সক্ষমতার অভাবে দুই যুগেও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়নি (ভিডিও)
রাজধানীর নির্মাণাধীন ভবনগুলো যেন একেকটা মশা উৎপাদনের কারখানা। ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ নিলে কিছুটা নজরদারি বাড়লেও এখন যেন দেখার কেউ নেই। মাঝে মধ্যে ওষুধ ছিটানো হলেও তা কাজে আসে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মশক নিধনে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রয়োগের ঘাটতি আর সক্ষমতার অভাবে দুই যুগেও দেশে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়নি।
গত কয়েক দশক ধরে রাজধানীতে চলছে বহুতল ভবন নির্মাণের প্রতিযোগিতা। নির্মাণাধীন এসব ভবনে জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে জন্ম নিচ্ছে এডিস মশা। গত বছর রাজধানীতে ৫০ শতাংশ ডেঙ্গু রোগের জন্য নির্মাণাধীন ভবনকে দায়ী করা হয়। এবারের চিত্রও আগের মতো। ডেঙ্গু মোকাবিলায় নেওয়া হয়নি আগাম কোনো ব্যবস্থা।
ভবন মালিকদের অসচেতনতার পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের উদাসিনতাকে দায়ী করছেন নগরবাসী।
তারা জানান, যেখানে মশা তৈরি হয় সেখানে ওষুধ দেওয়া হয় না। মাঝে মধ্যে মশার ওষুধ প্রয়োগ করা হলেও তা কাজে আসছে না। আর ওষুধ দেওয়া হলেও এর ভেতরে থাকে কেরোসিন।
কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. গোলাম সারোয়ার বলছেন, সঠিক পদ্ধতিতে ওষুধ প্রয়োগ না করায়, মশা মরছে না। তিনি বলেন, যে দূরত্ব থেকে স্প্রে করা দরকার, এর থেকে বেশি হলে মশা বাড়বে। আর স্প্রের কারণে মশার প্রাকৃতিক শত্রুরা মারা যাবে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. বেনজির আহমেদ জানান, গত বারের পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সেজন্য দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।
মন্তব্য করুন