মঙ্গলবারের কর্মসূচি নিয়ে যে বার্তা দিলেন হাসনাত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা দেশের ছাত্র-জনতার সঙ্গে মতবিনিময় কর্মসূচি শুরু করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবারের কর্মসূচি নিয়ে বার্তা দিয়েছেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
সোমবার (৯ সেপ্টম্বর) রাতে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন তিনি।
এতে সারজিস আলম বলেন, ‘রাঙামাটির সংগ্রামী সহযোদ্ধাদের সাথে আগামীকাল দেখা হচ্ছে ইনশাআল্লাহ৷’
স্ট্যাটাসে তিনি সাক্ষাতের সময় ও স্থান জানিয়ে বলেন, ‘বিকাল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দেখা হবে।’
এর আগে রোববার থেকে ছাত্র-জনতার সঙ্গে মতবিনিময় শুরু করেন আন্দোলনের সমন্বয়কেরা। এ দিন সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ চট্টগ্রাম এবং মুন্সিগঞ্জ যান সারজিস আলম।
মন্তব্য করুন
আসিফ-নাহিদের রুটি বানানোর ছবি ভাইরাল, যা জানা গেল
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুজন ব্যক্তির রুটি বানানোর একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে থাকা দুজনকে বলা হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার জানিয়েছে এআই দিয়ে অন্যের ছবিতে আসিফ ও নাহিদের মুখ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, রুটি বানানোর ভাইরাল ছবিটি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলামের নয়, বরং ছবিটি ভিন্ন দুই শিক্ষার্থীর। প্রকৃতপক্ষে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন আহমেদ রিফাত ও তার বন্ধু মো. সাইফুল্লাহ আল হাদীর এই ছবিটি ক্যাম্পাসের পাশে মেসে থাকাকালীন ২০২২ সালে ধারণকৃত।
রিউমর স্ক্যানার জানায়, এ বিষয়ে অনুসন্ধানের শুরুতে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন আহমেদ রিফাত এর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ২০২২ সালের ২৭ জুলাই প্রকাশিত একটি পোস্টে আলোচিত ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। ওই ছবিতে দুজন তরুণকে রুটি বানাতে দেখা যায়।
ছবিটির বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পোস্টদাতা কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন আহমেদ রিফাতের সাথে যোগাযোগ কার হয়।
ছবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ছবিটা আমাদেরই। আমরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী মেসে থাকাকালীন ২৭ জুলাই ২০২২ দুই বন্ধু মিলে রুটি বানাচ্ছিলাম, সেই ছবি।’
অর্থাৎ, আলোচিত এই ছবিটি উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলামের নয়। কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিন্ন দুই শিক্ষার্থীর ছবিকে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলামের ছবি দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
আরটিভি/এসএপি/এস
শেখ হাসিনার সেই ‘৪০০ কোটির পিয়নের’ খোঁজ মিলেছে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বহুল আলোচিত পিয়ন ও ৪০০ কোটি টাকার মালিক জাহাঙ্গীর আলমের খোঁজ পাওয়া গেছে। তাকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেট কার্যালয়ে দেখা গেছে।
বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ভোর ৪টা ৩৪ মিনিটে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।
পোস্টে জুলকারনাইন লিখেছেন, ‘বহুল আলোচিত শেখ হাসিনার ‘পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম’কে আজ (স্থানীয় সময় বুধবার) নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেট কার্যালয়ে বেশ কিছু ডকুমেন্ট পাওয়ার অব অ্যাটর্নি করাতে অপেক্ষমাণ দেখা যায়।’
তিনি লেখেন, ‘৪০০ কোটি টাকার বেশি লোপাট করে পরিবারসহ আমেরিকা পাড়ি জমানো জাহাঙ্গীর এ সময় কখনো টুপি পরে নিজের মাথাসহ পুরো মুখ ঢাকার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু গোপন ক্যামেরায় তিনি ঠিকই ধরা পড়ে যান।’
উল্লেখ্য, গত ১৪ জুলাই ভারতে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে পিএসসির এক গাড়িচালক কীভাবে অঢেল সম্পদের মালিক হলো? -প্রশ্নের উত্তরে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘আমার বাসার একজন পিয়ন ছিল, সে-ও নাকি ৪০০ কোটি টাকার মালিক! হেলিকপ্টার ছাড়া নাকি চলে না। পরে তাকে ধরা হয়েছে। খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে।’
এরপর জাহাঙ্গীর আলমের এই দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে নানা সমালোচনা শুরু হলে তৎকালীন সরকার তার বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে এবং তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে। পরে জানা যায়, পরিবারসহ যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়েছেন পিয়ন জাহাঙ্গীর। তিনি নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের নাহারখিল গ্রামের বাসিন্দা। গত জাতীয় নির্বাচনে নোয়াখালী-১ আসন (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন জাহাঙ্গীর।
আরটিভি/এসএপি/এস
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ‘নিহত’ নয়নের ফিরে আসা নিয়ে যা জানা গেল
সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত মো. নয়নকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে। দাবি হচ্ছে, নয়ন মৃত্যুর চারমাস পর ফিরে এসেছে। এসব দাবি একদমই গুজব।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।
প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের নুরুল ইসলামের ছেলে মো. নয়ন। সম্প্রতি বিভিন্ন পোস্টে একটি দম্পতির ছবি পোস্ট করে লেখা হচ্ছে, জুলাই-আগস্টের ছাত্র আন্দোলনে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার শহীদ নয়ন বাড়িতে ফিরে এসেছেন। মৃত্যুর চারমাস পর সদ্য সাবেক বিধবা স্ত্রীর সাথে হাসিমুখে নয়ন ভাইয়ের ছবি।
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত ভোলার নয়ন বাড়ি ফিরে আসেনি। প্রকৃতপক্ষে, ভোলা জেলা প্রশাসন কর্তৃক নিহত নয়নের পরিবারের নিকট চিঠি প্রেরণের সময় তার বাবা মায়ের ভুল নাম উল্লেখ করার সুযোগ নিয়ে এই অপপ্রচার চালানো হয়েছে। পরবর্তীতে এক ভিন্ন ব্যক্তির ছবি ব্যবহার করে এই গুজব ছড়িয়ে পড়েছে।
যেভাবে ভুলের ফায়দা নিয়ে প্রচার করা হয় গুজব
গত ৩০ নভেম্বর ভোলা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ভোলার আহত ও শহীদদের স্মরণে তাদের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই স্মরণসভায় উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুরোধ করে পাঠানো এক চিঠিতে দেখা যায় সেখানে শহীদ নয়নের বাবার এবং মায়ের ভুল নাম দেওয়া হয়েছে। শহীদ নয়নের বাবার নাম মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম এবং মাতার নাম মমতাজ বেগম। তবে চিঠিতে বাবা এবং মায়ের নামে জায়গায় মো. আনসার মিয়া এবং রিজিয়া বেগম উল্লেখ করা হয়। মূলত চিঠিতে ভুলবশত শহীদ নয়নের বাবা-মায়ের নামের জায়গায় একই ওয়ার্ডের ভিন্ন আরেক নয়ন (প্রবাসী) এর বাবা-মায়ের নাম লেখা হয়।
ভোলার এক ব্যক্তি এই ভুলটি তার ফেসবুক পোস্টে তুলে ধরেন, সেই পোস্টে ওই চিঠি, শহীদ নয়নের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপির ছবি এবং তার জন্ম নিবন্ধন এর ছবি পাওয়া যায়। এর প্রেক্ষিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ পন্থীরা শহীদ নয়ন ফিরে এসেছে বলে ফেসবুক পোস্ট করে, যা কপি পোস্ট হয়ে ব্যাপকভাবে পরবর্তীতে ভাইরাল হয়ে যায়। প্রথমদিকে কেবল টেক্সট এবং চিঠির ছবি সহ দাবিটি প্রচার হলেও পরবর্তীতে দাবির সাথে এক দম্পতির ছবি যুক্ত হতে দেখা যায়।
ভোলার নিহত নয়নের ফিরে আসার পরের ছবি হিসেবে ভিন্ন ব্যক্তির ছবি প্রচার
ভোলার শহীদ নয়ন ফিরে এসেছে—এই দাবির বিভিন্ন পোস্টে এক দম্পতির ছবি ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়েছে। রিউমর স্ক্যানার টিম বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান করে জানতে পারে যে, ছবির ব্যক্তি নয়ন নন। প্রকৃতপক্ষে, ছবির ব্যক্তি হচ্ছেন অহিদুজ্জামান সাকিব নামে ভিন্ন একজন। গত ২৬ নভেম্বর অহিদুজ্জামান সাকিব তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্টে স্ত্রীর সাথে এই ছবিটি পোস্ট করেছিলেন।
জীবিত প্রবাসী নয়নের মা জানান, ‘নিহত নয়নের বাড়ি আর আমার বাড়ি একই হওয়াতে ভুলে নিহত নয়নের বাবার নামের পরিবর্তে আমার স্বামীর নাম চলে এসেছে, তবে কোনো টাকা-পয়সা আমরা পাইনি। কে বা কারা গুজব ছড়াচ্ছে যে নিহত নয়ন বেঁচে ফিরছে। যারা গুজব রটাইছে তাদের বিচার দাবি করছি।’
আরটিভি/এসএপি
অ্যাকাউন্টে ১৩৪ কোটি টাকা, যে ব্যাখ্যা দিলেন মুন্নী সাহা
সাংবাদিক মুন্নী সাহার ব্যাংক হিসাবে বেতনের বাইরে জমা হয়েছে ১৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে তিনি বিভিন্ন সময় ১২০ কোটি টাকা তুলেছেন। এখন স্থগিত করা তার ব্যাংক হিসাবে স্থিতি আছে মাত্র ১৪ কোটি টাকা। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর বেশ আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
অবশেষে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন সাংবাদিক মুন্নী সাহা। জানালেন এই টাকা কার, তার সঙ্গেই বা এই টাকার সম্পর্ক কি।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এই বিষয়ে বিশাল একটি স্ট্যাটাস দেন এই সাংবাদিক।
পোস্টে মুন্নী সাহা লিখেছেন, আজ দেশের অনেকগুলো নিউজ পোর্টাল এবং দৈনিকে আমার অ্যাকাউন্টে কত টাকা তা নিয়ে কিছু মিসলিডিং হেডলাইন দেখে বিস্মিত হয়েছি। অনেকেই আমার অ্যাকাউন্টে ১৩৪ কোটি টাকা- এমন ফটোকার্ড বানিয়ে ক্লিক নিচ্ছেন। যেখানে রিপোর্টে পরিষ্কার করেই লিখেছেন মুন্নী সাহার স্বামীর বিজনেস অ্যাকাউন্ট এম এস প্রমোশনসের লেনদেনের কথা। ‘লেনদেন’ শব্দটা আমাদের বন্ধুরা নিশ্চয়ই বোঝেন। কবীর হোসেন তাপস একজন ব্যবসায়ী। ২০০২ সাল থেকে তার বিজ্ঞাপনী সংস্থা।
তিনি বলেন, ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়ে শুধু নমিনি হিসেবে আমার নাম দিয়েছেন। তার কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমার কোনো পার্টনারশিপ নেই। আমি তার কোনো গ্যারান্টারও নই। ২০০৭ সালে তিনি প্রমোশন নামে আরেকটি কোম্পানি খোলেন। আবারও বলছি, ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়ে শুধু নমিনি হিসেবেই আমার নাম দিয়েছেন। তার কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমার কোনো পার্টনারশিপ নেই।
‘আসলে তিনি ওয়ান ব্যাংকের সঙ্গে যে টোটাল লেনদেন করেন সেটি ১৩৪ কোটি। যা টোটাল লেনদেনের পরিমাণ। এই টাকা কখনোই জমা ছিল না। বাংলাদেশের বাস্তবতায় একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার এই দীর্ঘসময়ে লেনদেন, মানে ট্রানজেকশন মাত্র ১৩৪ কোটি টাকা! ব্যবসায়ী হিসেবেও খুব সফল বলা যায় না।’
তিনি লিখেছেন, কোনো কোনো রিপোর্টে কৌশলে লিখেছে যে, ৫ আগস্টের আগে ১২০ কোটি টাকা তোলা হয়েছে। সেটাও যে লেনদেন, মানে ২২ বছরের বেতন বিল, ভাড়া, খরচ সবকিছু বাবদ; ২২ বছরের প্রতি মাসে মাসে হিসেবে তোলা সেটা এড়িয়ে, শুধুমাত্র ভুল বার্তা দেওয়ার জন্য করা হয়েছে; সেটা আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করেছি।
মুন্নী সাহা বলেন, যে কোনো রাজনৈতিক পালা বদলে বাংলাদেশ ব্যাংক ইন্টিলেজেন্স ইউনিট যে কারোরই হিসাব চাইতে পারেন। সেই তালিকায় সাংবাদিক হিসেবে অনেকের সঙ্গে আমার নাম ছিল। এবং কর্তৃপক্ষ দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে অনুসন্ধান করেছে বলে আমার বিশ্বাস।
‘একজন সংবাদকর্মী হিসেবে মনে করি, বাংলাদেশের যে কোনো ব্যবসায়ীর দীর্ঘদিনের স্ট্যাবল ব্যবসায়, transaction ১৩৪ কোটি টাকা এবং সঞ্চয় ১৪ কোটি টাকা, কোনো গুরুত্বই বহন করে না।’ লেখেন এই সাংবাদিক।
তিনি আরও লিখেছেন, শুধুমাত্র আমার নামটি নমিনিতে ব্যবহার করায় একজন individual ব্যবসায়ী সামাজিক হ্যারাসমেন্টের শিকার হয়েছেন, এখনও তার লেনদেন ব্যাহত হচ্ছে। আমি জানি এ ঘটনায় আমি যত ব্যাখ্যাই দেই না কেন, আমার নামের পাশে মিথ্যা অপপ্রচার কিছু শুনতেই... বিশ্বাস করতেই, একদল মরিয়া হয়ে আছেন।
‘বিভিন্ন মিডিয়ার সংশ্লিষ্টরা মনে মনে হলেও স্বীকার করবেন যে, এমন মিথ্যা শিরোনাম তারা করেছেন, কী আর্ন করার জন্য? আমি ঘটনাটিকে বা আমাকে নিয়ে যা যা ঘটছে, তা blessings in disguised হিসেবে গ্রহণ করছি।’
এই সাংবাদিক আরও লেখেন, যদিও আমাকে স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে ট্যাগ দিয়ে মামলা দেওয়া হয়েছে, গত ১৪/১৫ বছর ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাকে নিয়ে যে অপপ্রচার চালানো হয়েছে, তার পুরোটাই যে ভুল, তা অন্তত এ ধরনের ইনভেস্টিগেশনে প্রমাণিত হলো।
তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসর হিসেবে ট্যাগ দিলেও গত ১০ বছর আমি এবং আমার মতো আরও দুয়েকজন সেলিব্রিটি সাংবাদিক সরকারি অনুষ্ঠান, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস কনফারেন্স কাভার করার তালিকায় নিষিদ্ধ ছিলাম। ‘এক টাকার খবর’ নামের অনলাইনের অনুমতিপত্রও সাবেক তথ্যমন্ত্রী দেননি। সাংবাদিক হিসেবে কোনো সরকারি পদপদবি সুযোগও আমাকে নিতে হয়নি বলে আমি গর্বিত।
মুন্নী সাহা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ইন্টারভিউ বা সালমান এফ রহমানের মুখের ওপর কড়া প্রশ্ন করায় নানান সময় আমাকে যে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে, সেটা আমি সাংবাদিকতার শক্তিই মনে করি। সাহা পরিবারে জন্ম বলে আমাকে ভারতের দালাল বলতে মুখিয়ে থাকা মানুষগুলো অন্তত এই সরকারের স্বচ্ছ অনুসন্ধান থেকে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কতটা অন্ধত্ব নিয়ে আমার ওপর অবিচার করা হয়েছে! যেটা গত ১৫/১৬ বছর ধরেই আমাকে সহ্য করতে হয়েছে।
তিনি আরও লেখেন, বিগত সরকারের সময় আমি বারবার এসব মিথ্যাচারের ব্যাপারে, সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যারাসমেন্টের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করেও ফল পাইনি। বরং এই সরকারের স্বচ্ছতার প্রক্রিয়ায় বিষয়গুলো তদন্ত হওয়াতে আমি ব্যক্তিগতভাবে স্বস্তি বোধ করছি। রিপোর্টে, আমার সঙ্গে জড়িয়ে কবীর হোসেন তাপসের অ্যাকাউন্টে ১৪ কোটি টাকার স্থিতির খবর যারা দিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
এই সাংবাদিক শেষে লিখেছেন, যারা ভুল ফটোকার্ড করে, ‘মুন্নী সাহার অ্যাকাউন্টে ১৩৪ কোটি টাকা’ লিখলেন, তাদের প্রতি দোয়া রইলো। যেন তারা বিভ্রান্তিমূলক হেডলাইন সাংবাদিকতা থেকে নিয়মের সাংবাদিকতা সম্মানের সাথে চর্চা করতে পারেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, আলোচিত সাংবাদিক মুন্নী সাহার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বেতনের বাইরে জমা হয়েছে ১৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিভিন্ন সময় ১২০ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। স্থগিত করা হিসাবে স্থিতি আছে মাত্র ১৪ কোটি টাকা। জানা গেছে, মুন্নী সাহা, তার স্বামী কবির হোসেন তাপস এবং তাদের মালিকানাধীন এমএস প্রমোশনের হিসাবে এই অর্থ পেয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে। এ ছাড়া গুলশান-তেজগাঁও লিংক রোড এলাকায় শান্তিনিকেতনে ১৬৫, রোজাগ্রিনে তাদের একটি ডুপ্লেক্স বাড়ির সন্ধান মিলেছে।
আরটিভি/একে
জামায়াতের প্রশংসা করে ফেসবুকে যা লিখলেন গোলাম রাব্বানী
জামায়াতের প্রশংসা করে ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর সাবেক জিএস গোলাম রাব্বানী বলেছেন, একই নীতি, আদর্শ, চেতনায় বিশ্বাস করা নিজ দলের নেতাকর্মী সমর্থকদের ‘বৃহৎ আদর্শিক পরিবারের সদস্য’ হিসেবে ওউন করা, যেকোনো ন্যায়সঙ্গত প্রয়োজনে ও সংকটে আন্তরিকতা ও সাধ্যের সেরাটা দিয়ে পাশে থাকা, অত্যাবশ্যক রাজনৈতিক গুণ। আপনি স্বীকার করুন বা না করুন, আদর্শিক সহযোদ্ধার পাশে দাঁড়ানোর দলগত ও ব্যক্তিগত চর্চায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি কিংবা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের চেয়ে জামায়াত ও তাদের নেতাকর্মীরা ঢের এগিয়ে। বহু চড়াই-উৎরাই, প্রতিকূলতার মাঝেও যা তাদের টিকে থাকার অন্যতম সহায়ক শক্তি ও কার্যকর টনিক।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম রাব্বানী বলেন, দলীয় ও ব্যক্তিগত ফান্ডে নেতাকর্মীদের শিক্ষা তথা বিশ্ববিদ্যালয়-মেডিকেল কোচিং ও দেশে-বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে সহায়তা, নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানে একচ্ছত্র অগ্রাধিকার, হতাহত ও অসুস্থ নেতাকর্মীদের চিকিৎসা ও আইনগত সহায়তা, পরিবারসহ আর্থিক নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়াসহ এমন বহু প্রাসঙ্গিক কারণে আমাদের নেতাকর্মীরা যেখানে নিদারুণ কষ্ট ও হতাশায় ভোগে, তাদের নেতাকর্মীরা সেথা দলীয় সহায়তায় দারুণ মানসিক জোর পায়!
তিনি বলেন, ’৭১ এর ভূমিকাসহ বহুবিধ বিতর্ক-সমালোচনা থাকলেও তাদের আদর্শে বিশ্বাসীদের দায়িত্ব নেওয়ার আপ্রাণ প্রচেষ্টার জন্য তারা অনুকরণীয় প্রশংসার দাবিদার।
বর্তমান সংকটে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী শীর্ষ নেতৃত্বের শুভবুদ্ধি ও অনুধাবন শক্তি জাগ্রত হোক উল্লেখ করে পোস্টে ছাত্রলীগের সাবেক এই কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, দ্রুততম সময়ে ‘দলীয় ফান্ড গঠন’ ও সচ্ছল নেতাদের দক্ষিণহস্ত প্রসারের মাধ্যমে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট ও অসহায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের নৈতিক প্রয়োজন ও বিপদে সার্বিক সহায়তা প্রদানের অনিন্দ্য সুন্দর কালচারটা শুরু হোক।
সবশেষে ডাকসুর এই সাবেক জিএস বলেন, এটা আওয়ামী লীগ ও সব সহযোগী সংগঠনের তৃণমূলের প্রতিটি নেতাকর্মীর অন্তরে লালিত একান্ত চাওয়া ও নিদারুণ প্রত্যাশা।
আরটিভি/আইএম/এস
ভারতের সঙ্গে আ.লীগের নতজানু সম্পর্ক হাসিনার পতনেই শেষ: হাসনাত
ভারতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নতজানু সম্পর্ক হাসিনার পতনের সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, বিগত তিনটি নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ দেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করেছে। সেই সময়ে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারত এ বিষয়ে নীরব ছিল। বরং তারা ফ্যাসিবাদি আওয়ামী সরকারকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সমর্থন এবং মদদ দিয়েছে।
‘অথচ, যখন একটি সফল গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সারা দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের পথ তৈরি হয়েছে, তখন ভারত আমাদের দেশ ও জনগণের বিষয়ে অযাচিত হস্তক্ষেপ শুরু করেছে। বিদ্যমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।’
ভারতের এই দ্বিচারিতা এবং স্বার্থান্বেষী আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরও লিখেছেন, আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে ভারতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নতজানু সম্পর্ক হাসিনার পতনের সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয়েছে।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে, সমতার ভিত্তিতে, এবং চোখে চোখ রেখে।
আরটিভি/আরএ
২০২৫ সালে ‘শনিবারও স্কুল খোলা’ প্রসঙ্গে যা জানা গেল
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘২০২৫ সাল থেকে শনিবারও স্কুল খোলা থাকবে’ এমন একটি তথ্য ভাইরাল হয়েছে। তবে তথ্যটি সঠিক নয়।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সিরাজ-উদ-দৌলা খান বলেন, শনিবার স্কুল খোলা থাকবে, এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হলে তা সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্টদের গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
মাউশির মাধ্যমিক বিভাগের সহকারী পরিচালক দুর্গা রানী সিকদার বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবার। এখনো সেটি বহাল আছে। আগামী বছর থেকে শনিবার স্কুল খোলা থাকবে, এমন কোনো সিদ্ধান্তের কথা আমার জানা নেই। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এদিকে গুজবটির তথ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষকরা। তারা বলছেন, সাপ্তাহিক ছুটি দুইদিন থাকা জরুরি। সরকারি অফিসে সাপ্তাহিক ছুটি দুইদিন হলে স্কুলেও সেটা থাকতে হবে।
আরটিভি/এসএপি-টি