ঢাকাসোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২

পাঠক কীভাবে লেখক জীবনে আনন্দ ও প্রাপ্তির কারণ হয়

আবু বক্কার সিদ্দিক

সোমবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ০৪:৫২ পিএম


loading/img
জনপ্রিয় তরুণ লেখক সাদাত হোসাইন। ছবি: আরটিভি নিউজ

জীবনবোধ, যাপিত জীবনের সংগ্রাম আর জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে অসাধারণভাবে পাঠকের কাছে তুলে ধরাই লেখকের কাজ। আর অসাধারণ এই ঘটনাগুলোই গল্প হয়ে ওঠে, পায় নতুন জীবন। কল্পনাপ্রসূত ঘটনাবলি লেখকের প্রকাশভঙ্গির মুন্সিয়ানায় হয়ে ওঠে গল্প। পাঠক মহলে তেমনই একটি লেখক সাদাত হোসাইন। পুরোদস্তুর লেখক হওয়ার আগে কিছুদিন তিনি আলোকচিত্রীর কাজ করেছেন।

বিজ্ঞাপন

‘গল্পছবি’ নামে ২০১৩ সালে একটি আলোকচিত্রের বই প্রকাশ করেন। প্রশংসিত হওয়ার পর লেখালেখিতে প্রত্যাবর্তন ঘটে তার। পরে ২০১৫ সালে ‘আরশিনগর’ উপন্যাস প্রকাশিত হওয়ার পর পাঠকের নজর কাড়েন। লেখালেখির পাশাপাশি সাদাত হোসাইনের চলচ্চিত্র নির্মাণেও আগ্রহ আছে। তার পরিচালনায় তৈরি হয়েছে ‘গহিনের গান’ সংগীতনির্ভর চলচ্চিত্র। এবারের একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে তার দুটি উপন্যাস ‘শঙ্খচূড় ও সে এসে বসুক’।

পাঠক কীভাবে লেখক জীবনে আনন্দ ও প্রাপ্তির কারণ হয়ে ওঠে তা নিয়ে সাদাত হোসেনের সঙ্গে কথা হয় আরটিভি নিউজের—

বিজ্ঞাপন

সাদাত হোসেন বলেন, খবই ভালো লাগছে। দুই বছর পরে বইমেলা তার আগের রূপ ফিরে পেয়েছে। লেখকের জন্য সব চেয়ে বড় অনুপ্রেরণা—পাঠকের প্রতিক্রিয়া। সেই জায়গাতে আমি বরাবরই ভাগ্যবান। আমার ধারণা, পাঠক যে আগ্রহ নিয়ে বইমেলায় এসেছেন, সেটা পূরণ হবে। আমি এসে দেখেছি—পাঠক এতো অপেক্ষা করছিলেন, যে মনে হচ্ছিল স্টল ভেঙে পড়ছে। সব মিলিয়ে এটা একটা অসাধারণ অনুভুতি। কারণ, বইমেলা এবার প্রথম থেকেই জমে উঠেছে।

লেখার প্রক্রিয়ার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, নানা কারণে লেখকের যাত্রাটা খুবই কঠিন। বিশেষ করে আমাদের দেশে। সেখান থেকে লেখক জীবনে অনুপ্রেরণা দরকার হয়। লেখক জীবনের বাধা-বিপত্তি মোকাবিলা করার জন্য একটি শক্তি দরকার হয়। আর সেই শক্তিটা হচ্ছে পাঠকের ভালোবাসা। তারা যে ভালোবাসা আমাকে দেখিয়েছে এজন্য তাদের প্রতি আমার অফুরন্ত কৃতজ্ঞতা। আশা করছি, এই ভালোবাসা অব্যাহত থাকবে।

লিখতে ভালো লাগার কথা উল্লেখ করে এই কথাসাহিত্যিক বলেন, প্রথম দিকে গল্প বলতে এবং শুনতে খুব পছন্দ করতাম। আসলে লেখকরা যা লেখে, তাই-ই গল্প। আমার মনে হয়, আমি আমার চারপাশের মানুষ ও জীবনজগৎকে গভীর ও অন্তরঅঙ্গভাবে অনুভাব করতে পারতাম। আর সেই অনুভূতিটা যখন আমার অনেক বেশি আবেগপ্রবণ এবং উদ্দীপনা তৈরি করতো, তখন আমার মনে হতো— আমি এই গল্পটা কাউকে বলতে চাই। সেই বলতে চাওয়ার মাধ্যমেই আমি লেখালেখির জীবন বেছে নিয়েছি।

বিজ্ঞাপন

 

বিজ্ঞাপন

২০১২ সালে আমার প্রথম বই প্রকাশিত হয় ফটোগ্রাফির বই। এটার নাম ছিল ‘গল্পছবি’। আমি তখন ফটোগ্রাফি করতাম। কিন্তু আমার উপন্যাস লেখা শুরু হয় ২০১৫ সালে আরশিনগর দিয়ে। আরশিনগরটা প্রকাশের পরপর পাঠকের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। যেটা আমি আশা করিনি। তখন আমার কাছে মনে হয় এই কাজটা— করতে আমি ভালোবাসি, একই সঙ্গে এটাকে পেশা হিসেবে নিয়ে ফেলেছি।

এ সময় এই কাজে আনন্দ ও প্রাপ্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার লিখতে ভালো লাগে, লিখছি। পাঠক গ্রহণ করছে, আমার বই পড়ে পাঠক আনন্দিতও হচ্ছে— এটাই আমার আনন্দ ও প্রাপ্তি।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |