ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানের ছয় মাস পর ফের সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরার মরিয়া চেষ্টা করছে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার। সেই লক্ষ্যে বুধবার ছাত্র সমাজের উদ্দেশে ভাষণ দেন ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এর পরপরই তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়ে ছাত্র-জনতা।
বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ধানমণ্ডি-৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বাড়ি, শেখ মুজিবের ম্যুরাল ও মুজিব পরিবারের সদস্যদের নামসংবলিত ফলক ভাঙচুর শুরু করে।
এমন পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এ ঘটনাকে উসকে দেওয়ার জন্য প্রায় সবাই আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে দায়ী করেছেন। পাশাপাশি সবাইকে শান্ত থাকারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
এবার এ নিয়ে কথা বলেছেন জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী। তিনি সবাইকে এখানেই থেমে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই আহ্বান জানান আজহারী।
ওই পোস্টে তিনি বলেন, মবোক্রেসি দেশকে অস্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে যেতে পারে। এখানেই থেমে যাওয়া উচিত। আসুন আমাদের জাতিকে পুনর্গঠন করি।
ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ভাঙচুর শুরুর পর গত বুধবার রাতে খুলনার ‘শেখ বাড়ি’তে ভাঙচুরের প্রথম খবর আসে। এরপর কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুব উল আলম হানিফের বাড়িতে হামলা হয়। এরপর গত দুই দিনে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের কমপক্ষে ৩৩টি বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ পরিবারের সদস্যদের অন্তত অর্ধশত ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়েছে। আওয়ামী লীগের আটটি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়ি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত এ বাড়িতেই থাকতেন শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান। বাড়িটি পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়।
আরটিভি/একে