ঢাকাসোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১

রাজধানীতে ছিনতাইয়ে জড়িতদের বেশির ভাগই পথশিশু (ভিডিও)

সুমন তানভীর

রোববার, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ , ১১:৪৫ পিএম


সংঘবদ্ধ চক্র নয়, রাজধানীতে ছিনতাইয়ে জড়িত বেশির ভাগই নেশাগ্রস্ত পথশিশু। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ধরতে গিয়ে বিব্রতকর অভিজ্ঞতার মুখে পড়ছে। কখনও তারা ব্লেড দিয়ে নিজের শরীরে পোঁচ দিচ্ছে, আবার কখনও ওষুধ খেয়ে সবার সামনেই মলত্যাগ শুরু করছে। সংস্থাটির তথ্যমতে ৬ মাসে ৩০০ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হলেও জামিন নিয়ে তাদের ৯৫ ভাগই আবারও একই অপরাধে জাড়িয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রাতের ফার্মগেট, গত ২৫ জানুয়ারি চলন্ত গাড়িতে ছোঁ মেরে মোবাইল ছিনতাইয়ের ঠিক আগ মুহূর্তে পুলিশের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে এই ছিনতাইকারী। অল্পের জন্য রক্ষায় পায় বাসযাত্রীর মোবাইল ফোন।

তবে এর দুদিন আগে, পুলিশ ও জনতার চেষ্টায় ছিনতাইকারী ধরা পড়লেও ভাগ্য ওতটা সুপ্রসন্ন ছিল না ভুক্তভোগীর। ছিনতাইকারীকে ধরতে ধরতেই ভুক্তভোগীর বাস আব্দুল্লাহপুর থেকে বহুদূর চলে যায়। এ রাস্তায় যাতায়াতকারীরা তাদের নিরাপত্তাহীনতার কথাই বলছিলেন।  

বিজ্ঞাপন

এক পথচারী বলেন, মোবাইল থাবা দিয়ে নিয়ে চলে যায়। অনেক সময় রাস্তা পার হওয়ার সময়ও পাশ থেকে হাত ঢুকিয়ে মোবাইল নিয়ে যায়। টের পাওয়া যায় না।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, ছিনতাইয়ের সঙ্গে যুক্ত প্রায় সবার মুখ চেনা তাদের।

এক স্থানীয় ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের থেকেও অনেক সময় কিছু নিয়ে টাকা না দিয়ে চলে যায়। চা-নাশতা খেয়ে টাকা দেয় না।   

বিজ্ঞাপন

মাদকাসক্ত এসব শিশুরা দিনে নানান কাজে থাকলেও রাতে ছিনতাইয়ে নামে।    
 
তবে ভুক্তভোগীদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শরণাপন্ন না হওয়াকেই,  ছিনতাই বাড়ার বড় কারণ হিসেবে দেখছে র‍্যাব। অপরাধীদের ধরতে নিয়মিত অভিযান চলছে বলে জানায় সংস্থাটি।  

র‍্যাব ৩ অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে যে অভিযানটা পরিচালনা করা হচ্ছে, এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যারা ছিনতাইকারী তারা নেশাগ্রস্ত, মাদকাসক্ত। তারা জিহ্বার নিচে ছোট একটি ব্লেড রেখে দেয়। ছিনতাই করতে গিয়ে যখন তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেলে ওই ব্লেডটি নিয়ে নিজেদের গলার মধ্যে পোঁচ দেয়। তারা অনেক সময় এক ধরনের টেবলেট খেয়ে ফেলে, এতে তার তাৎক্ষণিক টয়লেট হয়ে যায়। সেই সময় পরিবেশ-পরিস্থিতি বিবেচনা করে ছেড়ে দিতে বাধ্য হতে হয়। এই অপরাধটি শূন্যে নামিয়ে আনা যাবে না। তবে কমিয়ে আনা যাবে। সেই লক্ষ্যে র‍্যাব দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে।  

র‍্যাব-৩ এর নজরদারিতেও উঠে এসেছে ভয়াবহ তথ্য। ৬ মাসে ৩০০ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে তারা। জামিন পাওয়ার পর যাদের ৯৫ শতাংশই ফিরেছে আগের পেশায়।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |