মঙ্গলবারের কর্মসূচি নিয়ে যে বার্তা দিলেন হাসনাত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা দেশের ছাত্র-জনতার সঙ্গে মতবিনিময় কর্মসূচি শুরু করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবারের কর্মসূচি নিয়ে বার্তা দিয়েছেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
সোমবার (৯ সেপ্টম্বর) রাতে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন তিনি।
এতে সারজিস আলম বলেন, ‘রাঙামাটির সংগ্রামী সহযোদ্ধাদের সাথে আগামীকাল দেখা হচ্ছে ইনশাআল্লাহ৷’
স্ট্যাটাসে তিনি সাক্ষাতের সময় ও স্থান জানিয়ে বলেন, ‘বিকাল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দেখা হবে।’
এর আগে রোববার থেকে ছাত্র-জনতার সঙ্গে মতবিনিময় শুরু করেন আন্দোলনের সমন্বয়কেরা। এ দিন সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ চট্টগ্রাম এবং মুন্সিগঞ্জ যান সারজিস আলম।
মন্তব্য করুন
সরকারি চাকরিতে হিন্দু প্রার্থীদের নিষিদ্ধের দাবি সঠিক নয়: প্রেস উইং
সম্প্রতি টাইমস অ্যালজেব্রা নামে একটি এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে ‘সরকারি চাকরিতে হিন্দু প্রার্থীদের নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ সরকার’ এমনটি দাবি করা হয়েছে। তবে এ দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট বলে জানিয়েছে চিফ অ্যাডভাইজার (সিএ) প্রেস উইং ফ্যাক্টস।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) প্রেস উইং ফ্যাক্টসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার ধর্মের ভিত্তিতে কোনো নাগরিকের প্রতি বৈষম্য করে না। পোস্টে উল্লিখিত স্বরাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টার উদ্ধৃতিটিও মিথ্যা।
টাইমস আলজেব্রার ওই পোস্টে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিতে হিন্দুদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ সরকার। পাস করা নতুন এক সরকারি আদেশে কনস্টেবল থেকে শুরু করে পুলিশের উচ্চ পদে যোগদানে হিন্দু প্রার্থীদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসব পদে দেড় হাজারের বেশি হিন্দু প্রার্থীর আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
আরটিভি/এসএপি/এস
৭ বিয়ে নিয়ে যা বললেন সোহেল তাজ
‘আয়রন গার্ল’ শাহনাজ পারভীন শিমুর সঙ্গে বাগদান করে আলোচনায় রয়েছেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ। অনেকে বলছেন, এটি ৫৫ বছরের সোহেল তাজের সপ্তম বিয়ে।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি।
পোস্টে সোহেল তাজ লিখেছেন, ‘আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করেছেন আমার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে- আমি কিছুই বলবো না। কারণ, এটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়- ২টি কমেন্ট শেয়ার করলাম তা থেকে আপনারাই বুঝে নিন কোনটা সঠিক আর কোনটা মিথ্যা।
দৃষ্টি আকর্ষণ: গণহত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন অথবা নিপীড়নকারী, দুর্নীতিবাজ, গণতন্ত্র হত্যাকারী চোর কিংবা মাফিয়াদের সমর্থনকারী ব্রেন ওয়াসড নব্য কাওয়া বডি লীগের চামচাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বিঃদ্রঃ নীতি আদর্শ বিচ্যুত খারাপ মানুষের প্রশংসা আমার প্রয়োজন নাই- আমি আপনাদেরকে চিনি।
বিঃদ্রঃ আওয়ামী লীগের ব্রেইন ওয়াসড নষ্ট পচা নীতি অথবা আদর্শবিচ্যুত লুটেরা, খুনি, হত্যা, গুম, নির্যাতনকারীদের সমর্থক সকলকে বলবো অনতিবিলম্বে আমার এই ফেসবুক পেজটি আনফলো করতে- আর অনুরোধ থাকবে নিজের বিবেককে জাগিয়ে আত্মউপলব্ধি আত্মসমালোচনা করে অনুশোচনা করার।’
আরটিভি/এসএপি
ফেসবুকে এবার শেখ হাসিনার যে হাড়ি ভাঙলেন সোহেল তাজ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজ থেকে ‘হাঁটে হাড়ি ভাঙা’-প্রথম পর্ব শিরোনামে একটি পোস্ট করেছেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে সেখানে তিনি করেছেন এক বিস্ফোরক মন্তব্য।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) করা ওই পোস্টে প্রয়াত আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের (সৈয়দ আশরাফ) জানাযা নিয়ে শেখ হাসিনার প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত অবাক করা এক ঘটনাই উল্লেখ করেছেন তাজউদ্দীন পুত্র।
পাঠকের জন্য সোহেল তাজের এ পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
“হাঁটে হাড়ি ভাঙা” প্রথম পর্ব
সৈয়দ আশরাফের ৩টি জানাজা হবে শুনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন। তিনি সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ধমক দিয়ে বলেছিলেন ‘ও এত বড় কি হয়ে গেল যে ৩টা জানাজা পড়াতে হবে?’ প্রতিউত্তরে কাচুমাচু করে ওবায়দুল কাদের আমতা আমতা করে জবাবে বলেছিলো ‘নেতাকর্মীরা ওনাকে অনেক পছন্দ করে আর তাদেরই দাবি- না মানলে সামলানো যাবে না।’
উল্লেখ্য, আপনারা যারা আশরাফ ভাইকে শাপলা চত্বর নিয়ে দোষারোপ করছেন তা সঠিক না- তিনি হইতো কিছু কথা বলে থাকতে পারেন কিন্তু, সব সিদ্ধান্ত আসতো একেবারে উপর থেকে।
দৃষ্টি আকর্ষণ: গণহত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন/নিপীড়নকারী, দুর্নীতিবাজ, গণতন্ত্র হত্যাকারী চোর/মাফিয়াদের সমর্থনকারী ব্রেন ওয়াসড নব্য কাওয়া বডিলীগ এর চামচাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বিঃ দ্রঃ নীতি আদর্শ বিচ্যুত খারাপ মানুষের প্রশংসা আমার প্রয়োজন নাই- আমি আপনাদেরকে চিনি।
বিঃ বিঃ দ্রঃ আওয়ামী লীগের ব্রেইন ওয়াশড নষ্ট পচা নীতি/আদর্শ বিচ্যুত লুটেরা খুনি হত্যা গুম নির্যাতনকারীদের সমর্থক সকলকে বলবো, অনতিবিলম্বে আমার এই ফেইসবুক পেইজটি আনফলো করতে- আর অনুরোধ থাকবে নিজের বিবেককে জাগিয়ে আত্মউপলব্ধি আত্মসমালোচনা করে অনুশোচনা করার।
আরটিভি/এসএইচএম
ছাত্রদল-শিবিরের হামলায় ঢাবি উপাচার্যসহ শতাধিক আহতের দাবিটি গুজব
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু নির্বাচন ইস্যুতে ছাত্রদল-শিবিরের হামলায় উপাচার্য-প্রক্টরসহ শতাধিক আহতের গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।
প্রচারিত ওই সকল পোস্টে বলা হচ্ছে, গত ২ জানুয়ারি ডাকসু নির্বাচন নিয়ে উপাচার্য-প্রক্টরের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। এরই প্রেক্ষিতে, ‘ডাকসু বিতর্কে ছাত্রদল এবং শিবিরের হামলায় ভিসি প্রক্টর সহ শতাধিক আহত’ এবং ‘ডাকসু বিতর্কে ছাত্রদলের হামলায় ভিসি প্রক্টর সহ শতাধিক আহত!’ এমনকি এই গুজবের সত্যতা জানতে চেয়ে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতকেও পোস্ট দিতে দেখা যায়।
রিউমর স্ক্যানারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডাকসু নির্বাচন ইস্যুতে ঢাবিতে এমন কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি, বরং মজার ছলে বা সার্কাজম করে দেওয়া এক ছাত্রদল নেতার পোস্ট থেকে আলোচিত দাবিটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ফেসবুক মনিটরিং টুল ব্যবহার করে “Shakil Ahammed” একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গত ২ জানুয়ারি সকাল ১১ টা ২ মিনিটে দেওয়া একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। ওই অ্যাকাউন্টটি পর্যবেক্ষণ করে একই দাবিতে সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতার পোস্ট এবং সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পোস্ট শেয়ার দিয়ে সার্কাজম বা মজা করতে দেখা যায়। তবে সাকিব আহমেদকে পোস্টে কোনো ডিসক্লেইমার দিতে দেখা যায়নি। এছাড়া অ্যাকাউন্টটি আরও পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, শাকিল আহম্মেদ একজন ছাত্রদল নেতা।
পরবর্তীতে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে ‘ডাকসু নির্বাচন ঘিরে আমাদের নিয়ে অপপ্রচার চলছে: ঢাবি ছাত্রদল’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ছাত্রদলকে নিয়ে অপপ্রচার চলছে বলে দাবি করেছে সংগঠনটি।
প্রথম আলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় বলেন, ছাত্রদলের নেতা–কর্মীদের হাতে উপাচার্যের হেনস্তা হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন, ‘তবুও ছাত্রদলের যেসব পদস্থ নেতা সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাঁদের আমরা সাংগঠনিক স্বচ্ছতার স্বার্থে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি।’
এছাড়া গণমাধ্যমটিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রতিবাদের ভাষা তো একটু উচ্চ স্বরেই হয়। আমরা সেটাতে অভ্যস্ত।’ তিনি বলেন, তাদের কাছে ঘটনাটিকে হেনস্তা বা অপমান, এমন কিছু মনে হয়নি। তবে বাইরে থেকে কেউ দেখলে হয়তো এমন মনে হতে পারে। প্রক্টর আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি জানাচ্ছিলেন। দাবি জানাতে গিয়ে কেউ হয়তো একটু উচ্চ স্বরে কথা বলেছেন। তাঁদের অনেকগুলো দাবি যৌক্তিকও ছিল।
প্রচারিত দাবিটির কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এগুলো ফালতু কথা, আজগুবি কথা। ওরা (আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ) ১৫ বছর এমন করেছে, এখনও করছে। এটা অবাস্তব।’
সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নানান দাবি-দাওয়া তো থাকেই। গতকাল ওরা (ছাত্রদল) ভেবেছিল যে, সিন্ডিকেটে হয়তো ডাকসু নিয়ে এজেন্ডা আছে। বলছিল যে, সিন্ডিকেটে যেন ডাকসু নিয়ে আলোচনা না হয়। কিন্তু আমরা ওদেরকে বোঝাচ্ছিলাম যে, সিন্ডিকেটে ডাকসু নিয়ে কোনো আলোচনার এজেন্ডা নেই। মূলত ঘটনা এটাই।’
বিষয়টি অধিকতর যাচাইয়ের জন্য আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত একাধিক সাংবাদিক ও প্রক্টরের সাথে কথা বলি। ঢাবির সাংবাদিক আবিদ হাসান রাসেল, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভার বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি গ্রুপ ডাকসুর নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে। অপর দিকে ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা আগে ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংস্কার করে পরে নির্বাচন দেয়ার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে। পরে ভিসি প্রক্টর বেরিয়ে এসে জানান, সিন্ডিকেট সভায় ডাকসু নিয়ে কোনো এজেন্ডা নেই। এরপর সবাই যার যার মতো চলে যায়। সেখানে কোনো ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেনি৷’
ঢাবির আরেক সাংবাদিক মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘প্রচারিত দাবিটি মিথ্যা। বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটলেও আহত বা নিহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। প্রচারিত পোস্টগুলো মিথ্যা।’
সুতরাং, ডাকসু বিতর্কে ছাত্রদল কিংবা শিবিরের হামলায় ভিসি প্রক্টর সহ শতাধিক আহত হওয়ার দাবিগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা।
আরটিভি/এসএপি/এআর
মা-ছেলের আলিঙ্গন, ফেসবুকে আজহারীর আবেগঘন পোস্ট
উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনে পৌঁছেছেন।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে তাকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সময় বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে বরণ করতে তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘ সাত বছর পর মাকে কাছে পেয়ে গলা জড়িয়ে ধরেন তারেক রহমান। এ সময় তারেক রহমানকে হাস্যোজ্জ্বল দেখা যায়। মা-ছেলের এই মধুর মুহূর্ত এক আবেগঘন পরিবেশ তৈরি করে।
এদিকে এই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
তিনি লেখেন, পৃথিবীর প্রতিটি মজলুম মায়ের বুক আল্লাহ তাআলা এভাবেই শীতল করে দিক। হৃদয় প্রশান্তকারী এক আবেগঘন দৃশ্য!
এর আগে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কাতারের আমিরের পাঠানো ‘বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স’ ঢাকা ছাড়েন খালেদা জিয়া।
এই সফরে চিকিৎসকসহ ১৫ জন খালেদা জিয়ার সঙ্গী হয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সিঁথি রহমানও আছেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই লন্ডন সফরে এসেছিলেন। এরপর ৭ বছরের মধ্যে তার আর কোনো বিদেশ সফর হয়নি। এই সময়ের মধ্যে তার সঙ্গে তারেক রহমানেরও সরাসরি দেখা হয়নি।
আরটিভি/একে/এস
ইলিয়াসকে উপদেষ্টা বানানোর দাবি সমন্বয়ক সারজিসের, যা জানা গেল
‘ইলিয়াসকে উপদেষ্টা বানালে কেউ দালালি করার সুযোগ পেত না’ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম সম্প্রতি এমন মন্তব্য করেছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।
প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘ইলিয়াসকে উপদেষ্টা বানালে কেউ দালালি করার সুযোগ পেত না’ শীর্ষক কোনো মন্তব্য সারজিস আলম করেননি। প্রকৃতপক্ষে কোনো রকমের নির্ভরযোগ্য তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই আলোচিত দাবিটি প্রচার করা হয়েছে। এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত পোস্টগুলো পর্যবেক্ষণ করলে তাতে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণের উল্লেখ পাওয়া যায়নি। তাছাড়া ওই দাবিতে প্রচারিত ফটোকার্ডে কোনো গণমাধ্যমের লোগো বা নামেরও উল্লেখ পাওয়া যায়নি। সাধারণত কোনো গণমাধ্যম কোনো ফটোকার্ড প্রকাশ করে থাকলে, প্রচারিত ফটোকার্ডে গণমাধ্যমটির নাম বা লোগোর সংযুক্তি থাকে। তবে, প্রচারিত উক্ত ফটোকার্ডটিতে এমন কোনো গণমাধ্যমের নাম বা লোগোর উল্লেখ পাওয়া যায়নি, যা থেকে বোঝা যায় যে আলোচিত ফটোকার্ডটি গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়নি।
প্রতিবেদন থেকে আরও জানা গেছে, পরবর্তী অনুসন্ধানে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করলে আলোচিত দাবিটির সপক্ষে গণমাধ্যম বা কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রেও কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। সারজিস আলম তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে নিয়মিতভাবে নানা তথ্য, মতামত জানিয়ে থাকেন। তবে সারজিস আলমের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পর্যবেক্ষণ করলেও আলোচিত দাবিটির সপক্ষে কোনো পোস্ট পাওয়া যায়নি। নতুন উপদেষ্টা বিষয়ে সারজিস আলম গত ১৬ নভেম্বরে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর নিয়োগের সমালোচনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘ফারুকী তার পুরো সময়ে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকার জন্য যেভাবে তোষামোদি করার দরকার তা করেছেন। ফারুকীরা কীভাবে উপদেষ্টা পরিষদে আসেন। এমন কঠিন সময়ে নীরব থাকা ও গা-বাঁচিয়ে চলা লোকজনকে আমরা উপদেষ্টা হিসেবে দেখতে চাই না।’ তবে, সেখানে ইলিয়াসকে উপদেষ্টা বানানোর বিষয়ে তাকে কিছু বলতে দেখা যায়নি।
এ ছাড়া গত ২৬ ডিসেম্বরে এক ফেসবুক পোস্টে অন্তর্বর্তী সরকারের তিন তরুণ উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমকে বিপ্লবী ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে বলেছেন সারজিস আলম। তবে, ওই পোস্টেও ইলিয়াস হোসেনের কোনো উল্লেখ নেই।
সুতরাং, ‘ইলিয়াসকে উপদেষ্টা বানালে কেউ দালালি করার সুযোগ পেত না’ শীর্ষক মন্তব্য সারজিস আলম করেছেন শীর্ষক দাবিটি মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।
আরটিভি/এসএপি/এস
শামীম ওসমানের দাঁড়ি-গোফ যুক্ত ছবি ভাইরাল, যা বলছে ফ্যাক্টচেক
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরই দেশ ছেড়েছেন দলটির অনেক নেতাকর্মী। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানও দেশ ছেড়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি শামীম ওসমানের ২০২২ সালের হজের ছবিতে দাঁড়ি-গোফ যুক্ত করে সাম্প্রতিক ছবি বলে প্রচার করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।
প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমানের আলোচিত এই ছবিটি আসল নয় বরং, ২০২২ সালে মদিনায় হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারতের সময়ের শামীম ওসমানের ছবিকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে সেখানে দাড়ি-গোঁফ যুক্ত করে সাম্প্রতিক ছবি দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টিভির ওয়েবসাইটে ২০২২ সালের ১৬ জুলাই ‘মহানবী (সা.)-এর রওজা থেকে শামীম ওসমানের ভিডিও বার্তা’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদনে যুক্ত ছবিটির সাথে আলোচিত ছবিটির পোশাক, ব্যাকগ্রাউন্ড ও আনুষঙ্গিক বিষয়বস্তু মিল পাওয়া যায়। এই ছবিতে শামীম ওসমানের মুখে দাড়ি-গোঁফ ছিল।
ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সে বছরের জুলাইয়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারত করেন শামীম ওসমান। মদিনায় পৌঁছে সেখানে তিনি মহানবী (সা.)-এর রওজা মোবারক জিয়ারতের পর একটি ক্ষুদ্র ভিডিওবার্তা দেন। সে সময় তিনি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মানুষের জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন।
এ ছাড়াও আরেক গণমাধ্যম চ্যানেল২৪ এর ইউটিউব চ্যানেলে ২০২২ সালের ১৫ জুলাই ‘মহানবী (সা.)-এর রওজা থেকে শামীম ওসমানের ভিডিও বার্তা’ শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত শামীম ওসমানের ওই ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়। সেখানেও আলোচিত ছবিটির অনুরূপ দৃশ্য দেখা যায়। অর্থাৎ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে শামীম ওসমানের পুরোনো ছবি সম্পাদনা করে সাম্প্রতিক সময়ের দাবিতে প্রচার হচ্ছে।
শামীম ওসমানের বর্তমানে অবস্থান বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নির্ভরযোগ্য সূত্রে পাওয়া যায়নি। সুতরাং, ২০২২ মদিনায় শামীম ওসমানের একটি ভিডিও থেকে তার ছবি নিয়ে তাতে দাঁড়ি-গোঁফ যুক্ত করে সাম্প্রতিক দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পাদিত।
আরটিভি/এসএপি/এস