা করতে পারা। একে-অপরকে ছাড় দেবার মানসিকতা রাখা। মনে রাখবেন, বিষয়টা কেবল আর দলীয় গণ্ডিতে আটকে নেই। এটার সাথে এখন বাংলাদেশের মুসলিমদের ভাবমূর্তি জড়িত।
তাবলিগের নেতৃত্বস্থানীয় মুরুব্বিদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, আপনারা খুব ভালো করেই জানেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশের গণমাধ্যমগুলো ওত পেতে থাকে কখন এদেশের মুসলিমদের একহাত নেওয়া যায়। সেখানে আপনারাই যদি বল ঠেলে দেন ওদের কোর্টে, সেটা খুবই দুঃখজনক। গতকালের ঘটনা নিঃসন্দেহে তাদের সুবিধা দেবে। তারা এই ইস্যু ব্যবহার করে, এদেশের ইসলামি আন্দোলন ও দলগুলোকে বিতর্কিত করবার চেষ্টা চালাতে পারে।
সেইসাথে এই ঘটনা তাবলিগের দায়িত্বশীলদের সামনে, আত্মসমালোচনার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। বছরের পর বছর ধরে আপনারা কোন সবক দিলেন সাথীদের? আপনারা কি তাদের ‘এক উম্মাহ’ কনসেপ্ট শেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন? আপনারা যথাযথ তারবিয়্যাত দিতে পারেননি বলেই, সাথীরা আজ সত্যিকার শত্রু চিনতে ভুলে গিয়ে, নিজেদেরই শত্রু ভেবে বসে আছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে তাবলিগের দুপক্ষ যার যার মতো কাজ করছে, কিন্তু এমন মারামারি তো হচ্ছে না। কারণ তাদের মধ্যে উম্মাহ স্পিরিট আছে। উম্মাহ স্পিরিটকে যত বড় করে তোলা যাবে, দলীয় স্বার্থ তাদের কাছে তত নগণ্য হয়ে উঠবে।
দায়িত্বশীলদের উদ্দেশে মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, শামের দিকে দৃষ্টি ফেরান। সেখানকার বিজয়ের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে-ঐক্য। অন্তত ১০টা বড় বড় গ্রুপ সেখানে লড়াই করেছে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে। প্রত্যেকটা গ্রুপই চিন্তা ও মননে আলাদা। কিন্তু মুসলিমদের স্বার্থের প্রশ্নে, দেশের নিরাপত্তার প্রশ্নে, ক্ষমতার লোভ বিসর্জন দিয়ে তারা এক ছাতার নিচে এসে দাঁড়িয়েছে। দিকে দিকে যখন মুসলিমদের ঐক্যের সুবাতাস বইছে, তখন আমার মাতৃভূমিতে কেন ভেদাভেদের কালোছায়া?
তাবলিগের সাথী ভাইদের বলবো, আল্লাহর ওয়াস্তে সংযত হোন। আল্লাহকে ভয় করুন। মুসলিম ভাইয়ের রক্ত ঝরানো আর যা-ই হোক, নবিজির উম্মতের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। ওটা স্রেফ আসাবিয়্যাত তথা দলবাজি। আর আসাবিয়্যাতের পরিণতি কত ভয়াবহ, তা নবিজির জবানিতেই শুনুন : ‘যে আসাবিয়্যাতের দিকে ডাকে, সে আমার দলভুক্ত নয়। যে আসাবিয়্যাতের জন্য লড়াই করে, সে আমার দলভুক্ত নয়। আর আমার দলভুক্ত নয় সে-ও, যে আসাবিয়্যাতের ওপর মৃত্যুবরণ করে। (সুনান আবু দাউদ : ৫১২১)’।
আরটিভি/কেএইচ/এআর
যশোরের মাদরাসার ভাইরাল ভিডিওটি নিয়ে যা জানা গেল
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যশোরের একটি মাদরাসার ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, দুই জন কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে অস্ত্র হাতে গার্ডের মতো দাঁড়িয়ে আছেন। মাঝে দাঁড়িয়ে মুখ ঢাকা একজন আরবি ভাষায় বক্তব্য দিচ্ছেন। জানা গেছে, ভিডিওটি ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ একটি অনুষ্ঠানের।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে যশোর সদর থানার রামনগর ইউনিয়নের রাজার হাটে অবস্থিত জামিয়া ইসলামিয়া মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।
মাদরাসার শিক্ষা সচিব মাকফুর রহমান বলেন, ‘প্রতিবছর মাদরাসার শিক্ষার্থীদের নিয়ে বার্ষিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সেখানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় তাদের পুরস্কৃত করা হয়। এরই ধারবাহিকতায় গত ১৭ ডিসেম্বর এই মাদরাসা প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছাত্ররা ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে অভিনয় করে দেখায়। এ ছাড়া উপস্থিত বক্তৃতা, হামদ, নাত ও গজল পরিবেশন করা হয়।’
শিক্ষার্থীদের হাতে থাকা অস্ত্রগুলো কাঠ, শোলা ইত্যাদি দিয়ে তৈরি বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি লুৎফুর রহমান ফারুকী বলেন, ‘বিষয়টি কোনো খারাপ উদ্দেশে নিয়ে করা হয়নি। শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশের জন্য এমন আয়োজন করা হয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ভিডিও দেখছি। এটি মাদরাসার ছাত্রদের প্রতিযোগিতার একটি অংশ। তারা অভিনয়ের অংশ হিসেবে ডামি অস্ত্র ব্যবহার করেছে।’
আরটিভি/এসএপি/এআর
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পুরোনো ভিডিওকে ইজতেমা মাঠের আগুন বলে অপপ্রচার
গাজীপুরের টঙ্গীর ইজতেমা মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বেশ ক’দিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর প্রেক্ষিতে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। এতে ৪ জন নিহত এবং অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্য প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, দৃশ্যটি টঙ্গীর ইজতেমা মাঠের পাশে বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনার। তবে ভিডিওটি ইজতেমা মাঠ সংলগ্ন অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্য নয়, এটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পুরোনো ভিডিও।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।
প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, প্রচারিত দৃশ্যটি টঙ্গীতে ইজতেমা মাঠের পাশে বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের দৃশ্যের নয় বরং, গত জুন মাসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুনের দৃশ্যকে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। এ বিষয়ে অনুসন্ধানে এমডি রাব্বি খান নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ‘আমাদের রাজশাহী’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে ‘কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হঠাৎ আগুন’ শীর্ষক ক্যাপশনে চলতি বছরের গত ২ জুলাইয়ে প্রচারিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ভিডিওটির সাথে প্রচারিত ভিডিওটির তুলনা করলে সাদৃশ্য পাওয়া যায়, যা নিশ্চিত করে প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। এছাড়া, মূলধারার গণমাধ্যম একাত্তর টিভির ইউটিউব চ্যানেলে ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুন; পুড়ে ছাই দুই শতাধিক ঘর’ শীর্ষক শিরোনামে চলতি বছরের গত ১ জুন প্রচারিত একটি ভিডিও সংবাদ প্রতিবেদন পাওয়া যায়।
কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুনের ঘটনার পুরোনো দৃশ্যকে টঙ্গীতে ইজতেমা মাঠের পাশে বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের দৃশ্য দাবিতে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।
আরটিভি/এসএপি
নারী পুলিশের দিকে তাকিয়ে আসামির হাসি, ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারী পুলিশের দিকে তাকিয়ে আসামির হাসির একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা গেছে, হাতে হাতকড়া পরিহিত এক ব্যক্তি পুলিশের পোশাক পরা একজন নারীর দিকে বারবার তাকাচ্ছেন। এ সময় পাশেই থাকা পুলিশের পোশাক পরা একজন পুরুষ তাকে বারবার বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ভিডিওটি প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, এটি একটি বাস্তব ঘটনা। তবে বাস্তবে এমন ঘটনা ঘটেনি।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নারী পুলিশের দিকে তাকিয়ে আসামীর হাসি দেওয়ার এই ভিডিওটি কোনো বাস্তব ঘটনার নয় বরং, এটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দীপ্ত টিভি’র ‘মাশরাফি জুনিয়র’ ধারাবাহিক নাটকের শুটিংয়ের সময় ধারণকৃত একটি অভিনীত ভিডিও। এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ‘Asif Adnan Bro’ নামের একটি ফেসবুক পেজে গত ৮ নভেম্বর ‘এ একটা কাজ হলো’ শীর্ষক ক্যাপশনে প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওটির সাথে আলোচিত ভিডিওটির হুবহু মিল পাওয়া যায়।
এতে আরও বলা হয়েছে, ভিডিওটির সাথে যুক্ত ‘বিমান বন্দর থেকে গ্রেপ্তার সিঙ্গেল লীগের সভাপতি আসিফ আদনান’ লেখা থেকে প্রতীয়মান হয়, এটি মজার ছলে তৈরি একটি ভিডিও। এছাড়া, ওই ফেসবুক পেজে প্রকাশিত বিভিন্ন ছবির সঙ্গে ভিডিওতে আসামির ভূমিকায় থাকা ব্যক্তির চেহারার মিল পাওয়া যায়। পরবর্তীতে, আসিফ আদনানের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ১৮ ডিসেম্বর ‘একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমি ভাইরাল’ শীর্ষক ক্যাপশনে প্রকাশিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে আসিফ আদনান বলেন, তিনি দীপ্ত টিভির ডিজিটাল ডিপার্টমেন্টে কর্মরত এবং পাশাপাশি কনটেন্ট তৈরি করেন। নাটকের শুটিংয়ের ফাঁকে মজার ছলে নিজের জন্য এই ভিডিওটি তৈরি করেছিলেন।
এছাড়া আসিফ আদনানের ফেসবুক পেজে গত ২০ ডিসেম্বর প্রকাশিত একটি পোস্টেও একই তথ্য নিশ্চিত করা হয়। সুতরাং, নারী পুলিশের দিকে তাকিয়ে আসামীর হাসি দেওয়ার একটি স্ক্রিপ্টেড ভিডিও বাস্তব ঘটনার দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
আরটিভি/এসএপি
কলকাতার সাংবাদিক ময়ূখের আহত ছবিগুলো নিয়ে যা জানা গেল
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ভারতের কলকাতার ‘রিপাবলিক বাংলা’র সংবাদ উপস্থাপক ও সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষের আহত অবস্থার কিছু ছবি প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, ছবিগুলো সাম্প্রতিক সময়ের, যা সঠিক নয়। ছবিগুলো প্রায় ৪ বছর আগের।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের কলকাতার টেলিভিশন চ্যানেল রিপাবলিক বাংলা’র সংবাদ উপস্থাপক ও সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষের আহত অবস্থার ভাইরাল ছবিগুলো সাম্প্রতিক সময়ের নয় বরং, প্রায় ৪ বছর পূর্বের।
প্রকৃতপক্ষে, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে তার আহত হওয়ার কিছু ছবি চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তিনি নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন; যা বর্তমানে সাম্প্রতিক সময়ের ছবি দাবিতে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে প্রাসঙ্গিক কি ওয়ার্ড সার্চের মাধ্যমে ময়ূখ রঞ্জন ঘোষের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি আলোচিত ছবিগুলো নিয়ে প্রকাশিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। সে সময়ে পোস্টটির ক্যাপশনে ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ জানান, তার আহত হওয়ার এই ছবিগুলো ৩ বছর পূর্বের। অর্থাৎ, বর্তমান সময়ের হিসেবে যা প্রায় ৪ বছর পূর্বের।
সেখানে উল্লেখিত তথ্য থেকে আরও জানা যায়, আহত হওয়ার পর সেসময় তিনি কোমায় চলে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ময়ূখ রঞ্জন ঘোষের ওই ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ২০২৩ সালের ২৩ জুন আলোচিত ছবিগুলো নিয়ে প্রকাশিত অপর একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। সেই পোস্ট থেকে জানা যায়, ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি চিকিৎসা শেষে মৃত্যুর মুখ থেকে বাড়িতে ফেরেন। সেসময় তিনি ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কোমায় চলে যান।
অর্থাৎ, ময়ূখ রঞ্জন ঘোষের প্রায় ৪ বছর পূর্বে আহত হওয়ার কিছু ছবি সাম্প্রতিক সময়ের দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে; যা বিভ্রান্তিকর।
আরটিভি/এসএপি-টি
স্ত্রীসহ মক্কায় মেসির হজের ছবি ভাইরাল, যা জানা গেল
‘স্ত্রীসহ আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসির মক্কায় হজ করেছেন’ সম্প্রতি এই দাবিতে সামাজিকমাধ্যমে মেসির চারটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে দাবিটি মিথ্যা, ছবিগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্ত্রীসহ মেসির মক্কায় অবস্থানের দৃশ্য দাবিতে প্রচারিত ছবিগুলো বাস্তব নয়, এগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। ছবিগুলোর সত্যতা যাচাইয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে ছবিগুলোর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া লিওনেল মেসি কোনো দেশে ভ্রমণ করলে তা স্বাভাবিকভাবেই গণমাধ্যমে প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয়। কিন্তু, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে সম্প্রতি মেসির সৌদি আরব বা মক্কায় যাওয়ার কোনো তথ্য গণমাধ্যমে পাওয়া যায়নি। এমনকি লিওনেল মেসির সোশ্যাল মিডিয়াতেও (ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম) এসংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ভাইরাল ছবিগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ছবিগুলোতে মেসির মুখমণ্ডলের আকৃতি অস্বাভাবিক। এছাড়া গলায় একটি অস্বাভাবিক গর্তও লক্ষ্য করা যায়। এই ধরনের অসামঞ্জস্য সাধারণত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দ্বারা তৈরি ছবির ক্ষেত্রে দেখা যায়। এই অসঙ্গতি লক্ষ্য করার পর ছবিটির বিষয়ে অধিকতর নিশ্চিত হতে বিভিন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শনাক্তকরণ ওয়েবসাইট ব্যবহার করা হয়। ডিপফেক শনাক্তকরণ প্ল্যাটফর্ম ট্রুমিডিয়ার বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, আলোচিত ছবিতে ম্যানিপুলেশন বা কারসাজির উল্লেখযোগ্য প্রমাণ রয়েছে। অর্থাৎ, ছবিটি এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে।
আরটিভি/এসএপি-টি
বিয়ের পিঁড়িতে সাইয়েদ আব্দুল্লাহ, পাত্রী কে?
সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু ছবি ভেসে বেড়াচ্ছে। যেগুলোতে ছাগল-কাণ্ডে আলোচনায় আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক ছাত্র সাইয়েদ আব্দুল্লাহকে শেরওয়ানি পরিহিত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। আর ঠিক তার পাশে বধূ সেজে হালকা গোলাপি রঙের শাড়ি পরে বসে আছেন এক তরুণী। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন আব্দুল্লাহ?
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) উত্তরও মিলল তার কাছ থেকে।
গণমাধ্যমকে সাইয়েদ আব্দুল্লাহ বলেন, ভার্সিটিতে থাকাকালীন সময়ে দীর্ঘদিন আমাদের মধ্যে চেনাজানা ও পরিচয় ছিল। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহপাঠী ছিলাম। পরবর্তীতে নিজেদের পছন্দের ব্যাপারটা উভয় পরিবারের পছন্দের সঙ্গেই মিলে যায়, তারাও সম্মতি প্রদান করে।
তিনি আরও বলেন, বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় আনন্দঘন পরিবেশে বিয়ের অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়েছে। এ সময় উভয় পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, সাইয়েদ আব্দুল্লাহর স্ত্রীর নাম নুসরাত জাহান। তিনি পেশায় একজন অ্যাডভোকেট, কাজ করেন করপোরেট লইয়্যার হিসেবে।
এদিকে, ছবিগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই বন্ধুবান্ধব এবং অনুসারীরা সাইয়েদ আব্দুল্লাহকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক ছাত্র সাইয়েদ আব্দুল্লাহ প্রথম আলোচনায় আসেন ‘ছাগল কাণ্ড’ ঘটনার মাধ্যমে। এরপর থেকেই তিনি সামাজিকমাধ্যমে বেশ পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। সবশেষ একটি লাইভ টকশোতে তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নিঝুম মজুমদারকে হারপিক দেখিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন।
আরটিভি/আইএম/এস