ঢাকারোববার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

রিকশাচালকের পায়ে শেকল, কুকুরের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন!

অর্পিতা জাহান

বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪ , ০৪:৪৪ পিএম


একজন রিকশাওয়ালার জীবন কতটা দুর্বিষহ! শত রোদ আর বৃষ্টিতেও যার নেই কোনো ছুটি। পরিবারের তাগিদে করতে হয় হাড়ভাঙা খাটুনি। কিন্তু দিন শেষে যা আয় হয়, তা দিয়ে কি তার সংসারের ভরণপোষণ হয়? তাই তো অনেকেই মুখাপেক্ষী হয় ধারদেনার। কিন্ত যখন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ না হলে, তখন কতই না কথা শুনতে হয়। কিন্তু সামান্য টাকার জন্য এমন নজিরবিহীন দৃশ্য হয়তো দেখেননি! 

বিজ্ঞাপন

সাভারে পাওনা ৮০০ টাকার জন্য এক রিকশাচালককে কুকুরের সঙ্গে শেকলে গাছে বেঁধে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ভুক্তভোগী রিকশাচালককে উদ্ধার করলেও পালিয়ে গেছে অভিযুক্ত ভাঙারি ব্যবসায়ী মামুন।

মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ভরালি এলাকার একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখার ৭ ঘণ্টা পর পুলিশ ওই রিকশাচালককে উদ্ধার করে।

বিজ্ঞাপন

ভুক্তভোগী রবিউল ইসলাম সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ঋষিপাড়া এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থেকে রাজধানীর শ্যামলীতে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। অভিযুক্ত মো. মামুন তেঁতুলঝোরা ইউনিয়নের ভরালি এলাকায় ভাঙারির ব্যবসা করেন।

ভুক্তভোগী রিকশাচালক রবিউল ইসলাম বলেন, তিনি এর আগে ভাঙারি মালামাল বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করে মামুন নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করতেন। সেই সময়ে মামুন তার কাছে ৮০০ টাকা পাওনা ছিল। সেই টাকার জন্যই তাকে সকাল ৭টার দিকে তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের কাঁঠালতলা থেকে ধরে এনে বেধড়ক মারধর করে। পরে পায়ে শিকল পরিয়ে একটি কুকুরের সঙ্গে খুঁটিতে বেধে রাখে। খবর পেয়ে প্রায় ৭ ঘণ্টা পর পুলিশ এসে রবিউলকে  উদ্ধার করে।

এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ভাঙারি ব্যবসায়ী মামুন পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বিজ্ঞাপন
Advertisement

সাভার ট্যানারী ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) রাসেল মোল্লা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |