২০২৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাস ভাইরাল, যা জানাল শিক্ষা বোর্ড
সম্প্রতি ফেসবুকে ২০২৬ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার পাঠ্যসূচি (সিলেবাস) সম্পর্কিত যে চিঠি ভাইরাল হয়েছে, তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকা বোর্ডের চেয়ারমান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ২০২৬ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার পাঠ্যসূচি সম্পর্কিত যে চিঠি প্রচারিত হয়েছে, যা ঢাকা বোর্ড থেকে ইস্যুকৃত নয়। ২০২৬ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচি সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।
এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ধরনের অপপ্রচার থেকে সতর্ক থাকার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে বোর্ডের পক্ষ থেকে অনুরোধও করা হয়েছে।
আরটিভি/এসএপি-টি
মন্তব্য করুন
জিপিএ-৫ পেলেন সেই মুশতাকের স্ত্রী তিশা
অসম বয়সে বিয়ের কারণে বহুল আলোচিত-সমালোচিত খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও তার স্ত্রী সিনথিয়া ইসলাম তিশা। এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন তিশা। এতে খুশি হয়ে মুশতাক বললেন ‘অভিনন্দন হুররাম’।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ফল প্রকাশিত হলে তিশার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে মুশতাককে অভিনন্দন জানাতে দেখা যায়।
মুশতাক বলেন, ‘আমার হুররামকে অভিনন্দন। আপনারা জানেন আজকে এইচএসসির রেজাল্ট দিয়েছে এবং আমাদের জীবনের অনেক চড়াই উতরাইয়ের পরেও তিশা বরাবরই ভালো শিক্ষার্থী হওয়ায় ঈর্ষণীয় ফলাফল করেছে। তাই আমার হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে তাকে অভিনন্দন।’
তিশা বলেন, ‘রেজাল্টের মেসেজ দেখে প্রথমে বিশ্বাস করিনি। পরীক্ষার আগে শেষ দুই মাস অনেক বেশি পরিশ্রম করেছি। এটা যদিও নতুন কিছু নয়; আমার কাছে মনে হয়েছে, হ্যাঁ আমিতো এটাই পাই। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন অনেক ধন্যবাদ।’
রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ একই কলেজের শিক্ষার্থী সিনথিয়া ইসলাম তিশাকে বিয়ে করে আলোচনায় আসেন। এসময় তারা ভালোবেসে একে অপরকে বিয়ে করেছেন বলে জানান। তাদের বিয়ের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
আরটিভি/এসএপি
মুজিববাদের বিরুদ্ধে এবার প্রত্যাঘাত: মাহফুজ আলম
মুজিববাদের বিরুদ্ধে এবার প্রত্যাঘাত হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি বলেছেন, মুজিববাদের বিরুদ্ধে এবার হবে প্রত্যাঘাত। খুনিদের ক্ষমা নাই। খুনিদের আদর্শের ফেরিওয়ালাদের ক্ষমা নেই।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে নিজ স্ট্যাটাসে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ এ সহকারী লেখেন, যাদের বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই গণহত্যা নিয়ে, তাদের সাথে নো -রিকন্সিলিয়েশন। আগে বিচার, তারপর সমঝোতা!
নির্মূলের রাজনীতি করতে চাননি জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পেছন থেকে নেতৃত্ব দেওয়া এ নেতা লিখেন, আমাদের রক্ত পান করতে যারা স্লোগান দিবে, রাজনীতি করবে, সেসব মুজিববাদীদের কোনোভাবেই ক্ষমা করা হবে না। দুই হাজার বা ততোর্ধ্ব শহীদের আত্মার শপথ, কোন সুশীল বা গুণ্ডা মুজিববাদীদের এ স্বদেশের এক ইঞ্চি জমিও ছেড়ে দেওয়া হবে না। ফ্যাসিস্ট মুজিব হাসিনা, মুর্দাবাদ মুর্দাবাদ।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সামনে বিক্ষোভ করেন আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা। এ সময় তারা ‘শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘শেখ হাসিনার সরকার, বারবার দরকার’, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন। পরে একজনকে আটক করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (১৬ অক্টোবর) আওয়ামী লীগপন্থী বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে হাইকোর্ট ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হচ্ছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমর্থক শিক্ষার্থীরা।
আরটিভি/এসএইচএম-টি
শেখ মুজিব ‘জাতির পিতা’ নয়: উপদেষ্টা আসিফ
শেখ মুজিবুর রহমান ‘জাতির পিতা’ নয় বলে মন্তব্য করেছেন যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
এর আগে একই বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, অবশ্যই শেখ মুজিবুর রহমান জাতির পিতা না। জাতির পিতা হিসেবে একটি দল বা একজন ব্যক্তিকে সীমাবদ্ধ করতে চাই না। শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা উপাধি দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
আমাদের এই ভূখণ্ডের লড়াইয়ের ইতিহাসে কেবল একজন নয় মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, অনেকেরই ভূমিকা রয়েছে। আমাদের ইতিহাস কিন্তু শুধু ১৯৫২ থেকেই শুরু হয়নি। আমাদের ইতিহাসে দীর্ঘ লড়াই আছে, ব্রিটিশবিরোধী লড়াই আছে, ১৯৪৭ সালের লড়াই আছে। আমাদের ইতিহাসে শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী, আবুল হাসেম, যগেন মণ্ডল, মাওলানা ভাসানী এমন অনেক মানুষের লড়াই আছে। আমরা তো মনে করি এখানে একজন জাতির পিতা না, বরং অনেক ফাউন্ডিং ফাদার’স (জাতির পিতা) রয়েছে। যাদের অবদানের ফলে আমরা এই স্বাধীন ভূখণ্ড, স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি। সুতরাং, জাতির পিতা হিসেবে আমরা একটা দলের বা একজন ব্যক্তিকে সীমাবদ্ধ করতে চাই না।
উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, ইতিহাসের বহুমুখিতা আছে। যেটিকে আওয়ামী লীগ এতদিন অস্বীকার করেছে। তারা মাওলানা ভাসানীর অবদানকে অস্বীকার করেছে, অথচ আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। এখন সময় এসেছে সবার ভূমিকা স্মরণ করার।
তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের এই বক্তব্যের পরেই এ নিয়ে বুধবার (১৬ অক্টোবর) ফেসবুক পোস্ট দেন যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
তার সেই স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘একটি দেশের জাতির পিতা কে হবে, সেটা নির্ধারণ করবে সেই দেশের জনগণ। কোনো ফ্যাসিস্ট রাজনৈতিক দল না। শেখ মুজিবুর রহমানকে যদি দেশের মানুষ জাতির পিতা মনে করতো তাহলে গত ৫ আগস্ট বিপ্লবী ছাত্র-জনতা তার ভাস্কর্য ভেঙে ফেলতো না। শেখ মুজিব জাতির পিতা নয়, আওয়ামী ফ্যাসিজম প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রতীকী মাধ্যম।’
তার এই পোস্টে নেতিবাচক মন্তব্যের থেকে ইতিবাচক মন্তব্য চোখে পড়ার মতই। মুহূর্তে লাইক এবং লাভ রিঅ্যাক্ট দিয়ে অনেকেই তা সমর্থন জানান। তার এই পোস্ট শেয়ারও করেন অনেকে।
আরটিভি/এএইচ
রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়ে যা বললেন সারজিস আলম
আবারও রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
সোমবার (২১ অক্টোবর) বেলা ১১টার পর এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
সারজিস আলম লিখেছেন, ১৬ বছরের অন্যায়, অত্যাচার, কুকর্মের উপযুক্ত শাস্তি না পেয়ে সন্ত্রাসীরা বের হয়ে আসার চেষ্টা করছে। আমরা আবার রাজপথে নামার আগে এসব খুনি ও তাদের দোসরদের গ্রেপ্তার করুন।
এখন পর্যন্ত স্ট্যাটাসটিতে দুই হাজারেরও বেশি পাঠক মন্তব্য করেছেন।
জাহাঙ্গীর হোসেন খান নামে একজন লিখেছেন, ঠিক বলেছেন ভাই। দোসরদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, দেশের মাটিতেই।
রায়হান আহমেদ তামিম লিখেছেন, গণহত্যার সহায়ক, পৃষ্ঠপোষক, সমর্থক- সকলেই দোষী। তাদের চিহ্নিত করে এমন বিচারের মুখোমুখি করতে হবে যেন শুধু বাংলাদেশ নয়, বরং গোটা পৃথিবীর বুকে নজির হয়ে থাকে।
শহীদুল ইসলাম লিখেছেন, সহমত পোষণ করছি।
নুরুল ইসলাম রিমন নামে আরেকজন লিখেছেন, আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ।
আরটিভি/আইএম/এসএ
হাসিনাকে উৎখাত করা হয়েছে, পদত্যাগপত্রের ভূমিকা নেই: হাসনাত
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জনগণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উৎখাত করেছে, তাই তার পদত্যাগপত্রের কোনো ভূমিকা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, হাসিনাকে উৎখাত করা হয়েছে। একটি অবৈধ সরকারকে জনগণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উৎখাত করেছে। এখানে পদত্যাগপত্রের কোনো ভূমিকা নেই।
দেড় ঘণ্টায় ফেসবুক পোস্টটিতে ৮ হাজারেরও বেশি পাঠক মন্তব্য করেছেন।
মোখলেসুর রহমান সাগর নামে একজন লিখেছেন, গণ-অভ্যুত্থানে পদত্যাগ পত্র লাগে না।
মীর রূপক মিয়া লিখেছেন, হাসিনার পদত্যাগের কোনো তাৎপর্য নেই।
সাদিক খান লিখেছেন, সহমত। তার পতন হয়েছে, পদত্যাগপত্রে কী আসে যায়?
মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম নামে আরেকজন লিখেছেন, যে সরকারকে মানি না, তার পদত্যাগপত্র দিয়ে কী করব?
এর আগে, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, আমার কাছে শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে চর্চা শুরু হয়। তার প্রতিক্রিয়াতেই সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এমন মন্তব্য করেছেন।
আরটিভি/আইএম/এসএ
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণজমায়েতের ডাক
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তার পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ অবস্থায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে ছাত্র-জনতার গণজমায়েতের ডাক দিয়েছেন প্লাটফর্মটির অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টের মাধ্যমে এ ডাক দিয়েছেন তিনি। পোস্টটিতে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে শহীদ মিনারে বিপ্লবী ছাত্র-জনতাকে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় এ সমন্বয়ক।
সম্প্রতি, মানবজমিন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই। সাক্ষাৎকারটি শনিবার মানবজমিন পত্রিকাটির রাজনৈতিক ম্যাগাজিন সংস্করণ ‘জনতার চোখ’ এ প্রকাশিত হয়।
মতিউর রহমান চৌধুরীর মতে, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র যদি সত্যিই জমা দেওয়া হয়, তাহলে সেটির অনুলিপি কারও না কারও কাছে থাকার কথা। কিন্তু তিন সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান চালালেও এর খোঁজ কেউ দিতে পারেনি তাকে। এমনকি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগেও যোগাযোগ করা হয়েছে, যেখানে সাধারণত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র সংরক্ষিত থাকে। কিন্তু সেখানেও কিছু পাওয়া যায়নি। তাই শেষমেশ রাষ্ট্রপতির কাছেই সরাসরি এর উত্তর জানার সুযোগ মেলে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণবিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশত্যাগ করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংবিধানের ৫৭ (ক) ধারা অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে। কিন্তু রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, তার কাছে শেখ হাসিনার কোনো পদত্যাগপত্র বা সংশ্লিষ্ট কোনো প্রমাণ পৌঁছায়নি।
রাষ্ট্রপতির ভাষ্য অনুযায়ী, ‘আমি বহুবার পদত্যাগপত্র সংগ্রহের চেষ্টা করেছি, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি। হয়তো তার সময় হয়নি।’
এদিকে রাষ্ট্রপতির এ সাক্ষাৎকার প্রকাশের পর পরই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে। রাষ্ট্রপতি ‘মিথ্যাচার’ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তার ভাষ্যমতে, রাষ্ট্রপতি যে বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পাননি, এটা হচ্ছে মিথ্যাচার এবং এটা হচ্ছে তার শপথ লঙ্ঘনের শামিল।
নিজের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে যুব, ক্রীড়া ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া লিখেছেন, ‘রাষ্ট্রপতির কাছে মৌখিকভাবে পদত্যাগ করেছিল স্বৈরাচারী খুনি হাসিনা। পদত্যাগপত্র নিয়ে বঙ্গভবনে যাওয়ার কথা থাকলেও ছাত্র-জনতা গণভবনের কাছাকাছি চলে আসলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন খুনি হাসিনা।’
আরটিভি/এসএইচএম/এআর
মিডিয়ায় চেহারা দেখাতে বঙ্গভবনের সামনে বিশৃঙ্খলা করবেন না: নুর
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, রাষ্ট্রপতিকে সরানোর প্রয়োজন হলে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সরানো হবে। অতিউৎসাহী হয়ে মিডিয়ায় ফেস (চেহারা) দেখাতে বঙ্গভবনের সামনে গিয়ে বিশৃঙ্খলা করবেন না।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) মধ্যরাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
দুই ঘণ্টায় ফেসবুক পোস্টটিতে সাড়ে পাঁচশরও বেশি পাঠক মন্তব্য করেছেন।
মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ নামে একজন লিখেছেন, খুব সুন্দর কথা বলেছেন।
রইস উদ্দীন লিখেছেন, আপনার কথায় একমত।
শরাফত হোসেন লিখেছেন, এটাই আদর্শ, শিক্ষিত ও বুদ্ধিমান নেতার পরিচয়।
সাদিয়া আক্তার নামে আরেকজন লিখেছেন, এটাই মূলত যৌক্তিক কথা। একজন শিক্ষিত আদর্শবান নেতার কথা এমনই হয়।
এর আগে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল শুরু করে বঙ্গভবনের দিকে যাত্রা শুরু করে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটি। হাইকোর্ট মাজার মোড় এলাকায় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। কিন্তু বাধা অতিক্রম করে বঙ্গভবন পর্যন্ত এগিয়ে যায় তারা। সেখানে তারা বঙ্গভবনের সামনের খালি জায়গায় অবস্থান করতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। উপায় না পেয়ে বঙ্গভবন মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে তারা।
পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ হঠাৎ বঙ্গভবনের সামনের ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের বাধা দেন। সে সময় বিক্ষোভকারীদের সামলাতে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি। এতে তিনজন আহত হন।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার তোপের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশত্যাগ করেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দেশত্যাগের পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি।
সম্প্রতি একটি পত্রিকার সম্পাদকের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি জানান, তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই। রাষ্ট্রপতি বলেন, (পদত্যাগপত্র সংগ্রহ করার) বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়তো সময় পাননি।
এরপর নতুন করে রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সরকার পতনে নেতৃত্বদানকারীরা।
আরটিভি/আইএম