বাজেট প্রস্তাবের পরদিনই বাজারে পণ্যের দামে উত্তাপ
প্রায় আট লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাবের পরদিনই বাজারে পণ্যের দামের উত্তাপে হাঁসফাঁস অবস্থা ক্রেতার। কোনো কারণ ছাড়াই খরচে বাড়ছে টাকার অঙ্ক। বাড়তি সব ধরনের সবজির দাম। পেঁয়াজ-রসুনের দামের হেরফেরে একটু বেশি টান পড়ছে ক্রেতার পকেটে। তবে কিছুটা সহনীয় মাছের দাম।
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট প্রস্তাব ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা পার হয়নি এখনো। প্রস্তাবনায় রয়েছে বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দাম কমার আভাস। অথচ এরই মধ্যে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিক্রি হওয়া ৪০ টাকা কেজির ঢেঁড়স আজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। করলা ৭০ থেকে ৮০ আর বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা। সেঞ্চুরি হাকিয়েছে কাকরোল ও ঝিঙা। বেড়েছে টমেটোর দামও।
ক্রেতারা বলছেন, গতকাল বাজেট হয়েছে, আজ কাঁচা বাজারে সব কিছুর দাম বাড়তি। প্রত্যেকটা সবজির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। দাম বাড়তির ফলে কম বাজার করতে হচ্ছে এখন।
সবে মাত্র প্রস্তাব, এখনো পাস হয়নি বাজেট। এরই মধ্যে বাজারের এমন উত্তাপ দুশ্চিন্তায় ফেলছে ক্রেতাদের। বাদ যায়নি, বাজেট নিয়ে সমালোচনাও।
কারওয়ান বাজারে বাজার করতে আসা এক ক্রেতা কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সামান্য কিছু কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করতে বলা হয়েছে। আমি মনে করি যারা চাকরি করি, ইনকাম করে কর দিই তাদের জন্য এটা অন্যায় করা হয়েছে।
পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ ও রসুন ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আলুর বাজারে দাম কমতে থাকায় কিছুটা স্বস্তিতে ক্রেতারা।
বিক্রেতারা বলছেন, আলুর দাম কিছুটা কমেছে। সামনে আরও কমার সম্ভাবনা আছে, তবে বাড়বে না হয়তো।
৭৮০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি হলেও মুরগি আগের দামেই রয়েছে। সহনশীল রয়েছে মাছের বাজার। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বাজারে ক্রেতা কম বলে জানায় বিক্রেতারা।
বাজারে নিত্যপণ্যের দাম ক্রয়সীমার মধ্যে রাখতে কঠোর মনিটরিংয়ের দাবি সাধারণ মানুষের।
মন্তব্য করুন