যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পত্তি ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করেছে দেশটির ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ)। এ তথ্য সামনে আসার পরপরই নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।
বুধবার (১১ জুন) দিবাগত রাত ২টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া একটি পোস্টে এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি।
জুলকারনাইন লিখেন, আমরা যারা সঠিকভাবে সাংবাদিকতা করার চেষ্টা করছি, তারা হয়তো টকশোতে কথার ফুলঝুরি ছোটাতে পারি না, ইউটিউবে গল্প ফাঁদতে পারি না। কিন্তু, সন্তুষ্টি লাগে যখন দেখি আমাদের কাজ কথা বলে এবং সেটা সেই সব লোকের বিরুদ্ধে- যারা প্রচণ্ড ক্ষমতাশালী, বিত্তবান ও দুর্নীতিগ্রস্ত।
পোস্টের শেষে তিনি লিখেন, এটাই আমাদের বিজয় এবং এটাই অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার শক্তি।
এর আগে, যুক্তরাজ্যে থাকা সাইফুজ্জামান চৌধুরীর কয়েকটি সম্পত্তি জব্দ করার খবর প্রকাশ করে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার ইনভেস্টিগেটিভ ইউনিট (আই-ইউনিট)।
স্থানীয় সময় বুধবার (১১ জুন) রাতে আই-ইউনিটকে দেওয়া এক বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যের এনসিএ জানায়, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন একাধিক সম্পদের বিরুদ্ধে তারা ‘ফ্রিজিং অর্ডার’ পেয়েছে, যা এখনো চলমান একটি বেসামরিক তদন্তের অংশ। এই ফ্রিজিং অর্ডারের ফলে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেসব সম্পদ তিনি আর বিক্রি করতে পারবেন না।
সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে বর্তমানে বাংলাদেশে মানি লন্ডারিং বা অর্থপাচারের অভিযোগে তদন্ত চলছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আইনগত অনুরোধের পরই এনসিএ এই পদক্ষেপ নেয়।
এর আগে, আল জাজিরার প্রচারিত তথ্যচিত্র দ্য মিনিস্টার মিলিয়নস-এ সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদের চিত্র প্রথমবার প্রকাশ্যে আসে। সংবাদমাধ্যমটির অনুসন্ধানে দেখা যায়, যুক্তরাজ্যে ৩৫০টির বেশি সম্পত্তির মালিক সাইফুজ্জামান চৌধুরী। এছাড়াও তার লন্ডনের বিলাসবহুল বাসভবন, সেন্ট জনস উড এলাকায় অবস্থিত, যার মূল্য প্রায় এক কোটি ১০ লাখ পাউন্ড (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৪৮ কোটি টাকা), সেটিও এনসিএ-র সম্পদ জব্দের আওতায় পড়েছে।
আরটিভি/এসএইচএম