গুলির লক্ষ্যবস্তু আনাসের বদলে আমিও হতে পারতাম: আসিফ মাহমুদ
অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৫ আগস্টের একটি ঘটনার স্মৃতিচারণ করে তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ওই স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, সেদিন স্নাইপারের গুলিতে শহীদ হওয়া আনাসের একটি চিঠি শেয়ার করে এই স্মৃতিচারণ করেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে আসিফ মাহমুদ লেখেন, ৫ আগস্ট নাজিমউদ্দীন রোডের দিক থেকে ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করছিলাম আমরা। চানখারপুল থেকে পুলিশ, বিজিবি গুলি করছিল থেমে থেমে। আবার বার্ন ইউনিট থেকে স্নাইপার ব্যবহার করা হচ্ছিল। স্নাইপারের গুলিতে আমার পাশে দাঁড়ানো অবস্থাতে শহীদ হয় আনাস। গুলির লক্ষ্যবস্তু আনাসের বদলে আমিও হতে পারতাম।
লংমার্চের ডাক দেওয়ার পর এই চিঠি লিখে বের হয়েছিল আনাস।
আরটিভি/এমএ-টি
মন্তব্য করুন
রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়ে যা বললেন সারজিস আলম
আবারও রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
সোমবার (২১ অক্টোবর) বেলা ১১টার পর এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
সারজিস আলম লিখেছেন, ১৬ বছরের অন্যায়, অত্যাচার, কুকর্মের উপযুক্ত শাস্তি না পেয়ে সন্ত্রাসীরা বের হয়ে আসার চেষ্টা করছে। আমরা আবার রাজপথে নামার আগে এসব খুনি ও তাদের দোসরদের গ্রেপ্তার করুন।
এখন পর্যন্ত স্ট্যাটাসটিতে দুই হাজারেরও বেশি পাঠক মন্তব্য করেছেন।
জাহাঙ্গীর হোসেন খান নামে একজন লিখেছেন, ঠিক বলেছেন ভাই। দোসরদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, দেশের মাটিতেই।
রায়হান আহমেদ তামিম লিখেছেন, গণহত্যার সহায়ক, পৃষ্ঠপোষক, সমর্থক- সকলেই দোষী। তাদের চিহ্নিত করে এমন বিচারের মুখোমুখি করতে হবে যেন শুধু বাংলাদেশ নয়, বরং গোটা পৃথিবীর বুকে নজির হয়ে থাকে।
শহীদুল ইসলাম লিখেছেন, সহমত পোষণ করছি।
নুরুল ইসলাম রিমন নামে আরেকজন লিখেছেন, আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ।
আরটিভি/আইএম/এসএ
হাসিনাকে উৎখাত করা হয়েছে, পদত্যাগপত্রের ভূমিকা নেই: হাসনাত
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জনগণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উৎখাত করেছে, তাই তার পদত্যাগপত্রের কোনো ভূমিকা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, হাসিনাকে উৎখাত করা হয়েছে। একটি অবৈধ সরকারকে জনগণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উৎখাত করেছে। এখানে পদত্যাগপত্রের কোনো ভূমিকা নেই।
দেড় ঘণ্টায় ফেসবুক পোস্টটিতে ৮ হাজারেরও বেশি পাঠক মন্তব্য করেছেন।
মোখলেসুর রহমান সাগর নামে একজন লিখেছেন, গণ-অভ্যুত্থানে পদত্যাগ পত্র লাগে না।
মীর রূপক মিয়া লিখেছেন, হাসিনার পদত্যাগের কোনো তাৎপর্য নেই।
সাদিক খান লিখেছেন, সহমত। তার পতন হয়েছে, পদত্যাগপত্রে কী আসে যায়?
মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম নামে আরেকজন লিখেছেন, যে সরকারকে মানি না, তার পদত্যাগপত্র দিয়ে কী করব?
এর আগে, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, আমার কাছে শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হয়। তার প্রতিক্রিয়াতেই সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এমন মন্তব্য করেছেন।
আরটিভি/আইএম/এসএ
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণজমায়েতের ডাক
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তার পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ অবস্থায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে ছাত্র-জনতার গণজমায়েতের ডাক দিয়েছেন প্লাটফর্মটির অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টের মাধ্যমে এ ডাক দিয়েছেন তিনি। পোস্টটিতে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে শহীদ মিনারে বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় এ সমন্বয়ক।
সম্প্রতি, মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই। সাক্ষাৎকারটি শনিবার মানবজমিন পত্রিকাটির রাজনৈতিক ম্যাগাজিন সংস্করণ ‘জনতার চোখ’ এ প্রকাশিত হয়।
মতিউর রহমান চৌধুরীর মতে, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র যদি সত্যিই জমা দেওয়া হয়, তাহলে সেটির অনুলিপি কারও না কারও কাছে থাকার কথা। কিন্তু তিন সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান চালালেও এর খোঁজ কেউ দিতে পারেনি তাকে। এমনকি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগেও যোগাযোগ করা হয়েছে, যেখানে সাধারণত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র সংরক্ষিত থাকে। কিন্তু সেখানেও কিছু পাওয়া যায়নি। তাই শেষমেশ রাষ্ট্রপতির কাছেই সরাসরি এর উত্তর জানার সুযোগ মেলে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণবিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশত্যাগ করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবিধানের ৫৭ (ক) ধারা অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। কিন্তু রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, তার কাছে শেখ হাসিনার কোনো পদত্যাগপত্র বা সংশ্লিষ্ট কোনো প্রমাণ পৌঁছায়নি।
রাষ্ট্রপতির ভাষ্য অনুযায়ী, ‘আমি বহুবার পদত্যাগপত্র সংগ্রহের চেষ্টা করেছি, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি। হয়তো তার সময় হয়নি।’
এদিকে রাষ্ট্রপতির এ সাক্ষাৎকার প্রকাশের পর পরই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে। রাষ্ট্রপতি ‘মিথ্যাচার’ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তার ভাষ্যমতে, রাষ্ট্রপতি যে বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পাননি, এটা হচ্ছে মিথ্যাচার এবং এটা হচ্ছে তার শপথ লঙ্ঘনের শামিল।
নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে যুব, ক্রীড়া ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া লিখেছেন, ‘রাষ্ট্রপতির কাছে মৌখিকভাবে পদত্যাগ করেছিল স্বৈরাচারী খুনি হাসিনা। পদত্যাগপত্র নিয়ে বঙ্গভবনে যাওয়ার কথা থাকলেও ছাত্র-জনতা গণভবনের কাছাকাছি চলে আসলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন খুনি হাসিনা।’
আরটিভি/এসএইচএম/এআর
মিডিয়ায় চেহারা দেখাতে বঙ্গভবনের সামনে বিশৃঙ্খলা করবেন না: নুর
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, রাষ্ট্রপতিকে সরানোর প্রয়োজন হলে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সরানো হবে। অতিউৎসাহী হয়ে মিডিয়ায় ফেস (চেহারা) দেখাতে বঙ্গভবনের সামনে গিয়ে বিশৃঙ্খলা করবেন না।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) মধ্যরাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
দুই ঘণ্টায় ফেসবুক পোস্টটিতে সাড়ে পাঁচশরও বেশি পাঠক মন্তব্য করেছেন।
মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ নামে একজন লিখেছেন, খুব সুন্দর কথা বলেছেন।
রইস উদ্দীন লিখেছেন, আপনার কথায় একমত।
শরাফত হোসেন লিখেছেন, এটাই আদর্শ, শিক্ষিত ও বুদ্ধিমান নেতার পরিচয়।
সাদিয়া আক্তার নামে আরেকজন লিখেছেন, এটাই মূলত যৌক্তিক কথা। একজন শিক্ষিত আদর্শবান নেতার কথা এমনই হয়।
এর আগে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল শুরু করে বঙ্গভবনের দিকে যাত্রা শুরু করে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটি। হাইকোর্ট মাজার মোড় এলাকায় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। কিন্তু বাধা অতিক্রম করে বঙ্গভবন পর্যন্ত এগিয়ে যায় তারা। সেখানে তারা বঙ্গভবনের সামনের খালি জায়গায় অবস্থান করতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। উপায় না পেয়ে বঙ্গভবন মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে তারা।
পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ হঠাৎ বঙ্গভবনের সামনের ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের বাধা দেন। সে সময় বিক্ষোভকারীদের সামলাতে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি। এতে তিনজন আহত হন।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার তোপের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশত্যাগ করেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দেশত্যাগের পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি।
সম্প্রতি একটি পত্রিকার সম্পাদকের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি জানান, তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই। রাষ্ট্রপতি বলেন, (পদত্যাগপত্র সংগ্রহ করার) বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়তো সময় পাননি।
এরপর নতুন করে রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সরকার পতনে নেতৃত্বদানকারীরা।
আরটিভি/আইএম
আইন উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে যা বললেন ফরহাদ মজহার
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কোনো দলই বিপ্লবী সরকারের কথা না বলায় সাংবিধানিক সরকার গঠন করা হয়েছে। এটা ভুল হয়ে থাকলে সেই পরিস্থিতিতে আমাদের সবার ভুল ছিল বলে দাবি করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে বাংলা একাডেমিতে ব্রেইন ও আদর্শ প্রকাশনী আয়োজিত ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রা, আসন্ন চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
আসিফ নজরুলের ওই বক্তব্যের জবাবে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সোশ্যাল মিডিয়ায় ৯টি পয়েন্ট যুক্ত করে দীর্ঘ পোস্ট করেছেন কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার। পাঠকদের জন্য তা হুবহু তুলে ধরা হলো—
১. আসিফ নজরুল দাবি করেছেন, “সাংবিধানিক পথে যাত্রা ভুল হলে সেটা এই আন্দোলনে থাকা সবার ভুল”। না, মোটেও না। সেটা সবার ভুল হতে পারে না। সেটা একান্তই আসিফ নজরুলের ভুল, কিম্বা রাজনৈতিক দল ও সেনাপ্রধানসহ যারা গণঅভ্যুত্থানকে ফ্যাসিস্ট সংবিধানের অধীনে ঢুকিয়েছে তাদের সকলেরই ভুল।
২. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরাও উপস্থিত ছিলেন উল্লেখ করে, আসিফ নজরুল দাবি করেছেন, ‘পুরো আলোচনা প্রক্রিয়ায় কেউ তো তখন বলেন নাই যে আমরা কেন শপথ নেব, সাংবিধানিক পথে যাব, চলেন বিপ্লবী সরকার গঠন করি?’। যদি তাই হয় তাহলে আসিফ নজরুল সেই ক্ষেত্রে চুপ করে ছিলেন কেন? কেন বলেননি এটা ‘বিপ্লবী সরকার’ গঠনের মামলা নয় একদমই, এটা হচ্ছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শহীদদের রক্ত ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা (Popular বা Peoples’ Sovereignty) প্রতিষ্ঠা এবং বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপ দেওয়ার দায়। অর্থাৎ বাংলাদেশের জন্য নতুন গণতান্ত্রিক গঠনতন্ত্র প্রণয়নের জন্য সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে জনগণের গণতান্ত্রিক অভিপ্রায়কে ধারণ এবং তাকে গাঠনিক রূপ দেবার কর্তব্য। গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জনগণের যে গাঠনিক ক্ষমতা (Constituent Power) ঐতিহাসিক ভাবে তৈরি ও হাজির হয়েছে তাকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিয়ে নতুন বাংলাদেশ গঠন করাই আমাদের কাজ।
আসিফ নজরুল কি তখন ঘুমিয়ে ছিলেন? তিনি সেনাপ্রধান ওয়াকারুজ্জামানকে বিভ্রান্ত ও ভুল পথে পরিচালিত করেছিলেন কেন? পুরা সেনাবাহিনী তো তখন জনগণের পক্ষে ছিল। এখন তিনি নিজের দায় অস্বীকার করে দোষ অন্যদের ঘাড়ে চাপাতে চান কেন? কেন তার অজ্ঞতা, মূর্খতা এবং দায়িত্বহীনতার দায় এখন সেনাপ্রধান নেবেন? গণ সার্বভৌমত্বের রাজনৈতিক ও আইনি যুক্তি তো সেনা প্রধানের জানার কথা না। সেটা আসিফ নজরুলেরই জানার কথা। কোন বিদেশি শক্তিরও চাপ ছিল না।
৩. তাহলে দেখা যাচ্ছে স্রেফ ক্ষমতার লোভে আসিফ নজরুল ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সংবিধানের অধীনে গণঅভ্যুত্থানকে বিসর্জন দিয়ে সবচেয়ে শক্তিধর ব্যক্তি হওয়ার জন্যই ভুল পথে বাংলাদেশকে নিয়ে গিয়েছেন। এই দায় একান্তই আসিফ নজরুলের। এই দায় আর কারো না।
এখন আসিফ নজরুল বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরাও উপস্থিত ছিলেন। তার মানে তিনি এখন তাদেরকেও তার দোষের দায়ভার চাপিয়ে দিচ্ছেন। দাবি করছেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থার বা সংবিধানের অধীনে সেনা সমর্থিত উপদেষ্টা সরকার গঠনে তাদেরও সায় ছিল। তাই কি আসলে? মাহফুজ, নাহিদ, আসিফ? কিন্তু কেউ না বলুক, তিনি শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সংবিধান বাতিল করবার কথা বললেন না কেন? কেন তিনি গণ সার্বভৌমত্বের (Popular Sovereignty) প্রশ্ন তুললেন না? বাংলাদেশের বিদ্যমান সংবিধানও যে ধারণা মানে বা অন্তত স্বীকার করে? এখন আবার জনগণকে বিভ্রান্ত করারা জন্য আসিফ নজরুল ‘বিপ্লব বিপ্লব’ বকোয়াজি শুরু করেছেন। কেউ কেউ বলেছেন বটে, কিন্তু আমরা তো বিভ্রান্তি এড়াবার জন্য একবারও বিপ্লবের কথা বলিনি? তার কাছ থেকেই আইন ও রাজনীতির সম্বন্ধ বিচার বা পর্যালোচনা সবাই আশা করেছিল। তিনি আমাদের আশা ভঙ্গ করেছেন।
৪. শুধু তাই নয়, কেউ কেউ বলেন কেন শহীদ মিনারে শপথ নিলাম না, কেন বিপ্লবী সরকার হলো না, কেন সাংবিধানিক পথে গেলাম—এসব উল্লেখ করে আসিফ নজরুল কটাক্ষ করে বলেন, ‘এখন আপনি দেখবেন, কোনো কোনো মানুষ, তারা পৃথিবীর সবকিছু জানেন। তাদের একজন সম্পর্কে মনির হায়দার বললেন, আসিফ ভাই, মনে হয় তাকে “জাতির পিতা” না বানিয়ে দেওয়া পর্যন্ত থামবে না। অথবা তাকে “জাতির পিতা” বানিয়ে দিলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’ যেখানে গুরুতর রাজনৈতিক সংকটের সময় পরস্পরকে বোঝা এবং চিন্তার পার্থক্য কাটিয়ে তোলা প্রধান কাজ, তখন এই ধরনের অর্বাচীন কটাক্ষ এবং তামাশা আরও বিভেদ সৃষ্টি করে। রাজনৈতিক সংকট সমাধানের জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য এ ধরনের অহংকারি মন্তব্য ক্ষতিকর।
৫. গণতন্ত্রের অভিযাত্রা: আসন্ন চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায় শীর্ষক আলোচনা সভায় আইন উপদেষ্টা ভুলের দায় থেকে বাঁচবার জন্য এ ধরনের মিথ্যা সাফাই গেয়েছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান আদর্শ ও গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান ব্রেইন যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে। চুপ্পুর অপসারণ এবং হাসিনার ফ্যাসিস্ট সংবিধান বাতিলের দাবি জোরদার হয়ে ওঠায় এটা ছিল আইন ও তথাকথিত সংবিধানের অজুহাতে যারা ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থার পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে চায় এবং বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট শক্তি ও রাষ্ট্র টিকিয়ে রাখতে চায় নতুন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাদের পক্ষে সাফাই গাইবার অনুষ্ঠান।
৬. ‘বিপ্লব’ কথাটা সাধারণত বলশেভিক কিম্বা চিনা বিপ্লবের ‘পারাডাইম’ হিসাবে ব্যবহার হয়। বিভ্রান্তি এড়াবার জন্য ‘বিপ্লব’ বর্গটি এড়ানো ভালো। তাছাড়া জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের জনগণ বলশেভিক বা চিনা ধাঁচের ‘বিপ্লব’ করেনি। গণঅভ্যুত্থানের সেটা উদ্দেশ্যও ছিল না। শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সংবিধান ও ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা বাতিল করে বাংলাদেশের জনগণ চেয়েছে নিজেদের রাজনৈতিক ভাবে নতুন ভাবে ‘গঠন’ (Constitute) করা–অর্থাৎ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ নির্মাণ। জনগণ নিজেরা নিজেদের জন্য একটি গণতান্ত্রিক গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করবে যা তাদের ‘অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তি’ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হবে—এটাই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সারকথা। একেই বলা হয় গণ সার্বভৌমত্ব (Popular Sovereignty) বা জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা। এমনকি বাংলাদেশের বিদ্যমান সংবিধানের প্রস্তাবনা এবং ‘প্রজাতন্ত্র’ অধ্যায়ও গণসার্বভৌমত্ব স্বীকার করে। দেখুন, প্রস্তাবনা এবং অনুচ্ছেদ ৭(২)। স্বীকার করলেও মূল সংবিধান গণ সার্বভৌমত্বের বিরোধী অতএব স্ববিরোধী। একে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া ছাড়া গত্যন্তর নাই। এই সকল বিষয় বিবেচনার দাবি না করে আসিফ নজরুল কেন সেনা সমর্থিত উপদেষ্টা সরকার কায়েম করে শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রই কায়েম করলেন?
৭. সেনাপ্রধানের সঙ্গে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় রাজনৈতিক দল উপস্থিত ছিল। থাকতেই পারে। কিন্তু সেনাপ্রধানকে আইনি পরামর্শ আসিফ নজরুলই দিয়েছেন। তিনি তারই ফলশ্রুতিতে আইন উপদেষ্টাও হয়েছেন। সাংবিধানিক পথে যাত্রা ভুল হলে আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে সেই ভুল আবার এখন শোধরাতে পারি। সেই পথ এখনো খোলা রয়েছে। কিন্তু আসিফ নজরুলের ফাঁপা ও অন্যায় দাবি আমাদের পরস্পরকে বোঝার এবং বাংলাদেশের বর্তমান সংকট কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে না। বরং আরও জটিল হবে। তিনি বিভেদ ও বিপদ আরও বাড়িয়ে তুলছেন।
৮. আসিফ নজরুলের আলোচনায় সেনাবাহিনী ও সেনাপ্রধানের প্রতি অকারণ কটাক্ষ রয়েছে। সেনাবাহিনী তাকে ডাকলেই মেরে ফেলবে এই বক্তব্য সেনাবাহিনী—বিশেষত সেনাপ্রধানের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করে না। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট সমাধানের ক্ষেত্রে অবশ্যই নাগরিক হিসাবে সৈনিকদেরও ভূমিকা আছে এবং থাকবে। সাধারণ সৈনিকেরা গুলি করতে অস্বীকার করায় গণঅভ্যুত্থানের তীব্রতার মুখে শেখ হাসিনা দিল্লিতে পালাতে বাধ্য হয়েছে। জাতীয় রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত শুধু রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত হতে পারে না। রাজনৈতিক দল জনগণের খণ্ড খণ্ড অংশের প্রতিনিধি। আমাদের অবশ্যই রাজনৈতিক দলের বাইরে নাগরিক হিসাবে শ্রমিক, কৃষক, মেহনতজীবী শ্রেণিসহ সমগ্র জনগণের রাজনৈতিক অভিপ্রায়ের কথা মনে রাখতে হবে।। জনগণের কাতারে সৈনিকেরাও আছেন।
৯. বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে আসিফ নজরুলের ফাঁপা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বলতে হয় এই দায় আসলে একান্তই তার একার। এত আত্মত্যাগ ও রক্তপাতের পর আমরা পেলাম সেনা সমর্থিত উপদেষ্টা সরকার? কেন? এর ব্যাখ্যা আসিফ নজরুল কীভাবে দেবেন? এটাই যে হচ্ছে সেটা আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি। তিনি কর্ণপাত করেননি।
আসিফ নজরুলের এই সাফাই আমরা তাই প্রত্যখ্যান করতে বাধ্য হচ্ছি। গণঅভ্যুত্থানকে যারা শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সংবিধানের অধীনস্থ করেছেন এবং দাবি করছেন ‘সাংবিধানিক ভাবে যাওয়া দোষের ব্যাপার নয়’, তারা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছেন। তারা শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকারের নিয়োজিত ফ্যাসিস্ট প্রেসিডেন্ট চুপ্পুর অধীনে উপদেষ্টাদের শপথ নিতে বাধ্য করেছে, সেই ভুল হতেই পারে। আমরা মেনে নিয়েছি। কারণ শোধরাবার পথ বন্ধ হয়ে যায়নি। কিন্তু নির্লজ্জ সাফাই গাওয়ার কোনো যুক্তি নাই। বলা উচিত ছিল, আমরা ভুল করেছি, কিন্তু শোধরাবার সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি। আসুন সবাই মিলে শোধরাই এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠন করি। সংশোধনের জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ রাখুন।
আসিফ নজরুল, প্লিজ, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ রাখাই এখনকার কাজ। নিজের দোষ ঢাকবার চেষ্টা করবেন না। ভুল আমরা যে কেউ করতেই পারি, কিন্তু যখন নিজের দায় অস্বীকার করেন, তখন সেটা মেনে নেওয়া যায় না।
আরটিভি/এমএ/এআর
কমলাপুর স্টেশনের স্ক্রিনে লেখা ‘আ.লীগ জিন্দাবাদ’, যা জানা গেল
সামাজিক মাধ্যমে কমলাপুর রেলস্টেশনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে স্টেশনের বহির্গমন পথের ডিজিটাল স্ক্রিনে ‘আওয়ামী লীগ জিন্দাবাদ’ লেখা স্লোগান প্রচার করা হয়েছে; যা রীতিমতো সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ওই ভিডিওটি ভাইরাল হয়।
জানা গেছে, ওই স্ক্রিনে সাধারণত ‘ধন্যবাদ’, ‘স্বাগতম’ বা যাত্রীদের সচেতনতামূলক বিভিন্ন বাণী প্রচারিত হয়। তবে শনিবার ভোর ৫টা ৫৭ মিনিট থেকে সকাল ৯টা ৫১ মিনিট পর্যন্ত ‘আওয়ামী লীগ জিন্দাবাদ’ লেখাটি স্ক্রিনে প্রদর্শিত হয়। এরপর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অবগত হওয়ার পর স্ক্রিন দুটি বন্ধ করে দেয়।
ভিডিওটি ফেসবুকে শেয়ার করে পলাশ মাহবুব নামের একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ঠিকমতো ট্রেন চলার নাম নাই। কিন্তু এসব ঠিকঠাক চলছে।’
এ বিষয়ে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের খোঁজ চলছে। দ্রুত তাদেরকে সন্ধান করে আইনের আওতায় আনা হবে।
আরটিভি/এসএপি-টি
একটি প্রমিনেন্ট দলের সায় না পাওয়ায় স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি: আসিফ
জাতীয় সরকার গঠনের স্বপ্ন গণঅভ্যুত্থানের নেতারাই দেখিয়েছিল দাবি করে অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রমিনেন্ট দলের সায় না পাওয়ায় সে স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
আসিফের ওই পোস্টে বেশির ভাগ কমেন্টকারীই ওই প্রমিনেন্ট দল বলতে বিএনপিকে চিহ্নিত করছেন।
বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার গঠনে এবং ফ্যাসিবাদের সর্বশেষ আইকনকে সরানোর ক্ষেত্রে দেশের প্রমিনেন্ট দলের কোনো সহায়তা পাওয়া যায়নি বলে ওই পোস্টে উল্লেখ করেন আসিফ মাহমুদ।
পোস্টে তিনি লিখেন, ‘৮ দিবস বাতিল কিংবা ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করার মতো রাজনৈতিক সিদ্ধান্তও এই উপদেষ্টা পরিষদ অকপটে নিয়েছে, যাদেরকে অনেকেই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধারণ করে না বলে অপবাদ দিচ্ছেন। অন্যদিকে প্রমিনেন্ট রাজনৈতিক দলকেও আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেসি করতে দেখা গেছে, ফ্যাসিবাদের সর্বশেষ আইকনকে সরানোর ক্ষেত্রেও অনীহা দেখা গেছে।’
উপদেষ্টা লিখেন, ‘আমরা রক্ত মারিয়ে সংলাপ কিংবা সমঝোতায় যাওয়ার মতো ধৃষ্টতা আগেও দেখাইনি, ভবিষ্যতেও দেখাব না। এক পা এগিয়ে দুই পা পেছানোর মতো আপসকামী মনোভাব রাখলে আজকের বাংলাদেশ পেতাম না। ব্যক্তিগত, সমষ্টিগত ক্ষোভ থাকতে পারে। সেটা নিয়ে আলোচনা হোক, পাবলিক প্ল্যাটফর্মে কাউকে বিব্রত করা কিংবা তা করতে গিয়ে নিজেকে খেলো করা দুঃখজনক।’
ফেসবুক পোস্টে আসিফ আরও লিখেন, ‘৫ আগস্ট প্রথম প্রহরে অভ্যুত্থানের পরের রোডম্যাপ হিসেবে পাঁচটি পয়েন্ট ঘোষণা করা হয়েছিল এই অ্যাকাউন্ট (ফেসবুক অ্যাকাউন্ট) থেকেই। সেখানেই অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার গঠনের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। সবাইকে নিয়ে সরকার গঠনের প্রথম অভিপ্রায় গণঅভ্যুত্থানের নেতৃবৃন্দই দেখিয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রমিনেন্ট দলের সায় না পাওয়ায় সে স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি।’
আরটিভি/এসএইচএম-টি